হযরত মির্যা সাহেব জেহাদ রহিত করেছেন – সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর


আহমদীয়া মুসলিম জামাতের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে যে সকল পুস্তক-পুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছে, সব ক’টিতেই হযরত মির্যা সাহেবের বিরুদ্ধে এই অপবাদ দেয়া হয়েছে, যে, তিনি জেহাদকে রহিত করেছেন।

উত্তর

জেহাদের ব্যাপারেও বর্তমান যুগের আলেমগণ বিভিন্ন ধরনের ছল-চাতুরীর আশ্রয় নিয়ে হযরত মির্যা সাহেবের উপর অপবাদ দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। পক্ষান্তরে তাদের নেতারাই জেহাদের বিরুদ্ধে ঘোষণা দিয়েছেন। নিম্নের উদাহরণ ক’টি দেখুন। এরপর, আহমদীয়া মুসলিম জামাতের বিশ্বাস তুলে ধরবঃ

(১) মাওলানা মুহাম্মদ হুসেইন বাটালবী সাহেবের অভিমত যে, “হিন্দুস্থান দারুল ইসলাম। ইহা দারুল হরব (যুদ্ধের দেশ) নয়। ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দে বিদ্রোহ যাতে হাঙ্গামাকারীগণ ইংরেজ গভর্ণমেন্টের বিরুদ্ধে মোকাবেলা করেছিল, উহা দাঙ্গা ছিল, জেহাদ নয়” (ইশায়াতুস সুন্নাহ্, নবম খণ্ড, ১৬ পৃঃ)।

(২)-আল্লামা শিবলী নুমানী বলেন,

“হযরত রসূল করীম (সঃ)-এর স্বর্ণযুগ হতে আজ পর্যন্ত মুসলমানদের মধ্যে এই নিয়ম চলে আসছে যে, তারা যে শাসনের আশ্রয়াধীন হয়ে বাস করেছে, তার প্রতি বিশ্বস্ত ও বাধ্য রয়েছে। ইহা শুধু তাদের কর্ম-পদ্ধতি ছিল না, বরং ইহা তাদের ধর্মের শিক্ষা ছিল, যা কুরআন মাজীদ, হাদীস ও ফেকাহ্ প্রভৃতি সকল শাস্ত্রেই পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষভাবে উল্লেখিত আছে (শিবলীর প্রবন্ধাবলী প্রথম খণ্ড, ১৭১ পৃঃ)।

(৩) সুরেশ কাশ্মিরী সাহেব, যিনি আহ্মদীদের কঠোর শক্রদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন, তিনি “সৈয়্যদ আতাউল্লাহ্ শাহ্ বোখারী” নামক পুস্তকের ১৩১ পৃষ্ঠায় লিখেন,

“মক্কা মোয়ায্‌যমার হানাফী মুফতী জামনদীন ইবনে আব্দুল্লাহ্‌ শেখ উমর, শাফী মুফতী আহমদ বিন জেহেনী এবং মালেকী মুফতী হোসেন বিন ইব্রাহীমের নিকট হতেও ফত্ওয়া আনা হয়েছিল। এই সকল ফতওয়াতে ভারতবর্ষকে দারুল ইসলাম ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।

(৪) মৌলভী মওদূদী সাহেব লিখেন,

“ভারতবর্ষ ঐ সময় নিঃসন্দেহে দারুল হরব’ (যুদ্ধের দেশ) ছিল, যখন ইংরেজ সরকার এখানে ইসলামী সাম্রাজ্যকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু যখন তারা পরাজিত হলো, ইংরেজী শাসন কায়েম হয়ে গেল এবং মুসলমান ব্যক্তিগত স্বাধীনতার সাথে এদেশে বাস করা কবুল করে নিল, তখন আর এদেশ ‘দারুল হরব” রইল না (সুদ প্রথম খণ্ড, ৭৭-৭৮ পৃঃ)।

(৫) মুহাম্মদ আবদুর রহীম রচিত “ইসলামে জিহাদ” নামক পুস্তকে “আমাদের কথা” অধ্যায়ে লেখা আছে – “জেহাদ মানেই যুদ্ধ নয়।”

(৬) শাহ ফয়সল ২৪শে এপ্রিল, ১৯৬৫ইং হজ্জ উপলক্ষ্যে মক্কা মুকর্রমায় রাবেতা আলমে ইসলামীর ইজতেমাতে বলেনঃ “হে সম্মানিত ভাইগণ! তোমাদের সকলকে জেহাদ ফি সাবিলিল্লাহ্‌র পতাকাকে সমুন্নত করার জন্য আহ্‌বান করা হয়েছে। জেহাদ কেবল মাত্র বন্দুক উঁচানো, বা তলোয়ার চালানোর নাম নয়। বরং আল্লাহর কেতাব এবং রসূল মকবুল (সঃ)-এর সুন্নতের প্রতি আহ্বান করা। এইগুলোর উপর আমল করা এবং সকল প্রকার মুস্কিল ও অসুবিধা এবং কষ্ট সত্ত্বেও সুদৃঢ়রূপে ইহার উপর কায়েম থাকার নাম জেহাদ। কুরআনের দৃষ্টিতে বড় জেহাদঃ

কুরআন বলেঃ

অর্থাৎ (হে নবী) কুরআন মাজীদ দ্বারা তাদের (কাফেরদের সাথে জেহাদ কর) (ফুরকান, ৫ম রুকূ)।

সুতরাং কুরআনের শিক্ষাকে প্রসারতা দেয়া অর্থাৎ কাফেরগণের মধ্যে দাওয়াত ও তবলীগকে জারী রাখার নাম হলো বড় জেহাদ। আহমদীয়া মুসলিম জামাতও ইহাই বিশ্বাস করে এবং তদনুযায়ী কাজও করে।

হযরত রসূলে করীম (সঃ)-এর দৃষ্টিতে ইমাম মাহদী (আঃ)-এর যুগের জেহাদ

হযরত ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর যুগে তরবারীর যুদ্ধ হবে না বলে হযরত রসূলে করীম (সঃ) পূর্বে বলে গেছেন,

অর্থাৎ ঃ তিনি (ইমাম মাহ্দী) যুদ্ধকে রহিত করবেন (বুখারী)। এত্থেকেই বুঝা
যায় ইমাম মাহ্দী জেহাদ করবেন বটে, কিন্তু সে জেহাদ অস্ত্র-শস্ত্রের প্রচলিত যুদ্ধ নহে যা অকল্যাণকে ডেকে আনে, বরং উপরোক্ত কুরআনী নির্দেশ অনুযায়ী কুরআনের যুক্তি, জ্ঞান ও প্রজ্ঞার সাহায্যে সত্যের শত্রুদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ জেহাদ করবেন। এ যুগে কলম দ্বারাই এ জেহাদ সাধিত হবে। যেমন ইমাম মাহ্দী (আঃ) বলেছেনঃ “অসির কাজ আমি সেধেছি মসীতে।” দাজ্জাল ইয়া’জুজ মা’জুজের সম্বন্ধে বলতে গিয়ে আল্লাহর রসূল (সঃ) বলেছেনঃ

অর্থাৎঃ  এদের সাথে অস্ত্রের বা শক্তির যুদ্ধ করার ক্ষমতা কাউকে দেয়া হয় নি (মুসলিম)।

উপরে কুরআন ও হাদীসের আলোকে জেহাদের আসল রূপ তুলে ধরলাম। জেহাদ তিন প্রকারের-১ । নফসের জেহাদ ২। প্রাণের জেহাদ। ৩। ধন-সম্পদের জেহাদ। হযরত রসূল করীম (সঃ) ইমাম মাহদীর যুগে তরবারীর জেহাদ রহিত হবার ঘোষণা নিজেই দিয়েছেন। কিন্তু বাকি দু’ প্রকারের জেহাদ তো রহিত করেন নি। হযরত মির্যা সাহেবের উপর যে অপবাদ দেয়া হয় যে, তিনি জেহাদ হারাম করেছেন, তা বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমার আবেদন হযরত মির্যা সাহেবের এমন দাবী পেশ করুন যাতে হযরত মির্যা সাহেব সর্বপ্রকার জেহাদকে চিরতরে হারাম বলেছেন।

হযরত মির্যা সাহেব বলেনঃ
“কোন কোন অজ্ঞ লোক আমার উপর অপবাদ দিয়ে থাকে যে, আমি ইংরেজদের রাজত্বে বসবাস করি বলে জেহাদ নিষেধ করি । এই অজ্ঞ ব্যক্তিগণ এ কথা বুঝে না যে, আমি যদি মিথ্যা কথা দ্বারা এই গভর্নমেন্টকে খুশী করতে চাইতাম, তবে কেন আমি পুনঃ পুনঃ একথা বলতাম যে, ঈসা ইবনে মরিয়ম (আঃ) ক্রুশ হতে মুক্ত হয়ে কাশ্মীরের অন্তর্গত শ্রীনগরে স্বাভাবিকভাবে প্রাণ ত্যাগ করেছেন। তিনি খোদাও ছিলেন না খোদার পুত্রও না। আমার এই উক্তিতে ধর্মপ্রাণ ইংরেজ কি সন্তুষ্ট হবেন? অতএব, শুনে রাখো! হে অজ্ঞ ব্যক্তিগণ! আমি এই গভর্নমেন্টের তোষামোদকারী নই। বরং প্রকৃত কথা এই যে, ইংরেজ গভর্নমেন্ট ইসলাম ধর্মে এবং ধর্মের রীতিনীতিতে কোনরূপ হস্তক্ষেপ করে না এবং স্বধর্মের উন্নতিকল্পে আমাদের প্রতি তরবারীও চালায় না। এরপর গভর্নমেন্টের সাথে ধর্মযুদ্ধ করা কুরআন শরীফের শিক্ষানুসারে নিষিদ্ধ, কারণ তারাও কোন ধর্মযুদ্ধ করে না (কিশতিয়ে নূহ)

 

সুধীবৃন্দ! এই ছোট পুস্তিকায় আহমদীয়া মুসলিম জামাতের উপর আরোপিত অপবাদসমূহের উত্তরে সংক্ষিপ্ত যে দলীল প্রমাণ দেয়া হয়েছে তা সত্যাসত্য যাচাইয়ের জন্য যথেষ্ট। সত্য কথা এই আহমদীয়া মুসলিম জামাতের সত্যতা সম্পূর্ণভাবে কুরআন হাদীসের দলীল-প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। এ জামাত সকল ত্রুটি-বিচু্যতি ও ভেজালমুক্ত সেই আদি অকৃত্রিম ও জিন্দা ইসলামকে অনুসরণ করে, যা আঁ হযরত রসূলে মকবুল (সঃ) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও প্রচারিত হয়েছিল। এই ইসলাম ও ইহার প্রচারক মাহ্দী মসীহে মাওউদ (আঃ) এর স্বপক্ষে হাজার হাজার ঐশী নিদর্শনাবলী প্রকাশিত হয়ে চলেছে। আকাশ হতে প্রমাণের ঢল নেমেছে। পাতাল ভেদ করে তাঁর সত্যতার প্রমাণ দৃশ্যমান হচ্ছে, পৃথিবীর নিত্য বিরাজিত প্রকৃতি নিত্যই তার স্বপক্ষে নব নব প্রমাণ উপস্থিত করছে। জীব-জন্তু, নদী-সাগর, মানব-সমাজ সর্বত্রই দিবালোকের স্পষ্টতায় তার সত্যতার স্বপক্ষে প্রমাণ প্রকাশিত করে চলেছে।

আসুন! নিরপেক্ষ (Unbiased) মন নিয়ে চিন্তা করুন, উপলব্ধি করুন! আপনার হৃদয়েও রহমানুর রহীম খোদা তার মাহ্দীর সত্যতা প্রকাশ করে দিবেন। তখন ইসলামের আদি ও অকৃত্রিম চেহারা নিশ্চয় আপনার নজরে ধরা পড়বে। আপনি ধন্য হবেন।

আহমদীয়া মুসলিম জামাতের পবিত্র দায়িত্ব সমগ্র বিশ্বে পবিত্র কলেমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ্’র পতাকাকে সদা সমুন্নত রাখা। কারণ সেই দিন দূরে নহে যখন সারা বিশ্বে একই নবী হবেন যিনি হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ব্যতীত অন্য কেহ নহেন; একই ধর্ম হবে, যা ইসলাম ব্যতীত অন্য কিছু নহে এবং একই কলেমা হবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ্ । আর এ পবিত্র দায়িত্ব পালনে আল্লাহতাআলা আমাদের সকলকে সর্বতোভাবে সাহায্য করুন, আমীন।

অন্যান্য উত্তর

মাসিক মদীনা পত্রিকার প্রশ্নোত্তরের কলামের উত্তর – ইমাম মাহদীর আগমন ও নিদর্শন স্বরূপ চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ

মাসিক মদীনার মিথ্যাচারের উত্তর – পবিত্র কুরআনের কিছু অংশ ছেটে ফেলা এবং ঈসা (আঃ)-কে শূলীবিদ্ধ করে মেরে ফেলা হয়েছে

ইসলামী প্রতীকসমূহের ব্যবহার আহ্‌মাদী ফিরকার জন্য আইনতঃ নিষিদ্ধ হওয়া উচিত কি?

মাসিক মদীনায় প্রকাশিত “আহমদী সম্প্রদায় : আমার বক্তব্য” – আপত্তির উত্তর

ঈসা (আ.) কি আসবেন? – মাসিক মদিনায় প্রকাশিত প্রশ্নের উত্তর

মাসিক মদীনা পত্রিকায় “কাদিয়ানী মতবাদ একটি ফেৎনা” শীর্ষক প্রবন্ধের সংক্ষিপ্ত উত্তর

হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.)-এর মৃত্যু কিভাবে হয়েছিল?

হযরত মির্যা সাহেবের মৃত্যুতে বিখ্যাত মনীষীরা কি বলেছিলেন?

মৌলবী সানাউল্লাহ অমৃতসরীর পরিণাম কি হয়েছিল?

মির্যা সাহেবের মৃত্যু সম্পর্কিত অপবাদ খণ্ডন

মাসিক মদীনা: ওহী ইলহামের দরজা হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর ইন্তিকালের পর বন্ধ হয়ে গেছে?

আহমদীরা মীর্যা গোলাম আহমদকে হযরত মোহাম্মাদ (দঃ)-এর পরিবর্তে শেষ নবী বলে মনে করেন – ভ্রান্ত ধারণার অপনোদন

অভিযোগ: মুহাম্মদী বেগম সাথে বিয়ের ভবিষ্যদ্বাণীর অপূর্ণতার অভিযোগ

দ্বিতীয় অভিযোগ: কাদিয়ানীদের বিশ্বাস ও বক্তব্য: “আমি মুহাম্মদ (সা:) থেকে উত্তম নবী”

তৃতীয় অভিযোগ: “আমি নতুন শরীয়তপ্রাপ্ত নবী” (আরবাঈন, পৃষ্ঠা-৩)

চতুর্থ অভিযোগ: “আমাকে যারা নবী মানে না তাদের মায়েরা বেশ্যা” (আয়নাতে কামালাত পৃঃ ৫৪৭)।

ষষ্ঠ ও সপ্তম অভিযোগ: “আমি আল্লাহ্‌র সন্তান” ‘আমিই আল্লাহ্’

অষ্টম অভিযোগ: *আয়াতগুলি গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর শানে অবতীর্ণ হয়েছে।

নবম অভিযোগ: ‘কাদিয়ানীর ওহী কুরআনের চাইতেও বেশী সম্মানের উপযোগী’

অভিযোগ: প্রসঙ্গ মসজিদে জেরার

প্রথম অভিযোগ: কাদিয়ানীদের বিশ্বাস বক্তব্য: “আমিই খাতামুল আম্বিয়া।”

দশম ও শেষ অভিযোগ: “কাদিয়ানীকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত করে পাঠানো হয়েছে।”

পঞ্চম অভিযোগ: আমার প্রতি ঈমান না আনার কারণে সে কাফের হয়ে যাবে

খতমে নবুওয়তের অস্বীকারকারী কে?

মুসলমানদের ঈমান কি তাসের ঘর যে ফুঁ দিলেই উড়ে যাবে?

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট আপত্তির জবাব

খোদা হবার দাবী সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর

হযরত ঈসা (আ.)-এর অবমাননা সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর

হযরত রসূল করীম (সাঃ)-এর অবমাননা সম্পর্কিত অপবাদ ও উহার খন্ডন

মক্কা-মদীনার অবমাননা সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর

হযরত ফাতেমা (রাঃ) ও আহলে বয়াতের অবমাননা সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর

ইসলামের পরিভাষার অবৈধ ব্যবহার সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর

কুফরী মতবাদ (কলেমা এবং খোদার সন্তান তুল্য) বিষয়ক আপত্তির উত্তর

নবী-রসূল হবার দাবী বিষয়ক আপত্তির উত্তর

‘বৃটিশ সরকারের রোপিত বৃক্ষ’ বিষয়ক প্রচারণার উত্তর

আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম

আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে

আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মুহাম্মদ রসূলুল্লাহ বলেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মরিয়ম দাবি করেছেন

আপত্তি: চন্দ্র-সূর্যগ্রহণের হাদিসটি রসূলুল্লাহ্‌ (সা.)-এর বক্তব্য নয়

আপত্তি: নামাযে যখন ওহী হত তিনি অস্থির হয়ে নামায ছেড়ে দিতেন

আপত্তি: মির্যা সাহেবের শিক্ষক থাকার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব কলেরায় টয়লেটে পড়ে মারা গেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব মদ ও আফিমের নেশায় মত্ত ছিলেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন ছবি তুলেছেন?

আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন বইপুস্তক লিখলেন, কোন নবী তো বই–পুস্তক লিখেননি।

আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন হজ্জ করেন নি

আপত্তি: মির্যা সাহেব মসীহ মওউদ হওয়ার দাবি করে অস্বীকারও করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মানুষও আখ্যা দেন নি

আপত্তি: মির্যা সাহেব অ-আহমদীদেরকে কাফের বলেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন যে, কুরআন ও হাদিসে প্লেগের ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব তার অস্বীকারকারীদের কাফের আখ্যায়িত করেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব কবিতা লিখেছেন আর নবী কখনও কবি হয় না

আপত্তি: মির্যা সাহেব ঈসা (আ.)-এর মুজেজার অদ্ভুত ব্যাখ্যা করেছেন

আপত্তি: হযরত মির্যা সাহেব খোদা তা’লার পিতা হবার দাবী করেছেন

আপত্তি: আব্দুল হাকীম সাহেবের তফসীর সম্পর্কে তিন ধরণের কথা

আপত্তি: তার নিজের কথা অনুযায়ী তিনি মুহাদ্দাসও নন নবীও নন

আপত্তি: দাজ্জাল সম্পর্কে মির্যা সাহেবের বিভিন্ন ধারণা রয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব শরীয়তবাহী নবী হবার দাবী করেছেন

আপত্তি: যদি পূর্ণাঙ্গীন মুহাম্মদকে দেখতে চাও গোলাম আহমদকে দেখে যাও

আপত্তি: হাজার লানত প্রসঙ্গ

আপত্তি: মুজাদ্দেদ আহমদ বেরলভি(রহ.) শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব জিহাদ রহিত করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব নবী হবার দাবি করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব মুজাদ্দেদে আলফে সানীর উদ্ধৃতি বিকৃত করেছেন

আপত্তি: বৃটিশ সরকারের অধীনে যে নিরাপত্তা পাচ্ছি তা মক্কা মদীনায়ও সম্ভব নয়

আপত্তি: নফল হজের চেয়ে কাদিয়ানে যাওয়ার সওয়াব বেশি

আপত্তি: ছায়া হজ্জ বাদে (কাদিয়ানের জলসা) মক্কার হজ্জ রসহীন

আপত্তি: মক্কা ও মদীনা সম্পর্কে অমর্যাদাকর বক্তব্য

আপত্তি: ফাতিমার বংশ থেকে কোন মাহদী আসবে না

আপত্তি: অন্য হাদীসকে ডাষ্টবিনের ময়লার মত নিক্ষেপ করি

আপত্তি: কুরআনে যে ভুলগুলো সংঘটিত হয়েছে আমি তা চিহ্নিত করতে এসেছি

আপত্তি: মির্যা সাহেবের ওহীর সমষ্টির নাম কুরআনেরই একটি নাম

আপত্তি: আমার দ্বারা সেসব বিষয় প্রকাশিত হবে যা কুরআন দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব তার প্রতি অবতীর্ণ ওহীর প্রতি কুরআনের মত ঈমান রাখেন

আপত্তি: কুরআন ধরাপৃষ্ঠ থেকে উঠে গিয়েছিল

আপত্তি: স্বীকার করতেই হবে যে কুরআন শরিফ অশ্লীল গালি দিয়ে ভর্তি

আপত্তি: কুরআন আল্লাহ্‌র কিতাব ও আমার মুখের কথা

আপত্তি: কুরআনকে আমি কাদিয়ানের কাছে অবতীর্ণ করেছি

আপত্তি: যদি মূসা ও ঈসা জীবিত হত তাহলে মসীহের আনুগত্য তাদের অবশ্যই করতে হত

আপত্তি: সমস্ত রাসূল আমার জামার মধ্যে গোপন হয়ে আছে

আপত্তি: সব নবী ইজতেহাদী ভুলের স্বীকার হয়েছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেবের আধ্যাত্মিক মর্যাদা এত বড় হয় কীভাবে

আপত্তি: হযরত ঈসা (আ.) মদ পান করতো

আপত্তি: এই ওহীতে আল্লাহ্ আমার নাম মুহাম্মদ রেখেছেন

আপত্তি: মুহাম্মদ পুনরায় আগমন করেছেন আমাদের মধ্যে

আপত্তি: দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে নবুওয়তের দরজা খোলা

আপত্তি: আলামত, মোজেযা, কারামত এবং খরকে আদত সব একই

আপত্তি: মুহাম্মদ (সা.)-এর তেজোদ্দীপ্ত কিরণ প্রকাশের সময় নেই

আপত্তি: কাশফের অবস্থা এভাবে চেপে বসল যে, নিজেকে মহিলা মনে হল

আপত্তি: তোমাকে একজন ছেলের সংবাদ দিচ্ছি যার সাথে খোদা প্রকাশিত হবে

আপত্তি: মিকাইল অর্থ খোদার মত

আপত্তি: তুমি যে কাজের ইচ্ছা কর তা তৎক্ষণাৎ হয়ে যায়

আপত্তি: আল্লাহ্ নিজের ওয়াদা মত কাদিয়ানে অবতীর্ণ হবেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, আমি (আল্লাহ্) চোরের মত গোপনে আসবো

আপত্তি: মুহাম্মদী বেগম এবং আহমদ বেগ সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয়নি

আপত্তি: আমি মক্কা বা মদীনায় মৃত্যুবরণ করবো

আপত্তি : মির্যা সাহেব সিনেমা দেখতে যেতেন

আপত্তি: মির্যা কাদিয়ানী কাজের মহিলাকে দিয়ে রাতে পা টিপাতেন

আপত্তি : মির্যা কাদিয়ানী কখনও কখনও যিনা-ব্যভিচার করতেন (নাউযুবিল্লাহ্‌)

আপত্তিঃ মির্যা সাহেব হিন্দুদের ক্ষেপিয়ে দিয়েছিলেন

আপত্তি: রসূলুল্লাহ্ (সা.) এর জন্মের পর তার বাবা ইন্তেকাল করেন

আপত্তি : তিনি ইসলামী বছরের দ্বিতীয় মাসকে চতুর্থ মাস লিখেছেন

আপত্তি : ১৮৫৭ সালে কুরআন আসমানে উঠানো হবে

আপত্তি : কুরআনের বক্তব্য অনুযায়ী ধর্মযুদ্ধ হারাম

আপত্তি : মক্কা মদীনায় রেলের রাস্তা তৈরি হচ্ছে

আপত্তি : পূর্বেকার নবীগণের কাশফ অনুযায়ী চতুর্দশ শতাব্দির শুরুতে জন্ম

আপত্তি: শেষ যুগে মুহাম্মদ (সা.) দুনিয়াতে আবার আসবেন

আপত্তি : মসীহের যুগে রেলগাড়ী আবিষ্কৃত হবে

আপত্তি : আদম থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত দুনিয়ার বয়স ৭ হাজার বছর

আপত্তি : ইমাম মাহদীর কিতাবে ৩১৩ জন সাথীর নাম থাকবে

আপত্তি : ভারতে একজন কাল রংয়ের নবী এসেছিলেন তার নাম কাহেন

আপত্তি : হাদীসে আছে, মসীহ্‌ ছয় হাজার সালে জন্ম নিবেন

আপত্তি : হাদীসে আছে আগত মাসীহ্ জুলকারনাইন হবে

আপত্তি : মসীহ্ (আ.) আসলে তাকে লাঞ্ছিত করা হবে… কুরআন ও হাদীসে এমন কথা আছে

আপত্তি : সহীহ্ হাদীসসমূহে আছে, মসীহ শতাব্দির শুরুতে আসার কথা

আপত্তি: আহমদীরা খতমে নবুওত অস্বীকারকারী

আপত্তি: মির্যা সাহেব এমন নবুওতের দাবি করেছেন যা প্রকাশ্য কুফরি।

আপত্তি: হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) নবীগণের সাথে বে-আদবী করেছেন বা তাদের সম্মানে আঘাত হেনেছেন।

আপত্তি: হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) মুসলমানদেরকে কাফের বলেছেন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।

আপত্তি: ১৭ জুলাই ১৯২২ তারিখের আল-ফজলে আহমদীয়া জামাতের দ্বিতীয় খলীফা বলেছেন, ‘আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে প্রত্যেকে উন্নতি করতে পারে এমনকি মুহাম্মদ (সা.)-এর চেয়েও বেশী উন্নতি করতে পারে।’

আপত্তি: আকমল নামের এক ব্যক্তির একটি কবিতার একটি লাইনে রয়েছে, ‘মুহাম্মদ আবার আমাদের মাঝে এসেছে, মর্যাদায় আগের চেয়ে সামনে বেড়ে পূর্ণাঙ্গীন মুহাম্মদকে যদি কেউ দেখতে চাও কাদিয়ানে এসে গোলাম আহমদকে দেখে যাও।’

আপত্তি- হাযা খালিফাতুল্লাহিল মাহদী বুখারীর হাদিস

আপত্তি: পাঁচ পঞ্চাশের সমান

আপত্তি: সত্য ধর্ম হলে মুরতাদ হয় কিভাবে? শামসুদ্দিন মুরতাদ ও মোল্লাদের উল্লাস।

আপত্তি: মির্যা সাহেব তার বিভিন্ন পুস্তকে ঈসা(আ.)-এর বিভিন্ন কবরের কথা উল্লেখ করেছেন, কোনটি সঠিক?

আপত্তি: মির্যা সাহেব উল্লেখ্য করেছেন যে, মুহাম্মদ (সা.)-এর ১১ পুত্র সন্তান ছিল

আপত্তি: মির্যা সাহেবের মিরাক তথা উন্মাদনার রোগ ছিল

আপত্তি: যে ব্যক্তি পিতার পেনশনের অর্থ চুরি করে খরচ করে সে কীভাবে ইমাম মাহদী হয়?

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন মহানবী (সা.)-এর ১২ জন কন্যাসন্তান ছিলেন!

আপত্তি: মুহাম্মদী বেগম এবং মির্যা আহমদ বেগ সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয় নি

আপত্তি: স্বপ্নে দেখলাম, আমি খোদা এবং বিশ্বাস করলাম

আপত্তি: মির্যা সাহেবের মর্যাদা রসূলুল্লাহ্‌ সাঃ এর কাধ বরাবর (নাউযুবিল্লাহ্‌)

আপত্তি: রাসূল (সা.)-এর দ্বারা দ্বীন প্রচারের কাজ পরিপূর্ণভাবে হয়নি

আপত্তি: মির্যা সাহেব বিরূদ্ধবাদীদের গালি গালাজ করেছেন

আপত্তি: হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) মুসলমানদেরকে কাফের বলেছেন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন

আপত্তি: আল্লাহ্ আমার হাতে বয়াত গ্রহণ করেছেন

আপত্তি : আমার আলামত দশ লক্ষ। রসূলুল্লাহ্(সা.)-এর মু’জিযা তিন হাজার

হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.)-এর সঠিক বয়স প্রসঙ্গ