আপত্তি: মির্যা সাহেবের শিক্ষক থাকার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন
আপত্তিঃ আইয়ামুস সুলাহ-তে বলে লিখা আছে, “আমি কোন মানুষের কাছে কুরআন, হাদিস অথবা তফসীরের এক সবকও পড়ি নাই। অথবা কোন মুফাসসির অথবা মুহাদ্দিসের শিষ্যত্ব বরণ করি নাই।“ কিন্তু কিতাবুল বারিয়্যাতে লিখা আছে, “শিশু বয়সে যখন ৬–৭বছর ছিল তখন একজন ফার্সি শিক্ষক হিসেবে ফজলে এলাহীকে রাখা হয়। যখন ১০বছর হল, একজন আরবী শিক্ষক রাখা হয়েছে। এরপর যখন ১৭ ১৮বছর হল, তখন একজন মৌলভী সাহেব গুল আলী সাহেবের কাছে পড়েছি।“
অতএব, আইয়ামুস সুলাহ এবং কিতাবুল বারিয়্যাতে বৈপরিত্য পাওয়া যায়। যাতে প্রমাণিত হয়, মির্যা সাহেব মিথ্যা বলেছেন।
জবাবঃ উপরোক্ত উদ্ধৃতি দুটিতে কোন বৈপরিত্য নাই এবং এখানে তিনি মিথ্যাও বলেননি। এতে আপত্তিকারকের অজ্ঞতা ও শত্রুতার কারণে এমন মনে হয়।
প্রকৃত বিষয় হল, এই তিন শিক্ষক যাদের কাছে তিনি পড়েছেন এগুলো কেবলমাত্র ঘরোয়া শিক্ষা ছিল। আর এসব শিক্ষক কোন মুফাসসির বা মুহাদ্দিস ছিলেন না। যদি মসীহ মওউদ (আ.) বলতেন যে, তিনি দেওবন্দ মাদ্রাসায় বছরের পর বছর পড়েছেন অথবা নদওয়াতুল উলামা থেকে কোন বিভাগ থেকে তাখাসসুস করেছেন আর অন্যত্র বলতেন যে, আমি কোন মুফাসসির অথবা মুহাদ্দিস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করিনি, তাহলে এটি মিথ্যা। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা যেখানে ফার্সির এক কায়েদা বা আরবীর এক কায়েদা শিখানো হয় এবং সারফ নাহাভ এর কিছু শেখানো হয় তাহলে কখনও এটি বলা যায় না যে, তিনি কোন মুহাদ্দিস বা মুফাসসিরের কাছে শিখেছেন। বরং যে জ্ঞান তফসীরের অথবা কুরআনের অথবা হাদিসের অথবা আরবী ভাষার কিতাব লিখতে অথবা যে সমস্ত দলিল ভান্ডার তাকে ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য দান করা হয়েছে সেসব খোদা প্রদত্ত জ্ঞান ছিল। এটি কখনও জাগতিক জ্ঞান ছিল না। বিবেক থাকলে বুঝা উচিত যে, ৭-৮ বছরের বালক কিইবা জ্ঞান অর্জন করতে পারে।
অন্যান্য উত্তর
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম