আপত্তি : পূর্বেকার নবীগণের কাশফ অনুযায়ী চতুর্দশ শতাব্দির শুরুতে জন্ম


আপত্তি : মির্যা সাহেব লিখেছেন, পূর্বেকার নবীগণের কাশফ এই কথার উপর সুনিশ্চিত সিদ্ধান্ত দিয়েছে যে, তিনি (মির্যা সাহেব) চতুর্দশ শতাব্দির শুরুতে জন্ম নিবেন। (রূহানী খাযায়েন ১৭/৩৭১)

আপত্তি হল, রূহানী খাযায়েনের প্রথম এডিশনগুলোর মধ্যে “পূর্বেকার নবীগণ” এই কথাটি ছিল। পরের মুদ্রণগুলোতে তা কেটে “পূর্বেকার ওলীগণ” শব্দ যুক্ত করা হয়েছে। আর এ পরিবর্তন করে কাদিয়ানী বন্ধুগণই প্রমাণ করেছেন যে, তিনি অসত্য কথা লিখেছেন।

উত্তর: বিষয়টি মোটেও এমন নয় বরং বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ স্থলে মির্যা সাহেবের জীবদ্দশায় প্রকাশিত এডিশনে “আউলিয়ায়ে গুযাশতা” শব্দই ছিল কিন্তু পরবর্তী এডিশনে ভুলবশত আম্বিয়ায়ে গুযাশতা মুদ্রিত হয়েছে।

হযরত মির্যা সাহেব লিখেছেন, “ইসলামের বর্তমান দুর্বলতা এবং শত্রুর ক্রমাগত আক্রমণ প্রয়োজন সাব্যস্ত করছে এবং পূর্ববর্তী আওলিয়াদের দিব্য-দর্শনও এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছে যে, সেই মহাপুরুষ চতুর্দশ শতাব্দীর শিরোভাবে আবির্ভূত হবেন।”

আসল কথা হল, হযরত মসীহ্ মাওউদ(আ.) আরবাঈন-২ বা অন্য কোন পুস্তকে এ বিষয়ে ‘আম্বিয়া গুযাশতা’ অর্থাৎ পূর্ববর্তী নবীগণ শব্দ লেখেন নি বরং “আউলিয়া গুযাশতা’ লিখেছেন। হযরত মির্যা সাহেবের যুগে মুদ্রিত আরবাঈনের দু’টি এ্যাডিশনে যথাক্রমে ২৩ ও ২৫ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘আউলিয়া গুযাশতা শব্দই মুদ্রিত আছে। হ্যাঁ নতুন এডিশনে যা বুক ডিপো ছাপিয়েছে তাতে ভুলবশত: “আউলিয়ার” স্থলে “আম্বিয়া” শব্দ লেখা হয়েছিল। এটা মোটেও একজন আলেমের জন্য আপত্তি করার ভিত্তি হতে পারে না। হযরত মির্যা সাহেবকে আমরা আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত সেই প্রতিশ্রুত ইমাম মাহদী ও মসীহ(আ.) হিসেবে মান্য করি যার আগমনবার্তা স্বয়ং বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ(সা.) দিয়ে গিয়েছিলেন। অতএব তার লেখার মাঝে ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃতি ঘটানো আর যাই হোক আমাদের দ্বারা সম্ভব নয়। এ বিষয়টি ১৯৩০ সালেই বিরুদ্ধবাদী আলেমদেরকে দেখিয়ে দেয়া হয়েছে। আমাদের জামাতের রেকর্ডে এ বিষয়টি সংরক্ষিত।

অন্যান্য উত্তর