আপত্তি: মির্যা সাহেব জিহাদ রহিত করেছেন
আপত্তি: মির্যা সাহেব জিহাদ রহিত করেছেন।
জবাবঃ জিহাদ রহিত করা হয়েছে শুনে উলামায়ে উম্মত আমাদের সম্মানিত আলেম সম্প্রদায়ের মাঝে ভীষণ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অথচ বিষয়টি একটু চিন্তা করলেই স্পষ্ট হয়ে যায়। বিষয়টি হারাম হালাল ঘোষণা দেয়ার মত নয়। প্রত্যেক ইবাদতের জন্য শর্ত নির্ধারিত আছে। শর্ত পূর্ণ হলে সেই ইবাদতটি পালনীয় হয়, তা নাহলে নয়। যদি প্রশ্ন করা হয়, হজ্জ ফরজ এ বিষয়ে কি কারও কোন সন্দেহ আছে। এবার বলুন, হজ্জ কি আমরা রমযান মাসে পালন করতে পারি? হজ্জ ফরয বলে কি তা ঋণগ্রস্থদের ও অসুস্থদের জন্যও ফরয? ঠিক একইভাবে যাকাত দেয়াও ফরয। কিন্তু একজন ভিখারী কি যাকাত দিতে বাধ্য? মোটেও না। কেননা তার যাকাত প্রদানের নিসাব পূর্ণ হয় নি। ঠিক একইভাবে ‘সশস্ত্র ধর্মযুদ্ধ’ বা ‘জিহাদ বিস্সাইফ’-এর জন্য খুব কড়া শর্ত রয়েছে। আর শর্তগুলোর মাঝে প্রধানতম শর্ত হল, ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য আক্রান্ত হতে হবে এবং দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতিত হতে হবে। রসূল বা যুগ-ইমাম মুসলমানদের মাঝে বিদ্যমান থাকতে হবে। আর আল্লাহর পক্ষ থেকে অনুমতি পেয়ে আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধের নির্দেশ যুগ–ইমাম দিবেন– যে কেউ এ যুদ্ধের ঘোষণা দিতে পারে না।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে মুসলমানরা পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করেছে। ধর্মের কারণে মুসলমানদের প্রতি অত্যাচার করা তো দূরের কথা বরং তারা ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ধর্ম পালনের নিশ্চয়তা দান করেছে। যেসব মসজিদে শিখরা আস্তাবল গড়েছিল সেসব মসজিদ মুসলমানরা ফিরে পেয়েছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শাসনামলে। ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদানকারী এমন সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র জিহাদ করা কুরআন ও রসূলের সুন্নত অনুযায়ী বৈধ নয়। হযরত মির্যা সাহেব কেবল একথার পুনরাবৃত্তি করেছেন মাত্র। তিনি নিজের পক্ষ থেকে নতুন কোন বিধান দেন নি।
পবিত্র কুরআনে লেখা আছে ‘হাল জাযাউল এহসান ইল্লাল ইহসান‘ অর্থাৎ কেউ অনুগ্রহ করলে তার অনুগ্রহের বিনিময়ে অনুগ্রহ বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হয়। আল্লাহ তা’লা নিজের একটি গুণ বর্ণনা করেছেন ‘শাকেরুন আলীম‘ অর্থাৎ তিনি গুণগ্রাহী। কারও মাঝে তিনি সামান্য গুণ দেখলে তিনি তার মূল্যায়ন করেন। আল্লাহ্ আমাদেরকেও তার গুণে গুণান্বিত হবার জন্য শিক্ষা দিয়েছেন। অতএব ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধিনস্থ মুসলমানদের আবশ্যক দায়িত্ব ছিল ও আছে তারা যেন নিজেদের হারানো ধর্মীয় স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ায় এই সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ না করে বরং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। এ কারণে তিনি বারবার জিহাদের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। আর তিনি বলেছেন অনুগ্রহশীল সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ বিদ্রোহ ছাড়া আর কিছু নয়।
মে ১৯০০ সনে হযরত মসীহ্ মাওউদ (আ.) লিখেছেন: “আমি আপনাদের কাছে একটি বিশেষ শিক্ষা নিয়ে এসেছি আর তা হল, এখন অস্ত্রযুদ্ধ রহিত কিন্তু আত্মশুদ্ধির জিহাদ বলবৎ আছে।” (গভর্ণর্নমেন্ট আংগ্রেজী আওর জিহাদ, পৃষ্ঠা ১৫, রূহানী খাযাইন, ১৭শ খণ্ড)
তিনি আরো বলেন, “আর যদিও সীমান্ত প্রদেশে এবং আফগানের বিভিন্ন অঞ্চলে এমন শিক্ষা প্রচারকারী মৌলভী অগণীত রয়েছে কিন্তু আমার মনে হয়, পাঞ্জাব এবং হিন্দুস্তানও এসব মৌলভীমুক্ত নয়। যদি মাননীয় সরকার এদশের সকল মৌলভীকে এ ধরনের চিন্তাধারা থেকে পবিত্র ও মুক্ত বলে বিশ্বাস করে থাকে তাহলে তাদের এই বিশ্বাস বা ধারণা পুঃনবিবেচনার যোগ্য। আমার মতে মসজিদে গা ঢাকা দেয়া নির্বোধ অগ্নীশর্মা মোল্লা এসব নোংরা চিন্তা চেতনা থেকে পবিত্র বা মুক্ত নয়। আমি সত্য সত্য বলছি, তারা যেমন সরকারের বিভিন্ন অনুগ্রহের অবজ্ঞা করে একদিকে রাষ্ট্রের সুপ্ত শত্রু তেমনিভাবে তারা খোদা তালার দৃষ্টিতেও অপরাধী এবং অবাধ্যতাকারী। কেননা আমি স্পষ্ট ও বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছি, খোদা তালার কালাম এভাবে নিরপরাধদের হত্যা করার শিক্ষা ঘুনাক্ষরেও দেয় নি। আর যে এমন ধারণা রাখে সে ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত।” (গভর্ণনমেন্ট আংগ্রেজী আওর জিহাদ, পৃষ্ঠা-২০, রূহানী খাযাইন, ১৭শ খণ্ড)
পাঠকদের কাছে একথা অতি স্পষ্ট, শর্ত পূর্ণ হয় নি বিধায় হযরত মির্যা সাহেব জিহাদকে রহিত ঘোষণা করেছেন। হারাম তথা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন নি বরং যুগের চাহিদা অনুযায়ী যেহেতু ধর্ম পালনে কেউ বাধা দিচ্ছে না তাই মির্যা সাহেব এখনকার মত সশস্ত্র যুদ্ধ রহিত করেছেন।
এ প্রসঙ্গে হযরত মির্যা সাহেবের সমসাময়িক কিছু প্রখ্যাত আলেমদের বক্তব্য উদ্ধৃত করছি- স্যার আল্লামা মোহাম্মদ ইকবাল যাকে বর্তমান যুগের আলেম-উলামারা অনেক বড় বড় উপাধিতে ভূষিত করে থাকেন, তিনি কিভাবে ব্রিটিশদের গুণ গেয়েছেন তা-ও পাঠকদের জানা প্রয়োজন। রাণী ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুতে তিনি যে শোকগাথা লিখেছিলেন তার একটি অংশ হল,
‘রানির জানাযা কাঁধে উঠেছে, হে ইকবাল তুমি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক সেই পথে নিজেকে বিছিয়ে দাও। পরিস্থিতি অবিকল সেরকমই যদিও এ মাসের নাম ভিন্ন। আমরা এ মাসের নাম মুহাররম প্রস্তাব করছি‘ (‘বাকিয়াতে ইকবাল’, সং সৈয়দ আব্দুল ওয়াহেদ মুঈনী এম.এ. অক্সন)
রানি ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুর সময় মুসলমানরা ঈদ উদযাপন করছিল। এ উপলক্ষে ইকবাল বলছেন, “লোকেরা বলে আজ নাকি ঈদের দিন। হলে হতেও পারে। কিন্তু আমাদের দৃষ্টিতে আজ যদি ঈদের দিন না হয়ে আমাদের মৃত্যুর দিন হত বিষয়টি অধিক সহনীয় ছিল।“ পাঠকবৃন্দ! যে ব্যক্তি রাণী ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুতে এমন সব কথা লিখতে পারে, এমন আবেগের অতিরঞ্জন লিখতে পারে এবং আবেগের আতিশহ্যে ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুর দিনকে মুহাররম এবং ঈদের দিনকে শোকের দিন হিসেবে তুলনা করতে দ্বিধান্বিত নয়- তাকে ইসলামের পুনর্জাগরণের পথিকৃৎ বলতে বর্তমান যুগের আলেমদের বাধে না। কিন্তু যিনি রসূল(সা.)-এর শিক্ষা অনুযায়ী অনুগ্রহশীল রাষ্ট্রের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে শেখান তার বিরুদ্ধে যত অবান্তর আপত্তি! এটা কেমন বিচার!
আবার দেখুন, মৌলভী মুহাম্মদ হোসেন বাটালভী ব্রিটিশ সরকারের বিষয়ে তার ধারণা লিখতে গিয়ে বলেছেন, “রোমান সম্রাট একজন ইসলামী বাদশাহ কিন্তু সাধারণ শান্তি এবং সুব্যবস্থাপনার দিক থেকে ব্রিটিশ সরকার আমাদের মুসলমানদের জন্য কম গর্বের বিষয় নয়। আর বিশেষ করে ‘আহলে হাদীস‘ এর জন্য এই সরকার শান্তি এবং স্বাধীনতার দিক থেকে বর্তমান সময়ের মুসলিম রাষ্ট্রগুলো (আরব, রোম তথা কুসতুনতুনিয়া, ইরান, খুরাসান) থেকেও বেশি গর্বের অধিকারী।“ (ইশাআতুস সুন্নাহ, খণ্ড-৬, নম্বর-১০, পৃষ্ঠা ২৯২-২৯৩)
‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদ সাহেব হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করার জন্য অন্ধভাবে উঠে পড়ে লেগেছেন। আর এতে তিনি এত বেশী আত্মনিয়োগ করেছেন যে, লেখার সময় তার দিগ্বিদিক জ্ঞান ছিল না। তাই তিনি ইতিহাসের মারাত্মক বিকৃতি ঘটিয়েছেন। তার মতে ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহ প্রকৃতপক্ষে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের জিহাদ ছিল আর এই জিহাদী চেতনা রোধকল্পেই নাকি ব্রিটিশরা তাদের হাতের পুতুল হিসাবে মির্যা সাহেবকে দাড় করিয়েছে। নাউযুবিল্লাহ। হযরত মির্যা সাহেব ব্রিটিশদের স্বরোপিত বৃক্ষ ছিলেন নাকি আল্লার প্রত্যাদিষ্ট ছিলেন তা পরে আলোচনা করব। তার আগে চলুন, যে বিষয়টিকে সূত্র ধরে তিনি এত বড় একটি গবেষণা কাজ চালিয়েছেন সেই সূত্রটি আদৌ ধোপে টেকে কিনা সেটি যাচাই করে দেখি।
যে সব আলেম উলামার বরাতে আজ ‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদ ও তার সমমনারা আহমদীয়া বিরোধী কার্যকলাপ বা আন্দোলন পরিচালনা করছেন তাদের দৃষ্টিতে ১৮৫৭ সনের সিপাহী বিদ্রোহের মূল্যায়ন শুনুন।
আহলে হাদীস সম্প্রদায়ের প্রখ্যাত আলেম ও নেতা আহমদীয়া জামাতের প্রধান বিরোধী মৌলভী মুহাম্মদ হোসাইন বাটালভী তার পত্রিকায় বলেছেন, “১৮৫৭ সালের বিদ্রোহে যে সব মুসলমান অংশগ্রহণ করেছিল তারা ভয়ানক পাপিষ্ঠ এবং কুরআন ও হাদীসের নির্দেশ অনুযায়ী তারা ছিল নৈরাজ্যবাদী, বিদ্রোহী ও দুষ্কৃতিকারী“ (ইশাআতুস সুন্নাহ, ৯ম খণ্ড, নম্বর-১০, পৃষ্ঠা ৪৯)
তিনি আরও বলেন, “এ সরকারের সাথে যুদ্ধ করা বা তাদের সাথে যারা যুদ্ধ করে তাদেরকে কোন প্রকার সাহায্য করা (তারা মুসলমান ভাই–ই হোক না কেন) স্পষ্ট বিদ্রোহ এবং হারাম কাজ।“ (ইশাআতুস সুন্নাহ, ৯ম খণ্ড, নম্বর-১০, পৃষ্ঠা ৩০৯)
তিনি কেবল তার নিজ পত্রিকাতেই তার এই সিদ্ধান্ত ছাপান নি বরং তার রচিত বই আল ইকতেসাদ ফি মাসাইলিল জিহাদ ২৫ নম্বর পৃষ্ঠায় লিখেছেন, “…এই সকল বক্তব্য ও দলিল দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়, ভারতবর্ষ খ্রিস্টান সাম্রাজ্যের অধীন হওয়া সত্ত্বেও এটি ‘দারুল ইসলাম‘ (যেখানে সশস্ত্র ধর্মযুদ্ধ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ)। কোন মুসলমান রাজা— তিনি আরবেরই হোন, আরবের বাইরেরই হোন, সুদানী মাহদী হোন বা ইরানের সুলতান শাহই হোন কিংবা খুরাসানের আমীরই হোন এই রাজত্বের বিরুদ্ধে কোন বাদশাহর পক্ষ থেকে ধর্মযুদ্ধ করা বা আক্রমণ করা কোনমতেই বৈধ নয়।“
ইশাআতুস সুন্নাহ পত্রিকার ৬ষ্ঠ খণ্ডের ১০ম সংখ্যায় একই বিষয়ে তিনি আবার লিখেছেন। তিনি বলেন, “ভারতবর্ষে ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করা এবং তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা মুসলমানদের জন্য হারাম।“
‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদ সাহেব এই ‘হারাম’ কাজকে ‘হালাল’ ঘোষণা করে নিজের গোড়া নিজেই কেটে দিয়েছেন। ‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদ সাহেব যদি আহলে হাদিস সম্প্রদায়ের ফতোয়ায় সন্তুষ্ট না হয়ে থাকেন তাহলে স্যার সৈয়দ আহমদ খান সাহেব যিনি অখণ্ড ভারতের মুসলমানদের জ্ঞান চর্চার পথিকৃত এবং আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তার বক্তব্য শুনুন। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহে যেসব মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল তাদের সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, “দুষ্ট প্রকৃতির কিছু মানুষ জাগতিক লোভ লালসায় নিজ স্বার্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে নিজেদের মনগড়া চিন্তা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কিছু সংখ্যক অজ্ঞদের উস্কানী দেয়া এবং নিজেদের সাথে কিছু লোক ভেড়ানোর নাম জিহাদ রেখেছে। আর এ ঘটনাটি ছিল নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী হারামযাদাদের কার্যকলাপের মাঝে একটি। এটি জিহাদ অবশ্যই ছিল না।“ (স্যার সৈয়দ আহমদ রচিত “বাগাওয়াতে হিন্দ’ পুস্তক, পৃষ্ঠা ১০৪)
এতেও যদি আল্লামা আব্দুল মজিদ সাহেব সম্ভষ্ট না হয়ে থাকেন তাহলে ১৮৫৭ সালের তথাকথিত জিহাদের বিরুদ্ধে বেরলভী ফিরকার নেতা মৌলভী সৈয়দ আহমদ রেজা খান সাহেবের বক্তব্য শুনুন। তিনি বলে, “ভারতবর্ষ হল‘দারুল ইসলাম‘। একে ‘দারুল হারব‘ (অর্থাৎ ধর্মযুদ্ধের স্থান) বলা কখনও সঠিক নয়” (নুসরতুল আবরার, পৃষ্ঠা ১২৯)।
অন্যান্য উত্তর
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম