আপত্তি: তুমি যে কাজের ইচ্ছা কর তা তৎক্ষণাৎ হয়ে যায়
আপত্তি : মির্যা সাহেব বলেছেন, আমাকে বলা হল, তুমি যে কাজের ইচ্ছা কর তা তৎক্ষণাৎ হয়ে যায়।(রূহানী খাযায়েন ২২/১০৮)
উত্তর: এই ইলহামটি হযরত মসীহ মাওউদ(আ.)-এর দোয়া গৃহীত হবার দিকে পক্ষ থেকে দোয়ার কবুলিয়াত লাভ করে থাকেন। একেই ফানা ফিল্লাহ্-র স্তর বা পর্যায় বলা হয়। এই মকামে পৌছলে বান্দার আর নিজস্ব কোন বা বাসনা অবশিষ্ট থাকে না বরং তার সকল ইচ্ছা ও বাসনা মহাক্ষমতার অধিকারী আল্লাহ নিজ অধীনস্ত করে নেন। যেমন বদরের যুদ্ধে যদিও মহানবী(সা.) কঙ্কর ছুড়ে মেরেছিলেন কিন্তু পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ তা’লা বলেন, ওয়া মা রামায়তা ইযু রামায়তা ওয়ালাকিন্নাল্লাহা রামা (সূরা আনফাল: ১৮) যদিও বাহ্যিকভাবে তুমি কঙ্কর নিক্ষেপ করেছিলেন কিন্তু আমি ঘোষণা দিচ্ছি প্রকৃতপক্ষে আল্লাহই তা ছুড়েছিলেন। অর্থাৎ আল্লাহর অস্তিত্বে বিলিন ‘ফানাফিল্লাহ‘ ব্যক্তি সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর অধীনস্ত হয়ে যাওয়ায় আল্লাহ্ তার সদিচ্ছা পূর্ণ করে দেন। একথাই আল্লাহ্ তা’লা ইলহামের মাধ্যমে মির্যা সাহেবকে জানিয়েছেন।
অন্যান্য উত্তর
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম