আপত্তি: মির্যা সাহেব অ-আহমদীদেরকে কাফের বলেছেন
আপত্তি: মির্যা সাহেব অ–আহমদীদেরকে কাফের বলেছেন।
জবাবঃ এটা বলা পুরোপুরি ভুল এবং মিথ্যা অপবাদ যে, আহমদীয়া জামাতের পক্ষ থেকে প্রথমে কাফের ফতওয়া দেওয়া হয়েছে। হযরত মসীহ মওউদ (আ.) এর সময়ে এই প্রশ্ন তাকে করা হয়েছিল। তিনি (আ.) জবাবে বলেন, “কোন মৌলভী, কোন বিরুদ্ধবাদী অথবা কোন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি কি এই প্রমাণ দিতে পারবে যে প্রথমে আমরা ঐ লোকদের কাফের আখ্যা দিয়েছি। যদি কোন এমন কাগজ, বিজ্ঞাপন অথবা পত্রিকা আমাদের পক্ষ থেকে তাদের কাফের ফতওয়া দেয়ার পূর্বে আখ্যা দিয়েছি তাহলে তা উপস্থাপন করুন। নতুবা ভাবুন, এটা কত বড় বেঈমানী যে নিজেরাই কাফেরের ফতোয়া দেয় আবার আমাদের উপর এই অপবাদ লাগায় যে, আমরা সকল মুসলিমদের কাফের বলেছি।“ (হাকিকাতুল ওহী, পৃষ্ঠা ১২০)
যখন তার (আ.) বিরুদ্ধে মৌলভী আবদুস সামাদ গজনবী সাহেব, মিয়া নজীর হোসেন সাহেব (শায়েখুল কুল) কাজী আবদুল্লাহ, কাজী ওবায়েদুল্লাহ মাদরাসী ইত্যাদি ব্যক্তি কঠোর ফতোয়া প্রকাশ করেছেন। তখন তিনি (আ.) এই হাদিস অনুযায়ী যে
ايما رجل مسلم کفر رجلا مسلما فان کان کافرالا کان هوا الکافر যদি কোন মুসলমান অন্য কোন মুসলমানকে কাফের বলে তাহলে যদি সেই ব্যক্তি কাফের হয় তাহলে তো ঠিক আছে, নতুবা যে কাফের বলে সে-ই প্রকৃত কাফের। আমরা কোন কলেমায় বিশ্বাসী ব্যক্তিকে অমুসলিম বলি না; যতক্ষণ না পর্যন্ত সে আমাদের কাফের বলে নিজেই কাফের হয়ে যায়। আপনাদের হয়ত জানা নেই যে, যখন আমি আল্লাহ থেকে প্রত্যাদিষ্ট হওয়ার দাবি করেছিলাম তখন মুহাম্মদ হোসেন বাটালভী, আবু সাঈদ সাহেব অনেক পরিশ্রমের মাধ্যমে একটি ফতোয়া তৈরি করেন যাতে লিখা ছিল, এই ব্যক্তি কাফের, এই ব্যক্তি দাজ্জাল, এই ব্যক্তি মিথ্যাবাদী, তার জানাজা যেন না পড়া হয়। যে ব্যক্তি তাকে সালাম দেয় বা হাত মিলায় বা তাকে মুসলমান বলে সেও কাফের। এখন শুন, এটি একটি সর্বসম্মত ঘোষণা যে, যে ব্যক্তি বিশ্বাসীকে কাফের বলবে সে নিজেই কাফের হয়ে যায়। সুতরাং এই ঘোষণা থেকে আমরা কিভাবে অস্বীকার করতে পারি। আপনারাই বলুন এই অবস্থায় আমরা কি করতে পারি? আমরা তাদের উপর প্রথমে কোন ফতোয়া দেইনি। এখন যে তাদের কাফের বলা হয় এটি তাদের কাফের ফতোয়া দেওয়ার ফলাফল | এক ব্যক্তি আমাদের মুবাহেলার আহবান জানিয়েছেন। আমরা বলেছি, দুজন মুসলমানের মাঝে মুবাহেলা জায়েয নয়। তিনি জবাবে লিখেন আমরা তো তোমাকে নিশ্চিতরুপে কাফের জানি। (সরকারী রিসালায়ে কাদিয়ানীয়াত, ইসলাম কে লিয়ে সানগিন খতরা, পৃষ্ঠা ২২)
অন্য এক স্থানে বলেন- “যারা আমাদের কাফের না বলে আমরা তাদের কাফের বলি না, কিন্তু যে আমাদের কাফের বলে তাকে যদি তাকে কাফের না বলা হয় তাহলে এখানে হাদিস ও সর্বসম্মত বিষয়ের পরিপন্থী হয়ে যায়। আর এটা আমরা কখনও করতে পারি না।“ (মলফুজাত ১০ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৭৬-৭৭)
অন্যান্য উত্তর
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম