আপত্তি: ছায়া হজ্জ বাদে (কাদিয়ানের জলসা) মক্কার হজ্জ রসহীন
আপত্তি:ছায়া হজ্জ বাদে (কাদিয়ানের জলসা) মক্কার হজ্জ রসহীন। (পয়গামে সুলহ ১৯ এপ্রিল ১৯৩৩)
উত্তর : ছায়া হজ্জের কোন বিধান ইসলামে নেই। ‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদ সাহেব যে পবিত্রতার উদ্ধৃতি দিয়ে ছায়া হজ্জের প্রসঙ্গ টেনেছেন এই পত্রিকাটি আহমদীয়া মুসলিম জামাতের পত্রিকাই নয়। আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের প্রতিষ্ঠাতা তার মৃত্যুর আগে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে ইসলামী শিক্ষা ব্যক্ত করে ১৯০৮ সালে পয়গামে সুলেহ নামক একটি পুস্তিকা রচনা করেন। ‘আল্লামা’ ১৯শে এপ্রিল ১৯৩৩ সালের পয়গামে সুলেহ নামক এক পত্রিকার উদ্ধৃতি দিচ্ছেন। এই পত্রিকাটি আহমদীয়া মুসলিম জামাতের খিলাফত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথক মতবাদ প্রচারে লিপ্ত আর আহমদীয়া খিলাফতের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজে ব্যস্ত। এই বিদ্বেষীদের উদ্ধৃতি দিয়ে আহমদীয়া মুসলিম জামাতের বক্তব্য উপস্থাপন করা আপনার মত ‘গবেষক আল্লামা’-র শোভা পায় না। এখন দেখুন হজ্জ সম্বন্ধে হযরত মির্যা সাহেবের শিক্ষা কি?
তিনি বলেছেন, হযরত মসীহ্ মাওউদ(আ.) বলেন, “যার জন্য হজ্জ ফরজ হয়েছে আর এই হজ্জ পালনে কোন প্রতিবন্ধকতা নেই সে যেন হজ্জ করে। পুণ্যকাজ সুচারুরূপে আদায় কর আর পাপ ও নোংরামী অবজ্ঞাভরে পরিহার কর। মনে রাখবে, নিশ্চয় আল্লাহর কাছে তাকওয়াশূন্য কোন আমল গৃহীত হয় না। কেননা তাকওয়াই হল সকল পুণ্যের মূল। যে কাজে এই মূল নষ্ট হবে না তার কর্মও বৃথা যাবে না।“ (রূহানী খাযায়েন ১৯শ খণ্ড, পৃষ্ঠা-১৫)
অন্যান্য উত্তর
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম