আপত্তি: দাজ্জাল সম্পর্কে মির্যা সাহেবের বিভিন্ন ধারণা রয়েছে
আপত্তি: দাজ্জাল সম্পর্কে মির্যা সাহেবের বিভিন্ন ধারণা রয়েছে
১। মির্যা সাহেবের বিরুদ্ধবাদী আলেমরা দাজ্জাল। (ফতেহ ইসলাম)
২। উন্নত জাতিগুলো দাজ্জাল, রেল তাদের গাধা। (ইযালায়ে আউহাম ১৩৪ পৃষ্ঠা)
৩। পাদ্রীরা দাজ্জাল (ইযালায়ে আওহাম ১৫৯ পৃষ্ঠা)
৪। ইবনে সায়্যাদ দাজ্জাল (ইযালায়ে আওহাম) চারটি কথাই পরস্পর বিরোধি।
জবাবঃ এখানে পুরোপুরি প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। ফতেহ ইসলামের পুরো পুস্তকে কোথাও হুযুর (আ.) বিরুদ্ধবাদী আলেমদের দাজ্জাল বলেননি। ২ ও ৩ নম্বরে উন্নত জাতি ও পাদ্রীদের কথা পৃথক পৃথকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। যদিও হুযুর (আ.) ইযালায়ে আওহামে উন্নত জাতি বলতে পাদ্রীদের দলই বুঝিয়েছেন। মোটকথা আপত্তিকারকরা প্রথমে ভূল বর্ণনা, পরে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন।
দাজ্জালের অর্থ ধোঁকাবাজ এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী। যেভাবে হুজাজুল কেরামা পৃষ্ঠা ৪০১-এ লিখা আছে, “মুবালাগার সীগা অনুযায়ী দাজ্জালের অর্থ সর্বোচ্চ পর্যায়ের ধোঁকাবাজ এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী।” হুযুর (আ.) লিখেছেন- “অভিধানে দাজ্জালের অর্থ মিথ্যাবাদীর দলকে বোঝায় যারা মিথ্যাকে সত্যের সাথে সংমিশ্রণ করে এবং আল্লাহর সৃষ্টিকে বিপদগামী করার জন্য ষড়যন্ত্র ও বিভ্রান্তিকে কাজে লাগায়।” (ইযালায়ে আওহাম, পৃষ্ঠা ২০৪)
আরও একটি কথা আমাদের আলেমদের জন্য মনোযোগের বিষয়। আর তা হল হাদিসে শুধুমাত্র একটি দাজ্জালের উলে-খ নেই, বরং অনেক দাজ্জালের উলে-খ রয়েছে। (ইযালায়ে আওহাম, পৃষ্ঠা ৬২)
হুযুর (আ.) প্রতিশ্রুত দাজ্জাল হিসেবে পাদ্রীদের দলকে সাব্যস্ত করেছেন এবং শুধুমাত্র ইবনে সায়্যাদ-কে দাজ্জাল হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। যার কারণে কোন আপত্তি থাকে না। যেরুপভাবে হুযুর (আ.) বলেন, “দাজ্জাল অনেক গত হয়েছে এবং সামনেও অনেক দাজ্জাল হবে, কিন্তু সেই মহা দাজ্জাল যার দাজ্জাল হওয়া আল্লাহর কাছে এতই অপছন্দের যে এতে আকাশ টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। এই দল এক মুষ্টি মাটিকে খোদা আখ্যাদানকারী হবে। আল্লাহ কুরআন করীমে ইহুদী, মুশরিক এবং অন্যান্য জাতির বিভিন্ন ধোকাবাজির কথা বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এই বড়ত্ব কোন দাজ্জালকেই দেননি যে এর কারণে আকাশ টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। সুতরাং যে দলকে আল্লাহ তা‘লা কুরআন পাকে মহা দাজ্জাল আখ্যা দিয়েছেন– তাদের ব্যতীত অন্য কাউকে মহা দাজ্জাল আখ্যা দেয়া উচিত নয়।” (আনজামে আথম, পৃষ্ঠা ৪২)
ইবনে সিয়্যাদ তার প্রথম দিনগুলোতে নিশ্চিত ভাবে দাজ্জাল ছিল। এবং কতিপয় শয়তানের ব্যাপারে তার থেকে অদ্ভুত বিষয় প্রকাশ পায়। (ইযালায়ে আওহাম, ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৯৫)
অন্যান্য উত্তর
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম