আপত্তি: সমস্ত রাসূল আমার জামার মধ্যে গোপন হয়ে আছে


আপত্তি: আমার আগমনের দ্বারা প্রত্যেক নবী জীবন ফিরে পেয়েছে। আর সমস্ত রাসূল আমার জামার মধ্যে গোপন হয়ে আছে। (কবিতার অনুবাদ) (রূহানী খাযায়েন ১৮/৪৭৮)

উত্তর: মহানবী(সা.)-এর পূর্বে যত নবী রসূল এসেছেন তাদের সত্যতার সন্দেহাতীত প্রমাণ জগতের কাছে ছিল না। একমাত্র মহানবী(সা.) এসে সমস্ত স্বীকৃতি লাভ করেছেন। নবীজি(সা.)-এর এই বিশেষ বৈশিষ্টের কারণে তিনি খাতামান্নাবীঈন অর্থাৎ নবীগণের সত্যায়নকারী। মহানবী(সা.)-এর তিরোধানের পর পুনরায় যখন পূর্ববর্তী নবীদের সম্মান ও মর্যাদা ম্লান হবার উপক্রম হয় তখন আল্লাহ্ তা’লা ইমাম মাহদী ও প্রতিশ্রুত মসীহকে পাঠিয়ে তাদের সম্মান ও মর্যাদা ফিরিয়ে দেযার ব্যবস্থা করেন। তাদের চরিত্রে যেসব কালিমা লেপনের চেষ্টা করা হয় হযরত মির্যা সাহেব সেসব কালিমা অপসারণ করে তাদেরকে পবিত্র সাব্যস্ত করেছেন। একারণেই আল্লাহ্ তা’লা তাকে ইলহাম করে বলেছেন, তাকে জারিউল্লাহে ফি হুলালিল আম্বিয়া আখ্যা দিয়েছেন। মহানবী(সা.)-এর অতুলনীয় সাফল্য ও অবস্থান তুলে ধরে হযরত মির্যা সাহেব বলেছেন,

সেই ব্যক্তি যিনি সবচেয়ে সম্পূর্ণ এবং পূর্ণ মানব ছিলেন এবং পূর্ণ নবী ছিলেন এবং যিনি পূর্ণ কল্যাণরাজি নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেনযার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক পুনরুত্থান ও একত্রিকরণের কারণে পৃথিবীর প্রথম কিয়ামত (পুনরুত্থানসংঘটিত হয়যার আগমনে এক মৃত জগৎ জীবন ফিরে পায় সেই মোবারক নবী নবীগণের গৌরব হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম। হে প্রিয় খোদাএ প্রিয় নবীর প্রতি এমন রহমত ও দরূদ বর্ষণ কর যেমনটি দুনিয়া সৃষ্টি অবধি তুমি কারও প্রতি নাযেল কর নি। এ অসীম মর্যাদাবান নবী পৃথিবীতে আবির্ভূত না হলে ছোট ছোট যত নবী দুনিয়ায় এসেছেনযেমন ইউনুসআইউবমসীহ ইবনে মরিয়মমালাখিইয়াহিয়াযাকারিয়া প্রমুখ তাদের সত্যতার কোন প্রমাণ আমাদের কাছে থাকত নাযদিও তারা সবাই নৈকট্যপ্রাপ্তসম্মানিত এবং খোদা তালার প্রিয়ভাজন ছিলেন। এ কেবল মহানবী(সা.)-এরই অনুগ্রহ বিশেষ যার ফলে এ নবীগণও পৃথিবীতে সত্যবাদী হিসেবে স্বীকৃত হয়েছেন। হে আল্লাহ্তাঁর (সা.), তাঁর বংশধরতার সাহাবীগণ সবার প্রতি তুমি দরূদরহমত ও বরকত নাযেল কর” (ইতমামুল হুজ্জত, পৃষ্ঠা ২৮)

অন্যান্য উত্তর