আপত্তি: মির্যা সাহেবের ওহীর সমষ্টির নাম কুরআনেরই একটি নাম
আপত্তি: মির্যা সাহেব তার উপর নাযিল হওয়া ওহীর সমষ্টিকে নাম দিয়েছে ‘তাযকেরাহ’। অথচ তা কুরআনেরই একটি নাম।
উত্তর: ‘আল্লামা’র জানা উচিত হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.)-এর জীবদ্দশায় তাঁর ওহীর কোন সংকলন প্রকাশিত হয়নি। অতএব এর নাম ‘তাযকিরা’ তিনি কিভাবে রাখবেন? ‘আল্লামা’ দেখছি মিথ্যা বলাকে জায়েযই বানিয়ে ফেলেছেন।
হযরত মির্যা সাহেবের মৃত্যুর অনেক বছর পর তার রচিত বিভিন্ন পুস্তকে এবং প্রকাশিত বিজ্ঞাপন প্রভৃতিতে যেসব ওহী ও ইলহাম ছাপা হয়েছিল সেগুলোকে সংকলন আকারে ছাপিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। এটি কোন ধর্ম বিধানের বই নয় বরং শেষ ও সম্পূর্ণ শরীয়ত আল কুরআনের শিক্ষাকে মহানবী(সা.)-এর অনুকরণে নিজ জীবনে প্রতিফলিত করার পুরস্কার। শরীয়তের শিক্ষা ও বিধান চূড়ান্ত ও শেষ হয়েছে পবিত্র কুরআনের মাধ্যমেই (সূরা মায়েদা : ৪)। এর আত্মিক শিক্ষা পালন করলে এবং মহানবী(সা.)-এর পূর্ণ অনুসরণ করলে আল্লাহর সাথে জীবন্ত সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব। মির্যা সাহেবের প্রতি অবতীর্ণ ওহী-ইলহাম ইসলামের আধ্যাত্মিক বাগানের সুমিষ্ট ফল ছাড়া আর কিছুই নয়। তার প্রতি অবতীর্ণ ওহী ও ইলহামের সংকলনের নাম ‘তাযকিরা’ রাখায় আপত্তি থাকলে আল্লামা আব্দুল মজিদ সাহেবকে জিজ্ঞেস করি, ইমাম কুরতুবীর লেখার সংকলনের নামও ‘তাযকিরাহ’ । এ বিষয়ে তার কোন আপত্তি আমরা শুনি নি। কেন? ‘তাযকিরাতুল আউলিয়া’ নামক পুস্তকের বিষয়ে তার আপত্তি নেই কেন? অতএব এ আপত্তি কোনমতেই ধোপে টেকে না।
অন্যান্য উত্তর
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম