আপত্তি: হযরত মির্যা সাহেব খোদা তা’লার পিতা হবার দাবী করেছেন


আপত্তিঃ হযরত মির্যা সাহেব খোদা তালার পিতা হবার দাবী করেছেন যেমনটি তিনি বলেছেন, “তুমি আমা হতে আর আমি তোমা হতে।” এবং সত্য ও অতীব উচ্চ প্রভুর প্রকাশস্থল যেন আল্লাহ আকাশ হতে অবতরণ করেছেন।

জবাব : প্রথম কথা হল- তুমি আমা হতে আর আমি তোমা হতে এ সম্পর্কে এতটুকু বলা যথেষ্ট আপত্তিকারী কুরআন মজীদ পড়েইনি এবং এর ব্যাপারে চিন্তাও করেনি। আরবী ভাষায় মিনকার অর্থ কখনই এরুপ হয় না যে, যেখানেই এ শব্দ আসে পিতা পুত্রের সম্পর্কেই আসে। যেরুপভাবে আল্লাহ তা’লা বলেন, হযরত তালুত বলেছেন, অর্থ: “যে এই নদী থেকে পরিতৃপ্তভাবে পান করবে সে আমার মধ্য হতে নয় আর যে পান করবে না সে আমার মধ্য হতে।

তাহলে এর মাধ্যমে কি এটি বুঝা যায় যে, যে পানি পান করবে সে আমার পুত্র থাকবে না আর যে পানি পান করবে না সে আমার পুত্র হয়ে যাবে? (মা আযাল্লাহ) কখনই নয়, বরং তার উদ্দেশ্য এতটুকুই ছিল যে, যে ব্যক্তি এই নদীর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে সে আমার বন্ধু এবং প্রিয়জনের অন্তর্ভুক্ত হবে, অন্য কিছুই নয়। মৌলভী সানাউল্লাহ অমৃতসরী এই আয়াতের অনুবাদে লিখেন, যে ব্যক্তি এই নদী থেকে পান করবে সে আমার জামাতের অন্তর্ভুক্ত হবে না, আর যে পান করবে না সে আমার সাথী হবে। (তফসীরে সানায়ি, খন্ড-১, পৃষ্ঠা ১৯৫)

এছাড়াও আল্লামা জালালউদ্দিন সুউতি (রহ.)-ও মিন্নির অনুবাদ আমার অনুসরণকারী করেছেন। (জালালাইন, পৃ:৩৬)

এ বিষয়কে স্পষ্ট করতে গিয়ে হযরত ইবরাহিম (আ.) এর কথাও উল্লেখ করেছেন যে, যে আমার অনুসরন করে সে আমার মধ্য হতে। আঁ-হযরত (সা.) হযরত আলী (রা.)-কে সম্বোধন করে বলেছেন, انت منی و انا منک (মিশকাত, বাব মানাকেব পৃষ্ঠা ৫৬৪) এবং আশ’আরি গোত্র সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ھم منی و انا منھم (বুখারী, খন্ড-৩, পৃষ্ঠা ৫০)

একইভাবে হযরত (সা.) ধৈর্য, উত্তমচরিত্র, পারহেযগারী সম্পর্কে বলেছেন, ثلاث من لم تکن فیہ فلیس منی و لا من اللہ (মুজাম সাগীর, তিবরানী)

এ রকম অসংখ্য শব্দ আরবী ভাষায় পাওয়া যায় যাতে ھومنہ یا انا منک শব্দসমষ্টি সম্পর্কের দিকে নির্দেশ করে। যদি মিনহুর অর্থ পিতা পুত্রের সম্পকের অর্থ হয় তাহলে আয়াত روح منہ (সূরা নিসা) থেকে খ্রিষ্টানদের মসীহকে খোদার পুত্র হিসেবে দলিল পেশ করা সঠিক বলে গণ্য হবে।

সুতরাং এই অর্থ করা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। অতএব হযরত মসীহ মওউদ (আ.) এর ইলহাম আনা মিনকা‘র অর্থ হবে, আমার তোমার সাথে সম্পর্ক রয়েছে। হযরত মসীহ মওউদ (আ.) এই বিষয়টি স্পষ্ট করতে গিয়ে লিখেছেন, এই ইলহাম (انت منی و انا منک)এর প্রথম অংশ পুরোপুরি স্পষ্ট যেতোমার বহিঃপ্রকাশ আমার কৃপা এবং অনুগ্রহের ফল আর যে ব্যক্তিকে খোদাতালা প্রত্যাদিষ্ট করে প্রেরণ করেন তাকে নিজ ইচ্ছা এবং আদেশে প্রত্যাদিষ্ট হিসেবে প্রেরণ করেন। যেরুপভাবে শাসকদেরও এরকমই নিয়মনীতি বিদ্যমান। এখন এই ইলহামে আল্লাহতালা যে انا منک বলেছেন এর অর্থ ও উদ্দেশ্য হলআমার তওহিদআমার প্রতাপ এবং আমার ইজ্জতের বহিঃপ্রকাশ তোমার মাধ্যমে হবে…..এমন এক সময় আসে যখন খোদাতালাকে হারিয়ে গেছে বলে মনে হয়। এটি তখন হয় যখন তার অস্তিত্বতার তওহিদ এবং তার গুনাবলির উপর ঈমান থাকে না এবং পৃথিবী নাস্তিক হয়ে যায়। সে সময় যে ব্যক্তিকে খোদা নিজ জ্যোতির বিকাশস্থল করেন সে তার অস্তিত্বতওহিদ এবং প্রতাপের প্রকাশের কারণ হয় এবং সে انا منکর সত্যায়নকারী হয়ে যায়।” (আল হাকাম, খন্ড-৬ পৃ:৪০)

তিনি (আ.) আরো বলেছেন, এমন মানুষ যে আনা মিনকার আওয়াজ পায়সেই সময় পৃথিবীতে আসে যখন খোদার ইবাদতের নাম ও নিশানা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। এই সময়েও যেহেতু পৃথিবীতে পাপ ও অবাধ্যতা অনেক বেড়ে গেছে এবং খোদাকে চেনার এবং খোদাকে পাওয়ার পথ দৃষ্টিপটে আসে নাতাই আল্লাহতালা এই জামাত প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং শুধুমাত্র নিজ কৃপা ও অনুগ্রহ দ্বারা তিনি আমাকে প্রেরণ করেছেন যেন আমি সেই সমস্ত লোককে যারা খোদাতালা সম্পর্কে উদাসীন এবং অজ্ঞ খোদা তালা সম্পর্কে অবগত করি আর শুধু অবগতই করি নাবরং যে সততাধৈর্য এবং বিশ্বস্থতার সাথে এদিকে ধাবিত হয় তাদেরকে খোদার দর্শন করাই। এই জন্যই আল্লাহতালা আমাকে সম্বোধন করে বলেছেনانت منی و انا منک(আল হাকাম পত্রিকা, খন্ড-৭, পৃষ্ঠা ৩৬)

আপত্তির দ্বিতীয় অংশ হল, کان اللہ نزل من السماء এটি হুযুর (আ.) এর ১৮৮৬ সালের ইশতেহার থেকে নেয়া হয়েছে এবং এটি প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছে যে, যেন ইলহামে পুত্রকে খোদা আখ্যায়িত করা হয়েছে। অথচ সামান্য চিন্তার মাধ্যমেও বুঝা যায়, এই স্থানে ব্যক্তিগত সত্তার সাদৃশ্য নয়, বরং অবতরণ ও আগমনের সাদৃশ্য দেখানো হয়েছে। কেননা তিনি বলেছেন, و مظہر الحق والعلاء و کان اللہ نزل من السماء যার অবতরণ অনেক বরকতমন্ডিত এবং ঐশী প্রতাপের প্রকাশের কারণ হবে। নূর আসে নূর! যাকে খোদা নিজ সন্তুষ্টির সুবাসে সুরভিত করে। আমরা তার মাঝে নিজেদের রুহ দান করব এবং খোদার ছায়া তার মাথার উপর হবে। সে দ্রুত বর্ধিত হবে এবং বন্দিদের মুক্তির কারণ হবে। সে পৃথিবীর কোণে কোণে খ্যাতি পাবে এবং জাতি তার কাছ থেকে কল্যাণ পাবে। তখন তার অভ্যন্তরীণ দৃষ্টি আকাশের দিকে উত্থিত করা হবে। و کان امرا مقضیا (ইশতেহার, ২০ফেব্রুয়ারী ১৮৮৬, তবলীগে রিসালাত, খন্ড ১ পৃষ্ঠা ৬০)

এখানে নুযুল বা অবতরণকে মানবীয় গুণাবলির মাধ্যমে একীভূত করে প্রমাণ করে দেয়া হয়েছে যে, বান্দার অবতরণ ছিল খোদার নয়। নতুবা যদি খোদাই অবতরণ করতেন তাহলে ঐশী প্রতাপের আগমনের কারণ ছায়া তার মাথার উপর থাকা, পৃথিবীর কোণে কোণে খ্যাতি পাওয়া, তার কাছ থেকে জাতির কল্যান পাওয়া, ব্যক্তিগত দৃষ্টিশক্তি আকাশের দিকে উত্থিত করার কি অর্থ?

সুতরাং এখানে নুযুল বা অবতরনের অর্থ হল তার কৃপার প্রকাশ, কেননা তিনি প্রকৃত অর্থে অবতরণ, উড্ডয়ন এবং নড়াচড়া থেকে পবিত্র এবং তিনি সর্বত্র বিদ্যমান। তার নুযুল বা অবতরণের কোন প্রয়োজন নেই।

যেরুপভাবে হাদীস থেকেও এর প্রমাণ পাওয়া যায়। রসুলে করীম (সা.) বলেছেন,

ینزل ربنا تبارک و تعالی کل لیلۃ الی السماء الدنیا حتی یبقی ثلث اللیل الاخیر (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত কিতাবুস সালাত পৃষ্ঠা ১০৯) অর্থাৎ, “আমাদের কল্যাণমন্ডিত ও অতীব উচ্চ প্রভু প্রতি রাতে পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন এবং তৃতীয় প্রহর পর্যন্ত অবস্থান করেন।”

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় সমস্ত বুযুর্গান একমত যে নুযুলুর রাব্বি বা প্রভুর অবতরণের অর্থ হল তার কৃপার নুযুল বা অবতরন। সুতরাং লামাআত-এ আছে,

“النزول والھبوط والصعود والحرکات من صفات الاجسام واللہ تعالی متعال عنہ- والمراد نزول الرحمۃ و قربہ تعالی بانزال الرحمۃ و افاضۃ الانوار اجابۃ الدعوات و اعطاء المسائل و مغفرۃ الذنوب” (টিকা মিশকাত, মুজতাবাঈ, পৃ.১০৯)

একইভাবে মুয়াত্তা ইমাম মালেকের কিতাবেও লেখা আছে,

“قولہ ینزل ربنا ای نزول رحمۃ و مزید لطف و اجابۃ دعوۃ و قبول معذرۃ کما ھو دیدن الملوک الکرماء و السادۃ الرحماء اذا نزلوا بقرب قوم محتاجین ملھوفین لا نزول حرکات و انتقال لااستحالۃ ذلک علیہ سبحانہ”

(বাব মা জাআ ফি যিকরিল্লাহ, পৃ.৭৪)

মোটকথা আল্লাহতা’লার নুযুল বা অবতরনের অর্থ হল তার আশিষ ও কল্যানের অবতরন। এই দৃষ্টিতে ইলহামের অর্থ দাঁড়াবে সেই ছেলে উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হবে। তার আগমনের সাথে সাথে খোদার কৃপা ও কল্যানের আগমন ঘটবে।

অন্যান্য উত্তর

আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম

আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে

আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মুহাম্মদ রসূলুল্লাহ বলেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মরিয়ম দাবি করেছেন

আপত্তি: চন্দ্র-সূর্যগ্রহণের হাদিসটি রসূলুল্লাহ্‌ (সা.)-এর বক্তব্য নয়

আপত্তি: নামাযে যখন ওহী হত তিনি অস্থির হয়ে নামায ছেড়ে দিতেন

আপত্তি: মির্যা সাহেবের শিক্ষক থাকার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব কলেরায় টয়লেটে পড়ে মারা গেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব মদ ও আফিমের নেশায় মত্ত ছিলেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন ছবি তুলেছেন?

আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন বইপুস্তক লিখলেন, কোন নবী তো বই–পুস্তক লিখেননি।

আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন হজ্জ করেন নি

আপত্তি: মির্যা সাহেব মসীহ মওউদ হওয়ার দাবি করে অস্বীকারও করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মানুষও আখ্যা দেন নি

আপত্তি: মির্যা সাহেব অ-আহমদীদেরকে কাফের বলেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন যে, কুরআন ও হাদিসে প্লেগের ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব তার অস্বীকারকারীদের কাফের আখ্যায়িত করেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব কবিতা লিখেছেন আর নবী কখনও কবি হয় না

আপত্তি: মির্যা সাহেব ঈসা (আ.)-এর মুজেজার অদ্ভুত ব্যাখ্যা করেছেন

আপত্তি: আব্দুল হাকীম সাহেবের তফসীর সম্পর্কে তিন ধরণের কথা

আপত্তি: তার নিজের কথা অনুযায়ী তিনি মুহাদ্দাসও নন নবীও নন

আপত্তি: দাজ্জাল সম্পর্কে মির্যা সাহেবের বিভিন্ন ধারণা রয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব শরীয়তবাহী নবী হবার দাবী করেছেন

আপত্তি: যদি পূর্ণাঙ্গীন মুহাম্মদকে দেখতে চাও গোলাম আহমদকে দেখে যাও

আপত্তি: হাজার লানত প্রসঙ্গ

আপত্তি: মুজাদ্দেদ আহমদ বেরলভি(রহ.) শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব জিহাদ রহিত করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব নবী হবার দাবি করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব মুজাদ্দেদে আলফে সানীর উদ্ধৃতি বিকৃত করেছেন

আপত্তি: বৃটিশ সরকারের অধীনে যে নিরাপত্তা পাচ্ছি তা মক্কা মদীনায়ও সম্ভব নয়

আপত্তি: নফল হজের চেয়ে কাদিয়ানে যাওয়ার সওয়াব বেশি

আপত্তি: ছায়া হজ্জ বাদে (কাদিয়ানের জলসা) মক্কার হজ্জ রসহীন

আপত্তি: মক্কা ও মদীনা সম্পর্কে অমর্যাদাকর বক্তব্য

আপত্তি: ফাতিমার বংশ থেকে কোন মাহদী আসবে না

আপত্তি: অন্য হাদীসকে ডাষ্টবিনের ময়লার মত নিক্ষেপ করি

আপত্তি: কুরআনে যে ভুলগুলো সংঘটিত হয়েছে আমি তা চিহ্নিত করতে এসেছি

আপত্তি: মির্যা সাহেবের ওহীর সমষ্টির নাম কুরআনেরই একটি নাম

আপত্তি: আমার দ্বারা সেসব বিষয় প্রকাশিত হবে যা কুরআন দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব তার প্রতি অবতীর্ণ ওহীর প্রতি কুরআনের মত ঈমান রাখেন

আপত্তি: কুরআন ধরাপৃষ্ঠ থেকে উঠে গিয়েছিল

আপত্তি: স্বীকার করতেই হবে যে কুরআন শরিফ অশ্লীল গালি দিয়ে ভর্তি

আপত্তি: কুরআন আল্লাহ্‌র কিতাব ও আমার মুখের কথা

আপত্তি: কুরআনকে আমি কাদিয়ানের কাছে অবতীর্ণ করেছি

আপত্তি: যদি মূসা ও ঈসা জীবিত হত তাহলে মসীহের আনুগত্য তাদের অবশ্যই করতে হত

আপত্তি: সমস্ত রাসূল আমার জামার মধ্যে গোপন হয়ে আছে

আপত্তি: সব নবী ইজতেহাদী ভুলের স্বীকার হয়েছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেবের আধ্যাত্মিক মর্যাদা এত বড় হয় কীভাবে

আপত্তি: হযরত ঈসা (আ.) মদ পান করতো

আপত্তি: এই ওহীতে আল্লাহ্ আমার নাম মুহাম্মদ রেখেছেন

আপত্তি: মুহাম্মদ পুনরায় আগমন করেছেন আমাদের মধ্যে

আপত্তি: দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে নবুওয়তের দরজা খোলা

আপত্তি: আলামত, মোজেযা, কারামত এবং খরকে আদত সব একই

আপত্তি: মুহাম্মদ (সা.)-এর তেজোদ্দীপ্ত কিরণ প্রকাশের সময় নেই

আপত্তি: কাশফের অবস্থা এভাবে চেপে বসল যে, নিজেকে মহিলা মনে হল

আপত্তি: তোমাকে একজন ছেলের সংবাদ দিচ্ছি যার সাথে খোদা প্রকাশিত হবে

আপত্তি: মিকাইল অর্থ খোদার মত

আপত্তি: তুমি যে কাজের ইচ্ছা কর তা তৎক্ষণাৎ হয়ে যায়

আপত্তি: আল্লাহ্ নিজের ওয়াদা মত কাদিয়ানে অবতীর্ণ হবেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, আমি (আল্লাহ্) চোরের মত গোপনে আসবো

আপত্তি: মুহাম্মদী বেগম এবং আহমদ বেগ সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয়নি

আপত্তি: আমি মক্কা বা মদীনায় মৃত্যুবরণ করবো

আপত্তি : মির্যা সাহেব সিনেমা দেখতে যেতেন

আপত্তি: মির্যা কাদিয়ানী কাজের মহিলাকে দিয়ে রাতে পা টিপাতেন

আপত্তি : মির্যা কাদিয়ানী কখনও কখনও যিনা-ব্যভিচার করতেন (নাউযুবিল্লাহ্‌)

আপত্তিঃ মির্যা সাহেব হিন্দুদের ক্ষেপিয়ে দিয়েছিলেন

আপত্তি: রসূলুল্লাহ্ (সা.) এর জন্মের পর তার বাবা ইন্তেকাল করেন

আপত্তি : তিনি ইসলামী বছরের দ্বিতীয় মাসকে চতুর্থ মাস লিখেছেন

আপত্তি : ১৮৫৭ সালে কুরআন আসমানে উঠানো হবে

আপত্তি : কুরআনের বক্তব্য অনুযায়ী ধর্মযুদ্ধ হারাম

আপত্তি : মক্কা মদীনায় রেলের রাস্তা তৈরি হচ্ছে

আপত্তি : পূর্বেকার নবীগণের কাশফ অনুযায়ী চতুর্দশ শতাব্দির শুরুতে জন্ম

আপত্তি: শেষ যুগে মুহাম্মদ (সা.) দুনিয়াতে আবার আসবেন

আপত্তি : মসীহের যুগে রেলগাড়ী আবিষ্কৃত হবে

আপত্তি : আদম থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত দুনিয়ার বয়স ৭ হাজার বছর

আপত্তি : ইমাম মাহদীর কিতাবে ৩১৩ জন সাথীর নাম থাকবে

আপত্তি : ভারতে একজন কাল রংয়ের নবী এসেছিলেন তার নাম কাহেন

আপত্তি : হাদীসে আছে, মসীহ্‌ ছয় হাজার সালে জন্ম নিবেন

আপত্তি : হাদীসে আছে আগত মাসীহ্ জুলকারনাইন হবে

আপত্তি : মসীহ্ (আ.) আসলে তাকে লাঞ্ছিত করা হবে… কুরআন ও হাদীসে এমন কথা আছে

আপত্তি : সহীহ্ হাদীসসমূহে আছে, মসীহ শতাব্দির শুরুতে আসার কথা

আপত্তি: আহমদীরা খতমে নবুওত অস্বীকারকারী

আপত্তি: মির্যা সাহেব এমন নবুওতের দাবি করেছেন যা প্রকাশ্য কুফরি।

আপত্তি: হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) নবীগণের সাথে বে-আদবী করেছেন বা তাদের সম্মানে আঘাত হেনেছেন।

আপত্তি- হাযা খালিফাতুল্লাহিল মাহদী বুখারীর হাদিস

আপত্তি: পাঁচ পঞ্চাশের সমান

আপত্তি: সত্য ধর্ম হলে মুরতাদ হয় কিভাবে? শামসুদ্দিন মুরতাদ ও মোল্লাদের উল্লাস।

আপত্তি: মির্যা সাহেব তার বিভিন্ন পুস্তকে ঈসা(আ.)-এর বিভিন্ন কবরের কথা উল্লেখ করেছেন, কোনটি সঠিক?

আপত্তি: মির্যা সাহেব উল্লেখ্য করেছেন যে, মুহাম্মদ (সা.)-এর ১১ পুত্র সন্তান ছিল

আপত্তি: যে ব্যক্তি পিতার পেনশনের অর্থ চুরি করে খরচ করে সে কীভাবে ইমাম মাহদী হয়?

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন মহানবী (সা.)-এর ১২ জন কন্যাসন্তান ছিলেন!

আপত্তি: মুহাম্মদী বেগম এবং মির্যা আহমদ বেগ সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয় নি

আপত্তি: স্বপ্নে দেখলাম, আমি খোদা এবং বিশ্বাস করলাম

আপত্তি: মির্যা সাহেবের মর্যাদা রসূলুল্লাহ্‌ সাঃ এর কাধ বরাবর (নাউযুবিল্লাহ্‌)

আপত্তি: রাসূল (সা.)-এর দ্বারা দ্বীন প্রচারের কাজ পরিপূর্ণভাবে হয়নি

আপত্তি: মির্যা সাহেব বিরূদ্ধবাদীদের গালি গালাজ করেছেন

আপত্তি: হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) মুসলমানদেরকে কাফের বলেছেন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন

আপত্তি: আল্লাহ্ আমার হাতে বয়াত গ্রহণ করেছেন

আপত্তি : আমার আলামত দশ লক্ষ। রসূলুল্লাহ্(সা.)-এর মু’জিযা তিন হাজার

কাফের আখ্যাদানকারীদের প্রতি হযরত ইমাম মাহদী (আ.)-এর জবাব

হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আ.)-এর দৃষ্টিতে ‘খাতামান নবীঈন’ হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা.)