আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে
আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, কুরআন শরীফ, হাদিস এবং পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে লিপিবদ্ধ আছে যে, এ যুগে একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে। (রুহানী খাযায়েন, খন্ড ২০, পৃষ্ঠা ২৫, তাযকেরাতুশ শাহাদাতাঈন) কিন্তু কুরআন করীমে এমন কোথাও লিখা নাই?
জবাব: হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) চশমায়ে মারেফাতে এ ভবিষ্যদ্বাণী সম্পর্কে উল্লেখ করতে গিয়ে লিখেছেন, “কুরআন করীমে আখেরী যামানার কতিপয় নতুন অবস্থা সম্পর্কে এমন সংবাদ দেয়া হয়েছে যা আমাদের এ যুগে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে পূর্ণ হয়েছে। যেমন এর মধ্যে একটি হল, শেষ যুগে উট বেকার হবে। এটি এদিকেই ইঙ্গিত করছে যে, এ সময় একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে। সুতরাং কুরআন শরীফের ভবিষ্যদ্বাণী সম্বলিত শব্দাবলী হল, وَ اِذَ ا الْعِشَارُ عُطِّلَتْ অর্থাৎ, শেষ যুগে যখন উটনী বেকার হবে। আর বেকার তখনই হয় যখন এর উপর সওয়ার হওয়ার প্রয়োজন থাকে না এবং এ থেকে স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, উটনীর স্থঅনে অন্য কোন বাহন সৃষ্টি হবে। এ আয়াতের ব্যাখ্যা মুসলিম শরীফে বিদ্যমান। সেখানে মহানবী (সা.) এর এ হাদিস লিপিবদ্ধ আছে যে, وَیُتْرَکُ الْقِلاَصُ فَلا یُسْعٰی علیھا মসীহ্ মওউদ এর যুগে উটনী পরিত্যাগ করা হবে এবং কোন স্থানে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য এবং দূরবর্তী স্থানে যাওয়ার জন্য এটি কাজে আসবে না। অর্থাৎ কোন এমন বাহন সৃষ্টি হবে যা উটনীর তুলনায় অনেক দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাবে।
মোটকথা, ইউস’আ শব্দ যা হাদিসে রয়েছে এদিকে নির্দেশ করছে যে, ভ্রমণের কাজে উট থেকে উত্তম কোন নতুন বাহন আবিষ্কার হবে। এটি আশ্চার্যান্বিত বিষয় যে, সহীহ মুসলিমে যেখানে মসীহ্্ মওউদ (আ.) এর যুগের উল্লেখ আছে সে স্থানেই এই উট পরিত্যাক্ত হওয়া সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে এবং এ ভবিষ্যদ্বাণী মহানবী (সা.) এর যুগ থেকে ১৩০০ বছর পর পূর্ণতা পেয়েছে। সুতরাং বর্তমান সময়ে এ চেষ্টা চলছে যে, এক বছরের মধ্যে মক্কা ও মদীনায় ট্রেন চালু করা হবে। যখন ট্রেন চালু হয়ে যাবে এ দৃশ্য একজন মুমিনের ঈমান বৃদ্ধির কারণ হবে। আর যখন সহস্র উট বেকার হয়ে যাবে সেগুলো ছাড়াই মক্কা থেকে মদীনায় রেলগাড়ীতে চড়ে যাতায়াত করবে এবং দামেস্ক ও সিরিয়া প্রভৃতির অন্যান্য এলাকা থেকে হাজ্জীগণ কয়েক লাখ মানুষ রেলগাড়িতে চড়ে মক্কায় পৌছাবে। তখন অভিশপ্ত ব্যক্তি মাত্রই এ দৃশ্যকে দেখে নিজ সত্য হৃদয় দিয়ে এ বিষয়ের সত্যায়ন করবে না যে, সেই ভবিষ্যদ্বাণী যা কুরআন শরীফ এবং সহীহ মুসলিম হাদিসে বিদ্যমান তা পূর্ণ হয়েছে।” (চশমায়ে মারেফাত, রূহানী খাযায়েন, খন্ড ২৩, পৃষ্ঠা ৩২০-৩২২)
অন্যান্য উত্তর
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম