আপত্তি : মক্কা মদীনায় রেলের রাস্তা তৈরি হচ্ছে


আপত্তি : মক্কা মদীনায় রেলের রাস্তা তৈরি হচ্ছে। (রূহানী খাযায়েন ১৯/১০৮, ১৭/৪৯) তিন বছরে মক্কা মদীনায় রেলের রাস্তা তৈরি হবে। (রূহানী খাযায়েন ১৭/১৯৫)

জবাবঃ এটা অজ্ঞতাপ্রসূত একটি আপত্তি। ‘হিজায রেল’ একটি বাস্তব পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের নাম। বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে সৌদী বাদশাদের অধীনে বর্তমান আরবের মূল অংশ তথা মক্কা-মদীনা পরিচালিত হত না বরং তুর্কি সুলতানের অধীনে মক্কা ও মদিনা পরিচালিত হত।

তুর্কি সাম্রাজ্যের বিস্তৃত এলাকায় “হিজায রেল প্রকল্প’ একটি প্রধান প্রকল্প ছিল। তদনুযায়ী দামেস্ক থেকে হিজায পর্যন্ত নেরোগ্যাজ রেল লাইন বসানো হয়েছিল। এর পরবর্তী ধাপে মদীনা থেকে মক্কায় এর রেল লাইন বসানোর কথা ছিল। হযরত মসীহ্ মাওউদ(আ.) ১৯০২ সালে জানতেন, তুর্কি সাম্রাজ্য এই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর মূল পরিকল্পনা তারও কয়েক দশক আগে। উসমানী রাজা তুর্কিস্তানী দ্বিতীয় আব্দুল হামীদ এর আমলে ১৯০০ সালে হিজায রেলের নির্মাণ কাজ আরম্ভ করেন। ১৯০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখে রেললাইন মদিনা পর্যন্ত নির্মিত হয়েছিল। তুর্কি সাম্রাজ্য আরবের উত্তরে অবস্থিত। এদের ক্ষমতা দামেস্ক হয়ে মদিনা ও মক্কা পর্যন্ত প্রসারিত ছিল। লরেন্স অব আরাবীয়া এই হিজায রেলকে স্থানীয় আরবদের সাহায্যপুষ্ট হয়ে বার বার আক্রমণ করত যার কারণে এর নিরাপত্তার সমস্যা ছিল সেই শুরু থেকেই। বিশাল অর্থ সংকটের কারণে তুর্কি বাদশাহ আব্দুল হামীদ শেষ পর্যন্ত এ ব্যয়বহুল কাজটি সম্পন্ন করতে পারেন নি। ১৯২০ সালের পর এই প্রকল্প পরিত্যক্ত হয়। শেষ যুগের লক্ষণাবলির মাঝে একটি লক্ষণ হল, দ্রুতগ্রামী বাহন আবিষ্কার হওয়া। সেই প্রসঙ্গে হযরত মির্যা সাহেব বলেছিলেন, এই লক্ষণ মক্কা মদিনায়ও প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।

‘আল্লামা’র অবগতির জন্য জানাচ্ছি, তুর্কি সরকারের প্রকল্প ভেস্তে গেলেও সংযোগ চালু করার কাজ হাতে নিয়েছে। যদি তাদের তেল রপ্তানির বণিজ্য ঠিকভাবে চলে তাহলে একটু ধৈর্য রাখুন, হযরত মির্যা সাহেবের ১৯০২ সালের লেখার বাস্তব প্রতিফলন দেখতে পাবেন। ‘হিজায রেলে’র একটি স্টেশন যা মদিনায় স্থাপিত হয়েছিল তার চিত্রটিও দেখে নিন।

অন্যান্য উত্তর