আপত্তি: সব নবী ইজতেহাদী ভুলের স্বীকার হয়েছেন
আপত্তি: দুনিয়াতে কোন নবী এমন আসেননি, যিনি ইজতেহাদী ভুলের শিকার হননি। (রূহানী খাযায়েন ২২/৫৭৩)
উত্তর : আল্লাহ্ তা’লা ইজতেহাদী ভুল করার ক্ষেত্র উন্মুক্ত রেখে ‘উলুহিয়াত‘ ও ‘বাশারিয়াত‘ এর মাঝে সাতন্ত্র সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ্ তা’লা একমাত্র অস্তিত্ব যিনি ‘আলেমুল গায়বি ওয়াশ শাহাদাহ‘। আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কেউ, তিনি যতবড় নবীই হোন- এই অতুলনীয় গুণের অধিকারী হতে পারেন না। তাই তো আল্লাহ্ তালা হযরত মুহাম্মদ(সা.)-এর মুখ দিয়ে ঘোষণা করিয়েছেন, …আর আমি যদি অদৃশ্য সম্বন্ধে জ্ঞাত হতাম তাহলে নিশ্চয়ই আমি প্রচুর ধন–সম্পদ জড় করে নিতাম এবং আমাকে কোন অনিষ্ট স্পর্শও করত না। ঈমান আনয়নকারী লোকদের জন্য আমি যে কেবল এক সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা। (সূরা আরাফ: ১৮৯)
অতএব অন্যান্য সাধারণ মানুষের তুলনায় তারা কোটি কোটি গুণ উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও তারা মানবীয় দুর্বলতা ও সীমাবদ্ধতার উর্ধ্বে নন। এর উদাহরণ সবচেয়ে বড় নবীর জীবন থেকে উদ্ধৃত করে এসেছি (বিস্তারিত দেখুন এই লিংকে)। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্-এর মাঝে প্রত্যেক মুসলমান এ কথারই ঘোষণা করে। একজন নবী যত বড় মর্যাদারই অধিকারী হন না কেন কেউই আমাদের উপাস্য নন— এ কথায় যেমন তাদের অবমাননা তাদের কোন অবমাননাও হয় না।
অন্যান্য উত্তর
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম