আপত্তি: মির্যা সাহেব উল্লেখ্য করেছেন যে, মুহাম্মদ (সা.)-এর ১১ পুত্র সন্তান ছিল
উত্তর: ইতিহাস কুরআনের কোন আয়াত নয় যে, এর মাঝে কোন ভুল তথ্য থাকতে পারে না। যেমন, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া পুস্তকের দ্বিতীয় অধ্যায়ে রসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর জন্মের উল্লেখ করতে গিয়ে লেখক একটি বর্ণনা উদ্ধৃত করেন যে, আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্দুল মোত্তালেবের যখন মৃত্যু হয় তখন রসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর বয়স দুই বছর ছিল। অথচ সকলের যানা আছে রসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর জন্মের জয় মাস পূর্বেই তার পিতার ইন্তেকাল হয়ে গিয়েছিল।
এখন আসা যাক মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.) তার পুস্তকে যে উল্লেখ করেছেন যে, মুহাম্মদ (সা.)-এর ১১ পুত্র সন্তান ছিল- এর উল্লেখ কোথাও পাওয়া যায় কিনা। ইতিহাস পড়ে দেখা যায় সিরাতে হালাবীতে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর স্ত্রীদের নামানুসারে সন্তানদের তালিকা নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নীচে সীরাতে হালাবীর প্রকাশিত উর্দূ অনুবাদের স্ক্যান্ড কপি সংযুক্ত করা হলো সেখানে হলুদ মার্কার দিয়ে ছেলেদের নামগুলো মার্ক করে দেয়া হয়েছে। দেখে নিন।
অতএব যে কথা সীরাত গ্রন্থে বিদ্যমান মির্যা সাহেব কেবল সে দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। এখন যদি কেউ সেই সীরাত গ্রন্থ পড়ে না থাকে তাহলে আমরা কী করতে পারি? কিন্তু পাঠক ‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদ দেওবন্দী মতবাদের আলেম হয়ে সীরাতে হালাবীয়্যাহ পড়েন নি এটা আমরা বিশ্বাস করতে পারি না। তাহলে জেনেশুনে তার এমন আপত্তি করার দুরভিসন্ধিটা কী?
অন্যান্য উত্তর
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম