আপত্তি: হাজার লানত প্রসঙ্গ
‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদ সাহেবের একটি বড় আপত্তি হল, আহমদীরা একমুখে বলে LOVE FOR ALL, HATRED FOR NONE.অর্থাৎ ভালবাসা সবার তরে ঘৃণা নয়কো কারো পরে। কিন্তু বাস্তবে তাদের প্রতিষ্ঠাতা তার “নূরুল হক’ পুস্তকে শত্রুদের হাজারবার লানত করেছেন। অর্থাৎ আহমদীরা মুখে বলে ভালবাসা আর কার্যত করে অভিশাপ। এটি হল, ‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদের আপত্তি।
উত্তর: ‘আল্লামা’ও তার সমমনারা একমুখে হযরত মুহাম্মদ(সা.)-কে রহমাতুল্লিল আলামীন অর্থাৎ সমস্ত বিশ্বের জন্য দয়া ও মূর্তিমান কৃপা বলে মানেন আর সেই মাওলানারাই আরেক মুখে ঘোষণা দেন মহানবী(সা.) তার জীবনে ১৯টি সমর যুদ্ধে স্বয়ং অংশগ্রহণ করেছেন। একদিকে রহমত হবার দাবী আর অপরদিকে যুদ্ধ ও রক্তক্ষরণ— স্ববিরোধ নয় কি? না, এটি মোটেও স্ববিরোধ নয়। ইসলামে তথা পবিত্র কুরআনে কোন স্ববিরোধ নেই। যদি কেউ এতে বাহ্যত স্ববিরোধ দেখে তবে এটি তার দেখার ও বুঝার ভুল।
রসূলুল্লাহ(সা.) সামগ্রিকভাবে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সবাইকে ভালবেসেছেন এবং ভালবাসার শিক্ষা দিয়েছেন। এ অর্থে তিনি ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’। কিন্তু যেখানে মানবতা বিপর্যস্ত, ধর্মীয় স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত আর জীবন ও সম্মান হুমকির সম্মুখীন সেখানে তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে আদিষ্ট হয়ে আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধও করেছেন। এ দু’য়ের মাঝে কোন স্ববিরোধ নেই।
তেমনিভাবে ভালবাসা সবার তরে ঘৃণা নয়কো কারো পরে— এটাই আমাদের আদর্শ, নীতি ও শিক্ষা। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সব মানুষকে ভালবাসা ইসলাম-আহমদীয়াতের শিক্ষা। কিন্তু যদি আল্লাহ, তাঁর প্রিয়তম নবী(সা.), ইসলাম এবং কুরআনের মর্যাদা ও সম্মান প্রতিষ্ঠার প্রশ্ন ওঠে সেক্ষেত্রে আধ্যাত্মিক যুদ্ধ অর্থাৎ দোয়ার যুদ্ধে লিপ্ত হতে আমরা বাধ্য। এ বিষয়ে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’লা বলছেন, “নিশ্চয়ই আমরা যেসব নিদর্শনাবলী অবতীর্ণ করেছি তা মানুষের কাছে সুস্পষ্টভাবে এই কিতাবে বর্ণনা করার পরও যারা গোপন করে, এরাই এমন লোক যাদেরকে আল্লাহ লা‘নত করেন এবং তাদেরকে অভিশাপকারীও অভিশাপ করে“ (সূরা বাকারা: ১৬০)।
এ আয়াতের শিক্ষানুযায়ী যখন মির্যা সাহেব কপট ইসলামত্যাগী আলেম খ্রিস্টান পাদ্রীদের নির্লজ্জ আক্রমণ প্রত্যক্ষ করেছেন তখন তিনি প্রকাশ্যে তাদের বিরুদ্ধে আধ্যাত্মিক যুদ্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। ইসলাম ত্যাগ করে খ্রিস্টান ধর্ম এলাহী বখশ, মৌলভী হামীদুল্লা খান, মৌলভী নূরুদ্দীন, মৌলভী সৈয়দ আলী, মৌলভী আব্দুল্লাহ বেগ, মৌলভী হোসামুদ্দীন বোম্বে, মৌলভী হিসামুদ্দীন, মৌলভী কাজী সাবদার আলী, মৌলভী আব্দুর রহমান এবং মৌলভী হোসাইন আলী প্রমুখ জীবনের একটি বড় অংশ মুসলমান আলেম হিসাবে কাটানোর পর খ্রিস্টান হয়। এরপর মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে নিজেদের প্রাক্তন উপাধী তথা “মৌলভী” ব্যবহার করে লেখালেখি করতে থাকে। যেন জনসাধারণ এদের লেখা পড়ে প্রভাবিত হয়। খ্রিস্টান হবার পরও “মৌলভী’ উপাধী ব্যবহার করে জনসাধারণকে এরা বুঝাতে চাইতেন, আমরা আরবী ভাষা ও ইসলামী জ্ঞানে পারদর্শী এবং আমরা অনেক পড়াশোনা গবেষণা করে ইসলাম ধর্মকে মিথ্যা প্রতিপন্ন হতে দেখেছি। আর ইসলামের তুলনায় আমাদের কাছে খ্রিস্ট ধর্মের সত্যতা দিবালোকের ন্যায় প্রতিভাত। তাই আমরা ইসলাম ত্যাগ করে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেছি। ‘মৌলভী’ নাম ব্যবহার করে তারা জনসাধারনকে নিজেদের প্রভাব বলয়ে আনার চেষ্টা করেছে যেন তারা মনে করে এত বড় বড় আলেম যদি ইসলাম ত্যাগ করে থাকে সেক্ষেত্রে ইসলামে কোন খুত নিশ্চয়ই আছে। পাদ্রী ইমাদুদ্দীন ‘তাওযীনুল আকওয়াল’ নামে একটি পুস্তক রচনা করে। এতে সে দাম্ভিকতার সাথে দাবী করে, কুরআনের ভাষা ও রচনাশৈলি কেবল যে অর্থের গভীরতা ও বিস্তৃতির দিক থেকে (তথা ফাসাহাত ও বালাগাতে) দুর্বল তা-ই নয় বরং এর সাধারণ ভাষারীতিতেও অনেক ভুল রয়েছে। পাদ্রী ইমামুদ্দীন, যে আগ্রার জামে মসজিদের ইমাম ছিল এবং তার সমমনারা এমন ন্যাক্কারজনক প্রতারণার মাধ্যমে মুসলমানদের মাঝে কুরআনের বিপক্ষে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছিল। হযরত মসীহ মাওউদ(আ.) ইসলামের সেনাপতি হিসেবে এসব ধর্মান্তরিত আলেম-উলামাকে চ্যালেঞ্জ প্রদান করেন। তিনি তার নূরুল হক পুস্তকের প্রথম খণ্ডে প্রাঞ্জল ও সাবলিল আরবী ভাষায় লেখেন, কুরআনের বিরুদ্ধে এমন সমালোচনার অধিকার কেবল তার আছে যে আরবী ভাষায় পাণ্ডিত্য রাখে। যে আরবী ভাষায় পারদর্শী নয় এবং এর সূক্ষ্ম তত্ত্ব সম্পর্কে অবগত নয় সে কীভাবে ও কোন মুখে কুরআনের সমালোচনা করতে পারে? অতএব আমি তোমাদের চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, প্রথমে তোমাদের যোগ্যতা সাব্যস্ত কর আর এর একটি পন্থা হল, আমি আরবী ভাষায় ‘নূরুল হক’ নামে যে পুস্তক রচনা করেছি এর প্রত্যুত্তরে তোমরাও আরবী ভাষায় একটি বই রচনা কর। এ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাদের পুস্তক আমার পুস্তিকার মত হুবহু এবং সমতুল্য হতে হবে তাহলে আমি তাকে নগদ পাঁচ হাজার রুপী পুরস্কার দিব। এক্ষেত্রে সে সরকারের মধ্যস্ততায় এ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারবে। আর যদি তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় না আসে, তাহলে তারা মিথ্যাবাদী প্রমাণিত হবে। আর আমি নিশ্চিত, তারা কখনই আসতে পারবে না।
এরপর এই শ্রেনির মিথ্যাবাদী, যারা নিজেদের প্রকৃত পরিচয় গোপন রেখে আলেম সেজে মানুষকে প্রতারিত করছে—তারা যদি পবিত্র কুরআন ও মহানবী(সা.)-কে গালমন্দ ও কটাক্ষ করার অভ্যাস পরিত্যাগ না করে আর বাজে কথা বলা আর অপমান করা বন্ধ না করে তাহলে তাদের জন্য আল্লাহ তা‘লার পক্ষ থেকে হাজার লা‘নত। অতএব সকলের উচিত হবে এতে “আমীন” বলা।
পাঠকবৃন্দ, সূরা বাকারার ১৬০ নম্বর আয়াতটি আরেকবার মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। এর পাশাপাশি তাদের আচরণ ও বৈশিষ্টাবলী লক্ষ্য করুন। এসব মৌলভীরা সত্য জেনেও গোপন করছিল, আরবী ভাষার পাণ্ডিত্য না থাকা সত্ত্বেও মানুষকে আল্লাহ্ ও কুরআন থেকে বিমুখ করছিল। এদের বিষয়ে আল্লাহ্ এবং তার অধীনস্থ সবাই লানত করেন বলে বর্ণিত আছে। মির্যা সাহেব আল্লাহ্ প্রদর্শিত ঠিক সেই কাজটিই করেছেন। মানবজাতির প্রতি অগাধ ভালবাসাই তাকে এ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে বাধ্য করেছে। এতে তারা পরাস্ত হলে মানবজাতি রক্ষা পাবে। এটাই হল, “ভালবাসা সবার তরে ঘৃণা নয় কারো পরে”-এর প্রকৃত বাস্তবায়ন।
সাধারণ আহমদী ও সাধারণ জনগণ না হয় আরবী উর্দু জানেন না তাই এর প্রেক্ষাপট অবগত নন। কিন্তু আল্লামা আব্দুল মজিদ, তিনি তো আরবী উর্দু ভাষা জানেন। তিনি তো এই পুরো পুস্তিকা পড়েই আপত্তির জন্য উদ্ধৃতি বের করেছেন। এসব জানা সত্ত্বেও ‘আল্লামা’র এমন আপত্তি উত্থাপন প্রতারণা নয় কি? আগে দেখেছি, খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে কঠোর বাক্য ব্যবহারে ‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদের গা জ্বলে। এখন দেখছি ইসলাম থেকে মুরতাদ হয়ে খ্রিস্টান হয়ে যারা ইসলাম ও কুরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাদেরকে ‘আল্লাহ নির্দেশিত লা‘নত‘ করাও তিনি সহ্য করতে পারেন না! কিয়ামতের দিন আল্লামা আব্দুল মজিদ যে কাদের সংসর্গ লাভ করবেন সেটাই এখন দেখার বিষয়। সঙ্গী হিসাবে মুহাম্মদ(সা.) ও কুরআন বিদ্বেষীরা কত মন্দ। আল্লাহ্ ‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদকে হেদায়াত দিন।
পূর্ববর্তী মুসলিম উপাধি ব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে রসূল(সা.)-এর পবিত্র চরিত্রে কালিমা লেপন এবং কুরআনের বিরুদ্ধে কথা বলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে আবার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ না করে নিজেদের ধৃষ্টতায় অনড় থেকেছে- এসব প্রতারক খ্রিস্টানদের লা’নত না করে তাদের সাথে কি প্রেমালাপ করা উচিত ছিল?
কিন্তু আল্লামা আব্দুল মজিদ তো এসব কিছুই জানেন। তিনি তো আরবী ও উর্দু ভাষাজ্ঞান রাখেন আর তিনি মির্যা সাহেবের এই পুস্তকটি পড়েই আপত্তি তুলেছেন। তিনি কেন এক প্রতারক খ্রিস্টানকে লানত করায় এতটা মনোকষ্ট পেলেন! মহানবী(সা.)-এর বিরুদ্ধবাদীদের বিপরীতে সকল মুসলমানকে এক সারিতে দাঁড়ানো উচিত। আল্লামা নিশ্চয় এই শিক্ষা সম্পর্কেও জানেন। পবিত্র কুরআনে রাউফুর রাহীম আল্লাহ্ তা’লা বলেন,
“কেমন করে আল্লাহ এমন জাতিকে হেদায়েত দান করবেন, যারা ঈমান আনার পর এবং রসূলকে সত্য বলে সাক্ষ্য দেয়ার পর এবং তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ এসে যাওয়ার পর কাফের হয়ে গেছে। আর আল্লাহ জালেম সম্প্রদায়কে হেদায়েত দান করেন না। এমন লোকের শাস্তি হল আল্লাহ, ফেরেশতাগণ এবং মানুষ সকলেরই লানত তাদের প্রতি বর্ষিত হয়“ (সূরা আলে ইমরান: ৮৬ ও ৮৭)
এ পর্যায়ে হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.)-এর একটি উদ্ধৃতি দেখে নিন। এই উদ্ধৃতি থেকে বুঝে যাবেন, মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী কী ধরণের রসুলপ্রেম হৃদয়ে লালন করে ইসলাম বিদ্বেষীদের মোকাবেলা করেছেন। হযরত মির্যা সাহেব বলেন:
“আমার ধর্মমত হল, হযরত রসূলুল্লাহ(সা.)-কে পৃথক করে এ পর্যন্ত আগমনকারী সমস্ত নবী একত্রিত হয়েও যদি সেই দায়িত্ব ও সংশোধনের কাজ সম্পাদন করতে চাইতেন যা মহানবী(সা.) সম্পাদন করে গেছেন, তাহলে তারা তা কখনই করতে পারতেন না। তাদেরকে সে অন্তর আর সে শক্তিই প্রদান করা হয়নি যা আমাদের নবী(সা.)-কে প্রদান করা হয়েছিল। এ কথায় কেউ যদি নবীদের বে–আদবী মনে করে তবে সেই অজ্ঞের পক্ষ থেকে তা হবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা। আমি সমস্ত নবীদের প্রতি ভক্তি ও সম্মান প্রদর্শন করা আমার ঈমানের অঙ্গ বলে মনে করি। কিন্তু সকল নবীর ওপর হযরত নবী করীম(সা.)-এর শ্রেষ্ঠত্ব হল আমার ঈমানের সবচাইতে বড় অঙ্গ, আর এ বিশ্বাস আমার রন্ধে রন্ধে মিশে আছে। এই বিশ্বাসকে পরিত্যাগ করা আমার সাধ্যের বাইরে। দুর্ভাগা আর দৃষ্টি শক্তি বঞ্চিত বিরোধী যা ইচ্ছা বলুক। কিন্তু আমাদের নবী করীম(সা.) যে কাজ সম্পাদন করে গেছেন তা পৃথক পৃথকভাবে কিম্বা সম্মিলিতভাবে অন্য কারও দ্বারা সম্পাদিত হতে পারত না। আর এটি আল্লাহ্ তা‘লার অনুগ্রহ বিশেষ। যালিকা ফাযলুল্লাহে ইউতিহি মাইয়্যাশাউ।“ (মলফুযাত প্রথম খণ্ড, ৪২০)
‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদের প্রতি নিবেদন মুহাম্মদ(সা.)-এর বিরুদ্ধবাদীদের অনুরাগী না হয়ে মুহাম্মদ(সা.)-এর অনুরাগী হবার চেষ্টা করুন। ইশ্বরপুত্র যীশুর প্রেমিকদের ভক্ত না হয়ে মুহাম্মদ(সা.)এর প্রেমিকদের অন্তর্ভুক্ত হন। কেননা মুহাম্মদ(সা.)-এর অনুরাগই এখন আল্লাহর ভালবাসা লাভের একমাত্র পথ। বুদ্ধিমান পাঠকদের কাছে অবশ্যই স্পষ্ট হয়ে গেছে, মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.)-এর প্রতিক্রিয়া হুবহু তা-ই যা পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ তা’লা শিখিয়েছেন।
পাঠক! সবশেষে বলতে চাই, ‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদ ও তার সমমনারা এবং আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত উভয় পক্ষই প্রতিশ্রুত ভবিষ্যদ্বাণীতে একমত। সবাই বিশ্বাস করে, মহানবী(সা.) প্রদত্ত সুসংবাদ অনুযায়ী উম্মতে মুহাম্মদীয়াতে ইসলামের সেবার জন্য ঈসা ইবনে মরিয়ম নবীউল্লাহ্ আবির্ভূত হবেন। শুধুমাত্র এই ঈসা নবীউল্লাহ্ নির্বাচনে আমাদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। আর এর সহজ সমাধান হল, হযরত ঈসা(আ.)-এর জীবন মৃত্যুর বিষয়ে স্থির সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়া।
পবিত্র কুরআন ও হাদীস অনুযায়ী যদি বনী ইসরাঈলী নবী ঈসা ইবনে মরিয়ম জীবিত প্রমাণিত হন তাহলে আল্লামা আব্দুল মজিদ এবং তার সমমনারা সঠিক আর আহমদীয়া জামা’ত বেঠিক। কিন্তু পবিত্র কুরআন ও হাদীস অনুযায়ী যদি হযরত ঈসা ইবনে মরিয়ম মৃত সাব্যস্ত হন তাহলে ‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদ এবং তার সমমনারা বেঠিক আর আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত সঠিক।
‘আল্লামা’ যদি আহমদী বন্ধুদের আহমদীয়াত থেকে বিচ্যুতই করতে চান তাহলে জীবিত থাকার প্রমাণ জনসমক্ষে উপস্থাপন করা কিন্তু পরিতাপ তিনি এই সহজ ও গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিটি অবলম্বন না করে অন্যের মিথ্যা ছিদ্রান্বেষণের পথ বেছে নিয়েছেন। অন্যের মিথ্যা ছিদ্রান্বেষণ না করে আমাদের উচিত প্রত্যেকের নিজ নিজ বিশ্বাসের সপক্ষে অকাট্য দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করা। যারা হেদায়েতের অনুসন্ধান করে তাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক, আমীন।
অন্যান্য উত্তর
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম