আপত্তি: মির্যা সাহেব মদ ও আফিমের নেশায় মত্ত ছিলেন
আপত্তি: মির্যা সাহেব মদ ও আফিমের নেশায় মত্ত ছিলেন।
জবাবঃ তাহলে মৌলভী মুহাম্মদ হুসাইন বাটালভি, নাযির হুসাইন দেহলভী, সানাউল্লাহ অমৃতসরী এবং রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি প্রমুখ কি ধরণের বুদ্ধিমান ও মুত্তাকি মানুষ ছিলেন যে, মির্যা সাহেবের সাথে বাহাস ও মুনাযিরা করেছেন। এমনকি কেউ কেউ বলেছেন, যদি নবুয়্যতের দাবী না থাকত তাহলে তাকে মানতে আমাদের কোন সমস্যা ছিল না। সুতরাং এমন আপত্তির জবাবে লানাতুল্লাহি আলাল কাযিবিন বলা ছাড়া আমাদের আর কিছু বলার নেই।
বলা হয়ে থাকে, হযরত মির্যা সাহেব লাহোর থেকে টনিক ওয়াইন চেয়ে পাঠিয়েছিলেন- এ কথা সত্য। কিন্তু অজ্ঞ ও বিবেকহীন ব্যক্তিরা যখন এ বিষয়ে আপত্তি করেছে তখন নিশ্চয় তারা এটিও পড়েছে যে,
-এই টনিক মির্যা সাহেব একজন ডাক্তার সাহেবের মাধ্যমে চেয়ে পাঠিয়েছিলেন।
-এবং মেডিসিন স্টোর থেকে নিতে পাঠিয়েছিলেন। কেননা এই ঔষধ মদের দোকানে পাওয়া যেত না, ঔষধের দোকানে পাওয়া যেত যা ক্ষুধামন্দার জন্য উপকারী ঔষধ। (বিখ্যাত চিকিৎসা পুস্তক- মেটেরিয়া মেডিকা অব ফার্মাসিউটিকাল কম্বিনেশনস এন্ড স্পেশিয়ালাইটিস)
মির্যা সাহেবের যে চিঠিকে কেন্দ্র করে এই আপত্তি করা হয় সেখানে ঘুনাক্ষরেও লিখা নাই যে, তিনি নিজের জন্য এটি আনিয়েছিলেন। বরং তিনি গরীব প্রসূতি মায়েদের জন্য এটি আনাতেন।
অন্যান্য উত্তর
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম