আপত্তি: কাশফের অবস্থা এভাবে চেপে বসল যে, নিজেকে মহিলা মনে হল


আপত্তি: কাজি মুহাম্মদ ইয়ার সাহেব বর্ণনা করেন, হযরত মসীহ্ মাওউদ(.) একবার নিজের অবস্থা প্রকাশ করতে গিয়ে বলেনকাশফের অবস্থা এভাবে চেপে বসল যেনিজেকে মহিলা মনে হল। আর আল্লাহ্ তালা পৌরষত্বের শক্তি আমার উপর প্রকাশ করছে। জ্ঞানীদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট।” (ইসলামী কুরবানী ট্রাক্ট নম্বর ৩৪)

উত্তর: হযরত মসীহ্ মাওউদ(আ.) নিজে কখনও একথা বর্ণনা করেন নি বা এমন কোন কাশফ বা দিব্য-দর্শনের কথা প্রকাশ করে যান নি। অন্য কারো বর্ণনা মির্যা সাহেবের বিরুদ্ধে আপত্তি হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে না। উক্ত কাশফের বর্ণনা আহমদীয়া মুসলিম জামাতের কোন খলীফাও করেন নি। অতএব, এদিক থেকেও এই আপত্তি ধোপে টেকে না। কথায় বলে ডুবন্ত ব্যক্তি খরকুটা ধরে বাঁচতে চায়। আপত্তিকারী ‘আল্লামা’-র দশাও ঠিক এমনই। আহমদীয়া জামা’তের পবিত্র প্রতিষ্ঠাতা হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.)-কে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করার জন্য এখন তিনি পাগলের প্রলাপের আশ্রয় নিয়েছেন।

সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ‘ইসলামী কুরবানী ট্রাক্ট’ হযরত মির্যা সাহেবের বা তাঁর কোন খলীফার লিখিত কোন পুস্তক বা বক্তব্য নয় এবং এ পুস্তিকাটি আহমদীয়া জামাত কর্তৃক প্রকাশিতও নয়। ‘ইসলামী কুরবানী ট্রাক্ট’ পুস্তিকাটি লিখেছেন কাজি মোহাম্মদ ইয়ার সাহেব। কাজি মোহাম্মদ ইয়ার সাহেব কে ছিলেন? তিনি ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি। কাজি মোহাম্মদ ইয়ার সাহেবের ভারসাম্যহীন হবার কথা কেবল আমরা এখন বলছি না বরং গোড়া থেকেই প্রাথমিক পর্যায়ের ছোট বড় সব আহমদী তাকে মানসিকভাবে রোগাক্রান্ত বলেই জানতেন।

‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদ উক্ত উদ্ধৃতির মূল কপি যখন ছাপালেন তখনও একটু কষ্ট করে এর পরের কয়েকটি লাইন পড়ে দেখেন নি। তা না হলে তিনি এ আপত্তি নিশ্চয়ই ছাপাতেন না। ‘আহমদী বন্ধু’ পুস্তকের শেষের দিকে ৭৭/৭৮ পৃষ্ঠায় ‘ইসলামী কুরবানী ট্রাক্ট’ লিফলেটটির উদ্ধৃত পৃষ্ঠার প্রতিলিপি ছেপে দেয়ার জন্য আল্লামা আব্দুল মজিদকে ধন্যবাদ, কেননা আপত্তি হিসাবে উদ্ধৃত লাইনটির নীচের লাইনেই স্বয়ং লেখকের এমন বক্তব্য বিদ্যমান যার দ্বারা তার মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হবার বিষয়টি স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়।

‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদ খুব ভালভাবে জানেন, বর্ণনা গ্রহণ করার সময় বর্ণনাকারীর গ্রহণযোগ্যতা একটি প্রধানতম শর্ত। এক্ষেত্রে প্রত্যেক রাবী বা বর্ণনাকারীর নৈতিক ও মানসিক যোগ্যতা বিচার করা হয়। শত-সহস্র হাদীসের গ্রহণযোগ্যতা বিচার করার জন্য ‘আসমাউর রিজালের’ নীতি ও শর্ত প্রয়োগ করবেন কিন্তু মির্যা সাহেবের বিরুদ্ধে আপত্তি করতে গিয়ে ‘আল্লামা’ মজিদ এটি বেমালুম ভুলে যাবেন- এটি কেমন বিচার?

অন্যান্য উত্তর