আপত্তি: শেষ যুগে মুহাম্মদ (সা.) দুনিয়াতে আবার আসবেন
আপত্তি : একটি হাদীসে আছে, শেষ যুগে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়াতে আবার আসবেন। (রূহানী খাযায়েন ১৮/৩৮৪,দ্র, টিকা)
উত্তর: সূরা জুমআর প্রারম্ভে আল্লাহ্ তা’লা বলেছেন, হযরত মুহাম্মদ(সা.)-এর প্রথম আবির্ভাব ঘটেছে নিরক্ষর আরবদের মাঝে যাদেরকে বিধি-বিধান ও এর ব্যাখ্যা শেখাচ্ছেন। যদিও ইতিপূর্বে তারা প্রকাশ্য ভ্রান্তিতে নিমজ্জিত ছিল। পরের আয়াতে বলা হয়েছে, এবং তিনি তাকে প্রেরণ করবেন তাদেরই অন্তর্ভুক্ত অন্য আরেক জাতির মাঝে যারা যুগের দিক থেকে এখনও তাদের সাথে মিলিত হয় নি। এবং তিনি মহা পরাক্রমশালী পরম প্রজ্ঞাময়। (সূরা জুমুআ: ২-৪)
হযরত আবু হুরায়রাহ(রা.) বর্ণনা করেছেন, আমরা এই আয়াত শোনার পর প্রশ্ন করলাম, “মানহুম ইয়া রাসূলাল্লাহ্” এরা কারা যাদের মাঝে আপনি পুনরায় আসবেন? একবার প্রশ্ন করেও উত্তর পাওয়া যায় নি, দ্বিতীয়বার প্রশ্ন করেও উত্তর পাওয়া যায় নি। তৃতীয়বার প্রশ্ন করলে মহানবী(সা.) সকল আরব সাহাবীদের বাদ দিয়ে একমাত্র অনারব সাহাবী হযরত সালমান ফারসী(রা.)-এর কাধে হাত রেখে বললেন, ঈমান সুরাইয়া নক্ষত্রে চলে গিয়ে থাকলেও এদের এক বা একাধিক ব্যক্তি তা অবশ্যই নিয়ে আসবেন। (বুখারী শরীফ, কিতাবুত তফসীর)
রসূলে আকরাম(সা.) এই হাদীসে স্পষ্টভাবে বলেছেন, তার সেই আগমনের অর্থ দৈহিক ও আক্ষরিক অর্থে আগমন নয়। বরং তার এক শিষ্য তার মাঝে বিলীন হয়ে আগমন করবেন। আর তার আগমন মূলত রূপক অর্থে মহানবী(সা.)-এর আগমন হবে। তিনি ঈমানশূন্য যুগে আসবেন এবং পারস্য বংশীয় হবেন।
‘আল্লামা’ জানতে চেয়েছিলেন, মুহাম্মদ(সা.) পুনরায় আসবেন এটি হাদীসে কোথায় আছে? তাকে অনুরোধ করছি, বুখারী শরীফের কিতাবুত তফসীরের উপরোক্ত হাদীসটি দয়া করে দেখে নিবেন।
অন্যান্য উত্তর
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম