আপত্তি: যদি মূসা ও ঈসা জীবিত হত তাহলে মসীহের আনুগত্য তাদের অবশ্যই করতে হত


আপত্তি: যদি মূসা ও ঈসা আ. জীবিত হত তাহলে মসীহের (মির্যা সাহেবের) আনুগত্য তাদের অবশ্যই করতে হত। (আল ফযল, ১৮-৩-১৯১৬ কাদিয়ান)

উল্লেখ্য, মির্যা সাহেব উল্লেখ করেছেন যদি মূসা ও ঈসা জীবিত হত… (রূহানী খাযায়েন ১৪/২৭৩) তিনি এখানে ঈসাকে মৃত প্রমাণ করার জন্য অর্থাৎ নিজের ভ্রান্ত বিশ্বাস প্রমাণ করার জন্য হাদীসের মধ্যে ঈসা আ.-এর নাম বৃদ্ধি করেছেন। অথচ নির্ভরযোগ্য হাদীসের কিতাবে তা নেই। প্রমাণ স্বরূপ দেখুন : (মুসনাদে আহমাদ, মাসানিদে জাবির রা. মিশকাত পৃষ্ঠা: ৩০ ভারতীয় কপি)

উত্তর: ‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদ! ঈসা(আ.)-কে মৃত প্রমাণ করার জন্য হাদীসের মধ্যে ঈসার নাম বৃদ্ধি করার প্রয়োজন নেই। পবিত্র কুরআনের ত্রিশটি আয়াত দিয়ে হযরত ঈসা(আ.)-এর মৃত্যু সাব্যস্ত । যেমন আল্লাহ তালা এদিক থেকেও তার মৃত্যুর ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। বলছেন-

আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে তারা যাদের ডাকে তারা কিছুই সৃষ্টি করতে পারে নাবরং তাদেরকেই সৃষ্টি করা হয়েছে। তারা সবাই মৃতজীবিত নয়। (সূরা নহল ২১, ২২)

এ আয়াতে আল্লাহ তা’লা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, আল্লাহ ছাড়া যাদের উপাসনা করা হয় তারা সবাই মৃত। প্রশ্ন হলো, ঈসা (আ.)-এর উপাসনা হয় কি না? কেউ তাঁর উপাসনা করে কি না? উত্তর হবে, হ্যা করে। এটা সবারই জানা, খৃষ্টানরা তাঁকে ঈশ্বর হিসেবে উপাসনা করে। তাই এই আয়াতের ঘোষণা অনুযায়ী খৃষ্টানদের উপাস্য ঈশ্বরপুত্র ঈশ্বর যিশু অর্থাৎ হযরত ঈসা(আ.) মৃত, জীবিত নেই। এমন আরো অসংখ্য আয়াত রয়েছে যা দ্বারা প্রমাণিত হয় হযরত ঈসা (আ.) মৃত্যুবরণ করেছেন।

বাকি রইলো, ‘আল্লামা’ বলছেন, মির্যা সাহেব হাদিসে এই নামটি জালিয়াতি করে বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। দেখুন, তফসীরে ইবনে কাসীরে সূরা আলে ইমরানের ৮৩ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যায় স্পষ্ট উল্লিখিত রয়েছেহাদিসে আছে যদি মুসা ও ঈসা জীবিত থাকত তাহলে তাদের উভয়ের আমার অবশ্যই আনুগত্য করতে হত। এছাড়া সৈয়দ কুতুব শহীদের তাফসীর ফী যিলালিল কুরআনে সূরা আলে ইমরানের ৯৩ নম্বর আয়াতে স্পষ্ট লেখা রয়েছেকয়েকটি হাদীসে রয়েছে যদি মুসা ও ঈসা জীবিত থাকত তাহলে তাদের উভয়ের আমার অবশ্যই আনুগত্য করতে হত।

অতএব ‘আল্লামা’ কোন বিষয়ে জ্ঞান না রেখে আপত্তি বা অপবাদ আরোপ করলে এভাবেই লজ্জিত হতে হয়।

অন্যান্য উত্তর