আপত্তি: রাসূল (সা.)-এর দ্বারা দ্বীন প্রচারের কাজ পরিপূর্ণভাবে হয়নি


আপত্তি: রাসূল (সা.)-এর দ্বারা দ্বীন প্রচারের কাজ পরিপূর্ণভাবে হয়নি। তিনি পূর্ণ প্রচার করেননি। আমি পূর্ণ করেছি। (রূহানী খাযায়েন ১৭/২৬৩, দ্র. টিকা)
আপত্তির উত্তর:
যেভাবে আপত্তিকারী লিখেছেন হযরত মির্যা সাহেব সেভাবে বিষয়টিকে বলেন নি। তিনি লিখেছেন,

“যেহেতু মহানবী(সা.)-এর প্রতি অর্পিত দ্বিতীয় আবশ্যকীয় দায়িত্ব ছিল, হেদায়েতের প্রচার ও প্রসারের কাজকে পূর্ণতা দান করা কিন্তু মহানবী(সা.)-এর যুগে প্রচার মাধ্যম ও উপায়-উপকরণ না থাকায় এ কাজ বাস্তবায়ন অসম্ভব ছিল। এজন্যই পবিত্র কুরআনের আয়াত ‘ওয়া আখারীনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকূ বিহিম’-এর মাঝে হুযূর(সা.)-এর পুনরায় আগমনের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। যেন তাঁর প্রতি অর্পিত দ্বিতীয় আবশ্যকীয় দায়িত্ব অর্থাৎ হেদায়েতের পূর্ণ প্রচার ও প্রসারের কাজ সম্পন্ন হয় যা তাঁর হাতেই সম্পন্ন হবার কথা ছিল। প্রাথমিক যুগে উপায়-উপকরণ না থাকায় এটি সম্পন্ন হয় নি। অতএব, এই গুরুদায়িত্বকে মহানবী(সা.) তাঁর বুরুযী তথা রূপক আগমনের মাধ্যমে সম্পন্ন করেছেন আর এমন এক যুগে এসে তা সম্পন্ন করেছেন যখন বিশ্বের সকল জাতিতে ইসলামের বাণী পৌঁছানোর উপায়-উপকরণ সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিল।” (রূহানী খাযায়েন, ১৭শ খ-, পৃষ্ঠা ২৬৩, পাদটিকা দ্রষ্টব্য)

এ বক্তব্য পাঠ করে ভাল করে বুঝতে পারছেন, এতে হযরত মির্যা সাহেব রসূল(সা.)-কে খাটো করেন নি বরং তাঁর (সা.) বুরুযী আগমনের মাধ্যমে রসূলুল্লাহরই আধ্যাত্মিক বিকাশ হিসাবেই নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। অথচ আপত্তিকারী বিষয়টিকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন যেন মির্যা সাহেব মহানবী (সা.)-এর বিপরীতে নিজেকে দাঁড় করিয়েছেন। হযরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন শরীয়তবাহক শেষ নবী, পূর্ণাঙ্গীন নবী ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। তাঁর মাধ্যমে শরীয়ত পরিপূর্ণতা লাভ করেছে এবং খোদার পক্ষ থেকে ধর্মকে সম্পূর্ণ করা হয়েছে। হযরত মির্যা সাহেব তাঁর অনুসারী হয়ে তাঁর দাসত্বে সেই শরিয়তের বাণী ও শিক্ষাকে জগৎময় ছড়িয়ে দেয়ার ও প্রচারের দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন। বিষয়টি মালিক ও কামলার ন্যায়। মহানবী (সা.) হলেন মালিক। আর একজন কামলা তার মালিকের সম্পদ কাঁধে করে গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছে। আপত্তিকারী তাঁর দাবি সম্পর্কে জানেন কিন্তু তা সত্ত্বেও এসব বক্তব্য খণ্ডিত ও বিকৃতভাবে জনগণের মাঝে দূরভিসন্ধিমূলকভাবে ছড়াচ্ছেন।

অন্যান্য উত্তর