আপত্তি: মির্যা সাহেব কবিতা লিখেছেন আর নবী কখনও কবি হয় না
আপত্তিঃ মির্যা সাহেব কবিতা লিখেছেন আর নবী কখনও কবি হয় না।
জবাব: অধিকাংশ কবিদের বর্ণনার যথার্থতা বা সত্যতা বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহ তা’লা কুরআন করীমে বলেন, “তারা অতিরঞ্জিতা বা কটুকথা ব্যবহার করে আর আমরা আমাদের রসূল (সা.) কে কবিতা শিখাইনি।” (সূরা ইয়াসিন ৭০)
এই আয়াতে এটা কোথাও লিখা নাই যে, নবী কখনও কবি হতে পারে না, বরং আঁ হযরত (সা.) সময় ও সুযোগ সাপেক্ষে কবিতা বলেছেন, যেমন তিনি হুনায়নের যুদ্ধে কোন এক সময় বলেন, أنا النبى لا كذب ، أنا ابن عبد المطلب (বুখারী, কিতাবুল মাগাযী, খন্ড ৩ পৃষ্ঠা ৬১)
আরেকটি যুদ্ধে যখন হুযুর (সা.) এর আঙুল আঘাতপ্রাপ্ত হয় তখন তিনি আঙুল কে সম্বোধন করে বলেন, هل أنت الا إصبع دميت، و في سبيىل الله ما لقيت (বুখারী, কিতাবুল জিহাদওয়াস সায়রে, অধ্যায় মাই ইয়ানকিবু ফি সাবিলিল-হ, খন্ড-২ পৃষ্ঠা ৮১)
এই দুটি পংক্তিই ভারসাম্যপূর্ণ এবং এর ছন্দের মিল রয়েছে আর কুরআন কবিদের মাঝে যারা মুমিন এবং পূণ্যকর্মশীলদের তাদের ব্যতিক্রম বলে আখ্যয়িত করেছে।
সৈয়্যদুনা মসীহ মওউদ (আ.) খোদা তা’লার সত্তা এবং মহানবী (সা.) এর মর্যাদা এবং ইসলামের সত্যতার উপর ভারসাম্যপূর্ণ কবিতা লিখেছেন আর তার উদ্দেশ্য তিনি (আ.) নিজেই বর্ণনা করেছেন যে,
“কোনো কবিতা কবির সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নাই
এতে যে যা মনে করে, আমার দাবী এটাই।”
অন্যান্য উত্তর
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম