আপত্তি: মির্যা সাহেব তার প্রতি অবতীর্ণ ওহীর প্রতি কুরআনের মত ঈমান রাখেন
আপত্তিঃ হযরত মির্যা সাহেব তার প্রতি অবতীর্ণ ওহীর প্রতি সেভাবে ঈমান রাখেন যেভাবে তিনি কুরআনের প্রতি ঈমান রাখেন।
উত্তর: এতে আপত্তি কীসের? যাকে আল্লাহ্ তা’লা মহানবী(সা.)-এর অনুসরণের কল্যাণে নিজের পক্ষ থেকে ইলহামে ভূষিত করেন এবং সেই সত্য ইলহামপ্রাপ্ত ব্যক্তি যদি আরশের খোদার পক্ষ থেকে ইলহাম লাভ করে থাকেন তাহলে সেই ইলহামের প্রতিও তাকে সেভাবে বিশ্বাস করতে হবে যেভাবে কুরআনের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হয়। কেননা উভয়ের উৎসমূল এক ও অভিন্ন।
কুরআন অবমাননার উদাহরণ দিতে গিয়ে আলোচ্য পুস্তকের (আহমদী বন্ধু) ৪৪ পৃষ্ঠায় যে পঞ্চম আপত্তিটি উত্থাপন করা হয়েছে সেটি মির্যা সাহেবের বক্তব্যই নয়, তার স্থলাভিষিক্ত কোন খলিফারও বক্তব্য নয়। এর উত্তর দিতে আমরা বাধ্য নই। তবে হ্যা, কুরআন উঠে যাওয়া সম্পর্কে মিশকাতুল মাসাবীহ কিতাবুল ইলমে স্পষ্ট ভবিষ্যদ্বাণী বিদ্যমান। কীভাবে ঈমান উঠে যাবে সে সম্পর্কে বুখারী কিতাবুত তাফসীরে স্পষ্ট ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে। আর মিযা বশীর আহমদ এম.এ. সাহেব তার বক্তব্যে এ দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। বলেছেন আল্লাহ তা’লা সেই অবক্ষয়প্রাপ্ত যুগে চিকিৎসক হিসেবে হযরত মির্যা সাহেবকে পাঠিয়েছেন। হাদীস দু’টি পরবর্তী আপত্তির উত্তরে দেয়া হয়েছে দেখে নিন।
অন্যান্য উত্তর
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম