আপত্তি: মির্যা সাহেব শরীয়তবাহী নবী হবার দাবী করেছেন


আপত্তিঃ মির্যা সাহেব শরীয়তবাহী নবী হবার দাবী করেছেন (রুহানী খাযায়েন ১৭, ৪৩৫ পৃষ্ঠা)

জবাবঃ এটি জঘন্য একটি অপবাদ। তিনি কোথাও এ কথা বলেননি। তিনি তার জীবনের শেষের দিকে এসে বলেছেন, “এই অপবাদ যা আমার উপর আরোপ করা হয় যে, আমি নিজেকে এমন নবী মনে করি যে, কুরআন করীমের অনুসরণের কোন প্রয়োজন নেই আর আমি পৃথক কলেমা ও পৃথক কিবলা বানাই এবং ইসলামি শরীয়তকে মনসুখ করে দেই। আমার উপর এই অপবাদ সঠিক নয়। বরং এমন দাবী আমার নিকট কুফরী। আর শুধু আজই নয়, বরং সর্বদা আমি আমার পুস্তকে এটিই লিখছি যে, এ ধরণের নবুয়্যতের কোন দাবী আমার নেই আর এটি একেবারে আমার প্রতি অপবাদ আরোপ।” (আখবারে আমি ২৬মে ১৯০৮)

সুতরাং যে উদ্ধৃতি আপনার দিয়ে থাকেন সেখানে মসীহ মওউদ (আ.) কখনও এটি বলেননি যে, আমি শরীয়তবাহী নবী। তিনি তো বিরুদ্ধবাদীদের দোষারোপ করার উদ্দেশ্যে লাও তাকাব্বালা শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এ কথা বলেছেন যে, যদি বল– লাও তাকাব্বালা শব্দটি ২৩বছরের মানদন্ড শরীয়তবাহী নবী সম্পর্কে তাহলে এটি অযৌক্তিক।

এরপর তিনি আপত্তিকারীকে জবাব দিতে গিয়ে বলেন, শরীয়তবাহী বলতে তোমরা কি বুঝদি বল শরীয়তবাহী বলতে তাকে বুঝানো হয় যার ওহীতে আদেশ নিষেধ নিহিত থাকেতাহলে সেই সংজ্ঞার দৃষ্টিকোণ থেকেও আমাদের বিরোধীরা অভিযুক্ত। কেননা আমার ওহীতেও আদেশ নিষেধ রয়েছে।”

এখানে মির্যা সাহেব শুধু যুক্তির খাতিরে এই সংজ্ঞার দৃষ্টিকোণ থেকে বিরোধীদের দোষী সাব্যস্ত করেছেন। তিনি এখানে কখনই নিজেকে শরীয়তবাহী নবীর মাঝে সংজ্ঞায়িত করেননি। এরপর মসীহ মওউদ (আ.) একটু সামনে গিয়ে তার একটি ওহী পেশ করেন যা সূরা নূরের ৩১ নাম্বার আয়াতের অনুরুপ।

এটি কুরআন মজিদের আয়াত আর মসীহ মওউদ (আ.) এর উপর তাজদীদ (সংস্কারমূলকভাবে) অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং মসীহ মওউদ (আ.) এর উপর ওহী কুরআনের শরীয়তকে তাজদীদ রুপে পৃথিবীর সামনে উপস্থাপন করার উদ্দেশ্যে। স্থায়ীভাবে তার উপর নতুন কোন আদেশ নিষেধ অবতীর্ণ হয়নি।

হযরত মসীহ মওউদ (আ.) ঐ পৃষ্ঠার টিকায় এ কথাই লিখেছেন যে, আল্লাহ তা’লা আমার ওহীতে আদেশ ও নিষেধ সংস্কারমূলকভাবে অবতীর্ণ করেছেন। সুতরাং বুঝা গেল শরীয়তবাহী নবী তাকে বলা হয় যার কাছে নতুন আদেশ-নিষেধ অবতীর্ণ হয় যা পূর্ববতী শরীয়তকে রহিত করে।

কিন্তু হযরত মসীহ মওউদ (আ.) এর ওহীতে আদৌ এমনটি ঘটেনি। সুতরাং মির্যা সাহেবের প্রতি এই আপত্তি করা যে, তিনি শরীয়তবাহী নবীর দাবী করেছেন ডাহা মিথ্যা কথা ও মিথ্যা অপবাদ।

অন্যান্য উত্তর