আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন


আপত্তি: হযরত আকদাস মসীহ মওউদ (আই.) এর উপর বিরুদ্ধবাদীরা আরেকটি আপত্তি এমনটি উঠিয়ে থাকে যে, মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধে অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং তার অনুসারীরা তার জন্য আলাইহেস্যালাতু ওয়াস্সালাম শব্দ ব্যবহার করেন।

উত্তর: প্রথম বিষয় হল, হযরত রসূল করীম (সা.) এর উপর যখন দরুদ পাঠ করা হয় তখন তিনি (সা.) এর বংশধরদের উপরও দরুদ পাঠ করা হয়। যেমন: ওয়া আলা আলে মুহাম্মদ (সা.)। সুতরাং এই দৃষ্টিকোন থেকে যেহেতু হযরত মসীহ মওউদ (আই.) তিনি (সা.) এর বংশের মধ্যে অন্তুর্ভুক্ত সেহেতু তিনি (আই.) দরুদে অন্তর্ভুক্ত।

হযরত মসীহ মওউদ (আই.) বলেন, কিন্তু অজ্ঞ ব্যক্তি আমার প্রতি এ আপত্তিও উত্থাপন করে থাকেএ ব্যক্তির জামা’ত তার জন্য ‘আলাইহিস সালাতু ওয়াসসালাম’ বাক্য ব্যবহার করে অথচ এমনটি করা হারাম। এর উত্তর হচ্ছেআমি প্রতিশ্রুত মসীহআর অন্যদের ‘সালাত’ বা ‘সালাম’ বলা তো একদিকে স্বয়ং মহানবী (সা.) বলেছেনযে ব্যক্তি তাঁর সাক্ষাত পাবে তার উচিত হবে তাঁকে আমার সালাম পৌঁছানো। হাদীস এবং হাদীসের সকল তফসীরে মসীহ মওউদ সম্পর্কে শত শত জায়গায় সালাত ও সালাম শব্দ লিপিবদ্ধ আছে। অতএব আমার সম্পর্কে যেখানে নবী (সা.) এই শব্দ ব্যবহার করেছেনসাহাবা (রা.) ব্যবহার করেছেন বরং খোদাতা’লা বলেছেনতাই আমার জামা’তের আমার সম্পর্কে এ বাক্য ব্যবহার কেমন করে হারাম হয়ে গেলস্বয়ং কুরআন শরীফে সাধারনভাবে সকল মু’মিনদের জন্য সালাত এবং সালাম দু’টি শব্দই ব্যবহৃত হয়েছে।

(আরবাঈন-২ পৃষ্ঠা: ৯-১০)

তিনি (আই.) তাঁর বয়াতে শামিল হওয়াকারীদের এই শর্তও রেখেছেন যে, বিনা ব্যতিক্রমে খোদা ও রসূল (সা.)-এর নির্দেশ অনুযায়ী পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়বেসাধ্যানুযায়ী তাহাজ্জুদ নামায পড়বেরসূলে করীম (সা.) এর প্রতি দরুদ পাঠ করবে। প্রত্যহ আল্লাহতা’লার সমীপে নিজের পাপ সমূহের ক্ষমা প্রার্থনা করবে। আর প্রতিনিয়ত ইস্তেগফার করায় মনোনিবেশ করবে। ভক্তিপ্লুত হৃদয়ে তার অপার অনুগ্রহের স্মরন করে তার প্রশংসা ও বড়াই করবে।”

অন্যান্য উত্তর