আপত্তি: কুরআন আল্লাহ্র কিতাব ও আমার মুখের কথা
আপত্তি: কুরআন আল্লাহর কিতাব ও আমার মুখের কথা। (তাযকেরাহ ৭৭, দ্র. ৪র্থ এডিসন)
উত্তর: এ ইলহামটি সম্পর্কে মসীহ্ মাওউদ(আ.)কে জিজ্ঞেস করা হল, “হযুর এই যে ইলহাম হল– কুরআন আল্লাহর কিতাব আর আমার মুখের বাণী– এখানে ‘আমার‘ সর্বনামটি কার জন্য প্রযোজ্য অর্থাৎ কার মুখের কথা? তিনি(আ.) বললেন, আল্লাহর মুখের কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ্ তা‘লা বলছেন, আমার মুখের কথা। এধরনের সর্বনামের পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার অনেক উদাহরণ পবিত্র কুরআনে রয়েছে।” (বদর পত্রিকা, খণ্ড ৬ নম্বর ২৮ ১১ জুলাই ১৯০৭ পৃষ্ঠা ৬)
অতএব যেখানে মির্যা সাহেব নিজে বলে গেছেন এই ইলহামে ‘আমার’ সর্বনামটি আল্লাহর দিকে আরোপিত তাই আপত্তির কোন সুযোগই নেই। ‘আল্লামা’কে স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য “ইলতিফাতে যামায়ের” বা সর্বনাম পদ পরিবর্তন এর উদাহরণ পবিত্র কুরআনে স্পষ্ট পাওয়া যায়। তাহলে কি পবিত্র কুরআন পড়ে আলেম হন নি? কেননা দেখুন কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি,
সূরা ফাতেহা আমাদের সবারই জানা। সূরা ফাতেহার সূচনাতে সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক প্রভু। তিনি রহমান, রহীম এবং মালিকি ইয়াওমিদ্দীন। এখানে যিনি, তিনি, সব সর্বনাম আল্লাহর দিকে আরোপিত। এরপরে আয়াতে হঠাৎ বলা হল, আমরা তোমারই ইবাদত করি, আর তোমারই কাছে সাহায্য চাই। প্রথম কয়েকটি আয়াত ছিল, গায়েবের সর্বনাম তথা নাম পুরুষ। এরপর হঠাৎ হয়ে গেল মধ্যম পুরুষ বা মুখাতাব-এর সিগা বা সর্বনাম।
আবার দেখুন, সূরা লুকমানের ১১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্ তা’লা বলছেন,
তিনি আকাশমণ্ডলীকে সৃষ্টি করেছেন কোন খুঁটি ব্যতিত তোমরা তা দেখছ। আর পৃথিবীতে পর্বতমালা স্থাপন করেছেন যেন এটি তোমাদের নিয়ে পড়ে। আর এতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সকল প্রকার প্রাণী। আর আমি আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছি এরপর এর দ্বারা আমি এতে সব ধরনের উদ্ভিদ উদগত করেছি।
পাঠক লক্ষ্য করুন, আয়াত শুরু হচ্ছে “তিনি” দিয়ে কিন্তু এরপরই শুরু হয়ে গেল ‘আমি‘ বৃষ্টি বর্ষণ করি। আল্লামা আব্দুল মজিদ কি তাহলে এতে আপত্তি করবেন, আল্লাহ আকাশ সৃষ্টি করেছেন, পর্বতমালা সৃষ্টি করেছেন, সকল প্রাণী তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন আর মুহাম্মদ(সা.) বলছেন, আমি বৃষ্টি বর্ষণ করেছি। নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক। এমন সংশয় প্রকাশ বা বক্র অর্থ খোদাভীরু কোন আলেম করতেই পারেন না।
‘আল্লামা’ তো আর অল্প বিদ্যার আলেম নন। তিনি তো আরবী উর্দু জানা মাদ্রাসা পাশ আলেম। “আল্লামা” নিশ্চয় ইলতেফাতে যামায়েরের বিষয়ে জ্ঞান রাখেন। প্রশ্ন জাগে এতসব জানা সত্ত্বেও তিনি কেন এই অযৌক্তিক আপত্তিটি উত্থাপন করলেন।
অন্যান্য উত্তর
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম