আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন
আপত্তি: হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) নতুন নবুয়্যত, নতুন ধর্ম, নতুন কিবলা, নতুন নামায এবং নতুন কুরআন বানিয়েছেন।
জবাব: হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) এ আপত্তির জবাব দিতে গিয়ে বলেছেন, “এটি আমার উপর মিথ্যা অপবাদ যে, আমি নবুয়্যতের দাবি করি আর আমি নতুন ধর্ম বানিয়ে নিয়েছি অথবা আমি অন্য কোন কিবলার চিন্তায় আছি। আমি পৃথক নামায বানিয়েছি অথবা কুরআনকে মনসুখ করে অন্য এক কুরআন বানিয়েছি। অতএব এ অপবাদের জবাবে আমি লানাতুল্লাহি আলাল কাযিবিন ছাড়া আর কিইবা বলতে পারি?
তিনি আরো বলেন, “আমার দাবি কেবলমাত্র এতটুকু যে, বর্তমান যুগের নৈরাজ্যের কারণে খোদা তা’লা আমাকে প্রেরণ করেছেন আর আমি এ বিষয়টি গোটন করতে পারি না যে, আমাকে মুকালামা (বাক্যালাপ), মুখাতাবা (সম্বোধন) এর সৌভাগ্য দান করা হয়েছে আর খোদা তা’লা আমার সাথে বাক্যালাপ করেন এবং অজস্র ধারায়। অতএব যে ব্যক্তি কোন কল্যাণ খোদা তা’লার কাছে পেয়ে মানুষের মাঝে প্রকাশ করে তাকে আরবীতে নবী বলে। আমি মহানবী (সা.) এর থেকে পৃথক হয়ে কোন দাবি করি না। এটি তো শব্দের বিকৃতি। অজস্র ধারায় মুকালামা, মুখাতাবাকে অন্য শব্দে নবুয়্যত বলা হয়। দেখ! হযরত আয়েশা(রা.) এর এ কথা যে, قُوْلُوْااِنَّہُ خَاتَمُ النَّبِیِّیْنَ وَلَاتَقُوْلُوْالَانَبِیَّ بَعْدَہ অর্থাৎ, তোমরা তাকে খাতামান্নাবীঈন বলো, কিন্তি তার পর কোন নবী নাই এ কথা বলো না। এটি এ বিষয়টি স্পষ্ট করে যে, নবুয়্যত ইসলামে বন্ধ হলে নিশ্চিতভাবে জেনে নাও যে ইসলামও মারা গিয়েছে আর এর কোন পৃথক নিদর্শনও নাই। একটি বাগান যাকে তার মালী ও বাগানের কর্মচারী পরিত্যাগ করেছে, তাকে ভুলে গিয়েছে। এতে পানি সিঞ্চনের বিষয়ে তার কোন চিন্তা নাই তাহলে পরিণাম স্পষ্ট যে, কয়েক বছর পর বাগান শুষ্ক হয়ে ফলশুণ্য হয়ে যাবে আর পরিশেষে খড়ি জালানোর কাজে নেয়া হবে। প্রকৃত বিষয় হল, তাদের ও আমাদের শব্দের বিকৃত। এ সমস্ত লোক তো মুকালামা ও মুখাতাবার স্বীকার নিজেরাও করে। মুজাদ্দিদ সাহেবও এ বিষয়ের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে, যেসব ওলীউল্লাহর সাথে খোদা তা’লার অজস্র ধারায় মুকালামা মুখাতাবা হয় কাকে মুহাদ্দাস ও নবী বলা হয়ে থাকে।” (মলফুযাত, ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৬৬৭)
অন্যান্য উত্তর
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন
- আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে
- আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম