আপত্তি : হাদীসে আছে, মসীহ্‌ ছয় হাজার সালে জন্ম নিবেন


উত্তর: এখানেও ‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদ প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। মির্যা সাহেব একথা বলেন নি, “হাদীসে আছে, মসীহ্ ছয় হাজার সালে জন্ম নিবেন।” বরং মির্যা সাহেব পবিত্র কুরআনের একটি আয়াত উপস্থাপন করেছেন, “নিশ্চয় তোমাদের প্রভুর একদিন তোমাদের গণনায় একহাজার বছর” (সূরা হজ্জ: ৪৮)।

আমাদের দিনের সংখ্যা মোট সাতটি। অতএব মোট সাত হাজার বছর। প্রতিশ্রুত মসীহ (আ.) যে শেষযুগে আসবেন এ বিষয়ে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে। মির্যা সাহেব লিখেছেন, বিভিন্ন হাদীস দিয়েও প্রমাণিত হয় যে, মসীহ্ ষষ্ঠ হাজার বছরে আবির্ভূত হবেন। আর মুফাসসেরগণ হযরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত পাঁচ হাজার বছরের কিছু অধিক নির্ধারণ করেছেন। এই সাত হাজার বছরের উল্লেখ হাকীম তিরমিযীর “নাওয়াদিরুল উসূল” গ্রন্থে হযরত আবু হুরায়রা(রা.) বর্ণিত হাদীস এবং ‘তারীখে ইবনে আসাকির’ গ্রন্থে হযরত আনাস বিন মালেক বর্ণিত হাদীস দিয়ে বর্ণনা করেছেন। আর মুহাম্মদ(সা.)-এর পর একহাজার বছরের একটি চক্র সমাপ্ত হবার পর প্রতিশ্রুত মসীহর আগমনের কথা। মির্যা সাহেব উক্ত উদ্ধৃতির মাঝেই নওয়াব সিদ্দীক হাসান খান ভুপালের পুস্তক ‘হুজাজুল কিরামার’ বরাত দিয়ে বলেন, আবির্ভাবকাল সর্বোচ্চ চতুর্দশ শতাব্দী নির্ধারণ করা হয়েছে।

‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদ একদিকে প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছেন অপরদিকে অপবাদ আরোপকারীদের চর্বিত চর্বণ উপস্থাপন করতে গিয়ে মূল উদ্ধৃতি না পড়ে আপত্তির পর আপত্তি করে সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্ত ও সামাজিক নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা করছেন।

অন্যান্য উত্তর