আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?


আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় বিশেষত আরবীতে ইলহাম হল কেন এবং কিভাবে?

জবাব: হযরত মসীহ মওউদ (আ.) বলেছেন, এ স্থানে কতিপয় নির্বোধদের এ আপত্তিরও খন্ডন হয়ে যায় যেঐশী ওহীর দাবির জন্য এটি আবশ্যক বিষয় যেওহী নিজ ভাষায় হতে হবেআরবীতে নয়। এর কারণ হলতার জন্য মাতৃভাষা আবশ্যক যে স্থায়ীভাবে মুহাম্মদী নবুয়্যতের তাক থেকেকোন কল্যাণ ছাড়া নবীর দাবি করে। কিন্তু যে এক উম্মতি নবী হবার কারণে মুহাম্মদ (সা.) এর নবুয়্যত থেকে নবুয়্যতের জ্যোতি লাভ করে সে ঐশী বাক্যালাপে নিজ অনুসরনীয় ব্যক্তির ভাষায় ওহী পায় যেন অনুসরনকারী ও অনুসরনীয় ব্যক্তির একই আলামত হয় যা তাদের পারষ্পরিক সম্পর্কের প্রতি নির্দেশ করে। (রিভিউ বার মুবাহাসা বাটালভী ও চাকরালভী, রুহানী খাযায়েন, খন্ড ১৯, পৃষ্ঠা, ২১৬)

অন্যান্য ভাষায় ইলহাম পাওয়াতেও আশ্চর্যের কিছু নাই। কেননা, মসীহ্ মওউদ (আ.) মহানবী (সা.) এর প্রতিবিম্ব হিসেবে সমগ্র জগতের জন্য আগমন করেছেন। পূর্ববর্তী নবীগণ বিশেষ কোন জাতি, অঞ্চল বা বিশেষ গোত্রের জন্য প্রেরিত হতেন। তাই তাদের জন্য কুরআনের আয়াত (ওয়ামা আরসালনা মির রাসুলিন ইল্লা বিলিসানি ক্বওমিহি- অর্থাৎ, আর আমরা প্রত্যেক রসুলকে তার নিজে ভাষায় প্রেরণ করেছি) অনুযায়ী নিজস্ব ভাষার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকা নির্ধারিত ছিল। কিন্তু মসীহ্ মওউদ (আ.) সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য আগমন করেছেন। তাই তার জন্য বিশেষ কোন ভাষা নির্ধারণ করা অযৌক্তিক।

অন্যান্য উত্তর