মাসিক মদীনা পত্রিকায় “কাদিয়ানী মতবাদ একটি ফেৎনা” শীর্ষক প্রবন্ধের সংক্ষিপ্ত উত্তর


মাসিক মদীনা পত্রিকার সেপ্টেম্বর ‘৯৮ সংখ্যায় জনাব মোল্লা জামান সাহেবের উপরোল্লিখিত শিরোনামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। এ প্রবন্ধে মোল্লা সাহেব আহমদীয়া জামাতের বিরুদ্ধে
ঐ সকল অভিযোগই উত্থাপন করেছেন যা বিগত ১০৮ বৎসর যাবত আহমদী-বিদ্বেষী বিভিন্ন আলেম-ওলামা উত্থাপন করে আসছেন। বিগত ১০৮ বৎসর যাবতই আমরা অর্থাৎ আহমদীরা এ সকল অভিযোগ ও আপত্তির জবাব দিয়ে আসছি। অতএব মোল্লা সাহেবের অভিযোগসমূহের জবাব দেওয়া সমীচীন মনে করি।
মোল্লা সাহেবের অভিযোগসমূহ সংক্ষেপে নিম্নরূপ:
১। আহমদীরা বিশ্বাস করে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সর্বশেষ নবী নন।
২। আহমদীরা বিশ্বাস করে ওহীর দরজা খোলা আছে।
৩। আহমদীরা বিশ্বাস করে ঈসা ইবনে মরিয়ম মৃত্যুবরণ করেছেন। জনাব মোল্লা সাহেবের মতে আহমদীদের উপরোক্ত বিশ্বাসসমূহ কুরআন ও হাদীসবিরোধী। অতএব তিনি বাংলাদেশ সরকারের নিকট আবেদন জানাচ্ছেন সরকার যেন আহমদীদেরকে অ-মুসলমান ঘোষণা করেন।
এখন আমরা জনাব মোল্লা সাহেবের অভিযোগসমূহের সংক্ষিপ্ত উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছি।
সূরা আল আহযাবের ৪০ নং আয়াতে বলা হয়েছে, “মুহাম্মদ তোমাদের পুরুষদের মধ্যে কাহারও পিতা নহে, বরং তিনি আল্লাহর রসূল ও খাতামান্নাবীঈন।”
মোল্লা সাহেবগণ এ আয়াতে বর্ণিত “খাতামান্নাবীঈন” শব্দটির অর্থ করেন সর্বশেষ নবী।কিন্তু আমরা বহুবার উল্লেখ করেছি যে, খোদ সৌদী আরব থেকে প্রকাশিত পবিত্র কুরআনের ইংরেজি অনুবাদে ‘খাতামান্নাবীঈন’ শব্দের অর্থ করা হয়েছে Seal of the Prophets বা নবীগণের মোহর।’ এমনকি ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ শফী সাহেব কর্তৃক রচিত ‘খতমে নবুয়াত’ নামক অনূদিত গ্রন্থের ৬৮ পৃষ্ঠায় ‘খাতাম’ শব্দটির অর্থ করা হয়েছে নাগীনা মোহর, আংটি, ঘোড়ার পায়ের সামান্য সাদা চিহ্ন, গদির নিচের গর্ত এবং মোহর বা সীলের যে চিত্র কাগজের উপর অংকিত হয়।
এমতাবস্থায় মোল্লা সাহেবগণ খাতামান্নাবীঈন’-এর অর্থ কীভাবে ও কি কারণে সর্বশেষ নবী করেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। কোন কিছুর উপর মোহর লাগানোর অর্থ কি ঐ বস্তুটির শেষ করে দেয়া?
ডাক বিভাগ চিঠির উপর মোহর লাগিয়ে থাকে। এর অর্থ কি চিঠিকে শেষ করে দেয়া? বস্তুতঃ মোহরের সাহায্যে কোনকিছুকে সত্যায়ন করা হয়। হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সঃ) নবীগণের মোহর। এ অর্থ অতীতের সব নবী যেমন হযরত ইব্রাহীম (আঃ), মূসা (আঃ), দাউদ (আঃ), ঈসা (আঃ) সকল নবীই হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সঃ)-এর মোহর দ্বারা সত্যায়িত বলেই আমরা এদের সকলকে নবী বলে বিশ্বাস করি। তদ্রুপে হযরত মির্যা গোলাম (আঃ)-এর মাহদী ও মসীহের দাবীও হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সঃ)-এর মোহর দ্বারা সত্যায়িত। এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনায় যেতে চাই না। এ বিষয়ের উপর আমাদের জামাতের ভুরি ভুরি লিটারেচার আছে। উৎসাহী পাঠকগণ আমাদের ঢাকাস্থ কেন্দ্র ৪ নং বকশী বাজারে এসে তা দেখতে পারেন।
মোল্লা সাহেবের দ্বিতীয় অভিযোগের উত্তরে বলছি, আল্লাহ শুনেন, দেখেন ও কথা বলেন। আল্লাহর কথা বলার নামই ওহী ও ইলহাম। অতীতে আল্লাহ দেখতেন, শুনতেন ও এক লক্ষ চব্বিশ হাজার বা দুই লক্ষ চব্বিশ হাজার নবী ও বহু বুযর্গের সঙ্গে কথা বলেছেন।বর্তমানেও আল্লাহ দেখেন, শুনেন ও কথা বলেন। ভবিষ্যতেও তিনি তাই করবেন। কেননা, তার দেখা, শুনা ও কথা বলার গুণাবলী লোপ পায়নি বা তিনি রাগ করে আর আমাদেরকে দেখবেন না, আমাদের কথা শুনবেন না বা বুযর্গগণের সাথে কথা বলবেন না-এমন তো হতে পারে না।
মোল্লা সাহেবরা বলেন, যেহেতু পবিত্র কুরআন পরিপূর্ণ ও সর্বশেষ ধর্মগ্রন্থ, তাই আল্লাহর ওহীর অর্থাৎ কথা বলার আর প্রয়োজন নেই।
আমরাও বিশ্বাস করি কুরআন পরিপূর্ণ ও সর্বশেষ ধর্মগ্রন্থ। কিন্তু কুরআনের অর্থ ও ব্যাখ্যা নিয়ে মতভেদ করে বর্তমান মুসলমানগণ বহু দলে ও উপদলে বিভক্ত। এমনকি এক ফেরকার লোক অন্য ফেরকাকে কাফের বলে। পাকিস্তানের শিয়া-সুন্নীর মারামারি লেগেই আছে। আফগানিস্তানে তালেবান ও মুজাহিদদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম চলছে। এ বিরোধ ঝগড়ার ফিরিস্তি আর লম্বা করতে চাই না।
মুসলমানগণের এক আল্লাহ, এক রসূল ও একই ধর্ম ইসলাম হওয়া সত্ত্বেও এই ঝগড়া ও বিরোধের কারণ কি? এ ঝগড়া-বিরোধের ফয়সালা কে করবে? সকল মুসলমান এক বাক্যে স্বীকার করে যে, হযরত ইমাম মাহদী (আঃ) ঝগড়া ও বিরোধের মীমাংসা করবেন। তাই তো হাদীসে তাকে বলা হয়েছে হাকাম ও আদাল’ অর্থাৎ তিনি মুসলমানদের পারস্পরিক ধর্মীয় ঝগড়া ও বিরোধের মীমাংসাকারী হবেন। আল্লাহর নিকট থেকে ওহী ইলহাম না পেয়ে তিনি কীভাবে সঠিক মীমাংসা করবেন? তিনি কি জাগতিক ধর্মীয় নেতাগণের ন্যায় মনগড়া ফয়সালা দিবেন? যদি তাই হয় লোকেরা তার ফয়সালা মানবে কেন? আর সেটা সঠিক ফয়সালাই বা কীভাবে হবে? কাজেই ওহীর দরজা খোলা আছে, খোলা ছিল ও খোলা থাকবে। কেননা, আল্লাহর সুন্নতের কোন পরিবর্তন হয় না। ওহী ইলহাম বন্ধ থাকলে,
যিনি ইমাম মাহদী হবেন তিনি কীভাবে জানতে পারবেন যে, তিনি ইমাম মাহদী। বলা বাহুল্য, ইমাম মাহদী তো মানুষের মনোনয়ন ও নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন না।
তৃতীয় প্রশ্নের উত্তরে লিখছি যে, মানুষ মরণশীল। হযরত ঈসা (আঃ) একজন মানুষ ছিলেন। অতএব তিনিও মারা গেছেন। দুই হাজার বৎসর থেকে না-খেয়ে দেয়ে তিনি আকাশে জীবিত থাকতে পারেন না। কারণ ব্যাধি, জরা ও মৃত্যুও আল্লাহর অমোঘ সুন্নতের অধীন। ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যুর প্রমাণে কুরআন শরীফে অনেক আয়াত রয়েছে। এ ক্ষুদ্র প্রবন্ধে এসকল ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনার অবকাশ নেই। কেবলমাত্র কুরআন মজীদের একটি মাত্র আয়াতই পেশ করবো। যখন আমাদের খাতামান্নবীঈন হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সঃ) ইন্তেকাল করেন তখন হযরত উমর (রাঃ) গভীর শোক ও আবেগে আত্মহারা হয়ে উন্মুক্ত তলোয়ার হাতে দাড়িয়ে পড়লেন এবং বললেন, “যে বলে মুহাম্মদ (সঃ) মারা গেছেন এ তলোয়ার দিয়ে আমি তার মুণ্ডুপাত করবো।” হযরত আবু বকর ছিলেন বয়োঃবৃদ্ধ ও জ্ঞানী। তিনি মসজিদের মেম্বরে গিয়ে দাড়ালেন এবং কুরআন হতে ঐ পারেন । আয়াত তেলাওয়াত করলেন যার অর্থ হলো “মুহাম্মদ (সঃ) রসূলে ব্যতীত কিছু নন তার (সঃ) পূর্বে সকল রসূল গত হয়ে গেছেন। অতএব তিনিও যদি মারা যান বা নিহত হন তোমরা কি তাহলে ইসলাম হতে ফিরে যাবে?” এ আয়াত শুনার পর হযরত ওমরের হাত হতে তলোয়ার খসে পড়লো। তিনি বসে পড়লেন। তিনি বুঝতে পারলেন প্রিয় নবী (সঃ) আর ইহ জগতে নেই। যদি হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সঃ)-এর পূর্ববর্তী নবী হযরত ঈসা (সঃ) সশরীরে আকাশেই জীবিত থাকতেন (যেমনটি এ যুগের মোল্লা সাহেবগণ বিশ্বাস করেন) তবে ঐদিন হযরত উমর (রাঃ) এ আয়াতের প্রতিবাদ করতেন এবং হয়তো নাউযুবিল্লাহ বলতেন, এ আয়াতটি ভুলক্রমে কুরআন শরীফে ঢুকে পড়েছে। সুধী পাঠকবৃন্দের নিকট আমাদের বিনীত অনুরোধ তারা যেন মোল্লা সাহেবগণের বিভ্রান্তিকর প্রচারণার শিকার না হয়ে আহমদী জামাতের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মির্যা গোলাম (আঃ)-এর পুস্তকাদি নিরপেক্ষ মন নিয়ে পড়েন ও সত্য জানার জন্য আল্লাহ্‌তাআলার দরবারে আকুলভাবে দোয়া করেন তবেই তারা প্রকৃত সত্য জানতে পারবেন।
সর্বশেষে বলতে চাই আহমদীদেরকে অমুসলমান ঘোষণার দাবীটি অমূলক। কেননা, অন্যের ঘোষণার দ্বারা কেউ হিন্দুও হয় না, মুসলমানও হয় না, খৃষ্টানও হয় না। ধর্মের সম্পর্ক আল্লাহর সাথে ও মনের সাথে। আল্লাহতাআলাই উত্তম জানেন, কে মুসলমান আর কে নয়। সরকারের ঘোষণা দ্বারা কারো হৃদয়ের বিশ্বাস কেড়ে নেয়া যায় না বা সরকারের ঘোষণার দরুন আল্লাহ কারো ধর্মমত ও বিশ্বাস পাল্টিয়ে দেন না।
— নাজির আহমদ ভূইয়া
সূত্র: পাক্ষিক আহ্‌মদী – নব পর্যায় ৬১বর্ষ | ৮ম সংখ্যা | ৩১শে অক্টোবর ১৯৯৮ইং | The Fortnightly Ahmadi – New Vol: 61 Issue: 08 Date: 31st October 1998

অন্যান্য উত্তর

মাসিক মদীনা পত্রিকার প্রশ্নোত্তরের কলামের উত্তর – ইমাম মাহদীর আগমন ও নিদর্শন স্বরূপ চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ

মাসিক মদীনার মিথ্যাচারের উত্তর – পবিত্র কুরআনের কিছু অংশ ছেটে ফেলা এবং ঈসা (আঃ)-কে শূলীবিদ্ধ করে মেরে ফেলা হয়েছে

ইসলামী প্রতীকসমূহের ব্যবহার আহ্‌মাদী ফিরকার জন্য আইনতঃ নিষিদ্ধ হওয়া উচিত কি?

মাসিক মদীনায় প্রকাশিত “আহমদী সম্প্রদায় : আমার বক্তব্য” – আপত্তির উত্তর

ঈসা (আ.) কি আসবেন? – মাসিক মদিনায় প্রকাশিত প্রশ্নের উত্তর

হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.)-এর মৃত্যু কিভাবে হয়েছিল?

হযরত মির্যা সাহেবের মৃত্যুতে বিখ্যাত মনীষীরা কি বলেছিলেন?

মৌলবী সানাউল্লাহ অমৃতসরীর পরিণাম কি হয়েছিল?

মির্যা সাহেবের মৃত্যু সম্পর্কিত অপবাদ খণ্ডন

মাসিক মদীনা: ওহী ইলহামের দরজা হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর ইন্তিকালের পর বন্ধ হয়ে গেছে?

আহমদীরা মীর্যা গোলাম আহমদকে হযরত মোহাম্মাদ (দঃ)-এর পরিবর্তে শেষ নবী বলে মনে করেন – ভ্রান্ত ধারণার অপনোদন

অভিযোগ: মুহাম্মদী বেগম সাথে বিয়ের ভবিষ্যদ্বাণীর অপূর্ণতার অভিযোগ

দ্বিতীয় অভিযোগ: কাদিয়ানীদের বিশ্বাস ও বক্তব্য: “আমি মুহাম্মদ (সা:) থেকে উত্তম নবী”

তৃতীয় অভিযোগ: “আমি নতুন শরীয়তপ্রাপ্ত নবী” (আরবাঈন, পৃষ্ঠা-৩)

চতুর্থ অভিযোগ: “আমাকে যারা নবী মানে না তাদের মায়েরা বেশ্যা” (আয়নাতে কামালাত পৃঃ ৫৪৭)।

ষষ্ঠ ও সপ্তম অভিযোগ: “আমি আল্লাহ্‌র সন্তান” ‘আমিই আল্লাহ্’

অষ্টম অভিযোগ: *আয়াতগুলি গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর শানে অবতীর্ণ হয়েছে।

নবম অভিযোগ: ‘কাদিয়ানীর ওহী কুরআনের চাইতেও বেশী সম্মানের উপযোগী’

অভিযোগ: প্রসঙ্গ মসজিদে জেরার

প্রথম অভিযোগ: কাদিয়ানীদের বিশ্বাস বক্তব্য: “আমিই খাতামুল আম্বিয়া।”

দশম ও শেষ অভিযোগ: “কাদিয়ানীকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত করে পাঠানো হয়েছে।”

পঞ্চম অভিযোগ: আমার প্রতি ঈমান না আনার কারণে সে কাফের হয়ে যাবে

খতমে নবুওয়তের অস্বীকারকারী কে?

মুসলমানদের ঈমান কি তাসের ঘর যে ফুঁ দিলেই উড়ে যাবে?

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট আপত্তির জবাব

খোদা হবার দাবী সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর

হযরত ঈসা (আ.)-এর অবমাননা সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর

হযরত রসূল করীম (সাঃ)-এর অবমাননা সম্পর্কিত অপবাদ ও উহার খন্ডন

মক্কা-মদীনার অবমাননা সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর

হযরত ফাতেমা (রাঃ) ও আহলে বয়াতের অবমাননা সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর

ইসলামের পরিভাষার অবৈধ ব্যবহার সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর

কুফরী মতবাদ (কলেমা এবং খোদার সন্তান তুল্য) বিষয়ক আপত্তির উত্তর

নবী-রসূল হবার দাবী বিষয়ক আপত্তির উত্তর

‘বৃটিশ সরকারের রোপিত বৃক্ষ’ বিষয়ক প্রচারণার উত্তর

হযরত মির্যা সাহেব জেহাদ রহিত করেছেন – সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর

আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম

আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে

আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মুহাম্মদ রসূলুল্লাহ বলেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মরিয়ম দাবি করেছেন

আপত্তি: চন্দ্র-সূর্যগ্রহণের হাদিসটি রসূলুল্লাহ্‌ (সা.)-এর বক্তব্য নয়

আপত্তি: নামাযে যখন ওহী হত তিনি অস্থির হয়ে নামায ছেড়ে দিতেন

আপত্তি: মির্যা সাহেবের শিক্ষক থাকার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব কলেরায় টয়লেটে পড়ে মারা গেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব মদ ও আফিমের নেশায় মত্ত ছিলেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন ছবি তুলেছেন?

আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন বইপুস্তক লিখলেন, কোন নবী তো বই–পুস্তক লিখেননি।

আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন হজ্জ করেন নি

আপত্তি: মির্যা সাহেব মসীহ মওউদ হওয়ার দাবি করে অস্বীকারও করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মানুষও আখ্যা দেন নি

আপত্তি: মির্যা সাহেব অ-আহমদীদেরকে কাফের বলেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন যে, কুরআন ও হাদিসে প্লেগের ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব তার অস্বীকারকারীদের কাফের আখ্যায়িত করেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব কবিতা লিখেছেন আর নবী কখনও কবি হয় না

আপত্তি: মির্যা সাহেব ঈসা (আ.)-এর মুজেজার অদ্ভুত ব্যাখ্যা করেছেন

আপত্তি: হযরত মির্যা সাহেব খোদা তা’লার পিতা হবার দাবী করেছেন

আপত্তি: আব্দুল হাকীম সাহেবের তফসীর সম্পর্কে তিন ধরণের কথা

আপত্তি: তার নিজের কথা অনুযায়ী তিনি মুহাদ্দাসও নন নবীও নন

আপত্তি: দাজ্জাল সম্পর্কে মির্যা সাহেবের বিভিন্ন ধারণা রয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব শরীয়তবাহী নবী হবার দাবী করেছেন

আপত্তি: যদি পূর্ণাঙ্গীন মুহাম্মদকে দেখতে চাও গোলাম আহমদকে দেখে যাও

আপত্তি: হাজার লানত প্রসঙ্গ

আপত্তি: মুজাদ্দেদ আহমদ বেরলভি(রহ.) শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব জিহাদ রহিত করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব নবী হবার দাবি করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব মুজাদ্দেদে আলফে সানীর উদ্ধৃতি বিকৃত করেছেন

আপত্তি: বৃটিশ সরকারের অধীনে যে নিরাপত্তা পাচ্ছি তা মক্কা মদীনায়ও সম্ভব নয়

আপত্তি: নফল হজের চেয়ে কাদিয়ানে যাওয়ার সওয়াব বেশি

আপত্তি: ছায়া হজ্জ বাদে (কাদিয়ানের জলসা) মক্কার হজ্জ রসহীন

আপত্তি: মক্কা ও মদীনা সম্পর্কে অমর্যাদাকর বক্তব্য

আপত্তি: ফাতিমার বংশ থেকে কোন মাহদী আসবে না

আপত্তি: অন্য হাদীসকে ডাষ্টবিনের ময়লার মত নিক্ষেপ করি

আপত্তি: কুরআনে যে ভুলগুলো সংঘটিত হয়েছে আমি তা চিহ্নিত করতে এসেছি

আপত্তি: মির্যা সাহেবের ওহীর সমষ্টির নাম কুরআনেরই একটি নাম

আপত্তি: আমার দ্বারা সেসব বিষয় প্রকাশিত হবে যা কুরআন দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব তার প্রতি অবতীর্ণ ওহীর প্রতি কুরআনের মত ঈমান রাখেন

আপত্তি: কুরআন ধরাপৃষ্ঠ থেকে উঠে গিয়েছিল

আপত্তি: স্বীকার করতেই হবে যে কুরআন শরিফ অশ্লীল গালি দিয়ে ভর্তি

আপত্তি: কুরআন আল্লাহ্‌র কিতাব ও আমার মুখের কথা

আপত্তি: কুরআনকে আমি কাদিয়ানের কাছে অবতীর্ণ করেছি

আপত্তি: যদি মূসা ও ঈসা জীবিত হত তাহলে মসীহের আনুগত্য তাদের অবশ্যই করতে হত

আপত্তি: সমস্ত রাসূল আমার জামার মধ্যে গোপন হয়ে আছে

আপত্তি: সব নবী ইজতেহাদী ভুলের স্বীকার হয়েছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেবের আধ্যাত্মিক মর্যাদা এত বড় হয় কীভাবে

আপত্তি: হযরত ঈসা (আ.) মদ পান করতো

আপত্তি: এই ওহীতে আল্লাহ্ আমার নাম মুহাম্মদ রেখেছেন

আপত্তি: মুহাম্মদ পুনরায় আগমন করেছেন আমাদের মধ্যে

আপত্তি: দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে নবুওয়তের দরজা খোলা

আপত্তি: আলামত, মোজেযা, কারামত এবং খরকে আদত সব একই

আপত্তি: মুহাম্মদ (সা.)-এর তেজোদ্দীপ্ত কিরণ প্রকাশের সময় নেই

আপত্তি: কাশফের অবস্থা এভাবে চেপে বসল যে, নিজেকে মহিলা মনে হল

আপত্তি: তোমাকে একজন ছেলের সংবাদ দিচ্ছি যার সাথে খোদা প্রকাশিত হবে

আপত্তি: মিকাইল অর্থ খোদার মত

আপত্তি: তুমি যে কাজের ইচ্ছা কর তা তৎক্ষণাৎ হয়ে যায়

আপত্তি: আল্লাহ্ নিজের ওয়াদা মত কাদিয়ানে অবতীর্ণ হবেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, আমি (আল্লাহ্) চোরের মত গোপনে আসবো

আপত্তি: মুহাম্মদী বেগম এবং আহমদ বেগ সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয়নি

আপত্তি: আমি মক্কা বা মদীনায় মৃত্যুবরণ করবো

আপত্তি : মির্যা সাহেব সিনেমা দেখতে যেতেন

আপত্তি: মির্যা কাদিয়ানী কাজের মহিলাকে দিয়ে রাতে পা টিপাতেন

আপত্তি : মির্যা কাদিয়ানী কখনও কখনও যিনা-ব্যভিচার করতেন (নাউযুবিল্লাহ্‌)

আপত্তিঃ মির্যা সাহেব হিন্দুদের ক্ষেপিয়ে দিয়েছিলেন

আপত্তি: রসূলুল্লাহ্ (সা.) এর জন্মের পর তার বাবা ইন্তেকাল করেন

আপত্তি : তিনি ইসলামী বছরের দ্বিতীয় মাসকে চতুর্থ মাস লিখেছেন

আপত্তি : ১৮৫৭ সালে কুরআন আসমানে উঠানো হবে

আপত্তি : কুরআনের বক্তব্য অনুযায়ী ধর্মযুদ্ধ হারাম

আপত্তি : মক্কা মদীনায় রেলের রাস্তা তৈরি হচ্ছে

আপত্তি : পূর্বেকার নবীগণের কাশফ অনুযায়ী চতুর্দশ শতাব্দির শুরুতে জন্ম

আপত্তি: শেষ যুগে মুহাম্মদ (সা.) দুনিয়াতে আবার আসবেন

আপত্তি : মসীহের যুগে রেলগাড়ী আবিষ্কৃত হবে

আপত্তি : আদম থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত দুনিয়ার বয়স ৭ হাজার বছর

আপত্তি : ইমাম মাহদীর কিতাবে ৩১৩ জন সাথীর নাম থাকবে

আপত্তি : ভারতে একজন কাল রংয়ের নবী এসেছিলেন তার নাম কাহেন

আপত্তি : হাদীসে আছে, মসীহ্‌ ছয় হাজার সালে জন্ম নিবেন

আপত্তি : হাদীসে আছে আগত মাসীহ্ জুলকারনাইন হবে

আপত্তি : মসীহ্ (আ.) আসলে তাকে লাঞ্ছিত করা হবে… কুরআন ও হাদীসে এমন কথা আছে

আপত্তি : সহীহ্ হাদীসসমূহে আছে, মসীহ শতাব্দির শুরুতে আসার কথা

আপত্তি: আহমদীরা খতমে নবুওত অস্বীকারকারী

আপত্তি: মির্যা সাহেব এমন নবুওতের দাবি করেছেন যা প্রকাশ্য কুফরি।

আপত্তি: হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) নবীগণের সাথে বে-আদবী করেছেন বা তাদের সম্মানে আঘাত হেনেছেন।

আপত্তি: হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) মুসলমানদেরকে কাফের বলেছেন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।

আপত্তি: ১৭ জুলাই ১৯২২ তারিখের আল-ফজলে আহমদীয়া জামাতের দ্বিতীয় খলীফা বলেছেন, ‘আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে প্রত্যেকে উন্নতি করতে পারে এমনকি মুহাম্মদ (সা.)-এর চেয়েও বেশী উন্নতি করতে পারে।’

আপত্তি: আকমল নামের এক ব্যক্তির একটি কবিতার একটি লাইনে রয়েছে, ‘মুহাম্মদ আবার আমাদের মাঝে এসেছে, মর্যাদায় আগের চেয়ে সামনে বেড়ে পূর্ণাঙ্গীন মুহাম্মদকে যদি কেউ দেখতে চাও কাদিয়ানে এসে গোলাম আহমদকে দেখে যাও।’

আপত্তি- হাযা খালিফাতুল্লাহিল মাহদী বুখারীর হাদিস

আপত্তি: পাঁচ পঞ্চাশের সমান

আপত্তি: সত্য ধর্ম হলে মুরতাদ হয় কিভাবে? শামসুদ্দিন মুরতাদ ও মোল্লাদের উল্লাস।

আপত্তি: মির্যা সাহেব তার বিভিন্ন পুস্তকে ঈসা(আ.)-এর বিভিন্ন কবরের কথা উল্লেখ করেছেন, কোনটি সঠিক?

আপত্তি: মির্যা সাহেব উল্লেখ্য করেছেন যে, মুহাম্মদ (সা.)-এর ১১ পুত্র সন্তান ছিল

আপত্তি: মির্যা সাহেবের মিরাক তথা উন্মাদনার রোগ ছিল

আপত্তি: যে ব্যক্তি পিতার পেনশনের অর্থ চুরি করে খরচ করে সে কীভাবে ইমাম মাহদী হয়?

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন মহানবী (সা.)-এর ১২ জন কন্যাসন্তান ছিলেন!

আপত্তি: মুহাম্মদী বেগম এবং মির্যা আহমদ বেগ সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয় নি

আপত্তি: স্বপ্নে দেখলাম, আমি খোদা এবং বিশ্বাস করলাম

আপত্তি: মির্যা সাহেবের মর্যাদা রসূলুল্লাহ্‌ সাঃ এর কাধ বরাবর (নাউযুবিল্লাহ্‌)

আপত্তি: রাসূল (সা.)-এর দ্বারা দ্বীন প্রচারের কাজ পরিপূর্ণভাবে হয়নি

আপত্তি: মির্যা সাহেব বিরূদ্ধবাদীদের গালি গালাজ করেছেন

আপত্তি: হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) মুসলমানদেরকে কাফের বলেছেন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন

আপত্তি: আল্লাহ্ আমার হাতে বয়াত গ্রহণ করেছেন

আপত্তি : আমার আলামত দশ লক্ষ। রসূলুল্লাহ্(সা.)-এর মু’জিযা তিন হাজার

হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.)-এর সঠিক বয়স প্রসঙ্গ