দশম ও শেষ অভিযোগ: “কাদিয়ানীকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত করে পাঠানো হয়েছে।”
‘মুফতী’ নূরানীর শেষ অভিযোগ হলো, কাদিয়ানীরা বিশ্বাস করে, “কাদিয়ানীকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত করে পাঠানো হয়েছে।” (মুফতী নূরানীর আলোচ্য পুস্তিকা, পৃ:১৬)।
আমাদের বক্তব্য
একমাত্র মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)-ই হলেন রহমতুল্লিল আলামীন” অর্থাৎ সমস্ত জগতের জন্য রহমত। এই উপাধি একমাত্র মহানবীর প্রাপ্য, তিনিই পেয়েছেন। কিন্তু প্রত্যেক মুসলমান স্বভাব-চরিত্রে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)-কে অনুকরণ অনুসরণ করতে চেষ্টা করে।
অন্ততঃ এ চেষ্টাই সবার করা উচিত । কেউ যদি তার এই প্রচেষ্টায় আন্তরিক হয় আর তার এই আন্তরিক প্রচেষ্টাকে খোদা তা’লা কবুল করেন আর তাঁকে প্রতিচ্ছায়াস্বরূপ রূপক অর্থে রহমতুল্লিল আলামীন বলা হয় তবে এটা মোটেও কুফুরী নয়। কেননা সে তার নেতা ও গুরু প্রকৃত রহমতুল্লিল আলামীন’-এর রং ধারণ করছে। এই অর্থে খোলাফায়ে রাশেদীন-ও সীমিতভাবে রহমতুল্লিল আলামীন ছিলেন। মুসলিম-অমুসলিম অনেক জাতি তাদের রহমত যুগ যুগ ধরে ভোগ করে আসছে। এই কথার অর্থ কখনও
মহানবী রহমতুল্লিল আলামীন’ (সা:)-এর সমকক্ষতা দাবী করা নয়।
হযরত শেখ নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহ:) সম্বন্ধে বর্ণিত আছে তাকেও কাশফে ‘রহমতুল্লিল আলামীন’ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে। (দেখুন: জাওয়ামেউল কালেম, মলফুযাত হযরত গেসু দারায, পৃ: ২২৬)।
অতএব, আহমদীদের বিরুদ্ধে এই আপত্তি ভিত্তিহীন, অচল
এ পর্যায়ে মুফতী নূরানীর ঘেরাও-ভাঙ্গচুর ও মিথ্যাচার কার্য্যক্রম ‘রহমতুল্লিল আলামীন’-এর আচরণের সাথে কতটুকু সঙ্গতিপূর্ণ এ বিষয়ে বিচার-বিশ্লেষণের দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশের ধার্মিক মুসলমানদের হাতে তুলে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ খণ্ডনের অধ্যায় শেষ করছি।
অন্যান্য উত্তর
- মাসিক মদীনা পত্রিকায় “কাদিয়ানী মতবাদ একটি ফেৎনা” শীর্ষক প্রবন্ধের সংক্ষিপ্ত উত্তর
- হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.)-এর মৃত্যু কিভাবে হয়েছিল?
- হযরত মির্যা সাহেবের মৃত্যুতে বিখ্যাত মনীষীরা কি বলেছিলেন?
- মৌলবী সানাউল্লাহ অমৃতসরীর পরিণাম কি হয়েছিল?
- মির্যা সাহেবের মৃত্যু সম্পর্কিত অপবাদ খণ্ডন
- মাসিক মদীনা: ওহী ইলহামের দরজা হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর ইন্তিকালের পর বন্ধ হয়ে গেছে?
- আহমদীরা মীর্যা গোলাম আহমদকে হযরত মোহাম্মাদ (দঃ)-এর পরিবর্তে শেষ নবী বলে মনে করেন – ভ্রান্ত ধারণার অপনোদন
- অভিযোগ: মুহাম্মদী বেগম সাথে বিয়ের ভবিষ্যদ্বাণীর অপূর্ণতার অভিযোগ
- দ্বিতীয় অভিযোগ: কাদিয়ানীদের বিশ্বাস ও বক্তব্য: “আমি মুহাম্মদ (সা:) থেকে উত্তম নবী”
- তৃতীয় অভিযোগ: “আমি নতুন শরীয়তপ্রাপ্ত নবী” (আরবাঈন, পৃষ্ঠা-৩)