দ্বিতীয় অভিযোগ: কাদিয়ানীদের বিশ্বাস ও বক্তব্য: “আমি মুহাম্মদ (সা:) থেকে উত্তম নবী”


দ্বিতীয় অভিযোগঃ ‘মুফতী নূরানী তার পুস্তিকার ৯ম পৃষ্ঠায় বলেছেন, কাদিয়ানীদের বিশ্বাস ও বক্তব্য: “আমি মুহাম্মদ (সা:) থেকে উত্তম নবী” (বারাহীনে আহমদীয়া, পৃষ্ঠা ৫৬)

আমাদের বক্তব্য

নাউযুবিল্লাহ্, নাউযুবিল্লাহ্। বারাহীনে আহম্দীয়ার কোন খন্ডের কোন পৃষ্ঠাতে এমন কোন দাবীই নেই। মহানবী (সা:) হলেন সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সবচেয়ে বড় নবী। তার (সা:) মাধ্যমে ধর্ম পূর্ণতাপ্রাপ্ত হয়েছে আর ইসলাম ধর্ম হলো শেষ ও পরিপূর্ণ শরীয়ত। তার (সা:) চেয়ে বড় হবার কথা হযরত মির্যা সাহেব কক্ষনো দাবী করেন নি, করতেই পারেন না। বরং হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ:) মহানবী খাতামান নবীঈন হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা:)-এর মহান ও অতুলনীয় মর্যাদা জগতের সামনে তুলে ধরার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন। হযরত মির্যা সাহেব লিখেছেন:
“আদম সন্তানের জন্য হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা:) ছাড়া এখন আর কোন রসূল আর শাফী (যোজক) নাই। তাই তোমরা এই ঐশ্বর্য্যপূর্ণ মহান নবীর সাথে সত্যিকার প্রেমবন্ধন গড়ে তুলতে চেষ্টা কর এবং কোনক্রমেই অন্য কাউকে তার ওপর কোন ধরনের শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করো না, যাতে তোমরা আকাশে মুক্তিপ্রাপ্ত হিসেবে গণ্য হতে পারে । মনে রেখো, নাজাত (পরিত্রাণ) এমন কোন জিনিষের নাম নয় যা মৃত্যুর পরে প্রকাশ লাভ করবে বরং প্রকৃত নাজাত সেটিই যা এ জগতেই আপন জ্যোতিঃ প্রকাশ করে।
সত্যিকার নাজাতপ্রাপ্ত কে? সে-ই, যে বিশ্বাস করে-আল্লাহ্ তা’লা সত্য এবং মুহাম্মদ (সা:) তার এবং সৃষ্টির মাঝে শাফী বা মধ্যবর্তী যোজক এবং আকাশের নীচে তার সমপর্যায়ের অন্য কোন রসূল নাই এবং পবিত্র কুরআনের সমমর্যাদায় অন্য কোন ধর্মগ্রন্থও নাই। অন্য কাউকে আল্লাহ্ তা’লা চিরস্থায়ী জীবন দানের ইচ্ছা করেন নি, কিন্তু তার মনোনীত এই নবী চিরঞ্জীব।”
(কিশতিয়ে নূহ, পৃ: ১৩)
হযরত মির্যা সাহেব তার সমস্ত রচনায় ও বক্তব্যে আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের (সা:)-প্রশংসা ও মাহাত্ম্য তুলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন;
“আমি এখন কেবল আল্লাহ্র প্রতি কর্তব্য হিসেবে অতীব জরুরী এ বিষয়টি জানাচ্ছি, আল্লাহ্ তা’লা চতুর্দশ হিজরী শতাব্দীর প্রারম্ভে সুরক্ষিত ইসলাম ধর্মের সংস্কার ও সমর্থনের উদ্দেশ্যে আমাকে তার পক্ষ থেকে প্রত্যাদিষ্ট করে প্রেরণ করেছেন। এই রোগাক্রান্ত যুগে কুরআন শরীফের মাহাত্ম্য আর মহানবী মুহাম্মদ রসূলুল্লাহ্ (সা:)-এর শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করা আমার কর্তব্য। এবং খোদা-প্রদত্ত আত্মিক জ্যোতিঃ, অনুগ্রহরাজি, ঐশী নিদর্শন আর খোদা-প্রদত্ত বিশেষ জ্ঞান দ্বারা ইসলাম ধর্মের ওপর আক্রমণকারী সকল শত্রুকে প্রতিহত করাও আমার কাজ।”
(বারাকাতুদ দোয়া পুস্তক, রূহানী খাযায়েন, ষষ্ঠ খন্ড-পৃ: ৩৪)
অতএব, আলেম নামধারী মিথু্যকের জন্য আমাদের উত্তর: লা’নাতুল্লাহে আলাল কাযেবীন। মিথ্যাবাদীদের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ।