পঞ্চম অভিযোগ: আমার প্রতি ঈমান না আনার কারণে সে কাফের হয়ে যাবে
১৩ নং পৃষ্ঠায় ‘মুফতী’ নূরানী লিখেছেন, কাদিয়ানীদের বিশ্বাস ও বক্তব্য: “প্রথম থেকে কোন ব্যক্তি মুসলমান থাকলেও আমার প্রতি ঈমান না আনার কারণে সে কাফের হয়ে যাবে।” (হাকীকাতুল ওহী)
আমাদের বক্তব্য
মুসলমান মাত্রই জানে, আমাদের নবী বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) বলে গেছেন, যে তার মুসলমান ভাইকে কাফের আখ্যা দিবে সেই কুফুরী উল্টো তারই ওপর বর্তাবে’ (মুসলিম শরীফ)।
মহানবী (সা:)-এর এই শিক্ষা অনুযায়ী হযরত মির্যা সাহেব বছরের পর বছর বুঝানো সত্ত্বেও যে সব আলেম তাদের পক্ষ থেকে প্রথমে প্রদত্ত কুফুরী ফতোয়া তুলে নেয়নি
তাদের সম্বন্ধে হাকীকাতুল ওহী গ্রন্থে একটি পাল্টা ফতোয়া দিয়েছেন। এটা ছিল হযরত মির্যা সাহেবের বিপক্ষে আলেম-ওলামা প্রদত্ত কুফুরী ফতোয়ার জবাব। হযরত মির্যা সাহেব আগ বাড়িয়ে কখনও প্রথমে কারো বিষয়ে ফতোয়া দেন নি। এটা আহমদীয়া জামাতের চ্যালেঞ্জ।
এ প্রসঙ্গে হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আ:) নিজেই দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করেছেন, “প্রথমে এরা আমার বিরুদ্ধে কুফুরী ফতোয়া লেখে আর প্রায় দু’শজন মৌলভী এর সত্যায়ন করে আর আমাকে কাফের ঘোষণা দেয় ……
আবার এই মিথ্যাচারকে লক্ষ্য করে দেখ, আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, আমরা নাকি বিশ কোটি কলেমা-পাঠকারী মুসলমানকে কাফের সাব্যস্ত করেছি! অথচ আমাদের পক্ষ থেকে আগ বাড়িয়ে প্রথমে কিছুই করা হয় নি। এদের ওলামারা প্রথমে আমাদের বিরুদ্ধে কুফুরী ফতোয়া লিখেছে আর পাঞ্জাব ও হিন্দুস্থানজুড়ে আমাদেরকে কাফের ঘোষণা দিয়েছে। নির্বোধ লোকেরা এসব ফতোয়ার কারণে আমাদেরকে এত ঘৃণা করতে আরম্ভ করেছে যার ফলে তারা সোজাভাবে আমাদের সাথে নম্র কথা বলাকেও পাপ মনে করছে । কোন মৌলভী বা কোন বিরুদ্ধবাদী অথবা কোন গদীনশীন পীর তাদের কুফরী ফতোয়া প্রদানের পূর্বে আমি প্রথমে তাদেরকে কাফের আখ্যা দিয়েছিলাম বলে কখনও কি প্রমাণ দিতে পারবেন?
আমাদের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এমন কোন কাগজ, বিজ্ঞাপন বা পত্রিকা দেখাতে পারলে তারা দেখাক। অন্যথায় নিজেরাই চিন্তা করে দেখুক এটা কত বড় জালিয়াতি! নিজেরাই প্রথমে আমাকে কাফের ঘোষণা দিয়ে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আরোপ করছে আমরা নাকি সব মুসলমানকে কাফের আখ্যা দিয়েছি!! (হাকীকাতুল ওহী, পৃ: ১২২, ১২৩)
অতএব, মুসলমানকে কাফের আখ্যা দান করার বিষয়ে আমাদের সবাইকে সাবধান হতে হবে। তা না হলে মহানবী (সাঃ)-এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কুফুরী ফতোয়া উল্টো কাফের ঘোষণাকারীদের ওপরই বর্তাবে।
অন্যান্য উত্তর
- মাসিক মদীনা পত্রিকার প্রশ্নোত্তরের কলামের উত্তর – ইমাম মাহদীর আগমন ও নিদর্শন স্বরূপ চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ
- মাসিক মদীনার মিথ্যাচারের উত্তর – পবিত্র কুরআনের কিছু অংশ ছেটে ফেলা এবং ঈসা (আঃ)-কে শূলীবিদ্ধ করে মেরে ফেলা হয়েছে
- ইসলামী প্রতীকসমূহের ব্যবহার আহ্মাদী ফিরকার জন্য আইনতঃ নিষিদ্ধ হওয়া উচিত কি?
- মাসিক মদীনায় প্রকাশিত “আহমদী সম্প্রদায় : আমার বক্তব্য” – আপত্তির উত্তর
- ঈসা (আ.) কি আসবেন? – মাসিক মদিনায় প্রকাশিত প্রশ্নের উত্তর
- মাসিক মদীনা পত্রিকায় “কাদিয়ানী মতবাদ একটি ফেৎনা” শীর্ষক প্রবন্ধের সংক্ষিপ্ত উত্তর
- হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.)-এর মৃত্যু কিভাবে হয়েছিল?
- হযরত মির্যা সাহেবের মৃত্যুতে বিখ্যাত মনীষীরা কি বলেছিলেন?
- মৌলবী সানাউল্লাহ অমৃতসরীর পরিণাম কি হয়েছিল?
- মির্যা সাহেবের মৃত্যু সম্পর্কিত অপবাদ খণ্ডন