ঈসা (আ.) কি আসবেন? – মাসিক মদিনায় প্রকাশিত প্রশ্নের উত্তর


এই ঈসা (আ.) খ্রিষ্টানদের নবী সেই ঈসা (আ.) নহেন

জানুয়ারী ২০১১ সংখ্যা মাসিক মদীনায় প্রশ্নোত্তর কলামে জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছেন, “ঈসা (আ.) কি আসবেন? প্রমাণ ভিত্তিক উত্তর চাই। ঈসা (আ.) যে আসবেন একথা কি পবিত্র কুরআনে আছে?” উত্তর দাতা বলেছেন, “হযরত ঈসা (আ.) কিয়ামতের প্রাক্কালে অবশ্যই আসবেন। তিনিই পৃথিবীর বুকে আবির্ভূত ভয়ঙ্কর অপশক্তি দাজ্জালকে হত্যা করবেন।

হযরত ঈসা (আ.) যে আসবেন এ সম্পর্কিত হাদীস শরীফে শতাধিক বর্ণনা রয়েছে। এই বর্ণনাগুলির মধ্যে আনুয়ার শাহ কাশ্মীরী অনন্য চল্লিশখানা হাদীসকে বিশুদ্ধতায় সর্বোচ্চ স্তরের বলে উল্লেখ করেছেন। পবিত্র কুরআনে হযরত ঈসা (আ.) পুণরাবির্ভাব সম্পর্কিত কোন আয়াত আমার দৃষ্টিতে গোচর হয়নি। তাই বলে একথা বলা যাবে না যে, কুরআনে যেহেতু নাই, তাই বিষয়টি সন্দেহযুক্ত হতে পারে। কেননা সন্দেহ যুক্ত হাদীসের বর্ণনা কুরআনের বর্ণনার পাশাপাশি স্থান পাওয়ার যোগ্য”।

খাঁটি ঈমান ধর্মের একটি প্রধান ও প্রাথমিক ভিত্তি। ইহা ধারণ না করলে ধর্মের কোন ভিত্তি থাকে না। ঈমান অলীক বা অসত্য বিষয়ে অন্ধ বিশ্বাস নহে। ইহা স্বত: সিদ্ধ সত্য বিষয়ে বিশ্বাস। যদি কেউ বলে যে, গত রাত্রে হিমালয় পর্বত উড়ে গিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে পতিত হয়েছে, তা কখনো বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না। কেননা তা সত্য বিশ্বাস নহে। ঈমানদার মুমিন মুসলমানগণ চির সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে পর্বতের ন্যায় অচল অটল থাকে যা কখনো লোপ পায় না। ঝড় ঝঞ্চা আপদ বিপদ যতো কিছুই আসুক না কেন, বিশ্বাসে অটল থাকবে, কখনো পিছপা হয় না। অসত্যের উপর বিশ্বাস অলীক ক্ষণস্থায়ী ও ভঙ্গুর, ধ্বংস প্রাপ্ত হয়।

প্রতিটি মু’মিন মুসলমানের পক্ষে দৃঢ় ঈমান রাখা অত্যাবশ্যক যে, হাদীস কখনো পবিত্র কুরআন করীমের সমকক্ষ হতে পারে না সে হাদীসের বর্ণনাকরী যত বড় আলেম ওলেমা মুফতী মাওলানা শাহ সূফী মতবাদধারীই হোন না কেন তা কখনো মর্যাদায় পবিত্র কুরআনের সমকক্ষ হতে পারে না। যে বিষয়টি সম্পর্কে পবিত্র কুরআন করীমে কোন উল্লেখ নাই অথচ হাদীসের দোহাই দিয়ে প্রচলন করে বিশ্বাস করা এবং তা জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করা ইসলামের দৃষ্টিতে বেদাত এবং নববিধান। হযরত রাসূলে পাক (সা.) বলেছেন, “যে কেহ আমার শিক্ষার ভিতর এমন সব নব বিধান প্রবর্তন করে সে অভিশপ্ত।”

“যে ব্যক্তি আমার নামে মিথ্যা রটনা বা বর্ণনা করে জাহান্নামই তার স্থান।” পবিত্র কুরআনের আলোকে যা প্রমাণিত না হয়, যে বিষয়টি কুরআন করীম সমর্থন করে না তা অন্ধ ছেলেকে পদ্মলোচন আখ্যা দেয়ারই নামান্তর। পবিত্র কুরআন ও হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শ শিক্ষার পরিপূর্ণ কার্য বিপথগামী পথভ্রষ্টতা ও বেঈমানীর লক্ষণ ব্যতীত আর কিছুই নহে।

পবিত্র কালামে আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন, “যারা ইহজগতে অন্ধ থাকবে তারা পরজগতেও অন্ধ থাকবে।” (সূরা বনী ইসরাঈল) একথার মানে ইহা নয় যে, মাতৃগর্ভ থেকে যারা চক্ষুহীন অবস্থায় অন্ধ হয়ে জন্মগ্রহণ করবে পরজগতে তারাই অন্ধ থাকবে বরং আধ্যাত্মিক জ্ঞান চক্ষু যাদের অন্ধ তারাই পরজগতে অন্ধ থাকবে। “বাহ্যিক চর্মচক্ষু অন্ধ নয়, পরন্তু হৃদয়চক্ষু অন্ধ, যা বক্ষে আছে। “ (সূরা আলহাজ্জ) তারা বুঝবে না, এজন্য নিশ্চয়ই আমরা তাদের দিলের উপর পর্দা ফেলে দিয়েছি এবং কর্ণ বধির করে দিয়েছি।” (সূরা কাহাফ)

অনেক এমন হাদীস রয়েছে যার ভাব ও ভাষা রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। সেগুলিকে আধ্যাত্মিক জ্ঞান চক্ষুতে দেখে বিচার বিশ্লেষণ না করে বাহ্যিক চর্মচক্ষুতে দেখে বিচার বিশ্লেষণ করলেই তা একজন বিবেকবান বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাছে হয় সন্দেহযুক্ত, কুরআন করীমের বিরোধী বলে ধারনা জন্মে। যেমন হযরত ঈসা (আ.) অবশ্যই আসবেন এটা হাদীসের কথা কিন্তু কোন ঈসা (আ.), খ্রিষ্টানদের নবী ঈসা (আ.) না অন্য কেহ? খ্রিষ্টানদের নবী হযরত ঈসা (আ.) তো স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন ইহা পবিত্র কুরআনের কথা। যেমন বলা হয়েছে, “হযরত মুহাম্মদ রাসূল (সা.) ব্যতীত আর কিছুই নন।

তাঁর পূর্ববতী রাসূলগণ মৃত্যুবরণ করেছেন।” (সূরা আলে ইমরান) এমতাবস্থায় যদি কেহ বিশ্বাস পোষণ করে যে, খ্রিষ্টানদের নবী ঈসা (আ.) আসবেন তা হলে এটা পবিত্র কুরআন করীমের বিরোধী, মিথ্যা মনগড়া কাল্পনিক অসত্য অলীক ও ভ্রান্ত বিশ্বাস। বাংলার বিখ্যাত আলেম মওলানা আকরাম খাঁ সাহেব কুরআন করীমের সূরা আলে ইমরান তফসীর গ্রন্থে কুরআন হাদীস যুক্তি প্রমাণ ও দলীল দ্বারা হযরত ঈসা (আ.)-এর মৃত্যু প্রমাণ করেছেন।

একজন ঈমানদার মুমিন মুসলমানের পক্ষে অটল বিশ্বাস থাকা একান্ত আবশ্যক যে, যার জন্য আল্লাহ্ তাআলা আসমান জমীন এবং এতদুভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে তৎসমূদয় সৃষ্টি করেছেন, সেই রাহমাতুল্লিল আলামীন জগতগুরু হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.) যখন মরে গিয়ে মদীনার মাটিতে শুয়ে আছেন, এমতাবস্থায় আকাশে পাতালে বা অন্য কোথাও কেউ বেঁচে নেই এবং বেঁচে থাকতে পারে না।

যদি কারো বেঁচে থাকার প্রয়োজন হতো এবং আল্লাহ্‌ তাআলা যদি কাউকে বাঁচিয়ে রাখতে চাইতেন তাহলে তার পেয়ারা বান্দা বিশ্বনবী মানবকূল শ্রেষ্ঠ হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.) কে-ই বাচিয়ে রাখতেন এবং তিনিই বেঁচে থাকতেন। যারা খ্রিষ্টানদের নবী ঈসা (আ.)-এর আগমন অপেক্ষায় আসমানের দিকে তাকিয়ে আছেন, তারা অন্ধের হাতী দেখার ন্যায় হাতড়িয়ে মরছেন। মানবমুকুট হযরত রাসূল করীম (সা.) বলেছেন, “আমার উম্মতগণ হুবহু ইহুদী খ্রিষ্টানদের পথ অনুসরণ করে চলবে।” (বুখারি ও মুসলিম) দৈনন্দিন পাচ ওয়াক্ত নামাযে প্রতি রাকাতে সূরা ফাতেহায় আল্লাহ্‌ তাআলার দরবারে করুণা ভিক্ষা প্রার্থনা করা হয় যে, হে আল্লাহ্ তাআলা আমাদেরকে সত্য সঠিক ও সরল পথে চালিত কর। অভিশপ্ত ইহুদী ও পথভ্রষ্ট খ্রিষ্টানদের পথে চালিত করো না। প্রশ্ন এই যে, ইহুদীগণ কি কারণে অভিশপ্ত হলো? এবং খ্রিষ্টান গণই বা পথভ্রষ্ট হওয়ার প্রকৃত কারণ কি? হযরত ঈসা (আ.)-এর আগমন হয়েছিল ইহুদী জাতির মধ্যে ইহুদী জাতিকে উদ্ধার কল্পে। যে কারণে ইহুদীগণ হযরত ঈসা (আ.)-কে গ্রহণ করতে পারে না বরং ক্রুশে দিয়ে হত্যা করার ষড়যন্ত করেছিল, তার প্রকৃত কারণ হলো ইহুদীগণের বিশ্বাস অনুযায়ী হযরত ঈসা (আ.)-এর পূর্ববর্তী নবী ইলিয়াস (আ.) আসমানে আছেন। আসমান থেকে নেমে এসে তিনি যুদ্ধ বিগ্রহ দ্বারা শক্তি বল প্রয়োগে জগৎ জয় করবেন। ইহুদী জাতির এ বিশ্বাস এখনো বর্তমান।

খ্রিষ্টান জাতির পথভ্রষ্ট হওয়ার কারণ এই যে, তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল ভক্ষণ হেতু বাবা আদম পাপী ছিলেন। উত্তরাধিকার সূত্রে আদমসন্তানগণ সকলেই পাপী। ঈশ্বর একমাত্র তার জাত পুত্র যীশুকে ঈসা (আ.)কে] পৃথিবীতে প্রেরণ করলেন। ঈশ্বর পুত্র যীশু (ঈসা আ.) ক্রুশে রক্ত দিয়ে আদি পাপের প্রায়শ্চিত্ত করে স্বর্গে নীত হয়ে ঈশ্বরের ডান পাশে বসে আছেন। যেরূপভাবে মেঘ রথে আরোহণপূর্বক স্বর্গে নীত হয়েছিলেন, সেইরূপভাবে মেঘ রথে আরোহণপূর্বক আবার তিনি পৃথিবীতে নেমে এসে জগত জয় করবেন।

মুসলমান জাতির নায়েবে রাসূলের দাবীদান আলেম ওলেমা মুফতী, মওলানা, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ইসলামিক চিন্তাবিদ বলিষ্ঠ কন্ঠস্বরদের পরস্পর বিরোধী বিশ্বাস এই যে, হযরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বশেষ নবী। তার পরে আর কোন নবী নাই। তিনি মরে গিয়ে মদীনার মাটিতে শুয়ে আছেন কিন্তু খ্রিষ্টানদের নবী হযরত ঈসা (আ.) মরেন নাই। আল্লাহ্ তাআলা তাঁকে স্বশরীরে আসমানে তাঁর কাছে তুলে নিয়েছেন। আবার তিনি আসমান থেকে নেমে এসে খ্রিষ্টানজাতিকে নয় বরং বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মত মুসলমান জাতিকে দাজ্জালের কবল থেকে উদ্ধার করবেন। বিশ্বাসের দিক দিয়ে ইহুদী খৃষ্টান ও মুসলমানজাতি একই পথের যাত্রী হয়ে হযরত রাসূল করীম (সা.)-এর পবিত্র বাণী যে আজ অক্ষরে অক্ষরে পূর্ণ হয়ে গেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। যেহেতু ইহুদী, খ্রিষ্টান ও মুসলমান জাতি একই মত ও পথ বিশ্বাসী। সেই ইহুদী খৃষ্টান সদৃশ জাতিকে উদ্ধার কল্পে হযরত ঈসা সদৃশ নবীউল্লাহর আগমন হয়ে গেছে। এই ঈসা (আ.) খ্রিষ্টানদের নবী সেই ঈসা (আ.) নন। ঈসা (আ.)-এর গুণ ও বৈশিষ্ট-তুল্য মুহাম্মদী ঈসা নবী উল্লাহ। কোন নবীর দ্বিতীয়বার আগমনের অর্থ তার গুণ বিশিষ্ট নবীর আগমন। আল্লাহ্ তাআলা সঠিক সময়ে হযরত ঈসা (আ.)-এর স্বভাব গুণাবলী ও তুল্য মুহাম্মদী ঈসা (আ.) রূপে হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আ.)-কে কাদিয়ানে আবির্ভূত করলেন। সূরা ফাতেহাতে এই প্রার্থনাই শিক্ষা দেওয়া হয়েছে যে, ইহুদীগণ যেমন হযরত ঈসা (আ.)-কে অগ্রাহ্য করে মুসলমানগণ যেন নব্য ইহুদীরূপে পরিণত হয়ে অভিশপ্ত না হয়।

হযরত ঈসা (আ.) আসমান থেকে নেমে এসে ঢাল তলোয়ার হস্তে দাজ্জালকে বধ করবেন। ইসলাম শান্তি ও নিরাপত্তার ধর্ম। পৃথিবীতে শান্তি সুখের স্বর্গভূমি গড়ে তোলাই ইসলামের মূল উদ্দেশ্য। ইসলামের আদর্শ শিক্ষা প্রীতি, প্রেম, ভালোবাসা ও মহব্বতের পবিত্র বন্ধনে এক মানুষ আরেক মানুষকে মানুষের ভাই হিসেবে একতা শৃঙ্খলা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, হত্যা, মারা-মারি, খুনা-খুনি দ্বারা অশান্তি সৃষ্টি করা ব্যতীত কখনো শান্তি কায়েম হতে পারে না। যেখানে অশান্তি সেখানে ইসলাম অনুপস্থিত।

আধ্যাত্মিক দৃষ্টিশক্তি অন্ধ হওয়ার কারণেই পবিত্র কুরআন করীমের আলোকে ত্রিত্ববাদী খ্রিষ্টানগণই যে দাজ্জাল তা এ যুগের জ্ঞানান্ধরা চিনতে পারে নাই। ইসলামের প্রধান শত্রুই ত্রিত্ববাদী খ্রিষ্টান জাতি। ইসলামকে ধরাপৃষ্ঠ থেকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে এমন কোন কলা কৌশল অবশিষ্ট রাখেনি যা প্রয়োগ করতে তারা বিন্দু পরিমাণ ত্রুটি করেছে। কিন্তু নায়েব রাসূলের দাবীদার আলেম ওলেমা মুফতী, মাওলানা সাহেবগণ ঘুমের ঘোরে অচেতন অবস্থার কারণে দাজ্জালকে চিনে উঠতে পারে নাই, বরং দাজ্জালের দেখানো ও শেখানো পথই তারা অনুসরণ করে চলছে। তাই মহানবী হযরত রাসূল করীম (সা.) বলেছেন, “বহু টুপিধারী ব্যক্তি দাজ্জালকে অনুসরণ করে চলবে।” হযরত রাসূল করীম (সা.)-এর পবিত্র বাণী আজ অক্ষরে অক্ষরে পূর্ণ হয়ে গেছে।

“যেন সেই ব্যক্তি ধ্বংস হয় যে দলিল প্রমাণ দ্বারা ধ্বংস হয়েছে এবং যেন সেই ব্যক্তিই জীবিত হয় যে দলিল প্রমাণ দ্বারা জীবন লাভ করেছে।” (সূরা আনফাল) যুক্তি দলিল প্রমাণাদি দ্বীন ইসলামের মূল হাতিয়ার। ইসলামের সুমহান শান্তির বাণী প্রচারের মাধ্যমে যুক্তি প্রমাণ ও দলিলাদি দ্বারা ত্রিত্ববাদী দাজ্জালের মতবাদকে খন্ডন করে ইসলাম বা শান্তির সুশীতল ছায়াতলে নিয়ে আসার দায়িত্ব ছিল ইসলামের নামধারী নায়েবে রাসূলের দাবীদারদের উপর।

ইহুদী খ্রিষ্টানগণের খপ্পরে পতিত হয়ে নায়েবে রাসূলের দাবীদারগণ ইসলামের প্রচার ও প্রসারের দরজায় তালা লাগিয়ে ঘুমের ঘোরে হলো অচেতন। এই অবস্থায় আল্লাহ্ তাআলা প্রতিশ্রুতি ও হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী যথাসময়ে হযরত মীর্যা গোলাম আহমদ (আ.)-কে মুহাম্মদী ঈসা (আ.) রূপে কাদিয়ানে আবির্ভূত করলেন। তিনি এসে ইসলামের প্রচার ও প্রসারকল্পে আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত নামে এক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে নেতা বিহীন দল ও উপদলে শতধা বিচ্ছিন্ন মুসলমান জাতিকে ঐক্যের ডাক দিলেন।

একমাত্র আহমদী জামাতের প্রচারকগণই ইসলামের প্রচার ও প্রসারকল্পে আল্লাহর পথে জীবন উৎসর্গ করে পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে নিয়োজিত আছেন। তাদেরই অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগের ফলে ত্রিত্ববাদী খ্রিষ্টান ও অন্যান্য ধর্মের বহু মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এসে সমবেত হয়েছে এবং হচ্ছে। আর দূরে না থেকে আপনিও নিজেকে এ ঐক্যের বাধনে বেঁধে নিন।

 

“এই ঈসা (আ.) খ্রিষ্টানদের নবী সেই ঈসা (আ.) নহেন”

সরফরাজ এম. এ. সাত্তার রঙ্গু চৌধুরী

পাক্ষিক আহ্‌মদী – নব পর্যায় ৭৩বর্ষ | ২২তম সংখ্যা | ৩১ই মে, ২০১১ইং | পৃষ্ঠা: ১৫ – ১৬