আপত্তি: ১৭ জুলাই ১৯২২ তারিখের আল-ফজলে আহমদীয়া জামাতের দ্বিতীয় খলীফা বলেছেন, ‘আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে প্রত্যেকে উন্নতি করতে পারে এমনকি মুহাম্মদ (সা.)-এর চেয়েও বেশী উন্নতি করতে পারে।’
উত্তর: কোন উদ্ধৃতির খন্ডিত অসম্পূর্ণ অংশ তুলে ধরে আপত্তিকারীরা সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করেছে। কেননা, ঠিক পরের লাইনেই লেখা আছে, ‘কিন্তু দেখার বিষয় হল, আধ্যাত্মিকতার এই ময়দানে সবচেয়ে বেশী উন্নতি করেছেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। শুধু তাই নয় আল্লাহ তা’লা এ সাক্ষীও দিয়েছেন তিনি(সা.) পরবর্তীতে আগমনকারীদের থেকেও উন্নত পর্যায়ে রয়েছেন।’ আপত্তিকারী নিজের পক্ষ থেকে নিছক আপত্তি করার জন্য এই অংশটুকু বাদ দিয়ে দিয়েছে; এটি কী কোন সৎ মুসলমানের কাজ হতে পারে? পাঠকের বিবেকের কাছে প্রশ্ন। বরং আধ্যাত্মিক ময়দানে প্রত্যেকেই উন্নতি করতে পারে বলে স্পষ্ট করেছেন, আধ্যাত্মিকতার ময়দান সবার জন্য উন্মুক্ত না থাকলে অপরাপর মানুষের তুলনায় মুহাম্মদ(সা.)-এর শ্রেষ্ঠত্ব বা কৃতিত্ব প্রমাণ হয় না। এর উদাহরণ এভাবেও দেয়া যায়, ধরুন কোন দৌড় প্রতিযোগিতা হচ্ছে আর তাতে একজন এমন রেকর্ড করল যাকে বিশ্বরেকর্ড আখ্যায়িত করা হল। এই ঘোষণায় প্রতিযোগিতা বন্ধ করে দেয়া হয় নি। প্রতিযোগিতা সবার জন্য উন্মুক্ত সবাই নিজেকে এই ময়দানে যাচাই করে দেখতে পারে। এ বিষয়টিই আধ্যাত্মিকতার ময়দান সম্পর্কে মির্যা বশীরুদ্দীন মাহমুদ আহমদ (রা.) বলেছেন অর্থাৎ মহানবী(সা.) আধ্যাত্মিকতার ময়দানে বিশ্বরেকর্ড করেছেন, কিন্তু অন্যদের জন্য এই ময়দান বন্ধ বা রুদ্ধ করে দেয়া হয় নি। ১৭ই জুলাই ১৯২২ সালের আল-ফজল পত্রিকার যেখানে আপত্তি তোলা হয়েছে ঠিক সেখানেই আহমদীয়া জামা’তের দ্বিতীয় খলীফা লিখেছেন, আল্লাহ তা’লা যেহেতু সব বিষয় ও যুগ সম্পর্কে অবহিত তাই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন ভবিষ্যতেও এমন কোন মানুষের জন্ম হবে না যে মুহাম্মদ(সা.)-কে পেছনে ফেলতে পারে (বক্স দ্রষ্টব্য)। অতএব, উন্নতির ময়দান ও মার্গ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকা সত্ত্বেও হযরত মুহাম্মদ(সা.) সবচেয়ে বেশী উন্নতি করেছেন এবং উৎকর্ষে সব যুগের সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন। এটিই মহানবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠত্ব। অতএব আহমদীরা কখনই মহানবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠত্ব অস্বীকার করে নি, করতেই পারে না।
অন্যান্য উত্তর
- মাসিক মদীনা পত্রিকার প্রশ্নোত্তরের কলামের উত্তর – ইমাম মাহদীর আগমন ও নিদর্শন স্বরূপ চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ
- মাসিক মদীনার মিথ্যাচারের উত্তর – পবিত্র কুরআনের কিছু অংশ ছেটে ফেলা এবং ঈসা (আঃ)-কে শূলীবিদ্ধ করে মেরে ফেলা হয়েছে
- ইসলামী প্রতীকসমূহের ব্যবহার আহ্মাদী ফিরকার জন্য আইনতঃ নিষিদ্ধ হওয়া উচিত কি?
- মাসিক মদীনায় প্রকাশিত “আহমদী সম্প্রদায় : আমার বক্তব্য” – আপত্তির উত্তর
- ঈসা (আ.) কি আসবেন? – মাসিক মদিনায় প্রকাশিত প্রশ্নের উত্তর
- মাসিক মদীনা পত্রিকায় “কাদিয়ানী মতবাদ একটি ফেৎনা” শীর্ষক প্রবন্ধের সংক্ষিপ্ত উত্তর
- হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.)-এর মৃত্যু কিভাবে হয়েছিল?
- হযরত মির্যা সাহেবের মৃত্যুতে বিখ্যাত মনীষীরা কি বলেছিলেন?
- মৌলবী সানাউল্লাহ অমৃতসরীর পরিণাম কি হয়েছিল?
- মির্যা সাহেবের মৃত্যু সম্পর্কিত অপবাদ খণ্ডন