তৃতীয় অভিযোগ: “আমি নতুন শরীয়তপ্রাপ্ত নবী” (আরবাঈন, পৃষ্ঠা-৩)


তৃতীয় অভিযোগ: – মুফতী নূরানী তার পুস্তিকার ১০ নং পৃষ্ঠায় কাদিয়ানীদের বিশ্বাস ও বক্তব্য ইনভার্টেড কমার মধ্যে তুলে ধরেছেন, “আমি নতুন শরীয়তপ্রাপ্ত নবী” (আরবাঈন, পৃষ্ঠা-৩)।

আমাদের উত্তর

নাউযুবিল্লাহ্ মিন যালিক। এই বাক্যটিই উক্ত পুস্তকের কোথাও নেই। আহমদীয়া জামাতের পবিত্র প্রতিষ্ঠাতা এমন কোন দাবীও করেন নি ।
মুফতী নূরানীর প্রতি আমাদের চ্যালেঞ্জ, সত্যবাদী হয়ে থাকলে পূর্বাপর উল্লেখ করে সেই পূর্ণাঙ্গীন উদ্ধৃতি উপস্থাপন করুন যেখানে নতুন শরীয়তপ্রাপ্তির ঘোষণা দেয়া হয়েছে বলে আপনার দাবী । সমগ্র আহমদীয়া  রচনায় ঘূণাক্ষরেও এমন কোন দাবী নেই।

আল্লাহ্ তা’লা তার শেষ ঐশীগ্রন্থ পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেছেন; “আল ইয়াওমা আকমালতু লাকুম দীনাকুম ওয়া আতমামতু আলাইকুম নে’মাতী ওয়া রাযিতু লাকুমুল ইসলাম দীনা”
(সূরা মায়েদা: প্রথম রুকূ)

অর্থাৎ “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্মকে সম্পূর্ণ করলাম – আর তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহকে পরিপূর্ণ করলাম আর ইসলামকে তোমাদের ধর্মরূপে মনোনীত করলাম।” এ ঘোষণার পর কোন আহমদী নতুন কোন শরীয়তের কথা কল্পনাও করতে পারে না। হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ:) স্পষ্ট ভাষায় বলে গেছেন?
“আমরা মুসলমান। এক-অদ্বিতীয় খোদা তা’লার প্রতি ঈমান রাখি এবং লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু কলেমায় আমরা বিশ্বাসী। আমরা কুরআনকে খোদার কিতাব এবং তাঁর রসূল খাতামুল আম্বিয়া হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামকে মান্য করি। আমরা ফেরেশতা, পুনরুত্থান দিবস (কিয়ামত), জান্নাত ও জাহান্নামে বিশ্বাসী। আমরা নামায পড়ি ও রোযা রাখি এবং কিবলামুখী হই। যা কিছু আল্লাহ্ ও রসূল (সা:) হারাম’ (নিষিদ্ধ) আখ্যা দিয়েছেন সেগুলোকে আমরা হারাম জ্ঞান করি এবং যা কিছু ‘হালাল’ (বৈধ) করেছেন সেগুলোকে হালাল আখ্যা দেই। আমরা শরীয়তে কোন
কিছু সংযোজনও করি না, বিয়োজনও করি না এবং এক বিন্দু পরিমাণও কম-বেশি করি না। যা কিছু রসূলুল্লাহ্ (সা:)-এর মাধ্যমে আমরা পেয়েছি আমরা এর হিকমত বুঝি বা না বুঝি কিংবা এর অন্তর্নিহিত তত্ত্ব নাইবা উদঘাটন করতে পারি-আমরা তা গ্রহণ করি। আমরা আল্লাহর ফযলে বিশ্বাসী, একত্ববাদী মুসলমান।” (নূরুল হক পুস্তক, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা-৫)।

অতএব, মিথ্যাবাদীর অপবাদ ভুল প্রমাণিত হলো। লা’নাতুল্লাহে আলাল কাযেবীন। মিথ্যাবাদীদের প্রতি আল্লাহ্‌র অভিশাপ।