‘বৃটিশ সরকারের রোপিত বৃক্ষ’ বিষয়ক প্রচারণার উত্তর


অপবাদকারীরা বলেন যে, মির্যা সাহেব লিখেছেন যে, “আহমদীয়া জামাত ইংরেজদের রোপিত বৃক্ষ।” বিরোধীদের বিভিন্ন পুস্তক-পুস্তিকায় এই উদ্ধৃতি উপস্থাপন করে অপবাদ দেয়া হয়েছে যে, “আহমদীয়ত বস্তুতঃ ইংরেজদেরই তৈরীকৃত ধর্ম বা ফির্‌কা।”

উত্তর

হযরত মির্যা সাহেবের, নিজেকে ইংরেজদের রোপিত বৃক্ষ বলে স্বীকার করে নেয়ার অপবাদ একটা নির্জলা মিথ্যা। খোদার ভয়-ভীতি হতে যারা নিজেকে মুক্ত মনে করে, এ অপবাদ তাদেরই প্রতারণা মাত্র। নিম্নে হযরত মির্যা সাহেবের কয়েকটি উদ্ধৃতি দ্বারা অপবাদটির খণ্ডন করছি। হযরত মির্যা সাহেব (আঃ) বলেন-

“আমি অবিরত সংবাদ পাচ্ছি যে, কোন কোন বিদ্বেষ-পরায়ণ ব্যক্তি, যারা ধর্মীয় মতভেদের দরুন বা অন্য কোন কারণে আমার প্রতি হিংসা ও শত্রুতা পোষণ করে, তারা আমার ও আমার বন্ধুগণের সম্বন্ধে সত্যবিরোধী তথ্য সরকারের সম্মানিত প্রশাসকগণের নিকট পৌঁছাচ্ছে। এজন্য আশংকা করছি যে, এদের বিদ্বেষপ্রসূত কার্যকলাপের দরুন সরকারী কর্মকর্তাগণের হৃদয়ে মিথ্যা ধারণা সৃষ্টি হয়ে আমার খান্দানের ঐ সকল প্রাণান্তকর পরিশ্রম সেবা ব্যর্থ ও বরবাদ না হয়ে যায়।” (রূহানী খাযায়েন, কেতাবুল বারীয়া, ১৩ খন্ড, ৩৪৯ পৃঃ)

তিনি আরো লিখেনঃ

“একটানা পঞ্চাশ বছরের অভিজ্ঞতায় যারা বিশ্বস্ত ও আত্মোৎসর্গীকৃত খান্দান বলে প্রতীয়মান হয়েছে, (এখানে আহ্মদীয়া জামাতের কোন উল্লেখ নেই। কেবল মাত্র তার খান্দানের কথা বলা হয়েছে) তাদের সম্বন্ধে সরকার বাহাদুরের সম্মানিত কর্মকর্তাগণ সর্বদা সর্বসম্মতভাবে নিজেদের চিঠিতে এই সাক্ষ্য প্রদান করেছেন যে, তারা আদি হতে ইংরেজ সরকারের একান্ত হিতাকাক্ষী এবং সেবাকারী। কাজেই এই স্বরোপিত বৃক্ষ (এখানে খান্দানকে বলা হয়েছে) সম্বন্ধে খুব সাবধানতা ও সতর্কতা অবলম্বনপূর্বক অনুসন্ধান করে, চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত।
(রূহানী খাযায়েন, কিতাবুল বারীয়া, ১৩ খন্ড, ৩৫০ পৃঃ)

সুধী পাঠকবৃন্দ। উপরোক্ত লেখায় হযরত মির্যা সাহেব তার খান্দানের কথা উল্লেখ করেছেন, আহমদীয়া জামাতের কথা নয়। তার খান্দানকে স্বরোপিত বৃক্ষ, সরকারের অনুগ্রহের কারণে বলেছেন। প্রকৃতপক্ষে জমিদাররাও বৃটিশ সরকারের প্রতিপালিত ছিলেন। এই সত্য স্বীকারের মধ্যে আপত্তির কী আছে? হযরত মির্যা সাহেব ইংরেজ সরকারের প্রশংসা করেছেন বটে, কিন্তু সাথে সাথে তার কারণও বর্ণনা করেছেন।
“অতএব, হে নির্বোধগণ। শুন! আমি এই সরকারের কোন খোশামোদি করি না। বরং আসল কথা এই যে, এইরূপ সরকার, যারা দীনে ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কোন হস্তক্ষেপ করে না এবং নিজেদের ধর্মের উন্নতির জন্যও আমাদের উপর তরবারী চালায় না, কুরআন শরীফের আলোকে তাদের বিরুদ্ধে ধর্ম যুদ্ধ করা হারাম। কেননা, তারাও কোন ধর্মীয় যুদ্ধ করে না।”

একটু চিন্তা করলেই আসল বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে। ভেবে দেখুন, এমন ব্যক্তি

(ক) যিনি খৃষ্টানদিগকে দাজ্জাল বলেছেন

(খ) তাদের খোদাকে (ঈসাকে) মৃত বলেছেন

(গ) যার কলম সর্বদা ত্রিত্ববাদের বিরুদ্ধে কর্তনকারী ছুবির মত চলেছে

(ঘ) যে ব্যক্তি এই দাবী করেছেন যে, তাদের কল্পিত খোদা বা খোদার পুত্র এই ধরা পৃষ্ঠে আর আসবে না সেই ব্যক্তি কীভাবে ইংরেজদের স্বরোপিত বৃক্ষ হতে পারেন, ভাবতেও অবাক লাগে! অপবাদকারীরা একেবারে উল্টোটা বুঝেন কেন ? যদি মির্যা সাহেব ও তাঁর জামাত ইংরেজদের স্বরোপিত বৃক্ষ হন, নিম্নে বর্ণিত ব্যক্তি ও ফিরকাদের সম্বন্ধে কী রায় দেয়া যেতে পারে, তা নির্ণয় করার দায়িত্ব পাঠকের উপর ছেড়ে দিলাম:

(১) মুজাহেদে মিল্লাহ আল্লামা ইকবাল সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুতে বলেন,

অর্থাৎ যে ভারতবর্ষ! তোমার মাথার উপর হতে খোদার ছায়া উঠে গেল! এখানে
রাণী ভিক্টোরিয়াকে ‘খোদার ছায়া’ বলা হয়েছে।

(২) শামসুল উলামা মাওলানা নযীর আহমদ,দেহলভী বলেন, “সমগ্র ভারতবর্ষের – কল্যাণ এর মধ্যেই নিহিত আছে যে, কোন বহিরাগত শাসক এই দেশ শাসন করুক।
তিনি না হিন্দু হবেন, না মুসলমান হবেন। তিনি ইউরোপের কোন বাদশাহ্ই হউন। কিন্তু খোদার অশেষ মেহেরানী যে, সময়ের প্রয়োজনে তিনি ইংরেজ বাদশা হয়েছেন। (বক্তৃতাগুচ্ছ, মাওলানা নযীর আহমদ দেহলভী, ৪-৫ পৃঃ)

(৩) আহ্‌লে হাদীস ফিরকার নেতা মাওলানা মুহাম্মদ হুসায়েন বাটালভী সাহেব লিখেনঃ

“রোমের সুলতান ইসলামী বাদশাহ্। কিন্তু সাধারণ শান্তি-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি ও
সুশাসনের দিক হতে বৃটিশ সরকার আমাদের স্বজাতি মুসলমানদের জন্য কোন কম গৌরবের কারণ নয় এবং বিশেষভাবে আহ্‌লে হাদীস সম্প্রদায়ের জন্যতো এই সরকার শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্বাধীনতার দিক হতে বর্তমান সময়ে সমগ্র ইসলামী সুলতানদের চাইতেও অধিক গর্বের কারণ।” (ইশায়াতুস সুন্নাহ্‌ পত্রিকা, ১০ম সংখ্যা, ২৯২-২৯৩ পৃষ্ঠা)

(৪) আহরারীদের নেতা মাওলানা জাফর আলী খান বলেন, “আমি মহামান্য
সম্রাটের কপালের এক ফোঁটা ঘামের পরিবর্তে নিজের দেহের রক্ত প্রবাহিত করার জন্য প্রস্তুত আছি এবং ভারতবর্ষের সমগ্র মুসলমানদের এই একই অবস্থা”। (জমিদার পত্রিকা, লাহোর ২৩শে নভেম্বর, ১৮৯১ খৃষ্টাব্দে)

(৫) কারো কারো মতে ওহাবীরা ইংরেজদের স্বরোপিত বৃক্ষ। সাপ্তাহিক তুফান
লিখেছেঃ ইংরেজরা খুবই সতর্কতা ও চালাকীর সাথে নযদীয়ত আন্দোলনের বৃক্ষ। (অর্থাৎ আহলে হাদীস যাকে ওহাবী আন্দোলন বা ন্যদীয়ত আন্দোলনও বলা হয়) ভারববর্ষেও রোপণ করেছে। অতঃপর ইহাকে নিজেদের হাত দ্বারাই উচ্চ শিখরে আরোহণ করিয়াছে” (তুফান, ৭ই নভেম্বর ১৯৬২ ইং)

(৬) “নদওয়তুল উলামায়ে ইসলাম” এর নিজস্ব পত্রিকার উদ্ধৃতি দিলামঃ “যাহা হউক, বিখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষকগণ ইংরেজের অনুগ্রহের ফলশ্রুতি।” (আন্‌ নদওয়া,ডিসেম্বর, ১৯০৮, খৃঃ ৪র্থ পৃঃ)

উল্লেখ থাকে যে, দারুল উলুম নদওয়াতুল ইসলামের ভিত্তি প্রস্তর রেখেছিল ।
“গভর্ণর বাহাদুর স্যার জন স্কট হাউস, কে, সি, এস, আই, ই”।
(আন নদওয়া ডিসেম্বর, ১৯০৮ খৃঃ ৪র্থ পৃঃ)

হযরত মির্যা সাহেবের একটি উদ্ধৃতি দ্বারা এই অধ্যায়কে শেষ করছি।

“পৃথিবী আমাকে জানে না। কিন্তু তিনি আমাকে জানেন, যিনি আমাকে প্রেরণ করেছেন। ইহা এই সকল লোকের ভ্রান্তি এবং দুর্ভাগ্য যে, তারা আমার ধ্বংস কামনা করে। আমি ঐ বৃক্ষ যাকে আল্লাহ স্বহস্তে রোপণ করেছেন। …………… হে মানবমণ্ডলী। তোমরা নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো যে, আমার সাথে ঐ হাত আছে, যা মুহূর্ত পর্যন্ত আমার সাথে বিশ্বস্ততা রক্ষা করবে। যদি তোমাদের পুরুষেরা, তোমাদের স্ত্রীলোকেরা, তোমাদের যুবকেরা, তোমাদের বৃদ্ধেরা তোমাদের কনিষ্ঠেরা এবং তোমাদের বয়োজ্যেষ্ঠরা সকলে মিলে আমার ধ্বংসের জন্য দোয়া করো, এমন কি সিজদা করতে করতে যদি তোমাদের নাক গলে যায় এবং হাত অবশ হয়ে যায়, তবুও খোদা কখনো। তোমাদের দোয়া শুনবেন না এবং যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি নিজের কাজকে পূর্ণ না করবেন, ততক্ষণ তিনি ক্ষান্ত হবেন না (তোহফায়ে গোলড়াবিয়া, ১২-১৩ পৃঃ)।

অন্যান্য উত্তর

মাসিক মদীনা পত্রিকার প্রশ্নোত্তরের কলামের উত্তর – ইমাম মাহদীর আগমন ও নিদর্শন স্বরূপ চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ

মাসিক মদীনার মিথ্যাচারের উত্তর – পবিত্র কুরআনের কিছু অংশ ছেটে ফেলা এবং ঈসা (আঃ)-কে শূলীবিদ্ধ করে মেরে ফেলা হয়েছে

ইসলামী প্রতীকসমূহের ব্যবহার আহ্‌মাদী ফিরকার জন্য আইনতঃ নিষিদ্ধ হওয়া উচিত কি?

মাসিক মদীনায় প্রকাশিত “আহমদী সম্প্রদায় : আমার বক্তব্য” – আপত্তির উত্তর

ঈসা (আ.) কি আসবেন? – মাসিক মদিনায় প্রকাশিত প্রশ্নের উত্তর

মাসিক মদীনা পত্রিকায় “কাদিয়ানী মতবাদ একটি ফেৎনা” শীর্ষক প্রবন্ধের সংক্ষিপ্ত উত্তর

হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.)-এর মৃত্যু কিভাবে হয়েছিল?

হযরত মির্যা সাহেবের মৃত্যুতে বিখ্যাত মনীষীরা কি বলেছিলেন?

মৌলবী সানাউল্লাহ অমৃতসরীর পরিণাম কি হয়েছিল?

মির্যা সাহেবের মৃত্যু সম্পর্কিত অপবাদ খণ্ডন

মাসিক মদীনা: ওহী ইলহামের দরজা হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর ইন্তিকালের পর বন্ধ হয়ে গেছে?

আহমদীরা মীর্যা গোলাম আহমদকে হযরত মোহাম্মাদ (দঃ)-এর পরিবর্তে শেষ নবী বলে মনে করেন – ভ্রান্ত ধারণার অপনোদন

অভিযোগ: মুহাম্মদী বেগম সাথে বিয়ের ভবিষ্যদ্বাণীর অপূর্ণতার অভিযোগ

দ্বিতীয় অভিযোগ: কাদিয়ানীদের বিশ্বাস ও বক্তব্য: “আমি মুহাম্মদ (সা:) থেকে উত্তম নবী”

তৃতীয় অভিযোগ: “আমি নতুন শরীয়তপ্রাপ্ত নবী” (আরবাঈন, পৃষ্ঠা-৩)

চতুর্থ অভিযোগ: “আমাকে যারা নবী মানে না তাদের মায়েরা বেশ্যা” (আয়নাতে কামালাত পৃঃ ৫৪৭)।

ষষ্ঠ ও সপ্তম অভিযোগ: “আমি আল্লাহ্‌র সন্তান” ‘আমিই আল্লাহ্’

অষ্টম অভিযোগ: *আয়াতগুলি গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর শানে অবতীর্ণ হয়েছে।

নবম অভিযোগ: ‘কাদিয়ানীর ওহী কুরআনের চাইতেও বেশী সম্মানের উপযোগী’

অভিযোগ: প্রসঙ্গ মসজিদে জেরার

প্রথম অভিযোগ: কাদিয়ানীদের বিশ্বাস বক্তব্য: “আমিই খাতামুল আম্বিয়া।”

দশম ও শেষ অভিযোগ: “কাদিয়ানীকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত করে পাঠানো হয়েছে।”

পঞ্চম অভিযোগ: আমার প্রতি ঈমান না আনার কারণে সে কাফের হয়ে যাবে

খতমে নবুওয়তের অস্বীকারকারী কে?

মুসলমানদের ঈমান কি তাসের ঘর যে ফুঁ দিলেই উড়ে যাবে?

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট আপত্তির জবাব

খোদা হবার দাবী সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর

হযরত ঈসা (আ.)-এর অবমাননা সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর

হযরত রসূল করীম (সাঃ)-এর অবমাননা সম্পর্কিত অপবাদ ও উহার খন্ডন

মক্কা-মদীনার অবমাননা সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর

হযরত ফাতেমা (রাঃ) ও আহলে বয়াতের অবমাননা সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর

ইসলামের পরিভাষার অবৈধ ব্যবহার সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর

কুফরী মতবাদ (কলেমা এবং খোদার সন্তান তুল্য) বিষয়ক আপত্তির উত্তর

নবী-রসূল হবার দাবী বিষয়ক আপত্তির উত্তর

হযরত মির্যা সাহেব জেহাদ রহিত করেছেন – সম্পর্কিত আপত্তির উত্তর

আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম

আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে

আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মুহাম্মদ রসূলুল্লাহ বলেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মরিয়ম দাবি করেছেন

আপত্তি: চন্দ্র-সূর্যগ্রহণের হাদিসটি রসূলুল্লাহ্‌ (সা.)-এর বক্তব্য নয়

আপত্তি: নামাযে যখন ওহী হত তিনি অস্থির হয়ে নামায ছেড়ে দিতেন

আপত্তি: মির্যা সাহেবের শিক্ষক থাকার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব কলেরায় টয়লেটে পড়ে মারা গেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব মদ ও আফিমের নেশায় মত্ত ছিলেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন ছবি তুলেছেন?

আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন বইপুস্তক লিখলেন, কোন নবী তো বই–পুস্তক লিখেননি।

আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন হজ্জ করেন নি

আপত্তি: মির্যা সাহেব মসীহ মওউদ হওয়ার দাবি করে অস্বীকারও করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মানুষও আখ্যা দেন নি

আপত্তি: মির্যা সাহেব অ-আহমদীদেরকে কাফের বলেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন যে, কুরআন ও হাদিসে প্লেগের ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব তার অস্বীকারকারীদের কাফের আখ্যায়িত করেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব কবিতা লিখেছেন আর নবী কখনও কবি হয় না

আপত্তি: মির্যা সাহেব ঈসা (আ.)-এর মুজেজার অদ্ভুত ব্যাখ্যা করেছেন

আপত্তি: হযরত মির্যা সাহেব খোদা তা’লার পিতা হবার দাবী করেছেন

আপত্তি: আব্দুল হাকীম সাহেবের তফসীর সম্পর্কে তিন ধরণের কথা

আপত্তি: তার নিজের কথা অনুযায়ী তিনি মুহাদ্দাসও নন নবীও নন

আপত্তি: দাজ্জাল সম্পর্কে মির্যা সাহেবের বিভিন্ন ধারণা রয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব শরীয়তবাহী নবী হবার দাবী করেছেন

আপত্তি: যদি পূর্ণাঙ্গীন মুহাম্মদকে দেখতে চাও গোলাম আহমদকে দেখে যাও

আপত্তি: হাজার লানত প্রসঙ্গ

আপত্তি: মুজাদ্দেদ আহমদ বেরলভি(রহ.) শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব জিহাদ রহিত করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব নবী হবার দাবি করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব মুজাদ্দেদে আলফে সানীর উদ্ধৃতি বিকৃত করেছেন

আপত্তি: বৃটিশ সরকারের অধীনে যে নিরাপত্তা পাচ্ছি তা মক্কা মদীনায়ও সম্ভব নয়

আপত্তি: নফল হজের চেয়ে কাদিয়ানে যাওয়ার সওয়াব বেশি

আপত্তি: ছায়া হজ্জ বাদে (কাদিয়ানের জলসা) মক্কার হজ্জ রসহীন

আপত্তি: মক্কা ও মদীনা সম্পর্কে অমর্যাদাকর বক্তব্য

আপত্তি: ফাতিমার বংশ থেকে কোন মাহদী আসবে না

আপত্তি: অন্য হাদীসকে ডাষ্টবিনের ময়লার মত নিক্ষেপ করি

আপত্তি: কুরআনে যে ভুলগুলো সংঘটিত হয়েছে আমি তা চিহ্নিত করতে এসেছি

আপত্তি: মির্যা সাহেবের ওহীর সমষ্টির নাম কুরআনেরই একটি নাম

আপত্তি: আমার দ্বারা সেসব বিষয় প্রকাশিত হবে যা কুরআন দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব তার প্রতি অবতীর্ণ ওহীর প্রতি কুরআনের মত ঈমান রাখেন

আপত্তি: কুরআন ধরাপৃষ্ঠ থেকে উঠে গিয়েছিল

আপত্তি: স্বীকার করতেই হবে যে কুরআন শরিফ অশ্লীল গালি দিয়ে ভর্তি

আপত্তি: কুরআন আল্লাহ্‌র কিতাব ও আমার মুখের কথা

আপত্তি: কুরআনকে আমি কাদিয়ানের কাছে অবতীর্ণ করেছি

আপত্তি: যদি মূসা ও ঈসা জীবিত হত তাহলে মসীহের আনুগত্য তাদের অবশ্যই করতে হত

আপত্তি: সমস্ত রাসূল আমার জামার মধ্যে গোপন হয়ে আছে

আপত্তি: সব নবী ইজতেহাদী ভুলের স্বীকার হয়েছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেবের আধ্যাত্মিক মর্যাদা এত বড় হয় কীভাবে

আপত্তি: হযরত ঈসা (আ.) মদ পান করতো

আপত্তি: এই ওহীতে আল্লাহ্ আমার নাম মুহাম্মদ রেখেছেন

আপত্তি: মুহাম্মদ পুনরায় আগমন করেছেন আমাদের মধ্যে

আপত্তি: দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে নবুওয়তের দরজা খোলা

আপত্তি: আলামত, মোজেযা, কারামত এবং খরকে আদত সব একই

আপত্তি: মুহাম্মদ (সা.)-এর তেজোদ্দীপ্ত কিরণ প্রকাশের সময় নেই

আপত্তি: কাশফের অবস্থা এভাবে চেপে বসল যে, নিজেকে মহিলা মনে হল

আপত্তি: তোমাকে একজন ছেলের সংবাদ দিচ্ছি যার সাথে খোদা প্রকাশিত হবে

আপত্তি: মিকাইল অর্থ খোদার মত

আপত্তি: তুমি যে কাজের ইচ্ছা কর তা তৎক্ষণাৎ হয়ে যায়

আপত্তি: আল্লাহ্ নিজের ওয়াদা মত কাদিয়ানে অবতীর্ণ হবেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, আমি (আল্লাহ্) চোরের মত গোপনে আসবো

আপত্তি: মুহাম্মদী বেগম এবং আহমদ বেগ সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয়নি

আপত্তি: আমি মক্কা বা মদীনায় মৃত্যুবরণ করবো

আপত্তি : মির্যা সাহেব সিনেমা দেখতে যেতেন

আপত্তি: মির্যা কাদিয়ানী কাজের মহিলাকে দিয়ে রাতে পা টিপাতেন

আপত্তি : মির্যা কাদিয়ানী কখনও কখনও যিনা-ব্যভিচার করতেন (নাউযুবিল্লাহ্‌)

আপত্তিঃ মির্যা সাহেব হিন্দুদের ক্ষেপিয়ে দিয়েছিলেন

আপত্তি: রসূলুল্লাহ্ (সা.) এর জন্মের পর তার বাবা ইন্তেকাল করেন

আপত্তি : তিনি ইসলামী বছরের দ্বিতীয় মাসকে চতুর্থ মাস লিখেছেন

আপত্তি : ১৮৫৭ সালে কুরআন আসমানে উঠানো হবে

আপত্তি : কুরআনের বক্তব্য অনুযায়ী ধর্মযুদ্ধ হারাম

আপত্তি : মক্কা মদীনায় রেলের রাস্তা তৈরি হচ্ছে

আপত্তি : পূর্বেকার নবীগণের কাশফ অনুযায়ী চতুর্দশ শতাব্দির শুরুতে জন্ম

আপত্তি: শেষ যুগে মুহাম্মদ (সা.) দুনিয়াতে আবার আসবেন

আপত্তি : মসীহের যুগে রেলগাড়ী আবিষ্কৃত হবে

আপত্তি : আদম থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত দুনিয়ার বয়স ৭ হাজার বছর

আপত্তি : ইমাম মাহদীর কিতাবে ৩১৩ জন সাথীর নাম থাকবে

আপত্তি : ভারতে একজন কাল রংয়ের নবী এসেছিলেন তার নাম কাহেন

আপত্তি : হাদীসে আছে, মসীহ্‌ ছয় হাজার সালে জন্ম নিবেন

আপত্তি : হাদীসে আছে আগত মাসীহ্ জুলকারনাইন হবে

আপত্তি : মসীহ্ (আ.) আসলে তাকে লাঞ্ছিত করা হবে… কুরআন ও হাদীসে এমন কথা আছে

আপত্তি : সহীহ্ হাদীসসমূহে আছে, মসীহ শতাব্দির শুরুতে আসার কথা

আপত্তি: আহমদীরা খতমে নবুওত অস্বীকারকারী

আপত্তি: মির্যা সাহেব এমন নবুওতের দাবি করেছেন যা প্রকাশ্য কুফরি।

আপত্তি: হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) নবীগণের সাথে বে-আদবী করেছেন বা তাদের সম্মানে আঘাত হেনেছেন।

আপত্তি: হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) মুসলমানদেরকে কাফের বলেছেন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।

আপত্তি: ১৭ জুলাই ১৯২২ তারিখের আল-ফজলে আহমদীয়া জামাতের দ্বিতীয় খলীফা বলেছেন, ‘আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে প্রত্যেকে উন্নতি করতে পারে এমনকি মুহাম্মদ (সা.)-এর চেয়েও বেশী উন্নতি করতে পারে।’

আপত্তি: আকমল নামের এক ব্যক্তির একটি কবিতার একটি লাইনে রয়েছে, ‘মুহাম্মদ আবার আমাদের মাঝে এসেছে, মর্যাদায় আগের চেয়ে সামনে বেড়ে পূর্ণাঙ্গীন মুহাম্মদকে যদি কেউ দেখতে চাও কাদিয়ানে এসে গোলাম আহমদকে দেখে যাও।’

আপত্তি- হাযা খালিফাতুল্লাহিল মাহদী বুখারীর হাদিস

আপত্তি: পাঁচ পঞ্চাশের সমান

আপত্তি: সত্য ধর্ম হলে মুরতাদ হয় কিভাবে? শামসুদ্দিন মুরতাদ ও মোল্লাদের উল্লাস।

আপত্তি: মির্যা সাহেব তার বিভিন্ন পুস্তকে ঈসা(আ.)-এর বিভিন্ন কবরের কথা উল্লেখ করেছেন, কোনটি সঠিক?

আপত্তি: মির্যা সাহেব উল্লেখ্য করেছেন যে, মুহাম্মদ (সা.)-এর ১১ পুত্র সন্তান ছিল

আপত্তি: মির্যা সাহেবের মিরাক তথা উন্মাদনার রোগ ছিল

আপত্তি: যে ব্যক্তি পিতার পেনশনের অর্থ চুরি করে খরচ করে সে কীভাবে ইমাম মাহদী হয়?

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন মহানবী (সা.)-এর ১২ জন কন্যাসন্তান ছিলেন!

আপত্তি: মুহাম্মদী বেগম এবং মির্যা আহমদ বেগ সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয় নি

আপত্তি: স্বপ্নে দেখলাম, আমি খোদা এবং বিশ্বাস করলাম

আপত্তি: মির্যা সাহেবের মর্যাদা রসূলুল্লাহ্‌ সাঃ এর কাধ বরাবর (নাউযুবিল্লাহ্‌)

আপত্তি: রাসূল (সা.)-এর দ্বারা দ্বীন প্রচারের কাজ পরিপূর্ণভাবে হয়নি

আপত্তি: মির্যা সাহেব বিরূদ্ধবাদীদের গালি গালাজ করেছেন

আপত্তি: হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) মুসলমানদেরকে কাফের বলেছেন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন

আপত্তি: আল্লাহ্ আমার হাতে বয়াত গ্রহণ করেছেন

আপত্তি : আমার আলামত দশ লক্ষ। রসূলুল্লাহ্(সা.)-এর মু’জিযা তিন হাজার

হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.)-এর সঠিক বয়স প্রসঙ্গ