আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন ছবি তুলেছেন?


আপত্তিঃ মির্যা সাহেব কেন ছবি তুলেছেন? অথচ হাদীসে আছে, ‘প্রত্যেক চিত্রকর/আকৃতিদাতা জাহান্নামী হবে। এর প্রমাণস্বরূপ একটি হাদীস পেশ করে। তা হলো كُلُّ مُصَوِّرٍ فِي النَّارِ يَجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسًا فَتُعَذِّبُهُ فِي جَهَنَّمَ অর্থ: প্রত্যেক ছবি প্রস্তুতকারী জাহান্নামী হবে। (মুসলিম শরীফ, কিতাবুল লেবাস ওয়ায যায়নাহ (পোশাক ও সৌন্দর্য অধ্যায়) মূল হাদীস নং ৩৯৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন হাদীস নং- ৫৩৫৯)

জবাবঃ এখন চলুন প্রথমত আমরা দেখি আল্লাহ নিজে এই সম্পকে কি বলছেন, هُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ অর্থ: তিনিই হচ্ছেন আল্লাহ যিনি সৃষ্টিকর্তা, আদি সুনিপুণ স্রষ্টা এবং সর্বোত্তম আকৃতিদাতা বা চিত্রকর। (সূরা আল হাশর ৫৯ : ২৫) এখন এসব অআহমদী বিরুদ্ধবাদী কি বলবে, একই শব্দ যার আরবী মুসাওয়ের (আকৃতিদাতা) সেটা তো আল্লাহ নিজের জন্যই ব্যবহার করছেন?

মনে হচ্ছে নাউযুবিল্লাহ আল্লাহও তাদের মধ্যেও আছেন যারা নরকে আগুনের শাস্তি পাবে!! এসব বিরুদ্ধবাদীদের মাথায় কি কিছু নেই? আকৃতিদাতা হলেই কি জাহান্নামী হয়ে যাবে?

দ্বিতীয়ত, হযরত সোলায়মান (আ.) সম্পকে পবিত্র কোরআনে এই বর্ণনা এসেছে যে, يَعْمَلُونَ لَهُ مَا يَشَاءُ مِنْ مَحَارِيبَ وَتَمَاثِيلَ وَجِفَانٍ كَالْجَوَابِ وَقُدُورٍ رَاسِيَاتٍ ۚ اعْمَلُوا آلَ دَاوُودَ شُكْرًا ۚ وَقَلِيلٌ مِنْ عِبَادِيَ الشَّكُورُ অর্থ: তারা সোলায়মানের ইচ্ছানুযায়ী দুর্গ, ভাস্কর্য, হাউযসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশাল ডেগ নির্মাণ করত। হে দাউদ পরিবার! কৃতজ্ঞতা সহকারে তোমরা কাজ করে যাও। আমার বান্দাদের মধ্যে অল্পসংখ্যকই কৃতজ্ঞ।(সূরা সাবা ৩৪ : ১৪)

এখন এসব বিরুদ্ধবাদী মৌলভী কি বলবে, হযরত সোলায়মান (আ.) যেসব ভাস্কর্য বা মূর্তি বানাতেন তার জন্য তিনি শাস্তি প্রাপ্ত হবেন? সোলায়মান (আ.) এর মতো বিচক্ষণ ও বুদ্ধিমান বাদশাহ কি জানতেন না, এর দ্বারা শিরক (অংশীবাদিতা) বিস্তার লাভ করতে পারে? অথচ নবীদের প্রধান কাজই হচ্ছে, অংশীবাদিতা দূর করা। পবিত্র কোরআনে মানব জীবনের সকল দর্শনেই সর্বোত্তম ভাষায় বর্ণনা করা হয়েছে। চিত্রকর হলেই বা কোন কিছুর আকৃতিদাতা হলেই যে তার জন্য দোযখের শাস্তি প্রাপ্ত হতে হবে এতোট ছোট ও হীনমনা ধর্ম নয় ইসলাম।

পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন তাফসীর ও সর্বস্বীকৃত পবিত্র কুরআনের তাফসীর গ্রন্থ ‘তাফসীর-এ-কবীর’ যা হযরত আল্লামা ইমাম ফখরুদ্দিন রাযী (রহ.) লিখছেন উক্ত তাফসীরের সূরা আল বাকারার ২৪৮-২৪৯ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় হযরত ইমাম রাযী (রহ.) বলছেন, قَالَ أَصْحَابُ الْأَخْبَارِ: إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى أَنْزَلَ عَلَى آدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ تَابُوتًا فِيهِ صُوَرُ الْأَنْبِيَاءِ مِنْ أَوْلَادِهِ، فَتَوَارَثَهُ أَوْلَادُ آدَمَ إِلَى أَنْ وَصَلَ إِلَى يَعْقُوبَ অর্থ: সংবাদদাতা বললেন, আল্লাহ তা’লা হযরত আদম (আ.)-এর কাছে একটি তাবুত (সিন্ধুক) পাঠিয়েছেলেন যেখানে হযরত আদমের বংশধরে আবির্ভূত সকল নবীর ছবি ছিল। আদমের বংশধররা এটি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হয় এবং এটি (সর্বশেষ) ইয়াকুবের নিকট পৌঁছায়। (তফসীর কবির, সূরা আল বাকারা ০২ : ২৪৮-২৪৯)

তাফসীর– বায়যাবী– এ ‘তাবুত’ বা সিন্ধুক সম্পকে এই বর্ণনা এসেছে যে, وقيل صورة الأنبياء من آدم إلى محمد عليهم الصلاة والسلام. وقيل التابوت هو القلب অর্থ: বলা হয় এই সিন্ধুকের মধ্যে হযরত আদম থেকে নিয়ে হযরত মোহাম্মদ (সা.) পর্যন্ড্র সমস্ত নবীগণের ছবি ছিল আবার অনেকে বলেছেন, তাবুত হচ্ছে, হৃদয় বা জ্ঞান। (তাফসীর-ই- বায়যাবী, সূরা আল-বাকারা ২৪৯-২৫০)

আমি আপনাদের সামনে এই দুইটি প্রধান ও স্বনামধন্য তাফসীরের উল্লেখ এই জন্যই করলাম যাতে আপনারা পবিত্র কুরআনে ছবি বা চিত্রকর সম্বন্ধে কি ধারণা পোষণ রাখে তার একটি চিত্র বুঝতে পারেন। তাই বিষয়টি চিন্তা করা দরকার, মূলত হযরত রাসূল (সা.) কোন ধরণের চিত্রকরদের বা আকৃতিদাতাদের জন্য এই শব্দ ব্যবহার করেছেন? ছবি তুললেই কি সে জাহান্নামী হয়ে যাবে কিংবা ছবি তুললেই কি সেই ব্যক্তি শরীয়ত বিরোধি কার্যালাপে লিপ্ত বলে সাব্যস্ত হবে?

মনে রাখুন, রাসূল করিম (সা.) যে ধরণের চিত্রকরদের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা বা সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন তা হচ্ছে মূলত রং কলমের মাধ্যমে যে ছবি অংকন করা হয় তার ব্যাপারে। কারণে রঙ পেন্সিলের মাধ্যমে শিল্পী তার মনের মাধুরী মিশিয়ে, নিজস্ব ভাবনার জগতে ছবি অংকন করে থাকে। এই ধরণের ছবি তোলাই হচ্ছে আল্লাহর রাসূল (সা.)-র হাদীসের নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত। এই রকম শিল্পী বা চিত্রকররা যে কি পরিমান মনের আবহ থেকে ছবি অংকন করে তার জ্বলন্ত প্রমাণ হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণ, গৌতম বুদ্ধ, যীশু, রাম, কনফুসিয়াস অবতার ও ধর্মগুরুদের চিত্রের দ্বারাই প্রমাণিত। আজকের তাঁদের যে চিত্র আমরা দেখতে পাই তার সবগুলোই যে চিত্রকরদের কল্পনারূপ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এগুলো একটিও এসব মনিষীদের আসল ছবি নয়।

তাই চিত্রশিল্পীদের দ্বারা কৃত অধিকত ছবি এবং ফটো (ছবি)-র মাঝে বিশাল একটি পার্থক্য আছে। অঙ্কিত ছবি নিষিদ্ধ কিন্তু ফটো ছবি বৈধ। অংকিত ছবি কোন জিনিসের বাহ্যিক অবয়বকে নিজের মতো করে তুলে ধরে যা মূলত তার অস্তিত্ব বহন করার প্রমাণ দেয়। কিন্তু একটি ফটো বা ছবি কখনো অংকিত ছবির পর্যায়ের ন্যায় নয়। ফটো হচ্ছে সম্পূর্ণ একজন প্রতিবিম্ব যাকে ইংরেজীতে এককথায় reflection বলা যায়। ফটো তুলার মাঝে যেহেতু কোন ধরনের পরিবর্তনের বা বিকৃতির সম্ভাবনা থাকে না এবং ছবিটি হুবহু প্রতিবিম্ব হয়েই আসে তাই এটি বৈধ। এজন্যই আরবীতে ফটোগ্রাফীকে “উক্কাস” বা প্রতিবিম্ব শিল্প বলা হয়। তাই হযরত আবু তালহা (রা.) বর্ণিত একটি একটি হাদীসও এ ব্যাপারে একই মত পোষণ করছে

أَنَّهُ قَالَ ‏ Ò‏ لاَ تَدْخُلُ الْمَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلاَ صُورَةٌ ‏Ó‏‏.‏ يُرِيدُ التَّمَاثِيلَ الَّتِي فِيهَا الأَرْوَاحُ অর্থ: যে ঘরে কুকুর এবং (প্রাণীর) ছবি থাকে সে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না। তিনি এমন মূতির দিকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলেছেন, যার মধ্যে রূহ (আত্মা) থাকে। (বুখারী শরীফ, কিতাবুল লিবাস (পোষাক অধ্যায়), বাবু লা তাদখুলুল মালায়িকা বায়তান ফিহী সুয়ারে (যে ঘরে ছবি থাকে সে ঘরে ফেরেশেতা প্রবেশ করে না অধ্যায়), হাদীস নং- ৫৬১৫)

আহমদীয়া মুসলিম জামাতের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.) কেবলমাত্র এ বিষয়টির দিকেই লক্ষ্য করেই ছবি তুলতে রাজী হয়েছেন। কারণ ফটোগ্রাফী যেহেতু সম্পূর্ণ নিজের প্রতিবিম্ব তাই এতে বিকৃতির আশংকা নাই। তাছাড়া তিনি সেই সব মানুষদের আন্তরিক বাসনা ও ইচ্ছা পূর্ণ করার তাঁকে চাক্ষুষ দেখার সুযোগ লাভ করেন নি।

ইসলামী মৌলবাদীরা ফটোগ্রাফীকে মূর্তিপূজার ধারক ও বাহক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিল। তারা তখন এমনও কথা বলেছিল, মির্যা সাহেব ভবিষ্যতে নিজের পুজা করার জন্যই ছবি তুলেছেন! কিন্তু হযরত মির্যা সাহেব তাদের এই অবান্তর দাবী , ফতোয়া এবং অভিযোগকে ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করেছেন।

হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আ.) -এর ছবির দিকে লক্ষ্য করলেই স্পষ্ট বুঝায় যায়, তিনি (আ.) কি উদ্দেশ্যে ছবি তুলেছেন। তিনি (আ.) যে কয়টি ছবি তুলেছেন এর সবগুলো ছবির দিকে তাকালেই বুঝা যায় এর মধ্যে বিন্দু পরিমাণ পূজা করানোর কোন উদ্দেশ্য ছিল না। রানী ভিক্টোরীয়া সময়কালীন সেই ফটোগ্রাফার যে কিনা হযরত মির্যা সাহেবের ছবি তুলেছেন, তিনি বেশ দক্ষ ও অভিজ্ঞ ফটোগ্রাফার ছিলেন। তিনি ভাল করেই জানতেন কিভাবে ছবি তুললে মির্যা সাহেবের ছবিটি আরও আকর্ষণীয় ও মুগ্ধকর হবে। আর তাই তিনি হযরত আহমদ (আ.)- কে বারবার বলছিলেন, আপনি আপনার চোখকে আরও একটু প্রশস্তভাবে খুলে ক্যামেরার দিকে তাকান যাতে ছবির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় কিন্তু হযরত আহমদ (আ.) কুরআনী নির্দেশ অনুসারে দৃষ্টি অবনত রাখা সম্পকে অবহিত ছিলেন বিধায় তিনি তাঁর চোখ পুরোপুরি খুলেন নি। ফলশ্রুতিতে ফটোগ্রাফার তাঁকে তার অবস্থানের উপরেই ছেড়ে দেন এবং তিনি যেরূপ ছিলেন সে অবস্থায় ছবি তুলে ফেলেন।

অন্যান্য উত্তর

আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম

আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে

আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মুহাম্মদ রসূলুল্লাহ বলেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মরিয়ম দাবি করেছেন

আপত্তি: চন্দ্র-সূর্যগ্রহণের হাদিসটি রসূলুল্লাহ্‌ (সা.)-এর বক্তব্য নয়

আপত্তি: নামাযে যখন ওহী হত তিনি অস্থির হয়ে নামায ছেড়ে দিতেন

আপত্তি: মির্যা সাহেবের শিক্ষক থাকার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব কলেরায় টয়লেটে পড়ে মারা গেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব মদ ও আফিমের নেশায় মত্ত ছিলেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন বইপুস্তক লিখলেন, কোন নবী তো বই–পুস্তক লিখেননি।

আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন হজ্জ করেন নি

আপত্তি: মির্যা সাহেব মসীহ মওউদ হওয়ার দাবি করে অস্বীকারও করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মানুষও আখ্যা দেন নি

আপত্তি: মির্যা সাহেব অ-আহমদীদেরকে কাফের বলেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন যে, কুরআন ও হাদিসে প্লেগের ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব তার অস্বীকারকারীদের কাফের আখ্যায়িত করেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব কবিতা লিখেছেন আর নবী কখনও কবি হয় না

আপত্তি: মির্যা সাহেব ঈসা (আ.)-এর মুজেজার অদ্ভুত ব্যাখ্যা করেছেন

আপত্তি: হযরত মির্যা সাহেব খোদা তা’লার পিতা হবার দাবী করেছেন

আপত্তি: আব্দুল হাকীম সাহেবের তফসীর সম্পর্কে তিন ধরণের কথা

আপত্তি: তার নিজের কথা অনুযায়ী তিনি মুহাদ্দাসও নন নবীও নন

আপত্তি: দাজ্জাল সম্পর্কে মির্যা সাহেবের বিভিন্ন ধারণা রয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব শরীয়তবাহী নবী হবার দাবী করেছেন

আপত্তি: যদি পূর্ণাঙ্গীন মুহাম্মদকে দেখতে চাও গোলাম আহমদকে দেখে যাও

আপত্তি: হাজার লানত প্রসঙ্গ

আপত্তি: মুজাদ্দেদ আহমদ বেরলভি(রহ.) শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব জিহাদ রহিত করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব নবী হবার দাবি করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব মুজাদ্দেদে আলফে সানীর উদ্ধৃতি বিকৃত করেছেন

আপত্তি: বৃটিশ সরকারের অধীনে যে নিরাপত্তা পাচ্ছি তা মক্কা মদীনায়ও সম্ভব নয়

আপত্তি: নফল হজের চেয়ে কাদিয়ানে যাওয়ার সওয়াব বেশি

আপত্তি: ছায়া হজ্জ বাদে (কাদিয়ানের জলসা) মক্কার হজ্জ রসহীন

আপত্তি: মক্কা ও মদীনা সম্পর্কে অমর্যাদাকর বক্তব্য

আপত্তি: ফাতিমার বংশ থেকে কোন মাহদী আসবে না

আপত্তি: অন্য হাদীসকে ডাষ্টবিনের ময়লার মত নিক্ষেপ করি

আপত্তি: কুরআনে যে ভুলগুলো সংঘটিত হয়েছে আমি তা চিহ্নিত করতে এসেছি

আপত্তি: মির্যা সাহেবের ওহীর সমষ্টির নাম কুরআনেরই একটি নাম

আপত্তি: আমার দ্বারা সেসব বিষয় প্রকাশিত হবে যা কুরআন দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব তার প্রতি অবতীর্ণ ওহীর প্রতি কুরআনের মত ঈমান রাখেন

আপত্তি: কুরআন ধরাপৃষ্ঠ থেকে উঠে গিয়েছিল

আপত্তি: স্বীকার করতেই হবে যে কুরআন শরিফ অশ্লীল গালি দিয়ে ভর্তি

আপত্তি: কুরআন আল্লাহ্‌র কিতাব ও আমার মুখের কথা

আপত্তি: কুরআনকে আমি কাদিয়ানের কাছে অবতীর্ণ করেছি

আপত্তি: যদি মূসা ও ঈসা জীবিত হত তাহলে মসীহের আনুগত্য তাদের অবশ্যই করতে হত

আপত্তি: সমস্ত রাসূল আমার জামার মধ্যে গোপন হয়ে আছে

আপত্তি: সব নবী ইজতেহাদী ভুলের স্বীকার হয়েছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেবের আধ্যাত্মিক মর্যাদা এত বড় হয় কীভাবে

আপত্তি: হযরত ঈসা (আ.) মদ পান করতো

আপত্তি: এই ওহীতে আল্লাহ্ আমার নাম মুহাম্মদ রেখেছেন

আপত্তি: মুহাম্মদ পুনরায় আগমন করেছেন আমাদের মধ্যে

আপত্তি: দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে নবুওয়তের দরজা খোলা

আপত্তি: আলামত, মোজেযা, কারামত এবং খরকে আদত সব একই

আপত্তি: মুহাম্মদ (সা.)-এর তেজোদ্দীপ্ত কিরণ প্রকাশের সময় নেই

আপত্তি: কাশফের অবস্থা এভাবে চেপে বসল যে, নিজেকে মহিলা মনে হল

আপত্তি: তোমাকে একজন ছেলের সংবাদ দিচ্ছি যার সাথে খোদা প্রকাশিত হবে

আপত্তি: মিকাইল অর্থ খোদার মত

আপত্তি: তুমি যে কাজের ইচ্ছা কর তা তৎক্ষণাৎ হয়ে যায়

আপত্তি: আল্লাহ্ নিজের ওয়াদা মত কাদিয়ানে অবতীর্ণ হবেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, আমি (আল্লাহ্) চোরের মত গোপনে আসবো

আপত্তি: মুহাম্মদী বেগম এবং আহমদ বেগ সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয়নি

আপত্তি: আমি মক্কা বা মদীনায় মৃত্যুবরণ করবো

আপত্তি : মির্যা সাহেব সিনেমা দেখতে যেতেন

আপত্তি: মির্যা কাদিয়ানী কাজের মহিলাকে দিয়ে রাতে পা টিপাতেন

আপত্তি : মির্যা কাদিয়ানী কখনও কখনও যিনা-ব্যভিচার করতেন (নাউযুবিল্লাহ্‌)

আপত্তিঃ মির্যা সাহেব হিন্দুদের ক্ষেপিয়ে দিয়েছিলেন

আপত্তি: রসূলুল্লাহ্ (সা.) এর জন্মের পর তার বাবা ইন্তেকাল করেন

আপত্তি : তিনি ইসলামী বছরের দ্বিতীয় মাসকে চতুর্থ মাস লিখেছেন

আপত্তি : ১৮৫৭ সালে কুরআন আসমানে উঠানো হবে

আপত্তি : কুরআনের বক্তব্য অনুযায়ী ধর্মযুদ্ধ হারাম

আপত্তি : মক্কা মদীনায় রেলের রাস্তা তৈরি হচ্ছে

আপত্তি : পূর্বেকার নবীগণের কাশফ অনুযায়ী চতুর্দশ শতাব্দির শুরুতে জন্ম

আপত্তি: শেষ যুগে মুহাম্মদ (সা.) দুনিয়াতে আবার আসবেন

আপত্তি : মসীহের যুগে রেলগাড়ী আবিষ্কৃত হবে

আপত্তি : আদম থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত দুনিয়ার বয়স ৭ হাজার বছর

আপত্তি : ইমাম মাহদীর কিতাবে ৩১৩ জন সাথীর নাম থাকবে

আপত্তি : ভারতে একজন কাল রংয়ের নবী এসেছিলেন তার নাম কাহেন

আপত্তি : হাদীসে আছে, মসীহ্‌ ছয় হাজার সালে জন্ম নিবেন

আপত্তি : হাদীসে আছে আগত মাসীহ্ জুলকারনাইন হবে

আপত্তি : মসীহ্ (আ.) আসলে তাকে লাঞ্ছিত করা হবে… কুরআন ও হাদীসে এমন কথা আছে

আপত্তি : সহীহ্ হাদীসসমূহে আছে, মসীহ শতাব্দির শুরুতে আসার কথা

আপত্তি: আহমদীরা খতমে নবুওত অস্বীকারকারী

আপত্তি: মির্যা সাহেব এমন নবুওতের দাবি করেছেন যা প্রকাশ্য কুফরি।

আপত্তি: হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) নবীগণের সাথে বে-আদবী করেছেন বা তাদের সম্মানে আঘাত হেনেছেন।

আপত্তি- হাযা খালিফাতুল্লাহিল মাহদী বুখারীর হাদিস

আপত্তি: পাঁচ পঞ্চাশের সমান

আপত্তি: সত্য ধর্ম হলে মুরতাদ হয় কিভাবে? শামসুদ্দিন মুরতাদ ও মোল্লাদের উল্লাস।

আপত্তি: মির্যা সাহেব তার বিভিন্ন পুস্তকে ঈসা(আ.)-এর বিভিন্ন কবরের কথা উল্লেখ করেছেন, কোনটি সঠিক?

আপত্তি: মির্যা সাহেব উল্লেখ্য করেছেন যে, মুহাম্মদ (সা.)-এর ১১ পুত্র সন্তান ছিল

আপত্তি: যে ব্যক্তি পিতার পেনশনের অর্থ চুরি করে খরচ করে সে কীভাবে ইমাম মাহদী হয়?

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন মহানবী (সা.)-এর ১২ জন কন্যাসন্তান ছিলেন!

আপত্তি: মুহাম্মদী বেগম এবং মির্যা আহমদ বেগ সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয় নি

আপত্তি: স্বপ্নে দেখলাম, আমি খোদা এবং বিশ্বাস করলাম

আপত্তি: মির্যা সাহেবের মর্যাদা রসূলুল্লাহ্‌ সাঃ এর কাধ বরাবর (নাউযুবিল্লাহ্‌)

আপত্তি: রাসূল (সা.)-এর দ্বারা দ্বীন প্রচারের কাজ পরিপূর্ণভাবে হয়নি

আপত্তি: মির্যা সাহেব বিরূদ্ধবাদীদের গালি গালাজ করেছেন

আপত্তি: হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) মুসলমানদেরকে কাফের বলেছেন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন

আপত্তি: আল্লাহ্ আমার হাতে বয়াত গ্রহণ করেছেন

আপত্তি : আমার আলামত দশ লক্ষ। রসূলুল্লাহ্(সা.)-এর মু’জিযা তিন হাজার

কাফের আখ্যাদানকারীদের প্রতি হযরত ইমাম মাহদী (আ.)-এর জবাব

হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আ.)-এর দৃষ্টিতে ‘খাতামান নবীঈন’ হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা.)