আপত্তি: মির্যা সাহেব জিহাদ রহিত করেছেন


আপত্তি: মির্যা সাহেব জিহাদ রহিত করেছেন

জবাবঃ জিহাদ রহিত করা হয়েছে শুনে উলামায়ে উম্মত আমাদের সম্মানিত আলেম সম্প্রদায়ের মাঝে ভীষণ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অথচ বিষয়টি একটু চিন্তা করলেই স্পষ্ট হয়ে যায়। বিষয়টি হারাম হালাল ঘোষণা দেয়ার মত নয়। প্রত্যেক ইবাদতের জন্য শর্ত নির্ধারিত আছে। শর্ত পূর্ণ হলে সেই ইবাদতটি পালনীয় হয়, তা নাহলে নয়। যদি প্রশ্ন করা হয়, হজ্জ ফরজ এ বিষয়ে কি কারও কোন সন্দেহ আছে। এবার বলুন, হজ্জ কি আমরা রমযান মাসে পালন করতে পারি? হজ্জ ফরয বলে কি তা ঋণগ্রস্থদের ও অসুস্থদের জন্যও ফরয? ঠিক একইভাবে যাকাত দেয়াও ফরয। কিন্তু একজন ভিখারী কি যাকাত দিতে বাধ্য? মোটেও না। কেননা তার যাকাত প্রদানের নিসাব পূর্ণ হয় নি। ঠিক একইভাবে ‘সশস্ত্র ধর্মযুদ্ধ’ বা ‘জিহাদ বিস্সাইফ’-এর জন্য খুব কড়া শর্ত রয়েছে। আর শর্তগুলোর মাঝে প্রধানতম শর্ত হল, ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য আক্রান্ত হতে হবে এবং দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতিত হতে হবে। রসূল বা যুগ-ইমাম মুসলমানদের মাঝে বিদ্যমান থাকতে হবে। আর আল্লাহর পক্ষ থেকে অনুমতি পেয়ে আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধের নির্দেশ যুগইমাম দিবেন– যে কেউ এ যুদ্ধের ঘোষণা দিতে পারে না

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে মুসলমানরা পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করেছে। ধর্মের কারণে মুসলমানদের প্রতি অত্যাচার করা তো দূরের কথা বরং তারা ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ধর্ম পালনের নিশ্চয়তা দান করেছে। যেসব মসজিদে শিখরা আস্তাবল গড়েছিল সেসব মসজিদ মুসলমানরা ফিরে পেয়েছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শাসনামলে। ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদানকারী এমন সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র জিহাদ করা কুরআন ও রসূলের সুন্নত অনুযায়ী বৈধ নয়। হযরত মির্যা সাহেব কেবল একথার পুনরাবৃত্তি করেছেন মাত্র। তিনি নিজের পক্ষ থেকে নতুন কোন বিধান দেন নি।

পবিত্র কুরআনে লেখা আছে ‘হাল জাযাউল এহসান ইল্লাল ইহসান অর্থাৎ কেউ অনুগ্রহ করলে তার অনুগ্রহের বিনিময়ে অনুগ্রহ বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হয়। আল্লাহ তা’লা নিজের একটি গুণ বর্ণনা করেছেন শাকেরুন আলীম অর্থাৎ তিনি গুণগ্রাহী। কারও মাঝে তিনি সামান্য গুণ দেখলে তিনি তার মূল্যায়ন করেন। আল্লাহ্ আমাদেরকেও তার গুণে গুণান্বিত হবার জন্য শিক্ষা দিয়েছেন। অতএব ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধিনস্থ মুসলমানদের আবশ্যক দায়িত্ব ছিল ও আছে তারা যেন নিজেদের হারানো ধর্মীয় স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ায় এই সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ না করে বরং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। এ কারণে তিনি বারবার জিহাদের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। আর তিনি বলেছেন অনুগ্রহশীল সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ বিদ্রোহ ছাড়া আর কিছু নয়।

মে ১৯০০ সনে হযরত মসীহ্ মাওউদ (আ.) লিখেছেন: আমি আপনাদের কাছে একটি বিশেষ শিক্ষা নিয়ে এসেছি আর তা হলএখন অস্ত্রযুদ্ধ রহিত কিন্তু আত্মশুদ্ধির জিহাদ বলবৎ আছে।” (গভর্ণর্নমেন্ট আংগ্রেজী আওর জিহাদ, পৃষ্ঠা ১৫, রূহানী খাযাইন, ১৭শ খণ্ড)

তিনি আরো বলেন, আর যদিও সমান্ত প্রদেশে এবং আফগানের বিভিন্ন অঞ্চলে এমন শিক্ষা প্রচারকারী মৌলভী অগণীত রয়েছে কিন্তু আমার মনে হয়পাঞ্জাব এবং হিন্দুস্তানও এসব মৌলভীমুক্ত নয়। যদি মাননীয় সরকার এদশের সকল মৌলভীকে এ ধরনের চিন্তাধারা থেকে পবিত্র ও মুক্ত বলে বিশ্বাস করে থাকে তাহলে তাদের এই বিশ্বাস বা ধারণা পুঃনবিবেচনার যোগ্য। আমার মতে মসজিদে গা ঢাকা দেয়া নির্বোধ অগ্নীশর্মা মোল্লা এসব নোংরা চিন্তা চেতনা থেকে পবিত্র বা মুক্ত নয়। আমি সত্য সত্য বলছিতারা যেমন সরকারের বিভিন্ন অনুগ্রহের অবজ্ঞা করে একদিকে রাষ্ট্রের সুপ্ত শত্রু তেমনিভাবে তারা খোদা তালার দৃষ্টিতেও অপরাধী এবং অবাধ্যতাকারী। কেননা আমি স্পষ্ট ও বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছিখোদা তালার কালাম এভাবে নিরপরাধদের হত্যা করার শিক্ষা ঘুনাক্ষরেও দেয় নি। আর যে এমন ধারণা রাখে সে ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত।” (গভর্ণনমেন্ট আংগ্রেজী আওর জিহাদ, পৃষ্ঠা-২০, রূহানী খাযাইন, ১৭শ খণ্ড)

পাঠকদের কাছে একথা অতি স্পষ্ট, শর্ত পূর্ণ হয় নি বিধায় হযরত মির্যা সাহেব জিহাদকে রহিত ঘোষণা করেছেন। হারাম তথা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন নি বরং যুগের চাহিদা অনুযায়ী যেহেতু ধর্ম পালনে কেউ বাধা দিচ্ছে না তাই মির্যা সাহেব এখনকার মত সশস্ত্র যুদ্ধ রহিত করেছেন।

এ প্রসঙ্গে হযরত মির্যা সাহেবের সমসাময়িক কিছু প্রখ্যাত আলেমদের বক্তব্য উদ্ধৃত করছি- স্যার আল্লামা মোহাম্মদ ইকবাল যাকে বর্তমান যুগের আলেম-উলামারা অনেক বড় বড় উপাধিতে ভূষিত করে থাকেন, তিনি কিভাবে ব্রিটিশদের গুণ গেয়েছেন তা-ও পাঠকদের জানা প্রয়োজন। রাণী ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুতে তিনি যে শোকগাথা লিখেছিলেন তার একটি অংশ হল,

রানির জানাযা কাঁধে উঠেছেহে ইকবাল তুমি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক সেই পথে নিজেকে বিছিয়ে দাও। পরিস্থিতি অবিকল সেরকমই যদিও এ মাসের নাম ভিন্ন। আমরা এ মাসের নাম মুহাররম প্রস্তাব করছি‘ (‘বাকিয়াতে ইকবাল’, সং সৈয়দ আব্দুল ওয়াহেদ মুঈনী এম.এ. অক্সন)

রানি ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুর সময় মুসলমানরা ঈদ উদযাপন করছিল। এ উপলক্ষে ইকবাল বলছেন, লোকেরা বলে আজ নাকি ঈদের দিন। হলে হতেও পারে। কিন্তু আমাদের দৃষ্টিতে আজ যদি ঈদের দিন না হয়ে আমাদের মৃত্যুর দিন হত বিষয়টি অধিক সহনীয় ছিল। পাঠকবৃন্দ! যে ব্যক্তি রাণী ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুতে এমন সব কথা লিখতে পারে, এমন আবেগের অতিরঞ্জন লিখতে পারে এবং আবেগের আতিশহ্যে ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুর দিনকে মুহাররম এবং ঈদের দিনকে শোকের দিন হিসেবে তুলনা করতে দ্বিধান্বিত নয়- তাকে ইসলামের পুনর্জাগরণের পথিকৃৎ বলতে বর্তমান যুগের আলেমদের বাধে না। কিন্তু যিনি রসূল(সা.)-এর শিক্ষা অনুযায়ী অনুগ্রহশীল রাষ্ট্রের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে শেখান তার বিরুদ্ধে যত অবান্তর আপত্তি! এটা কেমন বিচার!

আবার দেখুন, মৌলভী মুহাম্মদ হোসেন বাটালভী ব্রিটিশ সরকারের বিষয়ে তার ধারণা লিখতে গিয়ে বলেছেন, রোমান সম্রাট একজন ইসলামী বাদশাহ কিন্তু সাধারণ শান্তি এবং সুব্যবস্থাপনার দিক থেকে ব্রিটিশ সরকার আমাদের মুসলমানদের জন্য কম গর্বের বিষয় নয়। আর বিশেষ করে আহলে হাদীস‘ এর জন্য এই সরকার শান্তি এবং স্বাধীনতার দিক থেকে বর্তমান সময়ের মুসলিম রাষ্ট্রগুলো (আরবরোম তথা কুসতুনতুনিয়াইরানখুরাসানথেকেও বেশি গর্বের অধিকারী। (ইশাআতুস সুন্নাহ, খণ্ড-৬, নম্বর-১০, পৃষ্ঠা ২৯২-২৯৩)

‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদ সাহেব হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করার জন্য অন্ধভাবে উঠে পড়ে লেগেছেন। আর এতে তিনি এত বেশী আত্মনিয়োগ করেছেন যে, লেখার সময় তার দিগ্বিদিক জ্ঞান ছিল না। তাই তিনি ইতিহাসের মারাত্মক বিকৃতি ঘটিয়েছেন। তার মতে ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহ প্রকৃতপক্ষে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের জিহাদ ছিল আর এই জিহাদী চেতনা রোধকল্পেই নাকি ব্রিটিশরা তাদের হাতের পুতুল হিসাবে মির্যা সাহেবকে দাড় করিয়েছে। নাউযুবিল্লাহ। হযরত মির্যা সাহেব ব্রিটিশদের স্বরোপিত বৃক্ষ ছিলেন নাকি আল্লার প্রত্যাদিষ্ট ছিলেন তা পরে আলোচনা করব। তার আগে চলুন, যে বিষয়টিকে সূত্র ধরে তিনি এত বড় একটি গবেষণা কাজ চালিয়েছেন সেই সূত্রটি আদৌ ধোপে টেকে কিনা সেটি যাচাই করে দেখি।

যে সব আলেম উলামার বরাতে আজ ‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদ ও তার সমমনারা আহমদীয়া বিরোধী কার্যকলাপ বা আন্দোলন পরিচালনা করছেন তাদের দৃষ্টিতে ১৮৫৭ সনের সিপাহী বিদ্রোহের মূল্যায়ন শুনুন।

আহলে হাদীস সম্প্রদায়ের প্রখ্যাত আলেম ও নেতা আহমদীয়া জামাতের প্রধান বিরোধী মৌলভী মুহাম্মদ হোসাইন বাটালভী তার পত্রিকায় বলেছেন, ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহে যে সব মুসলমান অংশগ্রহণ করেছিল তারা ভয়ানক পাপিষ্ঠ এবং কুরআন ও হাদীসের নির্দেশ অনুযায়ী তারা ছিল নৈরাজ্যবাদীবিদ্রোহী ও দুষ্কৃতিকারী (ইশাআতুস সুন্নাহ, ৯ম খণ্ড, নম্বর-১০, পৃষ্ঠা ৪৯)

তিনি আরও বলেন, এ সরকারের সাথে যুদ্ধ করা বা তাদের সাথে যারা যুদ্ধ করে তাদেরকে কোন প্রকার সাহায্য করা (তারা মুসলমান ভাইই হোক না কেনস্পষ্ট বিদ্রোহ এবং হারাম কাজ। (ইশাআতুস সুন্নাহ, ৯ম খণ্ড, নম্বর-১০, পৃষ্ঠা ৩০৯)

তিনি কেবল তার নিজ পত্রিকাতেই তার এই সিদ্ধান্ত ছাপান নি বরং তার রচিত বই আল ইকতেসাদ ফি মাসাইলিল জিহাদ ২৫ নম্বর পৃষ্ঠায় লিখেছেন, “…এই সকল বক্তব্য ও দলিল দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়ভারতবর্ষ খ্রিস্টান সাম্রাজ্যের অধীন হওয়া সত্ত্বেও এটি দারুল ইসলাম‘ (যেখানে সশস্ত্র ধর্মযুদ্ধ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ)। কোন মুসলমান রাজা— তিনি আরবেরই হোনআরবের বাইরেরই হোনসুদানী মাহদী হোন বা ইরানের সুলতান শাহই হোন কিংবা খুরাসানের আমীরই হোন এই রাজত্বের বিরুদ্ধে কোন বাদশাহর পক্ষ থেকে ধর্মযুদ্ধ করা বা আক্রমণ করা কোনমতেই বৈধ নয়।

ইশাআতুস সুন্নাহ পত্রিকার ৬ষ্ঠ খণ্ডের ১০ম সংখ্যায় একই বিষয়ে তিনি আবার লিখেছেন। তিনি বলেন, ভারতবর্ষে ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করা এবং তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা মুসলমানদের জন্য হারাম।

‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদ সাহেব এই ‘হারাম’ কাজকে ‘হালাল’ ঘোষণা করে নিজের গোড়া নিজেই কেটে দিয়েছেন। ‘আল্লামা’ আব্দুল মজিদ সাহেব যদি আহলে হাদিস সম্প্রদায়ের ফতোয়ায় সন্তুষ্ট না হয়ে থাকেন তাহলে স্যার সৈয়দ আহমদ খান সাহেব যিনি অখণ্ড ভারতের মুসলমানদের জ্ঞান চর্চার পথিকৃত এবং আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তার বক্তব্য শুনুন। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহে যেসব মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল তাদের সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, দুষ্ট প্রকৃতির কিছু মানুষ জাগতিক লোভ লালসায় নিজ স্বার্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে নিজেদের মনগড়া চিন্তা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কিছু সংখ্যক অজ্ঞদের উস্কানী দেয়া এবং নিজেদের সাথে কিছু লোক ভেড়ানোর নাম জিহাদ রেখেছে। আর এ ঘটনাটি ছিল নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী হারামযাদাদের কার্যকলাপের মাঝে একটি। এটি জিহাদ অবশ্যই ছিল না। (স্যার সৈয়দ আহমদ রচিত “বাগাওয়াতে হিন্দ’ পুস্তক, পৃষ্ঠা ১০৪)

এতেও যদি আল্লামা আব্দুল মজিদ সাহেব সম্ভষ্ট না হয়ে থাকেন তাহলে ১৮৫৭ সালের তথাকথিত জিহাদের বিরুদ্ধে বেরলভী ফিরকার নেতা মৌলভী সৈয়দ আহমদ রেজা খান সাহেবের বক্তব্য শুনুন। তিনি বলে, ভারতবর্ষ হলদারুল ইসলাম। একে দারুল হারব‘ (অর্থাৎ ধর্মযুদ্ধের স্থানবলা কখনও সঠিক নয়” (নুসরতুল আবরার, পৃষ্ঠা ১২৯)।

অন্যান্য উত্তর

আপত্তি: মির্যা সাহেব রসূল (সা.)-কে হেলাল এবং নিজেকে বদর আখ্যা দিয়েছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন, তার সিংহাসন সবার ওপরে

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে দরুদ শরীফের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন ইয়ালাস খোদাতা’লার নাম

আপত্তি: মির্যা সাহেবের উপর অন্য ভাষায় ইলহাম হল কেন?

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন, মাহদীর মাধ্যমে মহানবী (সা.) এর দ্বিতীয় আগমন হবে

আপত্তি: মির্যা সাহেব নতুন নবুয়্যত, ধর্ম, কিবলা, নামায এবং কুরআন বানিয়েছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেবের কথা- একটি নতুন বাহন আবিষ্কার হবে যা আগুন দ্বারা চলবে

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, কুরআনে তাঁর নাম ইবনে মরিয়ম রাখা হয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব রেশমী লুঙ্গি পরিধান করেছিলেন যা হারাম

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মুহাম্মদ রসূলুল্লাহ বলেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মরিয়ম দাবি করেছেন

আপত্তি: চন্দ্র-সূর্যগ্রহণের হাদিসটি রসূলুল্লাহ্‌ (সা.)-এর বক্তব্য নয়

আপত্তি: নামাযে যখন ওহী হত তিনি অস্থির হয়ে নামায ছেড়ে দিতেন

আপত্তি: মির্যা সাহেবের শিক্ষক থাকার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব কলেরায় টয়লেটে পড়ে মারা গেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব মদ ও আফিমের নেশায় মত্ত ছিলেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন ছবি তুলেছেন?

আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন বইপুস্তক লিখলেন, কোন নবী তো বই–পুস্তক লিখেননি।

আপত্তি: মির্যা সাহেব কেন হজ্জ করেন নি

আপত্তি: মির্যা সাহেব মসীহ মওউদ হওয়ার দাবি করে অস্বীকারও করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব নিজেকে মানুষও আখ্যা দেন নি

আপত্তি: মির্যা সাহেব অ-আহমদীদেরকে কাফের বলেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব লিখেছেন যে, কুরআন ও হাদিসে প্লেগের ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব তার অস্বীকারকারীদের কাফের আখ্যায়িত করেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব কবিতা লিখেছেন আর নবী কখনও কবি হয় না

আপত্তি: মির্যা সাহেব ঈসা (আ.)-এর মুজেজার অদ্ভুত ব্যাখ্যা করেছেন

আপত্তি: হযরত মির্যা সাহেব খোদা তা’লার পিতা হবার দাবী করেছেন

আপত্তি: আব্দুল হাকীম সাহেবের তফসীর সম্পর্কে তিন ধরণের কথা

আপত্তি: তার নিজের কথা অনুযায়ী তিনি মুহাদ্দাসও নন নবীও নন

আপত্তি: দাজ্জাল সম্পর্কে মির্যা সাহেবের বিভিন্ন ধারণা রয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব শরীয়তবাহী নবী হবার দাবী করেছেন

আপত্তি: যদি পূর্ণাঙ্গীন মুহাম্মদকে দেখতে চাও গোলাম আহমদকে দেখে যাও

আপত্তি: হাজার লানত প্রসঙ্গ

আপত্তি: মুজাদ্দেদ আহমদ বেরলভি(রহ.) শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব নবী হবার দাবি করেছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব মুজাদ্দেদে আলফে সানীর উদ্ধৃতি বিকৃত করেছেন

আপত্তি: বৃটিশ সরকারের অধীনে যে নিরাপত্তা পাচ্ছি তা মক্কা মদীনায়ও সম্ভব নয়

আপত্তি: নফল হজের চেয়ে কাদিয়ানে যাওয়ার সওয়াব বেশি

আপত্তি: ছায়া হজ্জ বাদে (কাদিয়ানের জলসা) মক্কার হজ্জ রসহীন

আপত্তি: মক্কা ও মদীনা সম্পর্কে অমর্যাদাকর বক্তব্য

আপত্তি: ফাতিমার বংশ থেকে কোন মাহদী আসবে না

আপত্তি: অন্য হাদীসকে ডাষ্টবিনের ময়লার মত নিক্ষেপ করি

আপত্তি: কুরআনে যে ভুলগুলো সংঘটিত হয়েছে আমি তা চিহ্নিত করতে এসেছি

আপত্তি: মির্যা সাহেবের ওহীর সমষ্টির নাম কুরআনেরই একটি নাম

আপত্তি: আমার দ্বারা সেসব বিষয় প্রকাশিত হবে যা কুরআন দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে

আপত্তি: মির্যা সাহেব তার প্রতি অবতীর্ণ ওহীর প্রতি কুরআনের মত ঈমান রাখেন

আপত্তি: কুরআন ধরাপৃষ্ঠ থেকে উঠে গিয়েছিল

আপত্তি: স্বীকার করতেই হবে যে কুরআন শরিফ অশ্লীল গালি দিয়ে ভর্তি

আপত্তি: কুরআন আল্লাহ্‌র কিতাব ও আমার মুখের কথা

আপত্তি: কুরআনকে আমি কাদিয়ানের কাছে অবতীর্ণ করেছি

আপত্তি: যদি মূসা ও ঈসা জীবিত হত তাহলে মসীহের আনুগত্য তাদের অবশ্যই করতে হত

আপত্তি: সমস্ত রাসূল আমার জামার মধ্যে গোপন হয়ে আছে

আপত্তি: সব নবী ইজতেহাদী ভুলের স্বীকার হয়েছেন

আপত্তি: মির্যা সাহেবের আধ্যাত্মিক মর্যাদা এত বড় হয় কীভাবে

আপত্তি: হযরত ঈসা (আ.) মদ পান করতো

আপত্তি: এই ওহীতে আল্লাহ্ আমার নাম মুহাম্মদ রেখেছেন

আপত্তি: মুহাম্মদ পুনরায় আগমন করেছেন আমাদের মধ্যে

আপত্তি: দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে নবুওয়তের দরজা খোলা

আপত্তি: আলামত, মোজেযা, কারামত এবং খরকে আদত সব একই

আপত্তি: মুহাম্মদ (সা.)-এর তেজোদ্দীপ্ত কিরণ প্রকাশের সময় নেই

আপত্তি: কাশফের অবস্থা এভাবে চেপে বসল যে, নিজেকে মহিলা মনে হল

আপত্তি: তোমাকে একজন ছেলের সংবাদ দিচ্ছি যার সাথে খোদা প্রকাশিত হবে

আপত্তি: মিকাইল অর্থ খোদার মত

আপত্তি: তুমি যে কাজের ইচ্ছা কর তা তৎক্ষণাৎ হয়ে যায়

আপত্তি: আল্লাহ্ নিজের ওয়াদা মত কাদিয়ানে অবতীর্ণ হবেন

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেন, আমি (আল্লাহ্) চোরের মত গোপনে আসবো

আপত্তি: মুহাম্মদী বেগম এবং আহমদ বেগ সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয়নি

আপত্তি: আমি মক্কা বা মদীনায় মৃত্যুবরণ করবো

আপত্তি : মির্যা সাহেব সিনেমা দেখতে যেতেন

আপত্তি: মির্যা কাদিয়ানী কাজের মহিলাকে দিয়ে রাতে পা টিপাতেন

আপত্তি : মির্যা কাদিয়ানী কখনও কখনও যিনা-ব্যভিচার করতেন (নাউযুবিল্লাহ্‌)

আপত্তিঃ মির্যা সাহেব হিন্দুদের ক্ষেপিয়ে দিয়েছিলেন

আপত্তি: রসূলুল্লাহ্ (সা.) এর জন্মের পর তার বাবা ইন্তেকাল করেন

আপত্তি : তিনি ইসলামী বছরের দ্বিতীয় মাসকে চতুর্থ মাস লিখেছেন

আপত্তি : ১৮৫৭ সালে কুরআন আসমানে উঠানো হবে

আপত্তি : কুরআনের বক্তব্য অনুযায়ী ধর্মযুদ্ধ হারাম

আপত্তি : মক্কা মদীনায় রেলের রাস্তা তৈরি হচ্ছে

আপত্তি : পূর্বেকার নবীগণের কাশফ অনুযায়ী চতুর্দশ শতাব্দির শুরুতে জন্ম

আপত্তি: শেষ যুগে মুহাম্মদ (সা.) দুনিয়াতে আবার আসবেন

আপত্তি : মসীহের যুগে রেলগাড়ী আবিষ্কৃত হবে

আপত্তি : আদম থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত দুনিয়ার বয়স ৭ হাজার বছর

আপত্তি : ইমাম মাহদীর কিতাবে ৩১৩ জন সাথীর নাম থাকবে

আপত্তি : ভারতে একজন কাল রংয়ের নবী এসেছিলেন তার নাম কাহেন

আপত্তি : হাদীসে আছে, মসীহ্‌ ছয় হাজার সালে জন্ম নিবেন

আপত্তি : হাদীসে আছে আগত মাসীহ্ জুলকারনাইন হবে

আপত্তি : মসীহ্ (আ.) আসলে তাকে লাঞ্ছিত করা হবে… কুরআন ও হাদীসে এমন কথা আছে

আপত্তি : সহীহ্ হাদীসসমূহে আছে, মসীহ শতাব্দির শুরুতে আসার কথা

আপত্তি: আহমদীরা খতমে নবুওত অস্বীকারকারী

আপত্তি: মির্যা সাহেব এমন নবুওতের দাবি করেছেন যা প্রকাশ্য কুফরি।

আপত্তি: হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) নবীগণের সাথে বে-আদবী করেছেন বা তাদের সম্মানে আঘাত হেনেছেন।

আপত্তি- হাযা খালিফাতুল্লাহিল মাহদী বুখারীর হাদিস

আপত্তি: পাঁচ পঞ্চাশের সমান

আপত্তি: সত্য ধর্ম হলে মুরতাদ হয় কিভাবে? শামসুদ্দিন মুরতাদ ও মোল্লাদের উল্লাস।

আপত্তি: মির্যা সাহেব তার বিভিন্ন পুস্তকে ঈসা(আ.)-এর বিভিন্ন কবরের কথা উল্লেখ করেছেন, কোনটি সঠিক?

আপত্তি: মির্যা সাহেব উল্লেখ্য করেছেন যে, মুহাম্মদ (সা.)-এর ১১ পুত্র সন্তান ছিল

আপত্তি: যে ব্যক্তি পিতার পেনশনের অর্থ চুরি করে খরচ করে সে কীভাবে ইমাম মাহদী হয়?

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন মহানবী (সা.)-এর ১২ জন কন্যাসন্তান ছিলেন!

আপত্তি: মুহাম্মদী বেগম এবং মির্যা আহমদ বেগ সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয় নি

আপত্তি: স্বপ্নে দেখলাম, আমি খোদা এবং বিশ্বাস করলাম

আপত্তি: মির্যা সাহেবের মর্যাদা রসূলুল্লাহ্‌ সাঃ এর কাধ বরাবর (নাউযুবিল্লাহ্‌)

আপত্তি: রাসূল (সা.)-এর দ্বারা দ্বীন প্রচারের কাজ পরিপূর্ণভাবে হয়নি

আপত্তি: মির্যা সাহেব বিরূদ্ধবাদীদের গালি গালাজ করেছেন

আপত্তি: হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ.) মুসলমানদেরকে কাফের বলেছেন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন

আপত্তি: আল্লাহ্ আমার হাতে বয়াত গ্রহণ করেছেন

আপত্তি : আমার আলামত দশ লক্ষ। রসূলুল্লাহ্(সা.)-এর মু’জিযা তিন হাজার

কাফের আখ্যাদানকারীদের প্রতি হযরত ইমাম মাহদী (আ.)-এর জবাব

হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আ.)-এর দৃষ্টিতে ‘খাতামান নবীঈন’ হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা.)