প্রেস বিজ্ঞপ্তি
১০-অক্টোবর, ২০২৩

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সংঘাতের সাম্প্রতিক বৃদ্ধি সম্পর্কে আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিবৃতি


বি.দ্র. নিম্নলিখিত বিবৃতিটি আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.)-এর নির্দেশনা অনুসারে প্রকাশ করা হলো।

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের পক্ষ থেকে বিবৃতি:

“গত কয়েকদিন ধরে, নির্মম সহিংসতা ও রক্তপাতের ফলে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ শত শত ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছে। নিরপরাধ বেসামরিক জনগণের হত্যা বা ক্ষতি সাধন করা মহানবী (সা.)-এর শিক্ষার সরাসরি লঙ্ঘন। তিনি শিখিয়েছেন যে, এমনকি যুদ্ধাবস্থায়ও কোনো নারী, শিশু বা বৃদ্ধকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা বা তাদের ক্ষতি সাধন করা যাবে না। কোনো ধর্মীয় নেতা বা উপাসনালয়েও হামলা করা যাবে না।”

শোকাহত ও ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছে ও দোয়া করছে। আমারা আমাদের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে তাদের পাশে আছি।

আমাদের দোয়া ও নিবেদন এই যে, যেন অবিলম্বে সংঘাতের অবসান হয় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়, যেন আর কোনো প্রাণহানি না হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমগুলো সচল থাকা আবশ্যক।

যুদ্ধবিরতি না হওয়া পর্যন্ত, যে কোনো সামরিক পদক্ষেপের ক্ষেত্রে বেসামরিক জনগণ যেন কোনো ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

তদুপরি, এই অঞ্চলের মুসলমান দেশগুলো শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত এবং নিশ্চিত করা উচিত যে, যে সকল নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে চরমপন্থীদের কোনো যোগসূত্র নেই, তাদের অধিকার যেন সুরক্ষিত থাকে।

আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য প্রভাবশালী দেশগুলোকে এমন কোনো পদক্ষেপ বা বিবৃতি প্রদানে বিরত থাকার আহ্বান জানাই যা অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে আরও উসকে দিতে পারে। এর স্থলে, সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পাশাপাশি, তাদেরও জরুরী ভিত্তিতে সংঘাত নিরসন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় যথাসম্ভব প্রয়াসী হওয়া উচিত।

দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই শান্তি অর্জনে ন্যায়বিচার ও সমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, সকল পরাশক্তিকে সমতা এবং প্রকৃত ন্যায়বিচারের নীতির ওপর ভর করে দীর্ঘমেয়াদী এবং টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।