প্রেস বিজ্ঞপ্তি
২৬-সেপ্টেম্বর, ২০২৩

যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ৬,৭০০ এর অধিক আহমদী নারীর উদ্দেশে হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.)-এর ঈমানোদ্দীপক ভাষণের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শতবার্ষিকী বছরে অনুষ্ঠিত যুক্তরাজ্য লাজনা ইমাইল্লাহ্‌র ৪৪তম ইজতেমা


“এমন যেন হয় যে, আপনাদের কুরবানী এবং ধর্মের প্রতি নিশ্ছিদ্র বিশ্বস্ততার কথা ইসলামের ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়” – হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.)

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ঈমানোদ্দীপক এক ভাষণের মধ্য দিয়ে লাজনা ইমাইল্লাহ্ (আহমদীয়া মুসলিম নারী অঙ্গ-সংগঠন) যুক্তরাজ্যের ৪৪তম জাতীয় ইজতেমা (বার্ষিক সম্মেলন) সমাপ্ত করেন আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.)।

কিংস্লি-র ওল্ড পার্ক ফার্মে অনুষ্ঠিত তিন দিনের এ আয়োজনে ৬,৭০০ এর অধিক নারী ও বালিকা যোগদান করেন। আধ্যাত্মিক, নৈতিক এবং শিক্ষাগত প্রশিক্ষণে উদ্দীপনা প্রদানকারী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদানের সুযোগ প্রদানের পাশাপাশি এ অনুষ্ঠানে আহমদী মুসলিম নারীগণ তাদের ধর্মবিশ্বাসকে দৃঢ়তর করতে ভূমিকা রাখে।

এই বছরটি আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের মাঝে ১৯২২ সালে প্রতিষ্ঠিত লাজনা ইমা’ইল্লাহ্ অঙ্গ সংগঠনটির শতবার্ষিকীও ছিল।

বক্তৃতার শুরুতে এদিকে ইশারা করে হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“যেখানে এটি (শতবার্ষিকী) আনন্দের কারণ, আমাদেরকে এর পাশাপাশি এটিও স্মরণ রাখতে হবে যে, আমরা ঐ সকল পার্থিব বা দুনিয়াদার গোষ্ঠীর মতো নই যারা উদযাপনের জন্য যেকোনো বাহানা খুঁজতে থাকে, আর যারা কেবল নিজ অস্তিত্বের ১০০ বছর পূর্ণ হওয়ার চিন্তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে যায়। আনন্দ-উচ্ছ্বাসের বদলে এমন মাইলফলকসমূহ আমাদের জন্য আত্মবিশ্লেষণের কারণ হওয়া উচিত এবং আল্লাহ্‌ তা’লার কাছে তাঁর অনুগ্রহরাজি এবং আশিসমণ্ডলির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার উপলক্ষ হওয়া উচিত।”

হুযূর আকদাস বলেন যে, লাজনা ইমাইল্লাহ্‌র সদস্যাদের সেই সকল লক্ষ্য পূরণে সচেষ্ট হওয়া উচিত যেগুলো লাজনা ইমাইল্লাহ্‌র প্রতিষ্ঠাতা দ্বিতীয় খলীফাতুল মসীহ্‌ পেশ করেছিলেন। তিনি স্পষ্ট করেছিলেন যে, “কোনো আহমদী মুসলমান নারীর কখনো নিজেকে কোন পুরুষের চেয়ে হীনতর জ্ঞান করা উচিত নয় অথবা তার ছায়ার আড়ালে লুকিয়ে থাকা উচিত নয়। সকল ক্ষেত্রে, পুরুষ এবং নারী সমান।”

“এটা নিঃসন্দেহে সত্য যে, আল্লাহ্ তা’লা এবং মহানবী (সা.)-এর আদেশ অনুসারে ঘরের এবং পরিবারের পরিবেশ রক্ষার্থে নারীদের এক মৌলিক ভূমিকা অবশ্যই পালন করতে হবে, বিশেষত, তাদের সন্তানদের লালন-পালনের ক্ষেত্রে। একই সাথে, হযরত মুসলেহ্‌ মওউদ (রা.) এ কথা স্পষ্ট করেছেন যে, আহমদী মুসলিম নারীরা তাদের সমাজের সেবা করা এবং এর কল্যাণের জন্য চেষ্টা-সাধনা করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ, বিশেষ করে ইসলামের বাণী প্রচারের মাধ্যমে।”

হুযূর আকদাস অংশগ্রহণকারীদের স্মরণ করিয়ে দেন যে, ইসলামের বাণী প্রচার এমন একটি কাজ যা কেবলমাত্র পুরুষদের ওপর অর্পিত নয়, বরং, সমভাবে নারীদের ওপরও এর ভার ন্যস্ত করা হয়েছে।

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“ইসলামের মূল্যবোধ ও বিশ্বাস অনুসারে জীবন যাপন করে এবং এর বাণীকে দূরদূরান্তে প্রচার করে ইসলামের শিক্ষাকে ছড়িয়ে দেওয়াকে আপনাদের মিশন বলে গণ্য করুন। লাজনার সদস্যা হিসেবে, ইসলাম কী এবং ইসলাম প্রকৃতপক্ষে কীসের প্রতিনিধিত্ব করে, বিশ্ববাসীর সামনে তা স্পষ্ট করার দায়িত্ব আপনাদেরই।”

হুযূর আকদাস এ বিষয়টি তুলে ধরেন যে, কীভাবে নারীর অধিকারকে কেন্দ্র করে ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ নিয়মিতভাবেই উত্থাপিত হয়ে থাকে।

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“যারা ইসলামের শিক্ষা এবং কীভাবে তা নারীর অধিকারের সুরক্ষা করেছে তা সম্পর্কে অবহিত নয়, তাদেরকে অবহিত করার জন্য যদি কোন মুসলিম নারী সরাসরি নিজের ধর্মবিশ্বাসের মর্যাদাপূর্ণ প্রদর্শনের মাধ্যমে এবং নিজের মেধা ও ইতিবাচক অভিজ্ঞতার আলোকে এমন আপত্তির উত্তর প্রদান করে তবে তা তার পক্ষ থেকে কোনো পুরুষের প্রদত্ত কোন উত্তরের চেয়ে অনেক বেশি ভারী সাব্যস্ত হবে।”

একটি পরিবারের মধ্যে পুরুষ এবং নারীর ভূমিকা বর্ণনা করে হুযূর আকদাস ব্যাখ্যা করেন ইসলামে কীভাবে সমান অধিকারকে সমুন্নত রাখা হয়েছে।

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“এটা সত্য যে, ইসলাম শ্রমের একটি বিভাজনের প্রস্তাব করে, যেখানে পুরুষকে তাদের পরিবারের আর্থিক চাহিদা পূরণের মূল দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে, আর অপর পক্ষে নারীকে গৃহকর্ম পরিচালনা এবং নিজ সন্তানদের তরবিয়তের মূল দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এই পার্থক্য সত্ত্বেও, ইসলাম নারী-শিক্ষার ওপর অত্যন্ত গভীর গুরুত্ব আরোপ করেছে যেন তাদের প্রতিভা উন্মোচিত হয় এবং তারা নিজ সমাজের জন্য এক সম্পদে পরিণত হন।”

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) আরো যোগ করেন:

“উপরন্তু, শিক্ষিত হওয়ার ফলে মায়েরা তাদের সন্তানদের এমনভাবে লালন-পালন এবং পথপ্রদর্শন করতে পারবেন যেন তারা প্রয়োজনীয় সকল গুণসম্পন্ন এবং দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে, যারা তাদের সমাজে ইতিবাচক অবদান রেখে থাকে। সুতরাং, যদিও পুরুষ এবং নারীর দায়িত্ব বণ্টনে এক প্রকারের ভিন্নতা রয়েছে, কিন্তু মানুষ হিসেবে তাদের মূল্য বিবেচনায় এবং আবেগ অনুভূতির দিক থেকে ইসলাম তাদের মাঝে সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে।”

এরপর, হুযূর আকদাস বর্ণনা করেন যে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর যুগে মুসলমান নারীগণ কঠোর নিপীড়নের মুখেও উচ্চ আধ্যাত্মিক মর্যাদা লাভ করেছেন।

হুযূর আকদাস উল্লেখ করেন কীভাবে প্রাথমিক যুগের মুসলমান নারীগণকে নিপীড়নের কারণে তাদের মাতৃভূমি ছেড়ে যেতে হয়েছে; কিন্তু, তারা কখনো তাদের এই হিজরতের উদ্দেশ্য ভুলে যান নি, “যা ছিল ধর্ম পালনের স্বাধীনতা লাভ করা। তারপর, তারা নিবেদিত-চিত্তে তাদের ধর্মের অনুশীলন করেছেন এবং অন্য সকল কিছুর ওপরে একে অগ্রাধিকার প্রদান করেছেন।”

লাজনা ইমাইল্লাহ্‌র সকল সদস্যাকে নিজেদের ধর্মবিশ্বাসের প্রতি তাদের আত্মনিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখার আহ্বান জানিয়ে হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“আজ, একইভাবে, আপনাদের অনেককে অথবা আপনাদের পূর্বসূরীদেরকে ধর্মের কারণে নিপীড়নের জন্য আপনাদের মাতৃভূমি ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। এমন করার পর, আপনাদের নিজেদেরকে এখন প্রশ্ন করা উচিত, ধর্ম পালনের স্বাধীনতা লাভের পর আপনারা কি অন্য সকল কিছুর ওপর আপনাদের ধর্ম-বিশ্বাসকে অগ্রাধিকার প্রদান করছেন? আপনারা কি সম্ভাব্য সকল কুরবানীর জন্য প্রস্তুত আছেন?”

মায়েদের উদ্দেশে আরও দিকনির্দেশনা প্রদান করে হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“নোংরা কর্মকাণ্ড এবং বিশ্বাস ক্রমাগত শিকড় গেড়ে বসছে যা অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধর্মীয় শিক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কারণ। সুতরাং, আপনার সন্তানদের পথপ্রদর্শন করা এবং তাদেরকে সঠিক এবং ভুলের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে পথ চলতে সাহায্য করা একটি অত্যাবশ্যকীয় কাজ এবং একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ যা গ্রহণ করে আহমদী মুসলমান মায়েদের অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে।”

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর যুগে মুসলমান নারীগণ কীভাবে দুনিয়ার ওপর তাদের ধর্ম-বিশ্বাসকে অগ্রাধিকার প্রদান করেছেন হুযূর আকদাস তার কিছু দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেন।

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“উহুদের যুদ্ধের পর, যেখানে মুসলমানগণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন, মুসলমান নারীদের অবস্থা এমন ছিল যে, তাদের স্বামী-সন্তান বা ভাইয়েরা নিহত হয়েছেন কিনা সেই বিষয়ে তারা পরোয়া করেন নি। তারা কেবল এটাই জানতে চেয়েছেন যে, মহানবী (সা.) কেমন আছেন, আর যখন তারা অবহিত হয়েছেন যে, মহানবী (সা.) জীবিত আছেন এবং ভালো আছেন তখন তারা পরিপূর্ণ প্রশান্তি লাভ করেছেন।”

এমন নিবেদিত-প্রাণ নারীদের দৃষ্টান্ত নিয়ে আহমদী মুসলমান নারীদের চিন্তা করার তাগিদ প্রদান করে হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“ইসলামের প্রাথমিক যুগের এমন মহান দৃষ্টান্তের আলোকে হযরত মুসলেহ্‌ মওউদ (রা.) তাঁর হৃদয় নিংড়ানো বিশ্বাস বর্ণনা করেন যে, যদি আজকের যুগে আহমদী মুসলমান নারীগণ প্রাথমিক যুগের মুসলমান নারীদের সেই স্পৃহা এবং আবেগ ধারণ করতে পারেন তবে আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত অতি দ্রুত গতিতে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে অগ্রসর হবে। সুতরাং, আহমদী মুসলমান নারী হিসেবে, আপনাদেরকে অন্যান্য নারীর মাঝে ইসলামের বাণী পৌঁছানোর ক্ষেত্রে নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে, যেন সমাজের ভবিষ্যৎ প্রজন্মসমূহ সঠিক পথ লাভ করে। নিজেদের পরবর্তী প্রজন্মের ওপর নারীদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবের কারণে, নারীদের নিকট ধর্ম প্রচার সমাজের ওপর আরো সুগভীর এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব বিস্তারে সমর্থ হবে।”

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) আরও বলেন:

“হযরত আয়েশা (রা.)-এর দৃষ্টান্ত সকল আহমদী মুসলিম নারীর সামনে বিদ্যমান, যিনি ধর্মীয় জ্ঞানের দিক থেকে, সমকালীন, বরং, সর্বযুগের পুরুষদের বহু ঊর্ধ্বে এক মর্যাদা লাভ করেছিলেন। অনুরূপভাবে, নারীদের এই যোগ্যতা রয়েছে যে, তারা জ্ঞানের সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করতে পারেন। আর তাই আপনাদের কখনো নিজেদেরকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়। বরং, আপনাদের মাঝে থাকা সুপ্ত বিশাল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সচেষ্ট হন; কেননা, এটি আপনাদেরকে সেই যোগ্যতা দান করবে যার মাধ্যমে আপনারা আপনাদের সন্তানদেরকে এমনভাবে লালন-পালন করতে পারবেন যার ফলে তারা সমাজের জন্য কল্যাণকর হয়ে গড়ে উঠবে। আর এটি আপনাদেরকে আপনাদের ধর্ম ও বিশ্বাসের সপক্ষে কথা বলার যোগ্যতাও দান করবে।”

ভাষণ সমাপ্ত করতে গিয়ে হুযূর আকদাস আহমদী মুসলমান নারীদেরকে তাদের সামনে বিদ্যমান বিশাল দায়িত্ব সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেন।

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“লাজনা ইমাইল্লাহ্‌র প্রথম শতাব্দীর পৃষ্ঠা উল্টানোর সাথে সাথে, এখন আপনাদের সামনে আগামী শতাব্দীর রূপে একটি শূন্য পৃষ্ঠা বিদ্যমান, আর আপনাদের আচরণ এবং ঈমানের মান নির্ধারণ করবে সেই পৃষ্ঠায় শেষ পর্যন্ত কী লেখা হবে। এমন যেন হয় যে, আপনাদের কুরবানী এবং ধর্মের প্রতি নিশ্ছিদ্র বিশ্বস্ততার কথা ইসলামের ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়, সেই সকল নারীর ন্যায় যারা মহানবী (সা.)-এর সময় ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। এমন যেন হয় যে, যখন এই যুগের ইতিহাস রচনা করার সময় আসবে, তখন সেই শূন্য পাতা যার কথা আমি উল্লেখ করেছি, তা এই যুগের অগণিত আহমদী নারীর এমন সব ঘটনায় সুসজ্জিত হয়, যেখানে তারা প্রমাণ করেছিলেন যে, তারা নিজেদের ধর্মবিশ্বাসের খাতিরে সর্বপ্রকার কুরবানীর জন্য প্রস্তুত ছিলেন এবং ধর্মের প্রতি তাদের দায়িত্ব অত্যন্ত গৌরবজ্জ্বলভাবে পূর্ণ করেছিলেন।”

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) আরও বলেন:

“ইতিহাস যেন সাক্ষ্য দেয় যে, এই পৃথিবীর বুকে খোদা তা’লার একত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় আহমদী মুসলমান নারীগণ কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছেন। আর আমরা যেন শীঘ্র মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সেই অসাধারণ আধ্যাত্মিক বিজয় অবলোকন করতে পারি, যেখানে সকল দেশ ও জাতির মানুষ আধ্যাত্মিকভাবে একতাবদ্ধ হবে এবং ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাকে বরণ করে নেবেন। নিশ্চিতভাবে, কেবল এরই মাঝে বিশ্বের মুক্তি নিহিত।”