প্রেস বিজ্ঞপ্তি
১৯-জুন, ২০২৩

স্কানথর্পে নতুন আহমদীয়া মসজিদ উদ্বোধন করলেন আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান


“সমাজে শান্তি বজায় রাখার জন্য কোনো প্রচেষ্টা যেন বাদ দেওয়া না হয়”
– হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.)

২৯ জুন, ২০২৩ টিলফোর্ডের ইসলামাবাদে মুবারক মসজিদ থেকে ঈদুল আযহার খুতবা প্রদান করেন আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.)।
আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত এটি ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে, ১৭ জুন, ২০২৩ আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) যুক্তরাজ্যের স্কানথর্পে বাইতুস সালাম মসজিদের উদ্বোধন করেন।
নতুন মসজিদে পৌঁছে, যোহর এবং আসরের নামায পড়ানোর পূর্বে, হুযূর আকদাস একটি স্মারক ফলক উন্মোচন এবং সমবেত সকলকে নিয়ে দোয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদটির উদ্বোধন করেন।

এর কিছু পরেই মসজিদের উদ্বোধন উপলক্ষে মসজিদের প্রাঙ্গনে একটি বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে ৬০-এর অধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) প্রদত্ত মূল ভাষণ যেখানে তিনি ইসলামের শান্তিপূর্ণ শিক্ষা তুলে ধরেন এবং বলেন যে, মসজিদটি ইসলামের “প্রেম, শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের চেতনা”-র বিকাশস্থল হবে।

হুযূর আকদাস স্থানীয় মানুষজন ও প্রশাসনের উদারতাকে সাধুবাদ জানান যারা আহমদীয়া মুসলিম জামা’তকে মসজিদ নির্মাণ করার অনুমতি প্রদান করেছেন এবং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন।

হুযূর আকদাস বলেন যে, সমাজে ইসলামকে প্রায়ই চরমপন্থী ধর্ম হিসেবে চিত্রিত করা হয়, যার চাইতে বাস্তবতা বিবর্জিত আর কিছু হতে পারে না।

এমন আশঙ্কা সরাসরি সম্বোধন করে, হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“আপনারা কেউ কেউ (স্থানীয় মানুষজন) শঙ্কিত থাকতে পারেন এই ভেবে যে, এই মসজিদ আপনাদের এখানে চরমপন্থার ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায় শুরু করবে। এই ক্ষেত্রে নিশ্চিত থাকুন যে, এটি সত্য বিবর্জিত। ইসলামের শিক্ষা সকল প্রকার চরমপন্থা ও জঙ্গিবাদের সম্পূর্ণ বিরোধী। ইসলাম সকল প্রকার সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করে এবং শান্তি ও সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়। ইসলাম সকল ধর্ম ও বিশ্বাসের মানুষকে পারস্পরিক সহনশীলতা, সহানুভূতির সঙ্গে একত্রে বন্ধুত্বপূর্ণভাবে বসবাস করার আহ্বান জানায়। ইসলাম সমাজের সকল সদস্যকে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য, তাদের ভিন্নতার ঊর্ধ্বে উঠে, মানুষ হিসেবে একতাবদ্ধ হওয়ার কথা বলে।”

কীভাবে মসজিদটি ইসলামের সুন্দর শিক্ষা তুলে ধরবে, এ সম্পর্কে বলতে গিয়ে, হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“মসজিদের উদ্দেশ্যে হিসেবে এক লেখায় আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের প্রতিষ্ঠাতা বলেন যে, যদি কোনো ব্যক্তি কোনো এলাকায় ইসলাম সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে চায় তাহলে সে যেন উক্ত এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণ করে। এর মাধ্যমে তিনি বুঝিয়েছেন যে, যদি মসজিদ নির্মাণ করা হয় তবে অমুসলিমরা স্বাভাবিকভাবে ইসলামের শিক্ষা দেখতে পাবে এবং তারা দেখবে কীভাবে সেই মসজিদ ভালোবাসা, শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের এক প্রেরণা সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে। তারা তাদের নিজেদের চোখে দেখবে যে, মুসলমানরা একদিকে যেমন আল্লাহ্ তা’লার প্রতি কর্তব্য পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, অপরদিকে ইসলামের শিক্ষা তাদের নিকট দাবি করে যে, তারা যেন মানুষের অধিকার আদায় করে এবং ধর্ম ও বিশ্বাস নির্বিশেষে সকলের অধিকার আদায় করে এবং তাদের জন্য সর্বোত্তম কল্যাণ কামনা করে।”

হুযূর আকদাস ইসলামের ধর্মগ্রন্থ থেকে প্রমাণ করেন যে, চরমপন্থীদের দ্বারা অঙ্কিত ইসলামের চিত্র কীভাবে এর শিক্ষার সম্পূর্ণ পরিপন্থী এবং উল্লেখ করেন যে, মসজিদ নির্মাণের উদ্দেশ্যই হলো শান্তি প্রতিষ্ঠা।

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“মুসলমানরা যেখানেই মসজিদ নির্মাণ করে সেটি নির্মাণ করা হয় সৃষ্টিকর্তার প্রথম ঘর, ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র স্থান মক্কায় অবস্থিত পবিত্র কা’বার অনুকরণে এবং [কা’বার] আধ্যাত্মিক প্রতিচ্ছায়া রূপে। … কা’বা সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের সূরা আলে ইমরান-৩:৯৮ আয়াতে বলা হয়েছে যে, যারাই আল্লাহর এই পবিত্র ঘরে প্রবেশ করে তারা ‘শান্তিতে প্রবেশ করে’ – এর অর্থ প্রত্যেক প্রকৃত মুসলমান মসজিদে প্রবেশের পর নিজে শান্তির এক অবস্থায় প্রবেশ করে, এবং অন্যের শান্তি ও নিরাপত্তার জিম্মাদার হয়ে যায়।”

সকল ধরনের চরমপন্থাকে অস্বীকারকারী ইসলামের শিক্ষা আরও তুলে ধরতে গিয়ে, হুযূর আকদাস পবিত্র কুরআনের ২৫:৬৪ আয়াত উদ্ধৃত করেন:

“আর-রহমান খোদার প্রকৃত বান্দা তারা, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং অজ্ঞরা যখন তাদেরকে সম্বোধন করে, তখন তারা সম্মানজনকভাবে তাদের এড়িয়ে চলে আর তাদেরকে বলে ‘সালাম’!”

উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে, হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“মুসলমানদের এই শিক্ষা দেওয়া হয়েছে যে, সমাজে শান্তি বজায় রাখার জন্য কোনো প্রচেষ্টা যেন বাদ দেওয়া না হয়, এমনকি, পবিত্র কুরআন মুসলমানদেরকে এ শিক্ষা দেয় যে, তারা যেন অজ্ঞ ‍ও কর্কশভাষী লোকদের রূঢ় ভাষা বা সংঘাতের তীব্র উস্কানির মুখে তাদেরকে এড়িয়ে যায় এবং ‘সালাম’ বা শান্তির বার্তা প্রদান করে। ইসলাম মূলত মুসলমানদেরকে সর্বদা সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের নির্দেশ দেয় এবং শেখায় যে, ঘৃণামূলক আক্রমণ বা আপত্তিকর বক্তব্যের উত্তর অনুরূপভাবে প্রদান করার মধ্যে চরিত্রের শক্তিমত্তা প্রকাশ পায় না; বরং, ধৈর্য প্রদর্শন এবং সমাজে শান্তি বজায় রাখার মধ্যে তা প্রকাশ পায়।”

হুযূর আকদাস উল্লেখ করেন যে, যদিও প্রাথমিক যুগে মুসলমানরা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল, কিন্তু, তা ছিল “শান্তি প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার রক্ষা এবং সমাজে বিশ্বাস ও চিন্তার স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের জন্য” কঠিন পরিস্থিতিতে আত্মরক্ষামূলক ‍যুদ্ধ।

হুযূর আকদাস পবিত্র কুরআনের ২২:৪০-৪১ আয়াত উদ্ধৃত করেন এবং ব্যাখ্যা করেন যেখানে প্রাথমিক যুগে বছরের পর বছর নিপীড়িত হওয়ার পর মুসলমানদেরকে আত্মরক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়।

“আল্লাহ্ তা’লা ঘোষণা করেন যে, প্রাথমিক যুগের মুসলমানদেরকে যুদ্ধ করার অনুমতি এইজন্য দেওয়া হয়েছিল যে, তাদেরকে এমন লোকেরা নির্দয়ভাবে আক্রমণ করছিল যারা কেবল ইসলামকে ধ্বংস করতেই উদ্যত ছিল না; বরং, তাদের আরও বৃহত্তর একটি উদ্দেশ্য ছিল – তা হলো সমাজের একটি কাঠামো হিসেবে ধর্মকেই বিনষ্ট করা। বস্তুত, তাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ উদ্দেশ্য এবং দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা ছিল যে, সর্বপ্রকার ধর্মীয় স্বাধীনতা যেন সমাপ্ত হয়। সুতরাং, আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধের অনুমতি কেবল মুসলমানদেরকে বা ইসলাম ধর্মকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয় নি। বরং, মুসলমানদেরকে আল্লাহ্‌ তা’লা আদেশ দিয়েছেন তারা যেন সকল ধর্মের উপাসনালয়ের সুরক্ষা করে, সেগুলো মন্দির হোক, বা গির্জা, বা ইহুদী উপাসনালয় বা অন্য কিছু।”

হুযূর আকদাস বলেন যে, কতক অমুসলিম পণ্ডিত ব্যক্তি যারা ইসলামের প্রাথমিক ইতিহাসের ওপর যত্নের সাথে গবেষণা করেছেন তারা এটি স্বীকার করেছেন যে, ইসলামের বাণী ছিল শান্তি ও একতার বাণী।

হুযূর আকদাস আমেরিকান গবেষক ড. ক্রেইগ কনসিডিনকে উদ্ধৃত করেন যিনি তাঁর ‘পিপল অফ দ্য বুক: প্রফেট মুহাম্মদ’স এনকাউন্টার্‌স উইথ ক্রিশ্চিয়ান্স’ বইয়ে লিখেছেন:

“মুহাম্মদ এবং প্রাথমিক উম্মাহ্‌র বিশ্বাসীগণ একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যার ভিত্তি ছিল পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সভ্য আচরণ, বহুজাতিক মিথস্ক্রিয়া, বিবেকের স্বাধীনতা, ধর্মের স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, আন্তঃধর্মীয় সংলাপ, পারস্পরিক নির্ভরশীলতা, এবং ধর্মীয় বৈচিত্র বা বহুত্ববাদ।”

হুযূর আকদাস আরো বলেন কীভাবে আধুনিক যুগের সকল যুদ্ধই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সংঘটিত হচ্ছে আর যেখানেই ইসলামের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে তা কেবল ক্ষুদ্র স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য।

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“আজ, আর ধর্মীয় যুদ্ধ সংঘটিত হচ্ছে না। বরং, যে সংঘাতগুলো আমরা দেখে থাকি সেগুলো ভূ-রাজনৈতিক প্রকৃতির। যদি কোন মুসলমান বা কোন মুসলমান জাতি কোথাও অংশ নিয়ে থাকে, তবে সেটি তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য এবং ক্ষুদ্র স্বার্থ অর্জন করার জন্য এবং তাদের ধর্মের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে নয়। … উপরন্তু, একথা বলা ভুল হবে যে, সংঘাত কেবল মুসলিম দেশগুলোতে সীমাবদ্ধ। অমুসলিম বিশ্বও যুদ্ধ-সংঘাতে লিপ্ত, যেমনটি আমরা অত্যন্ত প্রকটভাবে ইউক্রেনের ক্ষেত্রে দেখতে পাই। সুতরাং, যেভাবে আমি বলেছি, আজকের দিনে যে যুদ্ধগুলো সংঘটিত হচ্ছে সেগুলো ভৌগোলিক বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে, আর আমি মনে করি যে, সেগুলোকে কোন ধর্ম বা ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে সম্পৃক্ত করা হলে সেটি একেবারেই অন্যায় হবে।”

হুযূর আকদাস আরো বর্ণনা করেন ইসলামের শান্তিপূর্ণ শিক্ষা কীভাবে আহমদীয়া মুসলিম জামা’তকে বিশ্বের মানুষের দুঃখ-কষ্ট মোচনে অগ্রসর হতে অনুপ্রাণিত করে।

হুযূর আকদাস দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেন কীভাবে আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত সেই সকল এলাকায় সুপেয় পানির বন্দোবস্ত করার জন্য প্রয়াস গ্রহণ করছে যেখানে পানির সহজলভ্যতা নেই।

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“এখানে পাশ্চাত্যে বসবাস করে, সেই সকল অনুন্নত দেশের কঠিন পরিস্থিতি কল্পনা করা অসম্ভব, যেখানে মানুষের জন্য প্রতিদিন নিজেদের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে বালতি ভরে পানি আনার জন্য কয়েক মাইল হাঁটা একটি মামুলী বিষয়। … যখন আমাদের স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ ওই সকল প্রত্যন্ত এবং দুর্গম এলাকায় সফর করেন এবং সেখানে তাদের পল্লীতে পানির পাম্প স্থাপন করেন, তখন স্থানীয় জনসাধারণের আনন্দ এবং উচ্ছ্বাস সকল সীমা ছাড়িয়ে যায়। উন্নত বিশ্বে বসবাসকারী মানুষের জন্য তাদের অনুভূত সেই বাঁধভাঙ্গা আনন্দ অনুমান করাও অকল্পনীয়। নিজেদের দ্বারপ্রান্তে একটি কল হতে প্রবাহমান বিশুদ্ধ পানি লাভ করা ওই সকল মানুষের জন্য একটি জীবনজয়ী অভিজ্ঞতা। কেবল যদি আপনি স্বচক্ষে দেখে থাকেন তবেই আপনি তাদের উচ্ছ্বাসপূর্ণ আবেগ কিছুটা অনুধাবন করতে শুরু করতে পারেন।”

হুযূর আকদাস বলেন যে, ইসলামী শিক্ষার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এমন সেবাসমূহ ধর্মীয় বিশ্বাস নির্বিশেষে সকলের জন্য প্রদান করা হয়।

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“আমাদের সকল প্রয়াসের ভিত্তি এবং অনুপ্রেরণা হলো ইসলামের শিক্ষা আর এগুলো কেবলমাত্র মানবজাতির উন্নতিকল্পে গ্রহণ করা হয়। সমাজের দুর্বলতম সদস্যের বোঝাকে আমরা নিজের বলে মনে করি এবং এও মনে করি যে, এটি আমাদের দায়িত্ব। যাদেরই কিছু প্রয়োজন বা যারা আজ নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসা এবং তাদেরকে আরাম পৌঁছানো আমাদের দায়িত্ব। সংক্ষেপে, ইসলামের শিক্ষা আমাদেরকে অন্য সকল মানুষের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে মিলেমিশে বসবাস করতে বাধ্য করে।”

ভাষণের শেষাংশে, হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“এই মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে ‘বাইতুস সালাম মসজিদ’, যার আক্ষরিক অর্থ হলো ‘শান্তির ঘর’। আর, এই নাম অনুসারে, আমি দৃঢ় বিশ্বাস রাখি যে, স্থানীয় আহমদী মুসলমানগণ সমাজে শান্তি ও ভালোবাসার বিস্তার ঘটাবেন, দেশের আইন অনুসরণ করে চলবেন, এবং তাদের সম্প্রদায়ের মাঝে এবং বৃহত্তর সমাজের সেবায় উৎকর্ষ অর্জন করবেন। ইনশাআল্লাহ, ইসলামের প্রকৃত শিক্ষার প্রতিফলন তাদের মাঝে চিরকাল ঘটতে থাকবে।”

মূল ভাষণের পূর্বে, আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের রিজিওনাল আমীর ড. মোজাফফর আহমদ স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এবং তিন জন অতিথি বক্তা আহমদীয়া মুসলিম জামা’তকে নতুন মসজিদ উদ্বোধনে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।

অতিথি বক্তাদের মধ্যে ছিলেন স্কানথর্পের সংসদ সদস্য হলি মাম্বি-ক্রফ্‌ট, ক্লীথর্প্‌সের সংসদ সদস্য মার্টিন জন ভিকার্স এবং নর্থ লিঙ্কনশায়ার কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলর জ্যানেট লংকেক।