মহানবী (সা.)-এর জীবনী: উহুদের যুদ্ধে সাহাবীদের বীরত্ব এবং সমগ্র বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য দোয়ার আহ্বান

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

০২-ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, যুক্তরাজ্য

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

নিখিলবিশ্ব আহমদীয়া মুসলিম জামাতের বর্তমান ইমাম ও আমীরুল মু’মিনীন হযরত মির্যা মসরূর আহমদ খলীফাতুল মসীহ্ আল্ খামেস (আই.) গত ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখে যুক্তরাজ্যের (ইসলামাবাদস্থ) মসজিদ মুবারক-এ “মহানবী (সা.)-এর জীবনী: উহুদের যুদ্ধে সাহাবীদের বীরত্ব এবং সমগ্র বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য দোয়ার আহ্বান” বিষয়ক জুমুআর খুতবা প্রদান করেন। প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় মহানবী (সা.)-এর জীবনচরিত বর্ণনার ধারাবাহিকতায় উহুদের যুদ্ধে মহানবী (সা.)-এর অতুলনীয় মহানুভবতা আর সাহাবীদের বীরত্ব ও আত্মনিবেদনের ঈমান উদ্দীপক ঘটনা বর্ণনা করেন। খুতবার শেষাংশে হুযূর (আই.) পাকিস্তান ও ইয়েমেনের আহমদী সহ সমগ্র বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য দোয়ার আহ্বান জানান।
তাশাহ্‌হুদ, তা’উয এবং সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, “উহুদের যুদ্ধের ঘটনা প্রবাহ বর্ণনা করতে গিয়ে সাহাবীদের আত্মনিবেদন এবং তাদের রসূলপ্রেমের কতিপয় দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছিলাম। এর মাঝে হযরত আলী (রা.)’র বীরত্ব ও সাহসিকতা সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে, ইবনে কামিয়া- মুসআব বিন উমায়ের (রা.)-কে শহীদ করার পর মহানবী (সা.) তার স্থলে হযরত আলী (রা.)’র হাতে পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। এভাবে মহানবী (সা.)-এর নির্দেশে হযরত আলী (রা.) শত্রুদের সাথে লড়াই করতে থাকেন এবং তাদেরকে পিছু হটতে বাধ্য করেন।” হযরত জীব্রাঈল, হযরত আলী (রা.) সম্পর্কে বলেন, ‘হে আল্লাহ্‌র রসূল! নিশ্চয় তিনি সহানুভূতি লাভের যোগ্য’। তখন মহানবী (সা.) বলেন, “আলী আমা হতে আর আমি আলী হতে।” তখন হযরত জীব্রাঈল বলেন, “আমি আপনাদের দু’জনের মধ্য হতে।”
হযরত আলী (রা.) বলেন, “মহানবী (সা.)-এর শাহাদতের সংবাদ পেয়ে আমি তাঁকে খুঁজতে থাকি। আমি শহীদদের মাঝেও তাঁকে পাইনি আর তাঁকে যুদ্ধ করতেও দেখিনি। তখন আমি ভেবেছিলাম নিশ্চয় আল্লাহ্ তাঁকে তুলে নিয়েছেন- কেননা তিনি পালিয়ে যেতে পারেন না।” যাহোক, উহুদের যুদ্ধে হযরত আলী (রা.)’র দেহে ১৬টি আঘাত লেগেছিল। তিনি যুদ্ধ থেকে ফিরে হযরত ফাতেমা (রা.)-কে নিজের তরবারী ধৌত করতে দিয়ে বলেন, “আজ এই তরবারীটি অনেক কাজে লেগেছে।” একথা শুনে মহানবী (সা.) বলেন, “কেবলমাত্র তোমার তরবারীই নয়, বরং আজ আরো অনেক সাহাবীর তরবারী-ই কাজে লেগেছে।”
হযরত আবু তালহা আনসারী (রা.) সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে, মহানবী (সা.)-এর সুরক্ষায় যেসব সাহাবী তাঁর নিকটে অবস্থান করছিলেন তাদের মাঝে তিনি ছিলেন অন্যতম। মহানবী (সা.)-এর পবিত্র দেহকে নিজে ঢাল হয়ে সুরক্ষিত করেছেন। বর্ণিত হয়েছে, তিনি শত্রুদের উদ্দেশ্যে তির নিক্ষেপ করতে করতে দু’টি বা তিনটি ধনুক ভেঙ্গে ফেলেছিলেন। মহানবী (সা.) অন্যান্য সাহাবীদেরকে তার হাতে তির তুলে দিতে বলছিলেন, কেননা তিনি একজন দক্ষ তিরন্দাজ ছিলেন। আরেকটি বর্ণনায় আছে, মহানবী (সা.) আবু তালহা (রা.)’র মাথার ওপর দিয়ে নিজের মাথা তুলে সামনের দিকে শত্রুদের দেখতে চাইলে আবু তালহা (রা.) বলেন, ‘হে আল্লাহ্‌র রসূল (সা.)! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত- আপনি মাথা তুলবেন না। নতুবা তাদের তির আপনার শরীরে বিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা আছে! আমার দেহ আপনার দেহের সামনে ঢালস্বরূপ রয়েছে।’
শত্রুরা যখন মহানবী (সা.)-কে উদ্দেশ্য করে উপর্যুপরি তির নিক্ষেপ করছিল তখন মুহাজির সাহাবী হযরত তালহা বিন উবায়দুল্লাহ্ (রা.) নিজের হাত দ্বারা মহানবী (সা.)-এর পবিত্র মুখমণ্ডলকে রক্ষা করছিলেন। এর ফলে তার হাতে অনেকগুলো বিষাক্ত তির বিদ্ধ হয় আর তার একটি হাত অকেজ হয়ে যায়। অনেক বছর পর চতুর্থ খিলাফতের সময় মুসলমানদের মাঝে যখন গৃহযুদ্ধ হয় তখন এক বিরোধী উপহাস করে হযরত তালহা (রা.)-কে বলেন, “তোমার হাত তো লুলা।” তখন আরেকজন সাহাবী বলেন, কত বরকতমণ্ডিত তার এই লুলা বা অকেজ হাত, কেননা এই হাত মহানবী (সা.)-এর সুরক্ষা করেছে!” উহুদের যুদ্ধের পর কেউ একজন তাকে জিজ্ঞেস করেছিল, “যখন তির এসে আপনার হাতে বিদ্ধ হচ্ছিলো তখন কী আপনি ব্যথা অনুভব করেননি কিংবা উফ্ পর্যন্ত বলেননি?” তিনি উত্তরে বলেন, ‘ব্যথাও পাচ্ছিলাম আর মুখ থেকে উফ্ শব্দও বেরিয়ে যাচ্ছিল প্রায়, কিন্তু আমি উফ্ শব্দ করছিলাম না; কেননা কোনো কারণে যদি আমার হাত একবার সরে যায় তাহলে মহানবী (সা.)-এর পবিত্র চেহারায় তিরের আঘাত লাগবে’। হযরত তালহা (রা.) এযুদ্ধে ২৪টি আঘাত পেয়েছিলেন। মহানবী (সা.) শত্রুদের পক্ষ থেকে ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পর পুনরায় যখন একত্রিত হওয়ার উদ্দেশ্যে পাহাড়ের চূড়ায় আরোহণ করছিলেন তখন হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হন। এমতাবস্থায় হযরত তালহা (রা.) মহানবী (সা.)-কে নিজের কাঁধে তুলে পেছন ফিরে হাঁটতে থাকেন আর কোনো মুশরিক কাছে আসলে তার সাথে লড়াইও করতে থাকেন। এভাবে তিনি মহানবী (সা.)-কে নিরাপদে পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছে দেন।
হযরত সা’দ (রা.)ও শত্রুদের উদ্দেশ্য করে তির নিক্ষেপ করছিলেন। মহানবী (সা.) স্বয়ং তার হাতে তির তুলে দিচ্ছিলেন। তিনি (সা.) তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “তোমার জন্য আমার পিতা মাতা উৎসর্গিত! তুমি উপর্যুপরি তির নিক্ষেপ করতে থাকো।” আরেকটি বর্ণনায় রয়েছে, মহানবী (সা.) তার জন্য দোয়া করেন, “হে আল্লাহ্! তার লক্ষ্যভেদ করাও এবং তার দোয়া কবুল করো”। বর্ণিত হয়েছে, তিনি (রা.) এদিন এক হাজার তির নিক্ষেপ করেছিলেন।
হযরত আবু দুজানা (রা.) উহুদের যুদ্ধে মহানবী (সা.)-এর নিরাপত্তায় তাঁর জন্য ঢালস্বরূপ ছিলেন। শত্রুরা যে তিরই নিক্ষেপ করত তিনি নিজের দেহকে সামনে রেখে মহানবী (সা.)-এর পবিত্র দেহকে রক্ষা করার চেষ্টা করতেন, যার ফলে তার দেহে অনবরত তির আঘাত হানতে থাকে। এভাবে তার সম্পূর্ণ দেহ তিরবিদ্ধ হয়ে যায় কিন্তু তাসত্ত্বেও তিনি উফ্ পর্যন্ত বলেন নি। তিনি মহানবী (সা.)-এর সুরক্ষায় তাঁর সামনে এমনভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন যে তার পেছনের অংশ শত্রুদের দিকে ছিল। শত্রুরা মহানবী (সা.)-কে উদ্দেশ্য করে তির নিক্ষেপ করছিল আর এসব তির তার কোমরে এসে বিদ্ধ হচ্ছিল।
হযরত নুসায়বা যার আরেক নাম উম্মে আম্মারা (রা.) ছিল, তিনি বর্ণনা করেন, “উহুদের যুদ্ধে আমি লোকদের লড়াই দেখার উদ্দেশ্যে মদীনা থেকে যাত্রা করি। আমি আমার সাথে এক মশক পানি নিয়েছিলাম যেন যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের পানি পান করাতে পারি। পানি পান করাচ্ছিলাম, এমন সময় হঠাৎ মুসলমানেরা বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। শত্রুরা আক্রমণ করতে করতে সামনে অগ্রসর হয়। তখন আমিও যুদ্ধ করতে থাকি, এরপর আমার কাঁধে প্রচণ্ড আঘাত পাই।” (মূলত ইবনে কামিয়া তাকে আঘাত করেছিল।) বর্ণিত হয়েছে, তিনি, তার স্বামী ও তার দুই পুত্র অর্থাৎ পরিবারের সবাই এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) তাদের জন্য দোয়া করেন, “হে আল্লাহ্! তুমি এই পরিবারের প্রতি কৃপা বর্ষণ করো।” আরেকটি বর্ণনায় আছে, উম্মে আম্মারা (রা.) জান্নাতে মহানবী (সা.)-এর সাথী হওয়ার জন্য দোয়া চাইলে মহানবী (সা.) তার জন্য এই দোয়া করেন। অতঃপর তিনি বলেন, “এখন এজগতে আমার সাথে কী ঘটলো বা না ঘটলো এটা নিয়ে আমার আর কোন মাথাব্যাথা নেই।” মহানবী (সা.) বলেন, “উহুদের দিন আমি যেদিকেই তাকিয়েছি তাকে আমার সুরক্ষাকল্পে লড়াই করতে দেখেছি।” তিনি (রা.) এযুদ্ধে ১২টি আঘাত পেয়েছিলেন।
সেদিন কাফিররা সাহাবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে তাদের লাশের অবমাননা করেছে এবং মহানবী (সা.)-কেও গুরুতর আহত করেছিল। এরপর মহানবী (সা.) সাহাবীদের নিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় আরোহণ করলে কাফিররাও তাদের খুঁজতে খুঁজতে ওপরে উঠতে থাকে। তাদের কাছে গিয়ে আবু সুফিয়ান তিনবার চিৎকার করে জিজ্ঞেস করে, “হে মুসলমানেরা! তোমাদের মাঝে কি মুহাম্মদ জীবিত আছেন? তোমাদের মাঝে কি আবু বকর জীবিত আছে? তোমাদের মাঝে কি উমর জীবিত আছে?” প্রথমে সবাই নিরুত্তর থাকাতে আবু সুফিয়ান ঘোষণা দিয়ে বলে, “এরা সবাই মারা নিহত হয়েছে- কেননা তারা জীবিত থাকলে অবশ্যই উত্তর দিত।” সেসময় মহানবী (সা.) তাদেরকে চুপ থাকতে বলেছিলেন, কিন্তু হযরত উমর (রা.) নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পরে বলে উঠেন, ‘হে আল্লাহ্‌র শত্রু! তুমি যাদের কথা বলছ তারা সবাই জীবিত আছেন আর খোদা তা’লা আমাদের হাতে তোমাকে লাঞ্ছিত করবেন’। তখন আবু সুফিয়ান চিৎকার করে বলে, ‘ওলো হুবল!’- হুবল দেবতার জয় হোক! এটা শুনে মহানবী (সা.), যিনি নিজের মৃত্যুর ঘোষণায় সাহাবীদের চুপ থাকতে বলেছিলেন, কিন্তু এ সময় আল্লাহ্ তা’লার প্রতি ভরসা ও আত্মাভিমানে ব্যাকুল হয়ে সাহাবীদেরকে বলেন, “তোমরা কী এখন উত্তর দিবে না?” সাহাবীরা জিজ্ঞেস করেন, “হে আল্লাহ্‌র রসূল (সা.)! আমরা কী উত্তর দিব?” তখন মহানবী (সা.) বলেন, “তোমরা বলো, ‘ওয়াল্লাহু আ’লা ও আজাল্ল’” অর্থাৎ কেবলমাত্র আল্লাহ্ তা’লাই সুউচ্চ ও মহাসম্মানিত। এরপর আবু সুফিয়ান বলে, “আমাদের সাথে উযযা আছে, তোমাদের সাথে উযযা নেই।” মহানবী (সা.) সাহাবীদেরকে বলতে বলেন, “আল্লাহু মওলানা ওয়া লা মওলা লাকুম” তথা আল্লাহ্ই আমাদের অভিভাবক ও সাহায্যকারী পরন্তু তোমাদের কোনো সাহায্যকারী নাই। আবু সুফিয়ান এরপর বলে, “যুদ্ধ একটি পাল্লার ন্যায় যাতে এক দল কখনো জয় লাভ করে আবার কখনো পরাজিত হয়। আগামী বছর এই দিনে তোমাদের সাথে বদরের প্রান্তরে আবার দেখা হবে।” মহানবী (সা.) বলেন, “তাকে বলে দাও যে, আমরা তার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম।”
মজার বিষয় হলো, একথা বলে আবু সুফিয়ান পুনরায় আক্রমণ করার পরিবর্তে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ যা পেয়েছে তা নিয়ে মক্কার উদ্দেশ্যে ফেরত যাত্রা করে। মহানবী (সা.) সতর্কতাবশত ৭০জন সাহাবীর একটি দলকে তাদের গতিবিধি জানার উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন। তিনি (সা.) তাদেরকে বলেন, “তারা যদি উঁটে আরোহণ করে আর ঘোড়াগুলোকে হাঁটিয়ে নিয়ে যেতে থাকে তাহলে বুঝবে তারা মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে আর যদি ঘোড়ায় আরোহণ করে থাকে, তাহলে বুঝবে তাদের উদ্দেশ্য শুভ নয়; তারা মদীনায় আক্রমণ করবে। যদি তাদের এরূপ মনোবাসনা লক্ষ্য করো তাহলে দ্রুত আমাদেরকে এসে সংবাদ দিবে।” এরপর তিনি (সা.) অত্যন্ত প্রতাপের সাথে বলেন, “কুরাইশরা যদি এবার মদীনায় আক্রমণ করে তাহলে খোদার কসম! আমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে তাদেরকে কত ধানে কত চাল এটা একেবারে সুদে আসলে বুঝিয়ে দিব।”
হুযূর (আই.) বলেন, “এ বর্ণনার ধারা ইনশাআল্লাহ্ আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। যেমনটি আমি নিয়মিত দোয়ার জন্য বলছি, ফিলিস্তিনের সার্বিক পরিস্থিতির জন্য দোয়া অব্যাহত রাখুন। শুনেছি যে, গাজায় যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চলছে। হয়ত ইসরাঈলী সরকার কিছুটা নমনীয় হতে পারে, কিন্তু লেবনানের সীমান্তে যুদ্ধ বাঁধার সম্ভাবনা বাড়ছে আর এর প্রভাব পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের ওপর পড়বে। পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর মাঝে তো ন্যায়বিচারের ছিটেফোঁটাও নেই। আমেরিকার প্রধান নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে এবং তাদের অর্থনীতিকে চাঙা করতে এ যুদ্ধের গণ্ডিকে প্রসারিত করতে উদ্বুদ্ধ করছে। তারা জানে না, খোদা তা’লার পাকড়াও থেকে তারা বাঁচতে পারবে না। আহমদীরা দোয়া ও সর্বস্তরে গণসংযোগের মাধ্যমে নিজেদের ভূমিকা পালন করুন। আল্লাহ্ তা’লা মুসলমান দেশগুলোকে তাদের ভূমিকা পালনের তৌফিক দিন এবং পৃথিবীর বিশৃঙ্খলারও অবসান ঘটুক। অনুরূপভাবে ইয়েমেনের আহমদীদের জন্যও দোয়া করুন। যারা বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। পাকিস্তানের আহমদীদের জন্যও দোয়া করুন। দোয়া করুন যেন আল্লাহ্ তা’লা তাদেরকে সুরক্ষিত রাখেন এবং দুস্কৃতকারীদের দুস্কৃতি যেন তাদের ওপরেই আপতিত হয়।”