আর্থিক কুরবানীর গুরুত্ব ও তাৎপর্য – ওয়াকফে জাদীদের ৬৭তম বর্ষের ঘোষণা

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

০৫-জানুয়ারি, ২০২৪

মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, যুক্তরাজ্য

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহ্‌মদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ৫ই জানুয়ারি, ২০২৪ইং তারিখে যুক্তরাজ্যের (ইসলামাবাদস্থ) মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় ওয়াক্‌ফে জাদীদের নববর্ষের (৬৭তম বর্ষ) ঘোষণা ও সদ্যসমাপ্ত বর্ষের বিভিন্ন ঈমানোদ্দীপক ঘটনার আলোকে আর্থিক কুরবানীর গুরুত্ব ও কল্যাণ তুলে ধরেন।
তাশাহ্‌হুদ, তা’ঊয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, সূরা সাফের ১১-১৩নং আয়াত পাঠ করেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا هَلْ أَدُلُّكُمْ عَلَى تِجَارَةٍ تُنْجِيكُمْ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَتُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ يَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَيُدْخِلْكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ وَمَسَاكِنَ طَيِّبَةً فِي جَنَّاتِ عَدْنٍ ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ*

এ আয়াতগুলোর অনুবাদ হলো, হে লোকসকল, যারা ঈমান এনেছো! আমি কি তোমাদের এমন এক ব্যবসা সম্পর্কে অবগত করব যা তোমাদের এক যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে? তোমরা যারা আল্লাহ্ এবং তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান আনয়ন করো আর আল্লাহ্র পথে নিজেদের ধনসম্পদ এবং প্রাণের মাধ্যমে জিহাদ করো, এটি তোমাদের জন্য অনেক উত্তম, যদি তোমরা জ্ঞান রাখো। তিনি তোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন আর তোমাদের এমনসব জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যেগুলোর পাশ দিয়ে নদী প্রবাহিত হয়। আর এমনসব পবিত্র গৃহেও (প্রবেশ করাবেন) যেগুলো চিরস্থায়ী জান্নাতসমূহে রয়েছে। এটি অনেক বড় সফলতা। (সূরা আস সাফ্ফ: ১১-১৩)

উক্ত আয়াতগুলোতে আল্লাহ্ তা’লা তাঁর পথে আর্থিক কুরবানী করার মহাপ্রতিদান ও কল্যাণ ঘোষণা করেছেন। হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর একটি উদ্ধৃতি হুযূর তুলে ধরেন যেখানে তিনি (আ.) বলেছেন, তাঁকেও মূসায়ী মসীহ্‌র অনুরূপ করে প্রেরণ করা হয়েছে; যেভাবে হযরত ঈসা (আ.) ক্ষমা ও মার্জনার শিক্ষা দিয়েছিলেন তেমনিভাবে তাঁকেও দয়া, ক্ষমা, শান্তি ও সন্ধির ইসলামী শিক্ষাসহ মুহাম্মদী মসীহ্ হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে; ধর্মীয় যুদ্ধ রহিত করার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এই যুগ ইসলামের সৌন্দর্য প্রচারের জিহাদের যুগ আর সেই কলমের জিহাদ পরিচালনার জন্যও প্রাণ, সম্পদ, সময় উৎসর্গ করা সেভাবেই আবশ্যক যেভাবে ইসলামের প্রাথমিক যুগে কুরবানীর প্রয়োজন ছিল। এই যুগে যেখানে জাগতিকতার প্রতি সবার তীব্র আকর্ষণ, ধর্মের প্রতি আকর্ষণ হ্রাস পেয়েছে- এমন সময়ে ধর্মের প্রচার ও প্রসারের জন্য কুরবানী করাটাই আল্লাহ্ তা’লার নৈকট্য অর্জনের উপায় ও লাভজনক বাণিজ্য, যেমনটি আল্লাহ্ তা’লাও সূরা সাফের উক্ত আয়াতগুলোতে বলেছেন। তাই মসীহ্ মওউদের যুগে আর্থিক জিহাদ এক বিশেষ কাজ এবং এর মাধ্যমেই জীবন উৎসর্গের প্রতিও আগ্রহ সৃষ্টি হয়, সেইসাথে আল্লাহ্ তা’লার সন্তুষ্টি এবং নৈকট্যও লাভ হয়।
আল্লাহ্ তা’লা পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন স্থানে আর্থিক কুরবানীর প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। যেমন সূরা হাদীদের ১১নং আয়াতে তিনি বলেন: وَمَا لَكُمۡ أَلَّا تُنفِقُواْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ অর্থাৎ তোমাদের কী হয়েছে যে, তোমরা আল্লাহ্ তা’লার পথে ব্যয় করো না? আসলে তো সবকিছু আল্লাহ্ তা’লাই দেন; তবুও তিনি তোমাদেরকে উত্তম প্রতিদান দেয়ার জন্য বলেন, ‘আমার পথে কুরবানী করো।’ আল্লাহ্ তা’লার সত্তার প্রতি বিশ্বাস থাকার দাবি হচ্ছে, আমরা যেন তাঁর পথে কুরবানী করি। আবার সূরা বাকারার ১৯৬নং আয়াতে আল্লাহ্ তা’লা সতর্ক করে বলেন, ‘আল্লাহ্‌র পথে ব্যয় করো এবং নিজ হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসে নিপতিত কোরো না।’ কাজেই, যারা আল্লাহ্ তা’লারই দেয়া সম্পদ তাঁর পথে ব্যয় করে না- তারা নিজেরাই নিজেদেরকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। বর্তমানে আর্থিক জিহাদই নফসের জিহাদ বা আত্মিক পরিশুদ্ধির জিহাদের মাধ্যম। কারণ মানুষ যখন তার অসংখ্য পার্থিব আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করে ধর্মের খাতিরে কুরবানী করে তখন সেটিই নফসের জিহাদে পরিণত হয়। তবে মনে রাখতে হবে, আল্লাহ্ তা’লা কারো ঋণ রাখেন না। তিনি এমন এক বাণিজ্যের সংবাদ দিয়েছেন যার ফলে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণ সাধিত হয় এবং তা শাস্তি থেকে রক্ষাকারী ব্যবসা। জাগতিক ব্যবসা তো কেবল জাগতিক লাভের জন্য হয়ে থাকে, আর তাতে কখনো কখনো মানুষের লোকসানও হয়ে থাকে। কিন্তু যারা পবিত্র নিয়্যত বা সংকল্প নিয়ে আল্লাহ্‌র পথে দেয় তারা উভয় জগতেরই পুরস্কার লাভ করে। হুযূর (আই.) বলেন, আল্লাহ্ তা’লার কৃপায় আজ কেবল আহমদীরাই আল্লাহ্‌র পথে কুরবানীর প্রকৃত তাৎপর্য বোঝে এবং যেভাবে সূরা বাকারার ২৬৬নং আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ্‌র পথে দানকৃত তাদের তুচ্ছ ও সামান্য পরিমাণ অর্থের মাধ্যমে অশেষ কাজ সম্পাদন হয়। জামা’তের উন্নতিই তার সুস্পষ্ট প্রমাণ বহন করে। দরিদ্র আহমদীরা সামান্য পরিমাণ অর্থ কুরবানী করেন আর আল্লাহ্ তা’লা তার মাধ্যমে বিশাল কাজ করিয়ে দেন। হুযূর (আই.) বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, জামা’তের দরিদ্র ও অস্বচ্ছল সদস্যরা অসাধারণ সব কুরবানী করে থাকেন; এর অজস্র উপমা রয়েছে যা বিভিন্ন সময়ে হুযূর (আই.) তাঁর বিভিন্ন খুতবা ও বক্তৃতায় বর্ণনাও করে থাকেন। যারা স্বচ্ছল ও সম্পদশালী- এসব ঘটনা শুনে তাদের নিজেদের কুরবানীর মান ও অবস্থান পর্যালোচনা করা উচিত এবং আত্মবিশ্লেষণ করা উচিত। আফ্রিকা, পাকিস্তান, ভারত- এসব দেশে এমন অনেক দরিদ্র আহমদীও রয়েছেন যারা অভুক্ত থেকেও আর্থিক কুরবানী করেন; কখনওবা নিজের বা সন্তানের চিকিৎসার অর্থ আল্লাহ্‌র পথে দিয়ে দেন। কিন্তু পরিণামে দেখা যায়, আল্লাহ্ তা’লাও তাদের উত্তম প্রতিদান না দিয়ে ছাড়েন না; বরং কখনও কখনও এত দ্রুত তিনি কৃপা করেন যা হতবাক হবার মতো এবং তাদের ঈমান বৃদ্ধির কারণ হয়। তাই কোনো দুর্বল আহমদীর মনেও কখনো এরূপ ধারণা সৃষ্টি হওয়া উচিত নয় যে, আল্লাহ্ তা’লা পুণ্য সংকল্প নিয়ে কৃত কুরবানীর প্রতিদান দেন না! মহানবী (সা.)-এর সাহাবীরা কুরবানীর যে অনন্য দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করেছেন, মসীহ্ মওউদ (আ.)-কেও আল্লাহ্ তা’লা সেরূপ নিষ্ঠাবান ও আত্মনিবেদিত সেবক দান করেছেন, যাদের অনেকের নাম এবং কুরবানীর উল্লেখ করে তিনি (আ.) বিভিন্ন সময়ে প্রশংসা করেছেন। হুযূর (আই.) প্রথম যুগের এরূপ কয়েকজন আহমদীরও উল্লেখ করেন। এবং হুযূর (আই.) বিভিন্ন আঙ্গিকে আর্থিক কুরবানীর গুরুত্ব তুলে ধরেন, অতঃপর বর্তমান যুগের কিছু কুরবানীর ঘটনা বর্ণনা করেন।
আর্থিক কুরবানীর ফলে রিপাবলিক অব সেন্ট্রাল আফ্রিকার জনৈক নবাগত আহমদীর বাড়ি নির্মাণ হয়ে যাওয়া, কাযাখিস্তানের একজন আহমদীর আশ্চর্যজনকভাবে কুরবানীকৃত অর্থের বহুগুণ বেশি অর্থ সরকারের কাছ থেকে পেয়ে যাওয়া- এ ধরনের ঈমানোদ্দীপক ঘটনা রয়েছে। ক্যামেরুনের জনৈক আহমদীর চাঁদা প্রদানের ফলে আত্মিক প্রশান্তি ও আর্থিক স্বচ্ছলতা- উভয়ই লাভের ঘটনাও রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার জনৈক জন্মগত আহমদী যিনি অন্যান্য চাঁদা দিলেও তাহরীকে জাদীদ ও ওয়াক্ফে জাদীদের চাঁদার বিষয়ে উদাসীন ছিলেন- অন্য ভাইদের এই উপদেশ শোনেন যে, ‘আমরা জামা’তের সদস্য হওয়ার কারণে চাঁদা দেই না, বরং আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে চাঁদা দেই’- তখন থেকে সাগ্রহে এই দুটি খাতেও তিনি চাঁদা দিতে আরম্ভ করেন। তিনি স্বয়ং বলেন, হাদীসে যেমনটি বর্ণিত হয়েছে, বান্দা আল্লাহ্‌র দিকে হেঁটে আসলে আল্লাহ্ বান্দার প্রতি দৌড়ে আসেন- তিনি নিজের জীবনে তা পূর্ণ হতে দেখেছেন। মাইক্রোনেশিয়ার জনৈক নবাগত আহমদী যিনি পূর্বে খ্রিষ্টান ছিলেন, তার এই অকপট স্বীকারোক্তির ঘটনাও রয়েছে যে, জামা’তে চাঁদা দেয়ার কল্যাণে সাথে সাথে তার জীবনে এর ফলাফল দেখতে পান, অথচ আগে যখন গির্জায় চাঁদা দিতেন তখন জীবনে তার কোনো ফলাফল দেখতে পেতেন না। তানজানিয়ার জনৈক আহমদী বাড়ির দুর্বল আর্থিক অবস্থা সত্ত্বেও বড় অংকের চাঁদা দিলে যখন তার স্ত্রী বিস্ময় প্রকাশ করেন তখন তিনি স্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন, আল্লাহ্ বহুগুণে তা ফেরত দেবেন। অতঃপর কার্যত যখন তা-ই ঘটে তখন তার স্ত্রীর বিশ্বাসও সুদৃঢ় হয়। জার্মানি ও ভারতেরও এমন ঘটনা রয়েছে যেখানে আহমদীরা আর্থিক সমস্যা সত্ত্বেও দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে আল্লাহ্‌র রাস্তায় কুরবানী করেছেন এবং আল্লাহ্ তা’লাও এমন স্থান থেকে কয়েকগুণ বেশি পাইয়ে দিয়েছেন যা তাদের জন্য অপ্রত্যাশিত ছিল। নাইজারের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে মুয়াল্লিম সাহেব গেলে সেখানকার নিষ্ঠাবান আহমদীরা সাধ্যানুসারে চাঁদা দিচ্ছিলেন; হঠাৎ একজন অ-আহমদী এসে আপত্তি জানায় যে, ‘আপনারা আমাদের দরিদ্র লোকদের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছেন, অথচ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয়। অন্য মুসলমান সংগঠন আমাদের জন্য কিছু নিয়ে আসে, আর আপনারা উল্টো চাচ্ছেন!’ মুয়াল্লিম সাহেবের কিছু বলার আগেই গ্রামের আহমদীরা অত্যন্ত আবেগের সাথে তাকে উত্তর দিয়ে বলেন, ‘অন্যরা সাহায্য করে ঠিকই, কিন্তু কেউ তো আমাদের ইসলাম শেখায় না! আহমদীয়াত আমাদেরকে ইসলাম শিখিয়েছে। আর মুয়াল্লিম সাহেব চাঁদা নিতে আসেন না; তিনি আমাদের সেই কাজের প্রতি উৎসাহ দিতে আসেন যা মহানবী (সা.)-এর যুগে সাহাবীরা করতেন, যার প্রতিদান আমরা কেবল ইহকালেই নয় বরং পরকালেও লাভ করব! ’ এরূপ ঈমান ও কুরবানীর স্পৃহা এবং মানসিকতা আল্লাহ্ তা’লা দূরদূরান্তের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী নবাগত আহমদীদের মাঝেও সৃষ্টি করে দিচ্ছেন।
হুযূর (আই.) এরপর ওয়াক্‌ফে জাদীদের ৬৬তম বর্ষের সমাপ্তি ও ৬৭তম বর্ষের সূচনার ঘোষণা দেন এবং ৬৬তম বর্ষের বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। আল্লাহ্ তা’লার কৃপায় এবছর বিশ্বব্যাপী আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত এই খাতে মোট ১ কোটি ২৯ লক্ষ ৪১ হাজার পাউন্ড কুরবানী করার সৌভাগ্য লাভ করেছে যা গত বছরের তুলনায় ৭ লক্ষ ১৮ হাজার পাউন্ড বেশি। সামগ্রিকভাবে চাঁড়া প্রদানের দিক থেকে প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য, দ্বিতীয় কানাডা ও তৃতীয় জার্মানি; এরপর যথাক্রমে আমেরিকা, পাকিস্তান, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, মধ্যপ্রাচ্যের একটি জামা’ত, ইন্দোনেশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি জামা’ত ও বেলজিয়াম। আফ্রিকান দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ দেশগুলো হলো যথাক্রমে মরিশাস, ঘানা, বুর্কিনা-ফাসো, তানজানিয়া, নাইজেরিয়া, লাইবেরিয়া, গাম্বিয়া, মালি, উগাণ্ডা ও সিয়েরালিওন। পাকিস্তানে মুদ্রামানে প্রবল ধ্বস নেমেছে তারপরও তারা অনেক কুরবানী করেছে। এবছর আল্লাহ্ তা’লার কৃপায় ৪৪ হাজার নতুন অংশগ্রহণকারী বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এবছর এই চাঁদার খাতে মোট অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৫০ হাজার। সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যারা অসাধারণ প্রচেষ্টা করেছে তাদের মধ্যে প্রথম হলো কানাডা, এরপর যথাক্রমে তানজানিয়া, ক্যামেরুন, গাম্বিয়া, নাইজেরিয়া, গিনি-বিসাও, কঙ্গো-কিনশাসা প্রভৃতি দেশ রয়েছে। হুযূর দোয়া করেন, আল্লাহ্ তা’লা সকল কুরবানী প্রদানকারীর ঈমান ও একীন এবং জনবল ও সম্পদে প্রভূত সমৃদ্ধি দান করুন। (আমীন)
খুতবার শেষদিকে হুযূর (আই.) পুনরায় ফিলিস্তিনী নিরীহ জনগণের জন্য দোয়ার আহ্বান জানান; ইসরাঈলী সরকারের দুরভিসন্ধির উল্লেখ করে তিনি মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফলপ্রসূ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান এবং আহমদীদেরকে নিজ নিজ গণ্ডিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে জনমত গঠনের ও সোচ্চার হবার নির্দেশনা পুনর্ব্যক্ত করেন। মুসলমানরা যেন যুগ-ইমামকে চিনতে ও মান্য করতে সক্ষম হয় এবং নিজেদের দুরাবস্থার অবসান ঘটাতে পারে- সেজন্যও হুযূর দোয়া করেন।