মহানবী (সা.)-এর জীবনী: বদর যুদ্ধ পরবর্তী ঘটনা এবং ইসরাঈল-ফিলিস্তিনের জন্য দোয়ার আহ্বান

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

২০-অক্টোবর, ২০২৩

মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, যুক্তরাজ্য

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

নিখিলবিশ্ব আহমদীয়া মুসলিম জামাতের বর্তমান ইমাম ও আমীরুল মু’মিনীন হযরত মির্যা মসরূর আহমদ খলীফাতুল মসীহ্ আল্ খামেস (আই.) গত ২০ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে “মহানবী (সা.)-এর জীবনী: বদর যুদ্ধ পরবর্তী ঘটনা এবং ইসরাঈল-ফিলিস্তিনের জন্য দোয়ার আহ্বান” বিষয়ক জুমুআর খুতবা প্রদান করেন। প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় বদরের যুদ্ধের অনতিপর মহানবী (সা.)-এর জীবনের বদর যুদ্ধ পরবর্তী কিছু ঘটনার উপর আলোকপাত করেন। এবং ইসরাঈল-ফিলিস্তিনের জন্য দোয়ার আহ্বান করেন। খুতবার শেষাংশে হুযূর (আই.) ইসরাঈল ও ফিলিস্তিনের অধিবাসীদের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করার আবেদন করেন।
তাশাহ্‌হুদ, তা’উয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, আজও বদরের যুদ্ধের অব্যবহতি পর মহানবী (সা.)-এর জীবনের সাথে সম্পৃক্ত কতিপয় ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনা করব। ইতিহাসে মহানবী (সা.)-এর জামাতা ‘আবুল আস’ এর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে, মহানবী (সা.) ষষ্ঠ হিজরী সনে জানতে পারেন যে, সিরিয়া থেকে মক্কার কুরাইশদের একটি বাণিজ্যিক কাফেলা মুসলমানদের ওপর আক্রমণের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হচ্ছে। তাই তিনি (সা.) যায়েদ বিন হারেসা (রা.)’র নেতৃত্বে সত্তরজন সাহাবীর একটি দল ‘ইস্’ নামক স্থানে প্রেরণ করেন। যায়েদ বিন হারেসা (রা.) তাদেরকে আটক করে সমস্ত জিনিসপত্র দখল করে নেয় এবং কয়েকজনকে বন্দি করে নিয়ে আসেন, যাদের মাঝে আবুল আস’ও ছিলেন। তিনি কোনোভাবে তার স্ত্রী হযরত যয়নব (রা.)-কে নিজের বন্দি হওয়ার সংবাদ প্রেরণ করেন। সেদিন ফজরের সময় হযরত যয়নব (রা.) মহানবী (সা.) ও সাহাবীদেরকে উদ্দেশ্য করে নিজের বাড়ি থেকে উচ্চস্বরে বলেন, হে মুসলমানরা! আমি আবুল আস’কে আশ্রয় দিয়েছি। মহানবী (সা.) নামায শেষে বলেন, আল্লাহ্‌র কসম! আমি এ বিষয়টি জানতাম না। মু’মিনদের জামাতের মাঝে কেউ যদি কোনো কাফিরকে আশ্রয় দেয় তাহলে তাকে সম্মান করা আবশ্যক। অতঃপর মহানবী (সা.) তার সম্পদ ফিরিয়ে দিয়ে তাকে মুক্ত করে দেন এবং যয়নবকে বলেন, তুমি তার যত্ন নাও ভালো কথা, কিন্তু তার সাথে একাকী সাক্ষাৎ করবে না। এরপর আবুল আস মক্কায় ফিরে যান। যাওয়ার কিছুদিন পর তিনি তার ব্যবসা-বাণিজ্য গুটিয়ে মদীনায় চলে আসেন এবং ইসলাম গ্রহণ করেন। অতঃপর মহানবী (সা.) নতুনভাবে বিয়ে দেয়া ছাড়াই তাঁর কন্যা হযরত যয়নবকে তার স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দেন। এ থেকে একটি বিষয় প্রতীয়মান হয় যে, কোনো মহিলা তার স্বামীকে কুফরীর জন্য ত্যাগ করলে স্বামীর ঈমান আনয়নের পর পুনরায় তাকে আর বিয়ে করার প্রয়োজন নেই।
হযরত যয়নব (রা.) তার স্বামীর ইসলাম গ্রহণের পর বেশিদিন জীবিত ছিলেন না। ৮ম হিজরী সনে তিনি মারা গেলে মহানবী (সা.)-এর নির্দেশনা অনুসারে হযরত উম্মে আয়মান, হযরত সওদা, হযরত উম্মে সালমা এবং হযরত উম্মে আতিয়া (রা.) তার দাফনকার্য সম্পন্ন করেন। মহানবী (সা.) তার জানাযা পড়ান এবং দাফনের উদ্দেশ্যে স্বয়ং তার কবরে অবতরণ করেন। হযরত আবুল আসও এরপর বেশিদিন জীবিত ছিলেন না। তিনি দ্বাদশ হিজরী সনে মক্কায় মৃত্যুবরণ করেন। মহানবী (সা.) তাঁর এই জামাতার প্রশংসা করেছেন। তাদের দুই সন্তান ছিল আর তাদের নাম হলো, পুত্র আলী এবং কন্যা উমামা।
এরপর গযওয়ায়ে সাভিক এর ঘটনা। বিভিন্ন রেওয়ায়েত থেকে জানা যায়, আবু সুফিয়ান বদরের যুদ্ধে পরাজয়ের পর মক্কায় গিয়ে মহানবী (সা.) এবং সাহাবীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার আগ পর্যন্ত শরীরে তেল লাগাবে না বা গোসল করবে না বা স্ত্রীর কাছে যাবে না প্রভৃতি বিষয়ে কসম খায়। আর এই মানত পূর্ণ করার উদ্দেশ্যে বদরের যুদ্ধের দুই মাস পর আবু সুফিয়ান ৪০ বা এক বর্ণনানুসারে ২০০জন আরোহী নিয়ে মদীনা অভিমুখে যাত্রা করে। প্রথমে সে বনু নযীর গোত্রের ইহুদী নেতা হুয়াই বিন আখতাব এর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে, কিন্তু সে মুসলমানদের সাথে চুক্তিবদ্ধ থাকার কারণে আবু সুফিয়ানকে সাহায্য করেনি। পরে আবু সুফিয়ান আরেক নেতা সালাম বিন মিশকাম এর কাছে গিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করে। সালাম বিন মিশকাম তাকে স্বাগত জানায় এবং মুসলমানদের গোপন বিষয়াদি ও মহানবী (সা.)-এর নিত্যদিনের কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত করে। অতঃপর আবু সুফিয়ান রাতের শেষ প্রহরে মদীনার পার্শ্ববর্তী এক উপত্যকায় নিজের সাথীদের নিয়ে অনেকগুলো খেজুর গাছ জ্বালিয়ে দেয় এবং এক মুসলমান আনসারীকে হত্যা করে। আবু সুফিয়ান এই কাজকে নিজের উদ্দেশ্য সিদ্ধি হয়েছে বলে মনে করে এবং তার সাথীদের নিয়ে মক্কার পথে ফিরতি যাত্রা করে। এ সংবাদ শুনে মহানবী (সা.) ২০০জন সাহাবীকে সাথে নিয়ে তার পিছু ধাওয়া করে ‘কারকারাতাল কুদর’ নামক স্থানে পৌঁছেন। কিন্তু আবু সুফিয়ান খুব দ্রুত পালাতে থাকে আর পালানোর সময় সে তার কাছে থাকা ছাতুর থলে থেকে ছাতু ফেলে দিয়ে যেতে থাকে। সম্ভবত ভয়ের কারণে বা দ্রুত যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাহনের বোঝা হালকা করার জন্য সে এমনটি করেছিল। যাহোক, মুসলমানরা তা দেখে কুড়াতে থাকে। তাই এ যুদ্ধকে সাভিক বা ছাতুর যুদ্ধ বলা হয়। মহানবী (সা.) এটিকে গযওয়া আখ্যা দিয়েছেন।
এ যুদ্ধ থেকে ফিরে দ্বিতীয় হিজরী সনে যিলহজ্জ মাসের ১০তারিখ প্রথম ঈদুল আযহা পালিত হয়। মহানবী (সা.) এ দিনে সাহাবীদেরকে নিয়ে ঈদুল আযহার দুই রাকাত নামায আদায় করেন এবং নামাযের পর মাঠে একটি বা দুটি ছাগল কুরবানী করেন। এই ঈদে সামর্থ্যবানদের জন্য কোনো চতুষ্পদ প্রাণী কুরবানী করা এবং এর মাংস আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-প্রতিবেশী এবং দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা আবশ্যক আর নিজেরা তো খাবেই। এ নির্দেশের প্রেক্ষিতে সারা পৃথিবীতে ঈদের দিন বা এর পরের দু’দিন পর্যন্ত আল্লাহ্‌র নামে লক্ষ কোটি পশু কুরবানী করা হয়। মুসলমানরা কুরবানীর মাধ্যমে হযরত ইব্রাহীম ও হযরত ইসমাঈল (আ.) এবং হযরত হাজেরার কুরবানীকে স্মরণ করে থাকে। অধিকন্তু এর মাধ্যমে প্রত্যেক মুসলমানকে স্মরণ করানো হয়, আমরাও যেন আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নিজেদের প্রাণ-সম্পদ এবং সবকিছু কুরবানী করতে প্রস্তুত থাকি।
অতঃপর হুযূর (আই.) হযরত ফাতেমা (রা.)’র বিয়ের ঘটনা উল্লেখ করেন। তাঁর বিয়ে ২য় হিজরীতে হয়েছিল। হযরত আবু বকর ও উমর (রা.) উভয়েই মহানবী (সা.)-এর সমীপে ফাতেমার জন্য বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু মহানবী (সা.) তাদেরকে কোনো উত্তর দেননি। এরপর হযরত আলী (রা.) মহানবী (সা.)-কে নিবেদন করেন, আপনি কি আমার সাথে আপনার কন্যা ফাতেমার বিয়ে দিবেন? তিনি (সা.) বলেন, তোমার কাছে মোহরানা দেয়ার মতো কি আছে? হযরত আলী (রা.) বলেন, আমার কাছে একটি ঘোড়া এবং একটি বর্ম আছে। মহানবী (সা.) বলেন, ঘোড়া তো তোমার যুদ্ধের সময় কাজে লাগবে। তুমি বর্মটি বিক্রি করে মোহরানা পরিশোধ করে দাও। অতঃপর উসমান (রা.) সেটি ৪৮০ দিরহামে ক্রয় করে নেন যা আলী (রা.) বিয়ের সময় হযরত ফাতেমা (রা.)-কে দেন মোহরানা হিসেবে প্রদান করেন। এক বর্ণনানুযায়ী হযরত উসমান (রা.) তাকে বর্মটিও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
হুযূর (আই.) বলেন, মহানবী (সা.) হযরত আলী (রা.)-কে এ বিয়ে সম্পর্কে বলেছিলেন, আমার প্রভু আমাকে এ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছেন। বিয়ের সময় মহানবী (সা.) হযরত ফাতেমার জন্য আসবাবপত্র প্রস্তুত করতে বলেন। অতএব তার জন্য একটি খাট এবং খেজুরের বাকল দ্বারা পূর্ণ চামড়ার একটি বালিশ প্রস্তুত করা হয়। তিনি (সা.) রুখসাতানার পর হযরত আলী (রা.)-কে বলেন, আমার আগমনের পূর্বে ফাতেমার সাথে কোনো কথা বলবে না। হযরত ফাতেমা (রা.)’র হযরত আলী (রা.)’র বাড়িতে যাওয়ার পর তিনি (সা.) তাদের কাছে গিয়ে বসেন। এরপর তিনি (সা.) একটি পাত্রে অযু করে সেই পানি ফাতেমা ও আলীর ওপর ছিটিয়ে দেন এবং দোয়া করেন, “আল্লাহুম্মা বারিক ফিহিমা ওয়া বারিক আলাইহিমা ওয়া বারিক লাহুমা নাসলাহুমা”। অর্থাৎ, হে আল্লাহ্! তুমি তাদের উভয়ের সম্পর্কের মাঝে এবং তাদের উভয়কে কল্যাণ দান করো এবং তাদের বংশধরের মাঝেও কল্যাণ দান করো। বর্ণিত আছে, বিয়ের পর এক নিষ্ঠাবান সাহাবী হযরত হারেস বিন নো’মান আনাসারী (রা.) নিজের একটি বাড়ি খালি করে তাদের বসবাসের জন্য উপহার হিসেবে প্রদান করেন। হুযূর (আই.) বলেন, বিয়ের সময় ছেলেমেয়েদের জন্য পিতা-মাতার এরূপ দোয়া করা উচিত। বর্তমানে পার্থিব চাকচিক্যের কারণে বিয়ের পর ছেলেমেয়েদের মাঝে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। যদি ধর্মকে অগ্রাধিকার দেয়া হয় ও দোয়া করা হয় এবং উভয়ের পিতামাতাও এরূপভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে তাহলে পারস্পরিক সম্পর্ক মধুর হবে এবং তাদের বন্ধন অটুট থাকবে।
আরেকটি ঘটনা হলো, ফাতেমার বিয়ের পর একবার মহানবী (সা.)-এর কাছে কিছু লোক বন্দি অবস্থায় আসে। হযরত ফাতেমা মহানবী (সা.)-কে বলেন, যাঁতা পেষার ফলে আমার হাতে অনেক ব্যথা হয়, তাই আমাকে বন্দিদের মাঝ থেকে একজনকে সেবক হিসেবে দেয়া হোক। তখন মহানবী (সা.) তাদের উভয়কে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তোমরা বিছানায় শোয়ার সময় ৩৪বার আল্লাহু আকবার, ৩৩বার সুবহানাল্লাহ্ এবং ৩৩বার আলহামদুলিল্লাহ্ পাঠ করবে যা তোমাদের উভয়ের জন্য একজন সেবকের চেয়ে উত্তম।’ মহানবী (সা.) দরিদ্রদের মাঝে সম্পদ বা সদকা বন্টনে এত সতর্ক ছিলেন যে, তাঁর ক্ষমতা এবং অধিকার থাকা সত্ত্বেও তিনি ফাতেমাকে সেবক না দিয়ে দোয়া করতে বলেন। কেননা এরূপ করলে পরবর্তী যুগে মানুষ বিশেষতঃ বাদশাহ্রা সুযোগ গ্রহণ করতে পারত। যদিও বর্তমানে বাদশাহ্‌দের এরূপ আচরণ পরিলক্ষিত হয়। মোটকথা, মহানবী (সা.) ছাড়া বিশ্ববাসী এমন কোনো বাদশাহ্‌র দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করতে পারে কি যিনি বায়তুল মালের এতটা সুরক্ষা করেছে? কেউ-ই এরূপ দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করতে পারবে না। হুযূর (আই.) বলেন, আগামীতেও আলোচনার এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
পরিশেষে হুযূর (আই.) বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির জন্য দোয়ার তাহরীক করে বলেন, এ পর্যায়ে আমি বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে দোয়ার আবেদন জানাতে চাই। এখন পশ্চিমাবিশ্বে, এমনকি আমেরিকার কোনো কোনো সাংবাদিক তাদের সংবাদপত্রে লিখতে শুরু করেছে যে, প্রতিশোধেরও একটি সীমা থাকা উচিত। হুযূর (আই.) বলেন, আমেরিকা এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর ইসরাইল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ প্রতিরোধে তাদের বলীষ্ঠ ভূমিকা পালন করা এবং যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করা উচিত। এ যুদ্ধ এখনই বন্ধ না করা হলে সারা বিশ্বে এটি ছড়িয়ে পড়বে। কাজেই, এই লোকদের বিবেক খাটানো উচিত। হুযূর আরো বলেন, আমি পূর্বেই বলেছি, মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বর্তমানে মুসলমানদের ৫৩ বা ৫৪টি দেশ রয়েছে, যদি তারা একজোট হয়ে কথা বলে; তাহলে তারা বিশ্বের একটি ক্ষমতাবান শক্তি হয়ে উঠবে এবং তাদের একটি শক্তিশালী প্রভাব থাকবে, অন্যথায় এখানে একক কণ্ঠস্বর কোনো কাজে আসবে না। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং এই যুদ্ধের অবসানের এটাই একমাত্র উপায়। তাই বিশ্বকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে মুসলিম দেশগুলোকে তাদের ভূমিকা পালনে সচেষ্ট হতে হবে, আল্লাহ্ তা’লা তাদেরকে তা করার তৌফিক দান করুন। যাহোক, আমাদের অবশ্যই অনেক বেশি দোয়া করতে হবে। আল্লাহ্ এই যুদ্ধের অবসান ঘটান এবং নিরপরাধ, নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করুন যাতে তারা আর অন্যায়ের শিকার না হয় আর বিশ্বের সমস্ত অন্যায় হস্তপেক্ষপের অবসান করুন তা যেখানেই হোক না কেন। আল্লাহ্ তা’লা আমাদের সবাইকে এই দোয়া করার তৌফিক দান করুন, আমীন।