মু’মিনদের প্রতি আল্লাহ্ তা’লার তিনটি মৌলিক আদেশ সম্পর্কে প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আ.)-এর লেখনির আলোকে

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

০৫-মে, ২০২৩

মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, যুক্তরাজ্য

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহ্‌মদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌, আমীরুল মু’মিনীন হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ৫ই মে, ২০২৩ ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় সূরা নাহলের ৯১নং আয়াতের আলোকে মু’মিনদের প্রতি আল্লাহ্ তা’লার তিনটি মৌলিক আদেশ সম্পর্কে প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আ.)-এর লেখনির আলোকে বিস্তারিত আলোকপাত করেন। খুতবার শেষাংশে হুযূর (আই.) পাকিস্তানের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করার আবেদন করেন।
তাশাহ্‌হুদ, তাআঊয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযুর (আই.) সূরা নাহলের ৯১নং আয়াত পাঠ করেন,

إِنَّ ٱللَّهَ يَأْمُرُ بِٱلْعَدْلِ وَٱلْإِحْسَـٰنِ وَإِيتَآئِ ذِى ٱلْقُرْبَىٰ وَيَنْهَىٰ عَنِ ٱلْفَحْشَآءِ وَٱلْمُنكَرِ وَٱلْبَغْىِ ۚ يَعِظُكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ

এর অর্থ হলো, “নিশ্চয় আল্লাহ্ ন্যায়বিচার, উপকার সাধন এবং অনাত্মীয়দের সাথে আত্মীয়ের ন্যায় আচরণের নির্দেশ প্রদান করছেন এবং সবধরনের অশ্লীলতা, মন্দকাজ এবং বিদ্রোহ থেকে বিরত থাকার উপদেশ দিচ্ছেন যেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো”।

এরপর হুযূর (আই.) বলেন, এ আয়াত প্রত্যেক জুমুআ এবং ঈদের সানী খুতবায় পড়া হয়, যাতে আল্লাহ্ তা’লা কতিপয় পুণ্যকর্ম পালনের এবং কতিপয় মন্দকর্ম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করেছেন। প্রকৃত মু’মিনের লক্ষণ বা পরিচয় হলো, সে নিজের ঈমান সুদৃঢ় করতে আল্লাহ্‌র নির্দেশাবলী পালন করে এবং নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে বিরত থাকে।
হুযূর (আই.) বলেন, এখন আমি উপরোক্ত আয়াতে উল্লিখিত পুণ্যকর্ম এবং মন্দকর্মসমূহ সম্পর্কে হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর কতিপয় উদ্ধৃতি উপস্থাপন করব। প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আ.) এসব পুণ্যকর্মকে কেবলমাত্র মানবজাতির মাঝেই সীমাবদ্ধ করেন নি বরং তিনি এটিও বর্ণনা করেছেন যে, খোদা তা’লার ক্ষেত্রে কীরূপে ‘আদল’, ‘এহসান’ এবং ‘ইতাইযিল কুরবা’-এর আদেশ রক্ষা করতে হয়। যদি আমরা এসব নির্দেশের ওপর আমলকারী হতে পারি তাহলে এটি এমন সুন্দর এক কর্মপন্থা যা এক সুন্দর সমাজ রচনা করবে এবং পৃথিবীকে জান্নাতপ্রতীম বানাবে। বর্তমানে তথাকথিত মুসলমানরা আল্লাহ্ তা’লার নাম নিয়ে মানুষের ওপর যুলুম ও অত্যাচার করে থাকে, এমতাবস্থায় আমাদের অর্থাৎ আহমদীদের নিজেদের সংশোধনের পাশাপাশি অন্যদের সংশোধনের প্রতিও মনোযোগী হতে হবে।
হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, তোমাদের প্রতি আল্লাহ্ তা’লার নির্দেশ হলো, তোমরা তাঁর প্রতি এবং তাঁর বান্দার প্রতি ‘আদল’ বা ন্যায়বিচার করো অর্থাৎ ‘হকুকুল্লাহ্’ ও ‘হুকুকুল ইবাদ’ তথা আল্লাহ্‌র ও বান্দার প্রাপ্য অধিকার প্রদান করো। আর যদি এর চেয়েও অগ্রসর হতে পারো তাহলে কেবলমাত্র ‘আদল’ই নয়, বরং ‘এহসান’ তথা অনুগ্রহ করো অর্থাৎ আবশ্যকীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এমনভাবে খোদার উপসনা করো যেন তুমি তাকে চাক্ষুস দেখছ এবং লোকদের সাথে প্রাপ্য অধিকার প্রদানের চেয়েও অধিক উত্তম আচরণ করো। আর এর পরের ধাপে নিঃস্বার্থভাবে খোদার ইবাদত এবং বান্দার অধিকার এমনভাবে প্রদান করো যেমনটি কেউ তার নিকটাত্মীয়ের জন্য করে থাকে।
প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আ.) আরো স্পষ্ট করে বলেন, সৃষ্টিকর্তার প্রতি ‘আদল’ করার অর্থ হলো, সর্বদা তাঁর অনুগ্রহরাজি স্মরণ করে তাঁর আনুগত্য করা। কেননা তিনি ‘রব’, আমাদের প্রতিপালক এবং আমাদের লালনপালনকারী ও সমস্ত চাহিদা ও প্রয়োজন পূর্ণকারী। তাই নিঃস্বার্থভাবে তাঁর আনুগত্য করা একান্ত আবশ্যক।
এরপর খোদা তা’লার প্রতি ‘এহসান’ করার অর্থ হলো, তাঁর সত্তায় এমন বিশ্বাস স্থাপন করা এবং তাঁর ভালোবাসায় এতটা নিমগ্ন হয়ে যাওয়া যেন তুমি তাঁর মহিমা ও মর্যাদাকে অবলোকন করছ। যেভাবে তোমার প্রতি যদি কেউ অনুগ্রহ করে তাহলে তাকে স্মরণ করার সময় তার চেহারা তোমার সামনে ভেসে ওঠে ঠিক একইভাবে ইবাদতের সময় খোদার অনুগ্রহরাজিকে স্মরণ করে তাঁর চেহারা যেন তোমাদের মানসপটে ভেসে ওঠে।
এরপর খোদা তা’লার প্রতি ‘ইতাইযিল কুরবা’-র আচরণের অর্থ হলো, যার মাঝে কোনো প্রকার লৌকিকতা থাকবে না, বরং আন্তরিকভাবে অকৃত্রিম ভালোবাসার মাধ্যমে তাঁর ইবাদত করবে। কেবল জান্নাতের আশা বা জাহান্নামের ভয়েই তাঁর উপাসনা ও আনুগত্য করবে না, বরং যদি ধরে নেয়া হয় যে; জান্নাত জাহান্নাম নেই তবুও ভালোবাসা ও আনুগত্যে কোনো প্রকার ত্রুটি হবে না।
এর পাশাপপাশি বান্দার বেলায় ‘আদল’ করার অর্থ হলো, তোমার ভাই যদি তোমার সঙ্গে উত্তম আচরণ করে তাহলে তার সাথেও উত্তম আচরণ করবে। বান্দার প্রতি ‘এহসান’ করার অর্থ হলো, তোমার সাথে তোমার ভাই যদি মন্দ আচরণ করে তবুও তুমি তার সাথে ভালো আচরণ করবে বা সদ্ব্যবহার করবে। তৃতীয়ত ‘ইতাইযিল কুরবা’ যার অর্থ হলো, অকৃত্রিমভাবে ও লৌকিকতা পরিহার করে নিজের ভাইয়ের সাথে উত্তম আচরণ করবে। কোনো স্বার্থে নয়, বরং তার প্রতি ভালোবাসার আতিশয্যে এমন আচরণ করবে। কাজেই, আমাদের প্রত্যেককে পরস্পরের প্রতি এরূপ আচরণ বা ব্যবহার করা উচিত, এরপর অন্যদেরও তা শেখাতে হবে।
তিনি (আ.) এ বিষয়টিকে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, মানুষের তিনটি পর্যায় রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে মানুষ ‘আদল’ করে তথা পুণ্যের বিপরীতে পুণ্য করে। এটি নিম্নস্তরের ‘আদল’ অর্থাৎ যতটুকু পেয়েছ ঠিক ততটুকুই প্রদান করো। এরপরের ধাপ হলো ‘এহসান’ বা অনুগ্রহের। এক্ষেত্রে যতটুকু পেয়েছ তা প্রদানের পর সম্ভব হলে আরো বাড়িয়ে দাও। এরপর আরো উন্নতি করলে তৃতীয় পর্যায়টি হলো, ‘ইতাইযিল কুরবা’ তথা অন্যদের সাথে এমন উত্তম আচরণ করো যেমনটি এক মমতাময়ী মা তার সন্তানের প্রতি কোনোরূপ প্রতিদানের আকাঙ্খা ছাড়াই প্রকৃতিগতভাবে করে থাকেন।
হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) অন্যত্র বলেন, আদলের অবস্থা হলো, একজন মুত্তাকীর নফসে আম্মারার অবস্থা। এ অবস্থার সংশোধনের জন্য আদলের নির্দেশ রয়েছে। এতে নফসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়। উদাহরণস্বরুপ কারো ঋণ ফেরত দিতে হবে, কিন্তু আত্মা চায় কোনোভাবে এত্থেকে বাঁচা যায় কি-না? তখন আত্মা আরো সাহসী এবং ভ্রুক্ষেপহীন হয়ে ওঠে। এখানে ‘আদল’-এর দাবি হলো, সেই ঋণ সময়মত ও পরিপূর্ণরূপে পরিশোধ করা এবং কোনো টালবাহানা বা ওজর আপত্তি করে ফাঁকি না দেয়া। পরের পর্যায়টি হলো, ‘এহসান’। যে ‘আদল’ করে অভ্যস্ত এবং ‘আদল’-এর পথ পরিহার করে না আল্লাহ্ তা’লা তাকে ‘এহসান’ করার শক্তি প্রদান করেন অর্থাৎ তাকে যতটুকু দেয়া হয়েছে সে তার চেয়ে অধিক প্রদান করে। কিন্তু এরপরও ‘এহসান’-এর বেলায় একটি দুর্বলতা থেকেই যায় আর তা হলো, সে কোনো এক সময় গিয়ে সেই অনুগ্রহের কারণে খোটা দেয়। উদাহরণস্বরূপ এক ব্যক্তি কাউকে দশ বছর ধরে পানাহার করাচ্ছে। একদিন সেই ব্যক্তি তার কোনো কথা না শুনলে সে বলে বসে যে, তুমি তো আমার দাস। তুমি কেন আমার কথা শুনবে না? এভাবে খোটা দিয়ে সে নিজের সকল পুণ্য নষ্ট করে ফেলে। মোটকথা, ‘এহসান’-এর মধ্যেও এক প্রকার লৌকিকতা রয়েছে। কিন্তু তৃতীয আরেকটি ধাপ রয়েছে যা সব ধরনের ত্রুটিমুক্ত আর তা হলো, ‘ইতাইযিল কুরবা’-র পর্যায়। এটি প্রকৃতগত অবস্থার স্তর। উদাহরণস্বরূপ মা তার সন্তানকে দুধ পান করায় এবং তাকে লালনপালন করে। কখনো মা একথা মনে করে না যে, বড় হযে সে উপার্জন করবে এবং আমার সেবা করবে। এমনকি কোনো বাদশাহ্ যদি তাকে নির্দেশ দেয় যে, যদি তুমি তোমার সন্তানকে দুধ পান না করাও আর এ কারণে সে মারা যায় তবুও তোমাকে ধৃত করা হবে না, তথাপি মা তার সন্তানকে দুধ পান করানো পরিত্যাগ করবে না, বরং এমন বাদশাহ্‌কে সে গালমন্দ করবে। কেননা, সন্তানের লালনপালন মায়ের প্রকৃতিগত ও স্বভাবজ বৈশিষ্ট্য। সে কোনো প্রকার আশা-আকাঙ্ক্ষা বা ভয়ে নিজের সন্তানকে লালনপালন করে না। অনুরূপভাবে মানুষ পুণ্যকর্মে অগ্রসর হতে হতে এমন মানে উপনীত হয় যে, সে প্রকৃতিগতভাবে এবং নিঃস্বার্থভাবে পুণ্য করতে থাকে। আর এই অবস্থাকেই ‘নফসে মুতমাইন্নাহ্’ বা শান্তিপ্রাপ্ত আত্মা বলা হয়ে থাকে। এ ধরনের পুণ্যকে ‘ইতাইযিল কুরবা’ শব্দ দ্বারা বর্ণনা করা হয়েছে।
তিনি (আ.) আরো বলেন, এ আয়াতে কল্যাণ লাভের তিনটি পর্যায় বর্ণনা করা হয়েছে। প্রথমত, পুণ্যের পরিবর্তে পুণ্য করা হবে। দ্বিতীয়ত, কোনো প্রকার প্রাপ্য না থাকলেও তার সাথে উত্তম আচরণ করা, তবে কমপক্ষে তার অনুগ্রহের প্রশংসা করা হোক এটা সে মনে মনে চায় বা অনুগ্রহের খোটা দেয়। তৃতীয়ত, কোনো প্রকার অধিকার না থাকলেও আর কোনো ধরনের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করলেও তার সাথে উত্তম আচরণ করে আর তার হিতসাধন করে। যদি এসব পুণ্য স্ব স্ব স্থানে কার্যকর না হয় তাহলে নিম্নোক্ত তিনটি পাপ সংঘটিত হবে। ‘আদল’-এর পরিবর্তে ‘ফাহ্‌শা’ বা অশ্লীলতা সৃষ্টি হবে, ‘এহসান’-এর পরিবর্তে মুনকার বা মন্দকর্ম সৃষ্টি হবে এবং ‘ইতাইযিল কুরবা’-এর পরিবর্তে ‘বাগয়ী’ বা বিদ্রোহ দেখা দিবে।
মোটকথা, আল্লাহ্ তা’লার নির্দেশ হলো; তোমরা কখনো সহানুভুতিকে সীমাবদ্ধ কোরো না। যারা তোমাদের প্রতি উত্তম আচরণ করে তোমরাও তাদের সাথে উত্তম আচরণ করো। আর যারা তোমাদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করে না তাদের প্রতি ‘এহসান’ বা অনুগ্রহবশে উত্তম আচরণ করো। আর এর চেয়েও উন্নত এক স্তর হলো, কোনো প্রকার স্বার্থ ছাড়াই ঢালাওভাবে লোকদের প্রতি উত্তম আচরণ করো। অতএব, এমন পুণ্য বা সদাচরণ করতে করতে যখন কেউ উন্নত স্তরে পৌঁছে যায় তখনই সে সত্যিকারঅর্থে সফলকাম হয়।
হুযূর (আই.) বলেন, কাজেই আমাদের দায়িত্ব হলো আল্লাহ্ তা’লার প্রাপ্য অধিকার প্রদান, তাঁর সাথে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন এবং বান্দার প্রাপ্য অধিকার প্রদানের লক্ষ্যে উপরোক্ত বিষয়সমূহের ওপর আমল বা অনুশীলন করা। আল্লাহ্ তা’লা আমাদেরকে পবিত্র কুরআনের এই মহান শিক্ষানুযায়ী জীবনযাপন করার তৌফিক দিন, যেন আমরা আমাদের ইবাদতের উন্নত মানে অধিষ্ঠিত হতে পারি এবং হুকুকুল ইবাদ তথা আল্লাহ্‌র প্রাপ্য অধিকার প্রদান করতে সক্ষম হই এবং পারস্পরিক প্রেম-প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ককে এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি যা জগদ্বাসীর জন্য দৃষ্টান্তমূলক হবে। আল্লাহ্ তা’লা আমাদেরকে এসব নির্দেশ পালনের মাধ্যমে নিজেদের বয়আতের অঙ্গীকার রক্ষার তৌফিক দিন এবং প্রত্যেক জুমুআয় আমরা যেন এই শব্দাবলী শুনে পুণ্যকাজে উত্তরোত্তর অগ্রসর হতে পারি এবং অন্যদের সাথে আমাদের এক স্বতন্ত্র পার্থক্য সৃষ্টি হয়, আল্লাহ্ আমাদেরকে সেই তৌফিক দিন।
পরিশেষে হুযূর (আই.) দোয়ার অনুরোধ করে বলেন, পাকিস্তানের জন্য দোয়া করুন। শয়তান প্রকৃতির লোকেরা যতই নিজেদের অত্যাচারে সীমাতিক্রম করুক না কেন আমাদেরকে আল্লাহ্ তা’লার নির্দেশের ওপর আমল করতে হবে। সর্বদা এই দোয়া করুন, যেন আল্লাহ্ তা’লা আমাদের ঈমানকে সুরক্ষিত রাখেন এবং আমাদের ঈমান যেন কখনো দোদুল্যমান না হয় আর আল্লাহ্‌র সাথে আমাদের সেই নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে যা ‘ইতাইযিল কুরবা’-এর বরাতে বুঝানো হয়েছে। তাহলেই আমরা আল্লাহ্ তা’লার অনুগ্রহরাজি পূর্বের চেয়ে অধিকহারে প্রত্যক্ষ করব, ইনশাআল্লাহ্। যারা শত্রুতা করছে এবং আল্লাহ তা’লার দৃষ্টিতে সংশোধনযোগ্য নয় আল্লাহ্ স্বয়ং তাদেরকে ধ্বংস করুন। যখন এমন অবস্থা সৃষ্টি হবে অর্থাৎ আল্লাহ্ তা’লার সাথে আমাদের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠবে তখনই আমরা শত্রুদেরকে ধ্বংস হতে দেখব, ইনশাআল্লাহ্।