শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ – নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীগণ: হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

১২-নভেম্বর, ২০২১

মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, লন্ডন

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহ্‌মদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌, আমীরুল মু’মিনীন হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ১২ই নভেম্বর, ২০২১ইং ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় সাম্প্রতিক ধারা অনুসরণে নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীদের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ খুতবায় হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)’র ধারাবাহিক স্মৃতিচারণে তাঁর অতুলনীয় পদমর্যাদা ও রসূলপ্রেমের বিবরণ বর্ণনা করেন। খুতবার শেষাংশে হুযূর (আই.) সম্প্রতি প্রয়াত কতিপয় নিষ্ঠাবান আহমদীর স্মৃতিচারণ করেন ও নামাযান্তে তাদের গায়েবানা জানাযা পড়ান।

তাশাহ্‌হুদ, তাআ’ঊয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, বিগত খুতবাগুলোতে হযরত উমর (রা.)’র স্মৃতিচারণ করা হচ্ছিল, আজও তা অব্যাহত থাকবে। হুযূর (আই.) হযরত উমর (রা.)’র জগদ্বিমুখতা, অনাড়ম্বর ও সরল জীবনযাপন সংক্রান্ত একাধিক ঘটনা বর্ণনা করেন। তার কন্যা হযরত হাফসা (রা.) বর্ণনা করেন, একবার তিনি তাঁর পিতাকে বলেন, আল্লাহ্ তা’লা তো তাঁকে যথেষ্ট স্বচ্ছলতা ও সম্পদ দান করেছেন, তবে কেন তিনি একটু উন্নত আহার ও পোশাক পরিধান করেন না? প্রত্যুত্তরে হযরত উমর (রা.) বলেন, তাহলে তুমি-ই আমাকে সিদ্ধান্ত দাও! তোমার কি মনে নেই, মহানবী (সা.) সারা জীবন কত কষ্ট করেছেন? তিনি এতবার একথা বলেন যে, এক পর্যায়ে হযরত হাফসা (রা.) কেঁদে ফেলেন। হযরত উমর (রা.) তখন বলেন, আল্লাহ্‌র কসম! যতদিন আমার সাধ্যে কুলোয় আমি মহানবী (সা.) ও হযরত আবু বকর (রা.)’র মত কষ্টের জীবন অতিবাহিত করব; হয়তো এর ফলে আমি তাঁদের স্বাচ্ছন্দ্যের জীবনেও ভাগীদার হতে পারব। অপর এক বর্ণনামতে উমর (রা.) বলেন, এই পরামর্শের মাধ্যমে তুমি নিজ জাতির প্রতি শুভাকাক্সক্ষা প্রদর্শন করছ, আমার প্রতি না! আমার পরিবারের সদস্যদের কেবল আমার প্রাণ ও সম্পদের ওপর অধিকার রয়েছে; আমার ধর্ম-কর্ম ও দায়িত্বের বিষয়ে তাদের কোন অধিকার নেই। হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.) তাহরীকে জাদীদ সম্পর্কে এক খুতবায় বলেন, মহানবী (সা.) এক সময় নির্দেশনা দিয়েছিলেন, একটির বেশি পদ বা তরকারি যেন খাওয়া না হয়। সাহাবীদের মাঝে কেউ কেউ অত্যন্ত কঠোরভাবে এই নির্দেশনা পালন করতেন; হযরত উমর (রা.) তাঁদের অন্যতম ছিলেন। একদা তাঁর সামনে রুটি খাওয়ার জন্য সিরকা ও লবণ রাখা হলে তিনি প্রশ্ন করেন, মহানবী (সা.) একটি পদ দিয়ে খেতে বলেছেন, এখানে দু’টো কেন? তাকে বলা হল, সিরকা ও লবণ একত্রে মিশিয়ে একটি পদ গণ্য করা হয়; কিন্তু উমর (রা.) একথাতেই অনড় থাকেন যে এখানে দু’টি পদ দেওয়া হয়েছে। হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.) আরও বলেন, তিনি এতটা কঠোরতা অবলম্বন করতে বলছেন না, তবে রুটি বা ভাত খাওয়ার জন্য একটি তরকারি বা পদ ব্যবহার করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন। এই আহ্বান একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার জন্য ছিল, বর্তমানে যেহেতু পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেছে তাই একাধিক পদ ব্যবহারে নিষেধ নেই। তবে এখনও খেয়াল রাখা উচিত যেন অপব্যয় করা না হয়। হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.) সূরা ফুরকানের ৬৮নং আয়াতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, ইবাদুর রহমান বা রহমান আল্লাহ্‌র বান্দাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, তারা ব্যয় করার সময় অপব্যয়ও করে না, কার্পণ্যও করে না, বরং দু’টির মাঝামাঝি মধ্যমপন্থা অবলম্বন করে। মু’মিন বান্দা রসনাতৃপ্তি বা লৌকিকতা প্রদর্শনের জন্য আহার করে না, বরং প্রাণ রক্ষার্থে ও শরীরকে শক্তিশালী রাখার জন্য খায়। তার পোশাকও মানুষকে দেখানোর জন্য হয় না, বরং লজ্জা নিবারণ ও নিজ মর্যাদা রক্ষার্থে হয়ে থাকে। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি হযরত উমর (রা.)’র সিরিয়া সফরের একটি ঘটনা তুলে ধরেন। উমর (রা.) সেখানে মুসলিম সেনানায়কদের রেশম-মিশ্রিত কাপড়ের পোশাক পরতে দেখে খুবই অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন, কিন্তু তাদের মধ্যে একজন নিজের পোশাক তুলে খলীফাকে দেখান যে, তারা এর নিচে খসখসে পশমি কাপড় পরে আছেন। এরূপ উন্নত পোশাক পরার পেছনে তাদের উদ্দেশ্য ছিল শুধু ইসলামের প্রতিনিধি হিসেবে এমন পোশাক পরা যা ইসলামের সম্মান ও মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখে।

হযরত উমর (রা.) পোশাকের আড়ম্বতার বিরুদ্ধে এতটা কঠোর ছিলেন যে, পরাজিত শত্রুদের জন্যও এরূপ পোশাক পরিধান পছন্দ করতেন না। উদাহরণস্বরূপ পার্সি সেনাপতি হুরমুযানের ঘটনা হুযূর (আই.) তুলে ধরেন। যখন সে আত্মসমর্পণ করে খলীফার সাথে দেখা করতে আসে, তখন তার পরনে তার রাজকীয় পোশাক ছিল। হযরত উমর (রা.) তা দেখে বলেন, যতক্ষণ সে এই পোশাক ও অলংকার খুলে রেখে না আসবে, ততক্ষণ তিনি তার সাথে কথা বলবেন না।

হুযূর (আই.) হযরত উমর (রা.)’র বিনয় ও খোদাভীতি সংক্রান্ত কিছু ঘটনা তুলে ধরেন। একবার উমর (রা.) কাঁধে করে পানির একটি মশ্‌ক বয়ে চলছিলেন, যা দেখে একজন সাহাবী আপত্তি করেন। উমর (রা.) তাকে বলেন, যখন বিভিন্ন জাতির প্রতিনিধিদল নিজেদের আনুগত্য প্রকাশ করতে তাঁর সাথে দেখা করতে আসে, তখন তিনি নিজের ভেতর কিছুটা গর্ব অনুভব করছিলেন। তাই তিনি নিজ মনে জাগ্রত হওয়া সেই গর্বকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করার জন্য ইচ্ছে করেই এই কাজ করছেন। এই ঘটনা থেকে প্রতীয়মান হয়, তিনি কতটা বিনয়ী ও খোদাভীরু ছিলেন! একবার হযরত উমর (রা.) হজ্জ থেকে ফেরার সময় মক্কার ২৫ মাইল দূরবর্তী একটি স্থান যাজনান-এ গিয়ে হঠাৎ থেমে যান। সবাই আশ্চর্য হন, খলীফা এই স্থানে কেন থেমে গেলেন। হযরত হুযায়ফা (রা.) খলীফার কাছে গিয়ে এখানে দাঁড়িয়ে পড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক সময় আমি এই স্থানে আমার বাবার উট চরাতাম, আর তিনি খুবই কঠোর এক ব্যক্তি ছিলেন। একদিন এখানে ঘুমিয়ে পড়ার কারণে তিনি আমাকে অনেক বকাঝকা করেছিলেন। আর আজ ইসলাম ও মহানবী (সা.)-এর কল্যাণে আমার অবস্থা এমন যে, লক্ষ লক্ষ মানুষ আমার নির্দেশে প্রাণ বিসর্জন দিতেও প্রস্তুত! একবার এক ব্যক্তি হযরত উমর (রা.)’র কাছে এসে তাঁর প্রশংসা করে বলে, নিঃসন্দেহে আপনি মহানবী (সা.)-এর পর সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তি। অওফ বিন মালেক তৎক্ষণাৎ বলেন, তুমি মিথ্যা বলছ; মহানবী (সা.)-এর পর আমরা তাঁর চেয়ে উত্তম ব্যক্তিকে অর্থাৎ আবু বকর (রা.)-কে দেখেছি। হযরত উমর (রা.) নিজেও সাথে সাথে একথায় সায় দেন এবং বলেন, আল্লাহ্‌র কসম! আবু বকর (রা.) কস্তুরির সুগন্ধির চেয়েও উত্তম ছিলেন; আমি তো আমার বাড়ির উটগুলোর চেয়েও বেশি পথহারা! এটি ছিল হযরত উমর (রা.)’র বিনয়ের পরাকাষ্ঠা।

মহানবী (সা.)-এর প্রতি গভীর ভালোবাসা ও তাঁর নির্দেশ পালনের বিষয়ে হযরত উমর (রা.) শীর্ষস্থানীয় ছিলেন। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে সর্বদা অত্যন্ত সতর্ক থাকতেন যেন এমন কোন কথা মহানবী (সা.)-এর প্রতি আরোপ করা না হয়, যা তিনি (সা.) বলেননি। যেমন, একবার তিনি (রা.) সবার সাথে অন্যায়ভাবে বা জোরপূর্বক কোন নারীর গর্ভপাত ঘটানোর শাস্তির বিষয়ে পরামর্শ করেন। মুগীরা (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) এক্ষেত্রে একজন দাস বা দাসীকে মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। হযরত উমর (রা.) তাকে একথার সাক্ষী উপস্থাপন করতে বলেন; তখন মুহাম্মদ বিন মাসলামা (রা.) সাক্ষ্য দেন ও উমর (রা.) তা গ্রহণ করেন। একবার আবু মূসা আশআরী (রা.) হযরত উমর (রা.)’র সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে সালাম দিয়ে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি চান। উমর (রা.) মনে মনে তাকে উত্তর দেন, কিন্তু সশব্দে কোন জবাব দেননি। আবু মূসা (রা.) তিনবার সালামের পর অনুমতি না পেয়ে ফিরে যান। হযরত উমর (রা.) তাকে ডেকে পাঠান ও জিজ্ঞেস করেন, তিনি কেন ফিরে গেলেন। আবু মূসা আশআরী (রা.) বলেন, আমি তো মহানবী (সা.)-এর সুন্নত পালন করেছি। উমর (রা.) বলেন, এটি যে সুন্নত তার প্রমাণ দাও, নতুবা আমি তোমার প্রতি কঠোর ব্যবহার করব! তখন আবু সাঈদ খুদরী (রা.) সাক্ষ্য দেন, নিশ্চয়ই এটি মহানবী (সা.)-এর নির্দেশ। হযরত উমর (রা.) শুনে বলেন, ঠিক আছে, এই হাদীস আমার জানা ছিল না।

হাদীস থেকে জানা যায়, মহানবী (সা.) একাধিকবার মন্তব্য করেন যে, হযরত উমর (রা.)-কে দেখে শয়তান ভয়ে পালিয়ে যায়। এ সংক্রান্ত একাধিক ঘটনা হুযূর (আই.) তুলে ধরেন। একবার একদল কুরাইশ নারী মহানবী (সা.)-এর নিকট বসে কথা বলছিল এবং কিছু দাবি-দাওয়া উত্থাপন করতে গিয়ে বেশ উচ্চস্বরে কথা বলছিল। এমন সময় হযরত উমর (রা.) এসে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি চাইলে সেই নারীরা তাড়াতাড়ি উঠে পড়েন। উমর (রা.) ভেতরে ঢুকলে মহানবী (সা.) হাসতে হাসতে বলেন, এই মহিলাদের কাণ্ড দেখে আশ্চর্য হচ্ছি, তোমার শব্দ শুনেই তারা আড়ালে চলে গিয়েছে! উমর (রা.) বলেন, তাদের তো আপনাকে আরও বেশি ভয় করা উচিত! তিনি সেই নারীদের তিরস্কার করলে সেই নারীরা উত্তর দেন, আপনি তো খুব কঠোরচিত্ত, মহানবী (সা.) তেমনটি নন! মহানবী (সা.) উমর (রা.)-কে শান্ত করে বলেন, শয়তান যদি পথ চলতে গিয়ে তোমাকে দেখে, তাহলে সে সাথে সাথে নিজের পথ বদলে নেয়। মহানবী (সা.) বলেন, আল্লাহ্ তা’লা সত্যকে উমরের হৃদয় ও মুখে বহমান করে দিয়েছেন। তিনি (সা.) আরও বলেন, আমার পরে যেখানেই উমর বিন খাত্তাব থাকবে, সত্য তার সাথে থাকবে। হুদাইবিয়ার সন্ধির পর যখন মক্কাবাসীরা অঙ্গীকার ভঙ্গ করে তখন মহানবী (সা.) তাদের বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন, তবে তিনি অভিযানের কারণ তখনও কাউকে বলেননি। কয়েকদিন পর তিনি (সা.) আবু বকর ও উমর (রা.)-কে ডেকে নিজের অভিপ্রায় জানিয়ে তাঁদের মতামত জানতে চান। আবু বকর (রা.) কুরাইশদের প্রতি কঠোরতা করার বিরুদ্ধে ছিলেন। কিন্তু উমর (রা.) সানন্দে বলেন, আমি তো প্রতিদিন দোয়া করি যেন আমরা মহানবী (সা.)-এর অধীনে কাফিরদের সাথে যুদ্ধ করতে পারি! নবীজী (সা.) বলেন, আবু বকর খুব নরম স্বভাবের মানুষ, কিন্তু ন্যায্য কথা বেশির ভাগ সময় উমরের মুখ থেকেই নির্গত হয়। একদিন মহানবী (সা.), আবু বকর ও উমর (রা.) একসাথে মসজিদে প্রবেশ করেন; মহানবী (সা.) দু’হাতে তাঁদের দু’জনের হাত ধরে রেখেছিলেন। নবীজী (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন আমরা এভাবেই পুনরুত্থিত হব। মহানবী (সা.) আরেকবার বলেন, আকাশে আমার দুই মন্ত্রী হলেন জিব্রাইল ও মীকাইল আর পৃথিবীতে আবু বকর ও উমর। হুযূর (আই.) হযরত উমর (রা.)’র পদমর্যাদা সংক্রান্ত আরও কতিপয় বর্ণনা উদ্ধৃত করেন এবং বলেন, এই স্মৃতিচারণের ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ্।

খুতবার শেষাংশে হুযূর (আই.) সম্প্রতি প্রয়াত কয়েকজন নিষ্ঠাবান সদস্যের গায়েবানা জানাযা পড়ানোর ঘোষণা দেন। তাদের মধ্যে প্রথম হলেন, পেশোয়ার-নিবাসী শ্রদ্ধেয় শহীদ কামরান আহমদ সাহেব, যিনি ৯ নভেম্বর তারিখে নিজ অফিসে বিরুদ্ধবাদীদের গুলিতে শাহাদতবরণ করেন, (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শাহাদতকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৪ বছর। হুযূর (আই.) শহীদ মরহুমের খিলাফতের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও আনুগত্য, তবলীগের ক্ষেত্রে গভীর আগ্রহ, অসাধারণ সাহস ও নির্ভিকচিত্ততা এবং সৃষ্টির সেবায় গভীর আগ্রহের বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় জানাযা হল, আমেরিকা-প্রবাসী ডা. মির্যা নুবায়ের আহমদ সাহেব ও তার সহধর্মিণী আয়েশা আম্বর সৈয়দ সাহেবার, যারা একটি দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। চতুর্থ জানাযা করাচির চৌধুরী নযীর আহমদ সাহেবের পুত্র চৌধুরী নাসীর আহমদ সাহেবের, যিনি সম্প্রতি ৭৯ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বাড়িতে পরিবারকে ফজরের নামায পড়াচ্ছিলেন, দ্বিতীয় রাকআতের সিজদায় থাকাবস্থায় হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) নামাযের মধ্যে মৃত্যুকে অত্যন্ত সৌভাগ্যজনক মৃত্যু আখ্যা দিয়েছেন। পঞ্চম জানাযা রাবওয়া-নিবাসী চৌধুরী নবী বখ্‌শ সাহেবের সহধর্মিণী শ্রদ্ধেয়া সারদারা বিবি সাহেবার। হুযূর (আই.) তাদের প্রত্যেকের রূহের মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে দোয়া করেন।