শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ – নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীগণ: হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

২৩-জুলাই, ২০২১

মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, লন্ডন

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ২৩শে জুলাই, ২০২১ইং ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় পূর্বের ধারা অনুসরণে নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীদের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ খুতবায় হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)’র স্মৃতিচারণ করেন।

তাশাহহুদ, তাআ’ব্বুয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, বর্তমানে আমি হযরত উমর (রা.)’র স্মৃতিচারণ করছি এবং তাঁর যুগে যেসব যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হচ্ছিল, আজও এ বিষয়েই বর্ণনা করব। বুয়াইবের যুদ্ধ ১৩ হিজরীতে, মতান্তরে ১৬ হিজরীতে সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধ কূফার নিকটবর্তী বুয়াইব নদীর তীরে রমযান মাসে সংঘটিত হয়; পরবর্তীতে এই স্থানেই কূফা শহরের গোড়াপত্তন করা হয়। জিসর বা পুলের যুদ্ধে মুসলমানদের পরাজয়ের পর হযরত মুসান্না (রা.) হযরত উমর (রা.)’র নিকট দূত পাঠিয়ে এ বিষয়ে অবগত করলে উমর (রা.) তাকে অবশিষ্ট বাহিনীর সাথেই অবস্থান করতে নির্দেশ দেন এবং শীঘ্রই সাহায্য পাঠানো হচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেন। হযরত উমর (রা.) গোটা আরবে নিজের প্রতিনিধিদের পাঠিয়ে মুসলমানদের যুদ্ধে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন এবং দলে দলে লোকজন জাতীয় এই যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য আসতে আরম্ভ করেন, যাদের মধ্যে অনেক খ্রিষ্টান গোত্রও অন্তর্ভুক্ত ছিল। হযরত উমর (রা.)ও এদিক থেকে বিশাল একটি বাহিনী ইরাক অভিমুখে প্রেরণ করেন, ওদিকে হযরত মুসান্না (রা.)ও ইরাকের সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে সৈন্যদের একত্রিত করেন। এই সংবাদ পেয়ে রুস্তম মুসলমানদের সাথে লড়াইয়ের জন্য মেহরান নামক সেনাপতির অধীনে বিরাট এক বাহিনী প্রেরণ করে। বুয়াইব নদীর দুই তীরে দু’পক্ষ অবস্থান নেয়। মেহরান যখন জানতে চায়- কোনপক্ষ নদী অতিক্রম করবে, তখন হযরত মুসান্না (রা.) তাদেরকে নদী পার হয়ে আসতে বলেন, কারণ আগেরবার জিসরের যুদ্ধে মুসলমানরা নদী পার করে তাদের কাছে গিয়েছিল। হযরত মুসান্না (রা.) মুসলিম বাহিনীকে বিভিন্ন দলে বিন্যস্ত করেন ও প্রত্যেক দলের নেতা নিযুক্ত করেন; তিনি প্রত্যেক দলের কাছে গিয়ে গিয়ে তাদেরকে যুদ্ধের বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন ও তাদেরকে উজ্জীবিত করেন। অতঃপর এক প্রচণ্ড যুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং ইরানীরা পরাজিত হয়ে পালাতে শুরু করে। এই যুদ্ধে ইরানীদের সেনাপতি মেহরানসহ এক লক্ষ ইরানী নিহত হয়। এই দিনটি ‘ইয়াওমুল আশার’ নামেও পরিচিত, কারণ এদিন অন্তত একশ’ এমন মুসলিম সেনা ছিলেন, যারা দশজন করে ইরানীকে হত্যা করেছিলেন। ইরানী বাহিনী পালিয়ে পুলের দিকে যাওয়ার সময় হযরত মুসান্না (রা.)তাদের পিছু ধাওয়া করে ধরে ফেলেন ও অনেক সৈন্যকে হত্যা করেন। পরবর্তীতে হযরত মুসান্না (রা.) তাঁর এ কাজের জন্য খুবই অনুতপ্ত হন; তিনি বলতেন যে, এভাবে পলায়নপর শত্রুদের ওপর আক্রমণ করাটা তাঁর মোটেও উচিত হয় নি, তিনি ভবিষ্যতে এরূপ ভুল করতে মুসলমানদের বারণ করেন। এই যুদ্ধে খালিদ বিন হিলাল (রা.), মাসউদ বিন হারসা (রা.) প্রমুখ বিশিষ্ট মুসলমান শহীদ হন। এই যুদ্ধের সময় আরেকটি চমকপ্রদ ঘটনাও ঘটেছিল, যা মুসলিম নারীদেরও সাহসিকতা ও বীরত্বের পরিচায়ক। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সামান্য দূরে কাওয়াদিস নামক স্থানে মুসলিম নারী ও শিশুদের শিবির ছিল। যুদ্ধশেষে যখন মুসলমানদের একটি অশ্বারোহী দল বিজয়ের সংবাদ পৌঁছাতে সেখানে যায়, তখন মুসলিম নারীগণ তাদেরকে শত্রুপক্ষ ভেবে তাদের ওপর ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকেন। পরে তারা প্রকৃত বিষয় বুঝতে পারেন; কিন্তু অশ্বারোহী বাহিনীর নেতৃত্বে থাকা আমর বিন আব্দুল মসীহ্ (রা.) মন্তব্য করেন, ‘আল্লাহ্‌র পথে যুদ্ধরত বাহিনীর নারীদের এমনটিই শোভা পায়!’ এই যুদ্ধের প্রভাব ছিল সুদূর-প্রসারী; ইতিপূর্বে কোন যুদ্ধে ইরানীদের এত ক্ষয়ক্ষতি হয় নি। এর ফলে ইরাক ও এতদঞ্চলে মুসলমানদের প্রভাব সুসংহত হয়।

১৪ হিজরীতে কাদসিয়ার যুদ্ধ সংঘটিত হয়। কাদসিয়া বর্তমান ইরাকের অংশবিশেষ যা কূফা থেকে ৪৫ মাইল দূরে অবস্থিত। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি যুদ্ধ ছিল যার পরিণতিতে ইরানী সাম্রাজ্য মুসলমানদের হস্তগত হয়। মুসলিম বাহিনীর বিজয় দেখে ইরানীরা রুস্তম ও তার বন্ধু ফাইরুযানকে বলে, তাদের মধ্যে মতভেদের কারণেই আজ ইরানীদের এই দুরাবস্থা। অতঃপর তারা দু’জন ঐক্যবদ্ধ হয়ে সম্রাট বোরানকে পদচ্যুত করে খসরু পারভেজের পৌত্র ইয়াযদাজারদ-কে সিংহাসনে বসায়। তারা নিজেদের সব দুর্গ ও সেনানিবাসের শক্তি বৃদ্ধি করে। হযরত মুসান্না (রা.) হযরত উমর (রা.)-কে পারস্যবাসীদের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত করলে তিনি হযরত মুসান্না (রা.)-কে আশ্বস্ত করেন যে, তিনি আরব রাজা ও নেতৃবৃন্দ দ্বারা তাদের পরাজিত করবেন। হযরত উমর (রা.) সব আরব গোত্রনেতা, বিচক্ষণ, সুবক্তা ও কবিদেরকে এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি হজ্জ থেকে যখন মদীনায় ফেরেন তখন যুদ্ধে যেতে আগ্রহী বিরাট এক বাহিনী মদীনায় সমবেত হয়ে গিয়েছিল। হযরত উমর (রা.) স্বয়ং তাদের নিয়ে অগ্রসর হন এবং মদীনা থেকে তিন মাইল দূরবর্তী সিরার নামক স্থানে গিয়ে অবস্থান নেন। হযরত উমর (রা.) স্বয়ং এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী ছিলেন; তিনি অন্যদের সাথে এ বিষয়ে পরামর্শ করলে সবাই তাঁকেই নেতৃত্ব প্রদানের পরামর্শ দেন। কিন্তু হযরত আব্দুর রহমান বিন অওফ (রা.) অত্যন্ত বিনয় ও আবেগের সাথে নিবেদন করেন, খলীফা স্বয়ং যেন যুদ্ধে না যান, কারণ তাঁর নেতৃত্বাধীন বাহিনী যদি পরাজিত হয় বা খলীফা যুদ্ধে শহীদ হন, তবে পুরো মুসলিম জাতিই নিশ্চিহ্ন হওয়ার আশংকা রয়েছে। অবশেষে তার পরামর্শে হযরত উমর (রা.), হযরত সা’দ বিন আবী ওয়াক্কাস (রা.)-কে নেতৃত্বভার দিয়ে প্রেরণ করেন। তিনি হযরত সা’দ (রা.)-কে যুদ্ধের বিষয়ে বিস্তারিত দিকনির্দেশনাও প্রদান করেন এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপদেশও প্রদান করেন। হযরত উমর (রা.) চার হাজার সেনাসহ হযরত সা’দ (রা.)-কে প্রেরণ করেন; লক্ষ্যস্থলে পৌঁছতে পৌঁছতে এই বাহিনীর সংখ্যা ত্রিশ হাজারের ওপরে গিয়ে দাঁড়ায়, কারণ পথিমধ্যেও অনেকে এতে যোগ দেন এবং আগে থেকেই সেখানেও অনেক মুসলিম সৈন্য অবস্থান করছিলেন। এই বাহিনীতে ৯৯জন বদরী সাহাবী ছিলেন; ৩১০জনের অধিক এমন সাহাবী ছিলেন যারা ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকে শুরু করে বয়আতে রিযওয়ান পর্যন্ত মহানবী (সা.)-এর পবিত্র সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন; মক্কা-বিজয়ে অংশ নেয়া ৩০০ সাহাবী ছিলেন এবং সাহাবীদের ৭০০জন সন্তানও ছিলেন। হযরত সা’দ (রা.) সেখানে পৌঁছানোর পূর্বেই হযরত মুসান্না (রা.) মৃত্যুবরণ করেন। হযরত সা’দ (রা.) বাহিনীর অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত হযরত উমর (রা.)-কে লিখে পাঠান এবং তাঁর নির্দেশানুসারে বাহিনীকে সুবিন্যস্ত করেন। হযরত উমর (রা.) সবকিছুর পুঙ্খানুপুঙ্খ সংবাদ হযরত সা’দ (রা.)’র কাছ থেকে নিতেন এবং দিকনির্দেশনা দিতেন। তিনি বলে দেন, মুসলমানদের পক্ষ থেকে যেন আগে যুদ্ধ শুরু করা না হয়, বরং যদি শত্রু যুদ্ধের সূচনা করে তবেই যেন তারা যুদ্ধ করেন; আর শত্রু পরাজিত হলে যেন মিদিয়ান পর্যন্ত অগ্রসর হন। হযরত সা’দ (রা.) একমাস পর্যন্ত বিনা যুদ্ধেই সেখানে অবস্থান করেন। এত দীর্ঘসূত্রিতার দরুন সেখানকার বাসিন্দারা সম্রাট ইয়াযদাজারদ-এর কাছে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চাপ দেয়, নতুবা তারা মুসলমানদের কাছে আত্মসমর্পণ করবে বলেও হুমকি দেয়। সম্রাট তখন জোর করে রুস্তমকে সেনাপতি মনোনীত করে বিশাল সৈন্যবাহিনীসহ সেখানে প্রেরণ করে। হযরত উমর (রা.) হযরত সা’দ (রা.)-কে নির্দেশ দেন, সম্ভ্রান্ত, বুদ্ধিমান ও সাহসী ব্যক্তিদের মাধ্যমে রুস্তমকে যেন তবলীগ করা হয় এবং ইসলাম গ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়। হযরত সা’দ (রা.) ১৪জন প্রসিদ্ধ ব্যক্তিবর্গকে সম্রাটের দরবারে প্রেরণ করেন। যখন এই প্রতিনিধিদল গিয়ে সম্রাটের সামনে তিনটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন; হয় তাদেরকে জিযিয়া কর দিতে হবে, নয়তো মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ করতে হবে; তবে যদি তারা মুসলমান হয়ে যায় তবে এ দু’টোর কোনটাই করতে হবে না তখন সম্রাট অত্যন্ত অহংকার ও ধৃষ্টতার সাথে তাদেরকে তাচ্ছিল্য করে আর এক বস্তা মাটি দিয়ে বলে, এটা ছাড়া কিছুই মুসলমানদের দেয়া হবে না। মুসলমানগণ গাম্ভীর্যের সাথে তা গ্রহণ করেন এবং এরপর উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, সম্রাট নিজ হাতে তার দেশের মাটি তুলে দিয়েছেন, অতএব এই দেশ মুসলমানদের হস্তগত হতে চলেছে। এরপর কয়েক মাস কোন যুদ্ধ ছাড়াই মুসলমানগণ সেখানে অবস্থান করেন। অবশেষে রুস্তম ১ লক্ষ ২০ হাজার সৈন্যসহ সেখানে উপস্থিত হয়। হযরত সা’দ (রা.) রুস্তমের কাছে একটানা তিনদিন অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত মুসলিম নেতাদের তবলীগের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন। প্রথম দিন যান হযরত রবী’ বিন আমের (রা.), দ্বিতীয় দিন হুযায়ফা বিন মিহসান (রা.) ও তৃতীয় দিন মুগীরাহ্ বিন শু’বা (রা.); তারাও সেই তিনটি সম্ভাব্য উপায়ই বর্ণনা করেন যা সম্রাটের কাছেও বলা হয়েছিল। রুস্তমও তাদের প্রস্তাব তাচ্ছিল্যভরে প্রত্যাখ্যান করে। অবশেষে যুদ্ধ শুরু হয়; ইরানীরা আতীক নদীর ওপর নতুন একটি পুল বানিয়ে এপাশে আসে। হযরত সা’দ (রা.) সেসময় অসুস্থ ছিলেন, তিনি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে অদূরে একটি মাচায় শোয়া অবস্থায় যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করতেন। ইরানী সৈন্যদের মাঝে ত্রিশ হাজার পরস্পর নিজেদের পা শেকলে বেঁধে এসেছিল যেন তারা পিছু হটতে না পারে। প্রথম দিনের যুদ্ধে ইরানীরাই এগিয়ে ছিল, তবে দ্বিতীয় দিনে সাহায্যকারী বাহিনী চলে আসায় মুসলমানদের শক্তি বৃদ্ধি পায়। যুদ্ধে মুসলমানরা বিভিন্ন অসাধারণ রণকৌশল অবলম্বন করেন, যার ফলে প্রবল শক্তিশালী ও সংখ্যার নিরিখে কয়েকগুণ বড় শত্রুপক্ষও অবশেষে পরাজিত হয়, তন্মধ্যে অন্যতম ছিল নিজেদের উটগুলোকে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়া যেন বাহ্যত সেগুলোকে হাতি মনে হয়। এছাড়া শত্রুপক্ষের হাতিগুলোর ওপর উপর্যুপরি আক্রমণের ফলে নেতা হাতিটি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দৌড়ে পালালে বাকি হাতিগুলোও সেটিকে অনুসরণ করে, যা মুসলমানদের জয়ে ভূমিকা রেখেছিল। একটানা কয়েকদিন যুদ্ধের পর মুসলমানগণ জয়ী হন। রুস্তম যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালাতে গিয়ে নিহত হলে ইরানীরা হতোদ্যম হয়ে রণে ভঙ্গ দেয়। যুদ্ধজয়ের সংবাদ হযরত উমর (রা.)’র কাছে পৌঁছলে তিনি যুদ্ধবন্দীদের ব্যাপারেও অত্যন্ত উদারপন্থী সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। তিনি (রা.) বলেন, বন্দীদের মধ্যে যাদের সাথে ইতিপূর্বে মুসলমানদের সন্ধিচুক্তি ছিল, কিন্তু তারা বাধ্য হয়ে যুদ্ধে এসেছে- তাদেরকে তাদের জমিজমা ফিরিয়ে দেয়া হবে; যাদের সাথে কোন সন্ধিচুক্তি ছিল না কিন্তু তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়তেও রাজি ছিল না, বরং তাদেরকে জোর করে যুদ্ধে আনা হয়েছে- তারাও নিজেদের সহায়-সম্পত্তি ফিরে পাবে এবং তাদের সকলকেই কর দিতে হবে। যদি এমনও কেউ থাকে যাদের সাথে ইতিপূর্বে সন্ধিচুক্তি ছিল, তা সত্ত্বেও তারা সাগ্রহে মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এসেছে- তাদেরকেও তাদের জমিজমা ফিরিয়ে দেয়া হবে, কিন্তু অন্যদের তুলনায় তাদেরকে অতিরিক্ত কর দিতে হবে। এই যুদ্ধের পরিণতিতে ইরাকে মুসলমানদের অবস্থান পুরোপুরি সুদৃঢ় হয়ে যায় এবং এরই পরিণতিতে মুসলমানরা পারস্য সাম্রাজ্যও জয় করেন। হুযূর (আই.) বলেন, এই স্মৃতিচারণ আগামীতেও অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ্।