শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ – নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীগণ

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

১১-মে, ২০১৮

মসজিদ বাইতুল ফুতুহ্, লন্ডন, যুক্তরাজ্য

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আমাদের প্রাণপ্রিয় ইমাম হযরত খলীফাতুল মসীহ্ আল্ খামেস (আই.) গতকাল ১১ই মে, ২০১৮ লন্ডনের বায়তুল ফুতুহ মসজিদ থেকে গত সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় মহানবী (সা.)-এর সাহাবীদের অনুপম আদর্শ, ধর্মসেবার প্রতি তাঁদের গভীর অনুরাগ, তাঁদের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা, তাঁদের শাহাদতের ঐকান্তিক বাসনা আর বিভিন্ন কুরবানী ও ত্যাগের সুমহান ঘটনাবলী উদ্ধৃত করে খুতবা প্রদান করেন। গতকাল হুযূর মহানবীর (সা.)-এর চারজন নিষ্ঠাবান ও অকুতোভয় সাহাবীর জীবনালেখ্য তুলে ধরেন।

হুযূর (আই.) তাশাহ্হুদ, তাআ’ব্বুয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর বলেন, আজ যাদের স্মৃতিচারণ করব তাদের মধ্যে প্রথমজন হলেন, হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন জাহ্শ (রা.); তার মা উমাইমা বিনতে আব্দুল মুত্তালিব মহানবী (সা.)-এর ফুফু ছিলেন, এদিক থেকে তিনি মহানবী (সা.)-এর ফুফুাতো ভাই ছিলেন। হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন জাহশ ‘দারে আরকাম’ এর যুগের পূর্বেই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। ‘দারে আরকাম’ ছিল মক্কার অদূরে অবস্থিত একজন নবাগত মুসলমান ‘আরকাম বিন আরকামের’ ঘর, সেখানে ইসলামের প্রথম যুগে মহানবী (সা.) ও সাহাবীগণ গোপনে সমবেত হতেন এবং ইবাদত-বন্দেগী করতেন ও ধর্ম শিখতেন-শেখাতেন। যেহেতু এখানে নবাগত মুসলমানদের তালীম ও তরবীয়ত প্রদান করা হত তাই এই স্থানটি ‘দারুস সালাম’ নামেও পরিচিতি লাভ করে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, হযরত উমর (রা.) ছিলেন সেই ঘরে ইসলাম গ্রহণকারী শেষ ব্যক্তি, কারণ তাঁর বয়আত গ্রহণের পর থেকেই মুসলমানরা প্রকাশ্যে ইসলাম পালন করতে শুরু করে। দারে আরকাম মুসলমানদের কেন্দ্র হবার পূর্বেই হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন জাহ্শ ইসলাম গ্রহণ করেন। মুশরিকদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি (রা.) নিজের দু’ভাই আবু আহমদ ও ওবায়দুল্লাহ্ আর তিন বোন যয়নব, উম্মে হাবিবা ও আমেনা বিনতে জাহ্শসহ আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন। তার ভাই উবায়দুল্লাহ্ সেখানে গিয়ে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করে এবং সেখানেই মারা যায়। হযরত আব্দুল্লাহ্ মদীনায় হিজরতের পূর্বে মক্কায় আসেন এবং নিজ গোত্র বনু গানামের সবাই যেহেতু ইসলাম গ্রহণ করেছিল তাই তাদেরকে সাথে নিয়ে মদীনায় হিজরত করেন; এভাবে সেই পাড়াটি একেবারে জনশূন্য হয়ে পড়ে। এতে আবু সুফিয়ান তাদের ঘরবাড়ি ইত্যাদি আমর বিন আলকামা নামক এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়। হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন জাহ্শ যখন তা জানতে পারেন, তখন তিনি তা মহানবী (সা.)-কে গিয়ে অবহিত করেন। এতে হুযূর (সা.) বলেন, ‘হে আব্দুল্লাহ্! এটি কি তোমার পছন্দ নয় যে এর বিনিময়ে আল্লাহ্ তোমাকে জান্নাতে প্রাসাদ দান করেন?’ আব্দুল্লাহ্ বলেন, ‘হে আল্লাহ্‌র রসূল, অবশ্যই!’ তিনি (সা.) বলেন, ‘তাহলে সেই প্রাসাদ তোমারই’। অর্থাৎ, তুমি খোদার খাতিরে যে জায়গা পরিত্যাগ করেছ এর বিনিময়ে আল্লাহ্ তোমাকে জান্নাতে প্রাসাদ দান করবেন।

হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন জাহশকে মহানবী (সা.) ২য় হিজরিতে নাখলায় একটি অভিযানে প্রেরণ করেছিলেন। হুযূর (সা.) এশার নামাযের সময় তাকে বলেন ফজরের সময় অস্ত্র-শস্ত্রসহ প্রস্তুত হয়ে আসতে। যথাসময়ে তিনি আসলে মহানবী (সা.) হযরত উবাই বিন কাব (রা.)-কে ডেকে আনান এবং তাকে দিয়ে একটি চিঠি লিখিয়ে তা আব্দুল্লাহ্‌র হাতে দিয়ে বলেন, আমি এই দলটিকে তোমার হাতে সমর্পণ করছি। সীরাতে হালবিয়াতে উল্লেখ আছে, এ সময় মহানবী (সা.) তাকে ‘আমীরুল মুমিনীন’ উপাধি দান করেন; তিনিই সেই মহান সৌভাগ্যবান ব্যক্তি যাকে ইসলামের যুগে প্রথম এই উপাধি দেয়া হয়।

সূরা বাকারার ২১৮ নাম্বার আয়াতের ব্যাখ্যায় হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.) এই ঘটনাটি বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। যেহেতু মক্কার কুরাইশরা মদীনায় আক্রমনের হুমকি দিচ্ছিল ও এর প্রস্তুতি নিচ্ছিল, সেজন্য তাদেরকে কুরাইশদের প্রস্তুতির খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য পাঠানো হয়েছিল। ঘটনাচক্রে সেখান দিয়ে কুরাইশদের একটি বাণিজ্যিক দল সিরিয়া থেকে ফিরছিল। হযরত আব্দুল্লাহ্ শত্রুভেবে তাদেরকে আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেন, আর এই আক্রমণের ফলে একজন কাফির নিহতও হয়। মহানবী (সা.) যখন এটি জানতে পারেন তখন তিনি খুবই অসন্তুষ্ট হন এবং তাদের যুদ্ধলব্ধ সম্পদ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। আব্দুল্লাহ্ ও তার সাথীরা ভুলবশতঃ নিজেদের অজান্তে রজব মাসের প্রথম তারিখে এই ঘটনাটি ঘটিয়ে ফেলেন যা যুদ্ধের জন্য নিষিদ্ধ ছিল। কাফিররা রটানো শুরু করে যে, মুসলমানরা আরবের প্রসিদ্ধ রীতি-নীতিরও আর তোয়াক্কা করছে না। আল্লাহ্ তা’লা সূরা বাকারার ২১৮ নাম্বার আয়াতে এর উত্তর দিয়ে বলেন, “তারা তোমাকে সম্মানিত মাসে যুদ্ধ করা সম্পর্কে প্রশ্ন করে। তুমি বল, এ মাসে যুদ্ধ করা বড় অপরাধ। আর আল্লাহ্‌র পথ থেকে বাধা দেয়া, তাঁকে অস্বীকার করা, মসজিদুল হারাম থেকে বাধা দেয়া ও এর অধিবাসীদের তাত্থেকে বের করে দেয়া আল্লাহ্‌র দৃষ্টিতে এর চেয়েও গুরুতর অপরাধ।” অর্থাৎ কাফিররা আজকে মুসলমানদের একটি অজানা ভুলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে, কিন্তু এটি ভেবে দেখে না যে, তারা নিজেরা কখনো পবিত্র মাসের সম্মান রক্ষা করেনি? এরা তো না জেনে ভুল করেছে, কিন্তু তোমরা তো জেনে-শুনে সব অন্যায় করে চলছ।

আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের ভালোবাসায় হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন জাহশ (রা.)-বিলীন ছিলেন। হযরত আব্দুল্লাহ্’র দোয়া কবুল হত। তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে যাতে কোন বীর যোদ্ধার সাথে যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হতে পারেন এবং আল্লাহ্‌র খাতিরে তার নাক-কান কাটা যায়, মনেপ্রাণে এই দোয়া করতেন। আল্লাহ্ তার এই আন্তরিক দোয়া কবুল করেন আর ঠিক তেমনটিই ঘটেছিল যেমনটি তিনি দোয়া করেছিলেন; উহুদের যুদ্ধে তিনি শহীদ হন এবং কাফিররা তার মৃতদেহের অসম্মান করে এবং নাক-কান কেটে দেয়। তিনি তার মামা হযরত হামযা বিন আব্দুল মুত্তালিব (রা.)-এর সাথে একই কবরে সমাহিত হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন। শাহাতদের সময় তার বয়স ছিল প্রায় ৪০ বছর। বদরের যুদ্ধ সম্পর্কে মহানবী (সা.) যে ক’জন সাহাবীর সাথে পরামর্শ করেছিলেন তিনি ছিলেন তাদের একজন।

হুযূর এখানে প্রসঙ্গক্রমে হযরত যয়নবের কথা উল্লেখ করেন যিনি হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন জাহশ (রা.)-এর বোন ছিলেন আর সম্পর্কে মহানবীর শ্যালিকা ছিলেন। ওহোদের যুদ্ধে তিনি তাঁর মামা হযরত হামযা বিন আব্দুল মুত্তালিব, ভাই হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন জাহশ এবং স্বামীকে হারান কিন্তু তিনি মামা এবং ভাইয়ের শাহাদাতের বিষয়টি সহজভাবে নেন এবং তারা আল্লাহ্‌র পথে প্রাণ দিয়েছেন বলে আনন্দিত হন কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর কথা শুনে মুষড়ে পড়েন এবং পরিতাপ করেন। মহানবী (সা.) পরিতাপের কারণ জানতে চাইলে বলেন, স্বামীর সন্তানের কথা মনে করে আমি আফসোস করছি যে, কে এর দেখাশোনা করবে।

হুযূর বলেন, মহিলাদের কাছে নিকটাত্মীয়দের চেয়ে স্বামীর মৃত্যু বেশি কষ্টদায়ক, কারণ স্বামীর সাথে তাদের যে অন্যরকম একটি ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে আর স্বামীর সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়েও তারা উদ্বিগ্ন হন।

হুযূর বলেন, এখানে আমাদের জামাতের নারী-পুরুষদের জন্য শিক্ষা রয়েছে, পুরুষরা স্ত্রীকে ভালোবাসুন আর স্ত্রীরা স্বামীর সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করুন। স্ত্রীকে ভালোবাসার জন্য স্ত্রী-সন্তানদের প্রাপ্য অধিকার প্রদানের বিষয়ে পুরুষকে যত্নবান হতে হবে। কেননা, বর্তমানে অধিকার না প্রদানের কারণে অনেক অভিযোগ আসে।

এরপর হুযূর বলেন, দ্বিতীয় সাহাবী হলেন, হযরত কাব বিন যায়েদ বিন কায়েস বিন মালেক (রা.)। তিনি বনু নাজ্জার গোত্রের সদস্য ছিলেন। তিনি বদরের যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন এবং খন্দকের যুদ্ধে শহীদ হন। তিনি বিরে মাউনার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র সাহাবী ছিলেন, যেখানে কাফিরদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মহানবী (সা.) সত্তর জন সাহাবীকে তাদের তরবীয়তের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেছিলেন, কাফিররা তাদের সাথে প্রতারণা করে তাদের সবাইকে হত্যা করে। হযরত কাবকেও তারা আঘাত করেছিল, কিন্তু তিনি মারা যাননি; কাফিররা তাকে মৃত মনে করে ফেলে রেখে গিয়েছিল। পরে তিনি সেখান থেকে মদীনায় ফেরত আসেন ও পরে সুস্থ হয়ে উঠেন।

তৃতীয় সাহাবী হলেন, হযরত সালেহ শুকরান (রা.); তার আসল নাম ছিল সালেহ, উপাধি ছিল শুকরান। তিনি হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন আওফের হাবশি ক্রীতদাস ছিলেন; মহানবী (সা.) তাকে নিজের সেবার জন্য পছন্দ করলে হুযূর (সা.)-এর সেবার জন্য তাকে দিয়ে দেয়া হয়। বদরের যুদ্ধের পর মহানবী (সা.) তাকে মুক্ত করে দেন। তিনি আসহাবে সুফফারও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ইসলাম শুধুমাত্র দাসদের মুক্ত করার শিক্ষাই দেয়নি বরং তাদের সন্তান-সন্ততিদেরকে সম্মান করারও শিক্ষা দিয়েছেন। মহানবী (সা.)-এর শবদেহ গোসল করানো ও দাফনের কাজে শামিল হবার সৌভাগ্যও লাভ করেছিলেন হযরত সালেহ শুকরান (রা.)। তিনি মহানবী (সা.)-এর লাশের নিচে তাঁর (সা.) ব্যবহৃত লাল মখমলের চাদর বিছিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি (রা.) অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য একজন সাহাবী ছিলেন। মহানবী (সা.) বিভিন্ন সময় বা বিভিন্ন অভিযানে তাকে নিগরান নিযুক্ত করেন বলেও ইতিহাস থেকে জানা যায়। হযরত উমর (রা.)-এর খিলাফতকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

চতুর্থ সাহাবী হলেন, হযরত মালেক বিন দুখশাম (রা.)। তিনি খাযরাজ গোত্রের বনু গানাম পরিবারের সদস্য ছিলেন। তিনি বদর, উহুদ, খন্দক ও তারপরের সকল যুদ্ধেই মহানবী (সা.)-এর সঙ্গী হয়েছেন। বদরের যুদ্ধে কাফির নেতা সুহায়ল বিন আমরকে তিনি বন্দী করেন। পরবর্তীতে সে তার হাত থেকে পালিয়ে যায়। মহানবী (সা.) সুহায়লের ব্যাপারে নির্দেশ দেন তাকে যেন দেখামাত্র হত্যা করা হয়; এর কারণ ছিল একদিকে সে মদীনাতে আক্রমণ করেছিল ও এরপর যুদ্ধবন্দী অবস্থা থেকে পালিয়েছে। কিন্তু সুহায়ল লুকিয়ে মহানবী (সা.)-এর সাথেই দেখা করে, কিন্তু দয়ার সাগর মহানবী (সা.) তাকে হত্যা করেন নি। এটি মহানবী (সা.) ওপর অত্যাচার ও কঠোরতার অপবাদ আরোপকারীদের জন্য এক সমুচিত জবাব। হযরত মালেক বিন দুখশাম (রা.) সম্পর্কে কতিপয় মুসলমান এই মন্তব্য করত যে, তিনি মুনাফিক বা কপট। কিন্তু মহানবী (সা.)-এর কানে এ কথা পৌঁছলে তিনি সবাইকে তা বলতে কঠোরভাবে নিষেধ করেন এবং বলেন, যে ব্যক্তি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ বলে এবং আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে তা বলে, আল্লাহ্ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দিয়েছেন।

হুযূর বলেন, মহানবী (সা.)-এর উপরোক্ত উক্তি থেকে পাকিস্তানের সেসব নামধারী আলেম-উলামার উপদেশ গ্রহণ করা উচিত, যারা কলেমা পাঠকারী আহমদীদের অমুসলিম ঘোষণা দেয় ও তাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালায়। হযরত মালেক বিন দুখশাম (রা.)-এর বিশেষ সেবার একটি হল, তাকে ও হযরত উসমান বিন আদীকে মহানবী (সা.) মসজিদে যিরার ধ্বংস করার জন্য পাঠিয়েছিলেন এবং তারা তা পুড়িয়ে দিয়েছিলেন। যে মসজিদটি ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার মানসে মুনাফিকরা নির্মাণ করেছিল।

খুতবার শেষপ্রান্তে হুযূর দোয়া করে বলেন, আল্লাহ্ তা’লা এসব সাহাবীর পদমর্যাদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে থাকুন, আর আমাদেরকেও এই বিষয়ে আত্মবিশ্লেষণের সৌভাগ্য দিন যে আল্লাহ্‌র নির্দেশাবলী কী এবং আমরা তা কতটুকু পালন করছি, আমীন।