প্রতিশ্রুত সংস্কারক: ভবিষ্যদ্বাণী ও প্রতিশ্রুত পুরুষ

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ - খলীফাতুল মসীহ্‌ আল্‌ খামেস (আই.)

১৭-ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, যুক্তরাজ্য

জুমুআর খুতবার সারমর্ম


এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

আহ্‌মদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ইং ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় ‘প্রতিশ্রুত সংস্কারক: ভবিষ্যদ্বাণী ও প্রতিশ্রুত পুরুষ’ সম্পর্কে খুতবা প্রদান করেন। খুতবায় আসন্ন মুসলেহ্ মওউদ দিবস উপলক্ষ্যে হযরত আকদাস মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর ভবিষ্যদ্বাণীর আলোকে মুসলেহ্ মওউদ (রা.)’র ধর্মীয় জ্ঞানে বুৎপত্তি লাভের বিষয়টি সবিস্তারে তুলে ধরেন।
তাশাহ্‌হুদ, তা’ঊয এবং সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, প্রত্যেক আহমদী এ বিষয়ে অবগত আছে যে, ২০ ফেব্রুয়ারী মুসলেহ্ মওউদ দিবস উদযাপিত হয় এবং এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন জামা’তে জলসাও অনুষ্ঠিত হয়। হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) বলেছেন, আল্লাহ্‌ তা’লা আমাকে নিজ এলহাম দ্বারা সম্বোধনপূর্বক জানিয়েছেন,

“পরম দয়ালু ও করুণাময়, সুমহান ও সর্বশ্রেষ্ঠ সর্বশক্তিমান খোদা (যিনি মহা মর্যাদাবান ও গৌরবময় নামের অধিকারী), আমাকে সম্বোধন করে নিজ এলহামে বলেছেন, আমার সমীপে তোমার প্রার্থনা অনুযায়ী তোমাকে আমি দয়ার একটি নিদর্শন দিচ্ছি। আমি তোমার আকুতি-মিনতি শুনেছি এবং তোমার দোয়াসমূহকে নিজ কৃপাগুণে গ্রহণ করেছি আর তোমার (হুশিয়ারপুর ও লুধিয়ানার) সফরকে তোমার জন্য কল্যাণময় করেছি। অতএব শক্তি, দয়া এবং নৈকট্যের নিদর্শন তোমাকে দেয়া হচ্ছে। কৃপা ও অনুগ্রহের নিদর্শন তোমাকে প্রদান করা হচ্ছে। বিজয় ও সাফল্যের চাবি তুমি পেতে যাচ্ছ। হে বিজয়ী! তোমার প্রতি সালাম। খোদা একথা বলেছেন, যেন জীবন প্রত্যাশীরা মৃত্যুর কবল হতে মুক্তি লাভ করে। যারা কবরে চাপা পড়ে আছে তারা বেরিয়ে আসে, যেন ইসলাম ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব এবং আল্লাহ্‌র বাণীর মর্যাদা মানবজাতির সামনে প্রকাশিত হয়, সত্য স্বীয় কল্যাণরাজিসহ উপস্থিত হয়, মিথ্যা তার যাবতীয় অকল্যাণ সহ পলায়ন করে এবং মানুষ যেন বুঝতে পারে, আমিই সর্বশক্তিমান, যা চাই তা-ই করে থাকি। আর তারা যেন নিশ্চিতভাবে জেনে নেয়, আমি তোমার সঙ্গে আছি। যারা খোদার অস্তিত্বে অবিশ্বাসী; খোদা, তাঁর ধর্ম এবং তাঁর কিতাব ও পবিত্র রসূল মুহাম্মদ মুস্তফা (সা.)-কে অস্বীকার করে এবং অসত্য বলে মনে করে তারা যেন একটি স্পষ্ট নিদর্শন লাভ করে এবং অপরাধীদের পথ চিহ্নিত হয়ে যায়।
অতএব তোমার জন্য সুসংবাদ! এক সুদর্শন এবং পবিত্র পুত্র সন্তান তোমাকে দেয়া হবে। তুমি এক মেধাবী পুত্র লাভ করবে। সেই ছেলে তোমারই ঔরসজাত হবে। সুদর্শন পবিত্র পুত্র তোমার অতিথি হয়ে আসছে, তার নাম হবে আনমোয়াইল ও বশীর। তাকে পবিত্রাত্মা দেয়া হয়েছে এবং সে পঙ্কিলতামুক্ত আর আল্লাহ্‌র জ্যোতি। কল্যাণময় সে- যে উর্দ্ধলোক থেকে আসে। তাঁর সঙ্গে ‘ফযল’ থাকবে যা তার আগমনের সাথে আসবে। সে প্রতাপের অধিকারী, ঐশ্বর্যশালী ও সম্পদশালী হবে। সে পৃথিবীতে আসবে এবং তার নিরাময়ী বৈশিষ্ট্য ও ‘পবিত্র আত্মার’ প্রসাদে অনেককে ব্যাধিমুক্ত করবে। সে আল্লাহ্‌র নিদর্শন, কারণ খোদার করুণা ও প্রবল মর্যাদাবোধ তাকে মর্যাদার নিদর্শন হিসেবে পাঠিয়েছে। সে অত্যন্ত ধীমান, প্রজ্ঞাবান ও কোমলমতি হবে আর বাহ্যিক ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানে তাকে সমৃদ্ধ করা হবে। সে তিনকে চার করবে (এর অর্থ বুঝতে পারি নি)। সোমবার, শুভ সোমবার। স্নেহাস্পদ ও সম্মানিত প্রিয় পুত্র। অনাদি ও অনন্ত সত্তার এবং সত্য ও মাহাত্ম্যের বিকাশস্থল, যেন আল্লাহ্ স্বয়ং উর্দ্ধলোক থেকে অবতীর্ণ হয়েছেন। যার আগমন অত্যন্ত কল্যাণময় এবং ঐশী প্রতাপ প্রকাশের কারণ হবে। জ্যোতি আসছে, জ্যোতি! খোদা তাকে তাঁর সন্তুষ্টির সৌরভে সিক্ত করেছেন। আমরা তার মধ্যে আপন পবিত্র আত্মা ফুঁকে দিব এবং খোদার ছায়া তার শিরে বিরাজমান থাকবে। সে তাড়াতাড়ি বড় হবে, বন্দীদের মুক্তির কারণ হবে এবং পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে সুখ্যাতি লাভ করবে। জাতিসমূহ তার মাধ্যমে আশিসমন্ডিত হবে। এরপর সে তার আত্মিক উন্নতির পরম মার্গে উত্তোলিত হবে। ওয়া কানা আমরাম মাকযিয়া (অর্থাৎ এটি একটি অবধারিত বিষয়)।”

হুযূর (আই.) বলেন, এই প্রতিশ্রুত সন্তান হলেন, হযরত মির্যা বশীর উদ্দীন মাহমুদ আহমদ (রা.); যাঁকে আল্লাহ্ তা’লা হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর দ্বিতীয় খলীফা মনোনীত করেছিলেন। পরবর্তীতে অনেক বছর পর হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.) স্বয়ং এ কথার সত্যায়ন করেছেন যে, যাঁর সম্পর্কে আল্লাহ্ তা’লার পক্ষ থেকে জেনে হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তিনিই সেই প্রতিশ্রুত সন্তান।
হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.)’র বাহ্যিক ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানে সমৃদ্ধ হওয়া সম্পর্কিত কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরতে গিয়ে হুযূর (আই.) বলেন, তিনি শৈশবে প্রায়ই অসুস্থ থাকতেন, তাঁর দৃষ্টিশক্তি খুব ক্ষীণ ছিল এবং পড়াশোনায়ও তিনি খুবই দুর্বল ছিলেন। অথচ আল্লাহ্‌ তা’লার অপার অনুগ্রহে তিনি এমনসব গ্রন্থ রচনা করেছেন, এমন জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য প্রদান করেছেন, কুরআনের এরূপ তফসীর করেছেন যা দেখে অ-আহমদীরা পর্যন্ত হতবাক হয়ে যায়।
এরপর হুযূর (আই.) তাঁর রচিত রচনাবলীর পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তাঁর গ্রন্থাবলী ও বক্তৃতামালা যা বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে বা প্রকাশের জন্য প্রস্তুত রয়েছে এর মোট সংখ্যা ১৪২৪টি। এগুলো ‘আনওয়ারুল ঊলূম’ নামে একটি সংকলন আকারে রয়েছে যার ৩৮টি খণ্ড রয়েছে এবং এর মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা ২০৩৪০। এছাড়া তফসীরে কবীর এবং তফসীরে সগীর সহ তাঁর কুরআনের তফসীরের মোট পৃষ্ঠার সংখ্যা ২৮৭৩৫। যদি তাঁর রচনাসমগ্রের সকল পৃষ্ঠা একত্রে যোগ করা হয় তবে তার পরিমাণ হবে প্রায় ৭৫০০০ পৃষ্ঠা। এছাড়া তাঁর আরো বেশ কিছু রচনা আল্ ফযলে পাওয়া গেছে যা এখনো পর্যন্ত আনওয়ারুল ঊলুমে সন্নিবেশিত হয়নি।
এরপর হুযূর (আই.) সর্বপ্রথম মুসলেহ্ মওউদ (রা.)’র কুরআনের তফসীরের অসাধারণ কর্মকান্ড তুলে ধরেন এবং এ বিষয়ে অ-আহমদীদের বিভিন্ন অভিমতও উপস্থাপন করেন। তিনি (রা.) পবিত্র কুরআনের ৬৯টি সূরার তফসীর করেছেন যা ১০ খণ্ড এবং ৫৯০৭ পৃষ্ঠা সমৃদ্ধ। একইভাবে, তিনি তফসীরে সগীর আকারে পবিত্র কুরআনের ব্যাখ্যামূলক অনুবাদ প্রকাশ করেছেন। তিনি (রা.) বলেন, একাজে স্বয়ং আল্লাহ্ তা’লা তাঁকে সাহায্য করেছেন। তাঁর ‘তফসীরে কবীর’, ‘তফসীরে সগীর’ এবং ‘দীবাচাহ্ তফসীরুল কুরআন’ রচনা গুলো ইসলামের ইতিহাসে অনবদ্য ও অতুলনীয় এবং গভীর প্রভাব সৃষ্টিকারী। আহমদী অ-আহমদী নির্বিশেষে প্রত্যেকে তাঁর কুরআনের তফসীরের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং এর শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে অকপট স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
হুযূর (আই.) বলেন, উদাহরণস্বরূপ আল্লামা নিয়ায ফতেহ্‌পুরী সাহেবের কথা বলা যেতে পারে, তিনি একজন বিখ্যাত কলামিস্ট, গবেষক ও সাহিত্যিক এবং মাসিক নিগার পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তিনি তফসীরে কবীর অধ্যয়ন করার পর হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.)-কে একটি পত্রে লিখেন, “তফসীরে কবীরের তৃতীয় খণ্ড বর্তমানে আমার সামনে রয়েছে। আমি গভীর মনোযোগ সহকারে এটি পড়ছি। এতে সন্দেহ নেই যে, কুরআন অধ্যয়নের একেবারে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আপনি সৃষ্টি করেছেন। আর এই তফসীর স্বীয় বৈশিষ্ট্যের নিরিখে একেবারে প্রথম তফসীর যাতে যুক্তি ও শাস্ত্রকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে দেখানো হয়েছে। আপনার জ্ঞানের গভীরতা, আপনার দৃষ্টির গভীরতা, আপনার অসাধারণ চিন্তাশক্তি ও বিচক্ষণতা, আপনার দলীল প্রদানের সৌন্দর্য এর এক একটি শব্দ থেকে প্রতিভাত হয়। আর আমার আক্ষেপ হলো, আমি এতদিন এ সম্পর্কে কেন অনবহিত ছিলাম। গতকাল সূরা হুদের তফসীরে হযরত লুত (আ.) সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি জেনে হৃদয় উদ্বেলিত হয়েছে এবং অবলিলায় এই পত্র লিখতে বাধ্য হয়েছি। আপনি ‘হাউলায়ে বানাতি’র তফসীর করতে গিয়ে অন্যান্য তফসীরকারকের থেকে ভিন্ন বিতর্কের যে পন্থা অবলম্বন করেছেন তার প্রশংসা করা আমার সাধ্যাতীত।”
এরপর তিনি আরেকটি পত্রে লিখেন, “রাতে আমি নিয়মিত এটি পাঠ করি। আমার মতে এটি ঊর্দূতে একেবারে প্রথম তফসীর যা অনেকাংশে মানব মস্তিষ্ককে প্রশান্ত করতে পারে। এই তফসীরের মাধ্যমে ইসলামের যে সেবা (আপনি) করেছেন তা এতটাই সুউচ্চ যা আপনার বিরোধীরাও অস্বীকার করতে পারে না। ওয়া যালিকা ফাযলুল্লাহি ইউতিহি মাইয়্যাশাউ।”
এরপর হুযূর (আই.) হযরত মুসলেহ্ মওউদ (রা.)’র কয়েকটি যুগান্তকারী বক্তৃতা সম্পর্কে আলোচনা করেন। এর মাঝে একটি ছিল, ‘নিযামে নও বা নব ব্যবস্থাপনা’। একজন প্রখ্যাত মিশরীয় সাংবাদিক এবং অধ্যাপক আব্বাস মাহমুদ আল্ আক্কাদ বলেছেন, মুসলেহ্ মওউদ (রা.) বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে এই পুস্তকে অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত দৃষ্টিভঙ্গি পেশ করেছেন এবং একটি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থাপনার প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন যা সার্বজনীনভাবে গৃহীত হতে পারে এবং অকাট্য প্রমাণের আলোকে দেখিয়েছেন যে, একমাত্র ইসলামই বিশ্বের সকল সমস্যার সমাধান করার ক্ষমতা রাখে।
দ্বিতীয়ত, ‘ইসলাম মে ইখতিলিফাত কা আগায’ বা ‘ইসলামে মতবিরোধের সূচনা’। হুযূর (আই.) এই বক্তব্যের সারমর্ম তুলে ধরার পর বলেন, এ বক্তৃতার বিপরীতে অ-আহমদী ঐতিহাসিকরাও নিজেদেরকে তুচ্ছ জ্ঞান করেছে। তিনি এটি প্রমাণ করেন যে, সাহাবীরা হযরত উসমান (রা.)’র খিলাফতের বিরোধীতা করেন নি। অন্যান্য ব্যক্তির ন্যায় ইসলামিয়া কলেজ লাহোরের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল কাদির এম, এ বলেছেন, এটি একটি অত্যন্ত জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা ছিল। তিনি আরো বলেন, তিনি নিজেও ইতিহাস অধ্যয়ন করেছেন, তবে খুব কম লোকই আছেন যারা হযরত উসমান (রা.)’র সময়ে যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল তার গভীরে যেতে পেরেছেন এবং সংঘটিত ঘটনাগুলির কারণ উদঘাটন করতে পেরেছেন এবং তারপরে তা উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, ইসলামের ইতিহাসে এ বিষয়ে এত ব্যাপক কাজ আর কখনো হয়নি।
হুযূর (রা.)’র আরেকটি বক্তৃতা ছিল, ‘ইসলাম মে একতেসাদী নিযাম’ বা ‘ইসলামে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা’। আহমদী ছাড়াও শত সহস্র মুসলমান, অমুসলমান শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গ এ বক্তৃতা শ্রবণের জন্য উপস্থিত ছিলেন। বলা হয় যে, মুসলেহ্ মওউদ (রা.)’র ন্যায় ইউরোপীয় অর্থনৈতিক দর্শনকে কেউ কখনো খণ্ডন করতে পারে নি। প্রকৃতপক্ষে, বক্তৃতার পরে ছাত্রদের বলতে শোনা যায় যে, এরপরও কমিউনিস্ট দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করা বৃথা হবে। অন্য একটি প্রকাশনা বলেছে যে, এই বক্তৃতাটি প্রজ্ঞা ও গভীর অন্তর্দৃষ্টিতে পরিপূর্ণ ছিল এবং হযরত মির্যা বশীর উদ্দীন মাহমুদ আহমদ (রা.) খোদাপ্রদত্ত ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। অনুরূপভাবে ইংরেজরাও এর অনুবাদ পড়ে গভীরভাবে প্রভাবান্বিত হয়েছে এবং তা বর্ণনাও করেছে। উল্লিখিত দৃষ্টান্তসমূহের মাধ্যমে -তাকে বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ জ্ঞানে সমৃদ্ধ করার অঙ্গীকারটির পূর্ণতা প্রমাণিত হয়।
হুযূর (আই.) পরিশেষে বলেন, হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) মুসলেহ্ মওউদ (রা.) সম্পর্কে যেসব ভবিষ্যদ্বাণী প্রদান করেছিলেন তার সবকটিই তাঁর মাধ্যমে পূর্ণতাপ্রাপ্ত হয়েছে। তাঁর জ্ঞানের ধনভাণ্ডার আমাদের জামা’তে পুস্তকাকারে বিদ্যমান। তাই জামা’তের সদস্যদের এগুলো বেশি বেশি অধ্যয়ন করা উচিত। আল্লাহ্ তা’লা আমাদেরকে এই জ্ঞান ও প্রজ্ঞা থেকে উপকৃত হওয়ার তৌফিক দান করুন।